একজন উইঘর মুসলিমার হৃয়বিদায়ক সাক্ষাতকার!
রোকাইয়া ফরহাত,পূর্ব তুর্কিস্তানের একজন মজলুম মুসলিমা যিনি পূর্ব তুর্কিস্তানের ঘুলজা অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।তিনি জালিম চীন সরকারের কারাগারের লোমর্হষক নির্যাতন ও তাঁর পরিবারের মর্মান্তিক পরিণতির বর্ণনা দিয়েছেন।তাঁর সাক্ষাৎকারের মূল অংশ নিচে তুলেধরা হল:
আসসালামু আলাইকুম। আমি রোকাইয়া ফরহাত,পূর্ব তুর্কিস্তানের অধিবাসী আমি একটি ধর্মিক পরিবারে বড় হয়েছি আমার পিতা আমাকে ধর্মীয়শিক্ষায় শিক্ষিত করেছিলেন ১৬বৎসর বয়সে আমি কোরআনুল কারীমের হিফজ সম্পন্ন করি এবং অন্যদেরকেও শিক্ষা দেওয়ার শুরু করি অত:পর উরুমকি অঞ্চলে শিক্ষকতা করা অবস্থায় একরাত্রেচীনা কর্তৃপক্ষ আমাকে এবং আমার ১৬জন শিশু শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। যাদের সকলের বয়স ছিল মাত্র ৯ থেকে ১৪ বৎসরের ভেতরে। অত:পর তারা আমাদের সকলকে কারাগারের মাটির নিচের একটি শেলে তিনদিন যাবত খাদ্যও পানি ব্যতিরেকে ক্ষুধার্থ অবস্থায় বন্দী করে রাখে অত:পর তারা আমাদের পৃথক পৃথক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এই দিন গুলোতে তারা আমাদেরকে দিবারাত্রি জিজ্ঞাসাবাদ করতে থেকে তখন আমাদেরকে সামান্য পরিমাণ খাদ্যই প্রদান করা হত। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে নির্যাতনের সময়ভয় বৃদ্ধির জন্য তারা ৯থেকে ১৪বৎসর বয়সী এইসব শিশু-কিশোরদের শেলে শিকারী কুকুর ছেড়ে দেয় বরং বলা যায়,এরা শিশুদেরকে কুকুরের কামড় খাওয়ারজন্য ফেলে রাখে কুকুরের কামড়ে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়,এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করে মৃত্যুরপর চাইনিজ কারারক্ষীরা মৃতদেহগুলোর উপর থু-থু নিক্ষেপ ও লাথিমারতে থাকে অত:পর দেহগুলোকে কালো প্লাস্টিকে ঢুকিয়েনিয়ে যাওয়া হয় এরপর আমাদের কয়েকজনের উপর জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় স্বাভাবিকভাবে আমরা রাতে ঘুমাত পারতাম না, তারা সবসময় আমাদেরকে বহু ধরনের প্রশ্নকরত এবং ইলেক্ট্রিক শক ও হিংস্র কুকুর ছেড়ে দিয়ে আমাদের উপর নির্যাত চালাত,আর লাঠি দ্বারা প্রহার,আঙুলের নখ উপড়ে ফেলেও ছিল নির্যাতনের অংশ এগুলো ছাড়াও তারা জ্বলন্ত সিগারেট আমাদের হাতের তালু ও কনুইয়ে চেপেধরত মোটকথা,আমরা কারাগারে বহুধরনের নির্যাতন ভোগ করেছি এত কিছুর পরেও যখন আমরা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের উপর অটল ছিলাম তখন নারী-পুরুষ,তরুণ,শিশু-বৃদ্ধ,সকলকেই করাগারে চরম অপমানও অপদস্থতার শিকার হতে হয়েছে উক্ত সময়কালে কিছু মুসলিম পুরুষ যাদের সংখ্যা সম্ভবত পাঁচ বা ছয়জন তারা এই অকথ্য অপমান আর সহ্য করতে পারছিলেন না তাই তারা খালি হাতেই কারারক্ষীদের সাথে লড়াই শুরু করেন এবং নিহত হন আমি কখনও ভুলব না যে,মৃত্যুবরণের পরেও কারারক্ষীরা তাদের দেহের উপর থু-থু নিক্ষেপ,লাথি ও নানারকম বেইজ্জতিমূলক কাজ করতে থাকে আর তাদেরকে প্লাস্টিকের কালো ব্যাগে ভরে আমাদের চোখের সামনে সেখান থেকে সরিয়েনেওয়া হয় অত:পর কারারক্ষীরা আমাদের বলতে থাকে যদি আমরা তাদের কথা না শুনি ও মান্য না করি তবে আমাদেরকে এমন সব নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে,যা এখনও আমরা প্রত্যক্ষ করিনি তারা এভাবেই আমাদের ভীত-সন্ত্র করে রাখতো কী অপরাধ ছিল আমাদের? আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করেছি ও কোরআন শিখেছি এবং আমরা সঠিক পথে ছিলাম,এগুলোই আমাদের অপরাধ! আরও একটি স্বরণীয় অভিজ্ঞাতা হচ্ছে,একদা তারা আমাদের পাঁচজনকে একটি শেলে বন্দী করে এবং সেখানে হিংস্র কুকুর ছেড়ে দেয় একইসাথে শেলের মধ্যে তিনটি কুকুর থাকত এই কুকুরগুলো আমাদের দেহের দু-তিন স্থানে কামড়েছিল অত:পর মহান আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে এরা কামড়ানো বন্ধকরে দেয় মহান রব-ই তাদেরকে বিরত রেখেছিলেন,যে কারণে কুকুরগুলো কামড়ানো বাদ দিয়ে শান্ত হয়ে বসে ছিল কারা রক্ষীরা কুকুরগুলোকে প্রহার করে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে,
কিন্তু তাতে কোনে কাজ হয়নি আমার জন্য আরও একটি মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এইযে সেখানে একজন মহিলা ছিলেন,আনুমানিক ৩৫বৎসর সবসী যখন আমরা এসব ভয়াবহ নির্যাতন ও অপমান সত্ত্বও ঈমানের উপর অটল ছিলাম তখন তারা আমাকে সেই মহিলার নিকটে নিয়ে গেল যাতে আমি প্রত্যক্ষ করি যে,তাঁর সাথে কী (নির্যাতন) আচরণ করা হয়েছে, তারা আমাকে তাঁর অবস্থা প্রত্যক্ষ করালো। তাঁর শরীরের নিচের অংশ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রপ্ত ছিল,যা আমি বর্ণনা করতে পারব না তাঁর বুকের অর্ধাংশ ছিলনা,আমি জানি কী ঘটানো হয়েছিল তাঁর সাথে তিনি মাটিতে শায়িত ছিলেন,তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর এবং তাঁর মুখে মৃদু হাসির রেখা বিদ্যমান ছিল কারা রক্ষীরা আমাকে হুমকি ছিল,যদি আমি তাদের কথা না মানি তবে আমরা ভাগ্যও উক্ত মহিলার মতই হবে কিন্তু আমরা তাদেরকে মানতে (ঈমান পরিত্যাগে) রাজি হইনি।
আমরা ত্রিশের মত পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছি।যাদেরকে কারারক্ষীরা হত্যা করেছিল চাইনিজরা তাঁদের মৃতদেহগুলো কালো ব্যাগে ভরে আমাদের কাছ
থেকে সরিয়েনিত আমি সর্বশক্তিমান রবের অনুগ্রহ কখনও ভুলব না.......... ঐ
কুকুরগুলো আমাদেরকে কামড়য়নি (আবেগমাখা কণ্ঠে আল্লাহর প্রতিন্তুষ্টি প্রকাশ)
কিন্তু চাইনিজরা তাদের নির্যাতন অব্যাহত রেখেছিল।
পরে তারা আমাদেরকে কারাগারের পানির কক্ষে বন্দী করেছিল আমি সেখানে
ছয়মাস ছিলাম,তারা আমাকে প্রতিদিন ৪,৫ঘন্টা সেখানে রাখতো,কোনোদিন
ছয় ঘন্টারও বেশি সেখানে থাকতে হত চাইনিজ কর্তৃপক্ষ যখন বুঝতে পারল যে,
আমাদেরকে নমনীয় করা সহজ নয় তখন এর পাশাপাশি আমাদেরকে ইলেক্ট্রিক শক দ্বারা নির্যাতনও চালু রাখলো প্রথমে তারা আমাকে নয় বছরের কারাদণ্ডদিয়েছিল,কিন্তু চার বছর পর তাদের ভয়াবহ নির্যাতনের কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম
অত:পর তারা মনে করল আমি কর্মক্ষম হয়ে গেছি এবং অচিরেই মারা যাব।
অপরদিকে আমার দাদী আমার অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয় অত:পর ৭০,০০০
হাজার চাইনিজ ইয়ান-এরযিনিময়ে আমাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে,
আমি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠি অত:পর জানতে পারি,
চাইনিজ প্রশাসন ইতিমধ্যে আমার পিতাকে হত্যা করেছে তারা আমার বড় তিন ভাইকে প্রশাসনের সাথে বিদ্রোহের অভিযোগে হত্যা করেছে তারা আমার মা-কেও হত্যা করে ফেলেছে পরে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে ধীরে ধীরে হাসপাতালে সুস্থ হয়েউঠি ও স্বাভাবিক শক্তি ফিরে পাই সুস্থতার পর আমি একলক্ষ চাইনিজ ইয়ান(মুদ্রা) খরচ করে পাসর্পোট তৈরী করি অক:পর,সেখান থেকে হিজরত করি।
আজ উইঘুর মুসলিমদের উপর কমিউনিস্ট চীন সরকার যে ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছে তা বিশ্ববাসীর কাছে সুস্পষ্ট।
কিন্তু,তারপরও মুসলিম বিশ্বের কাউকে চীন সরকারের বিরুদ্ধে জোর গলায় কিছু বলতে দেখা যায়নি!বরং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সমপ্রতি আল-জাজিরার সাখে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে চীন সরকারের পক্ষালম্বনের ঘোষণা দিয়েছে।
রোকাইয়া ফরহাত,পূর্ব তুর্কিস্তানের একজন মজলুম মুসলিমা যিনি পূর্ব তুর্কিস্তানের ঘুলজা অঞ্চলের অধিবাসী ছিলেন।তিনি জালিম চীন সরকারের কারাগারের লোমর্হষক নির্যাতন ও তাঁর পরিবারের মর্মান্তিক পরিণতির বর্ণনা দিয়েছেন।তাঁর সাক্ষাৎকারের মূল অংশ নিচে তুলেধরা হল:
আসসালামু আলাইকুম। আমি রোকাইয়া ফরহাত,পূর্ব তুর্কিস্তানের অধিবাসী আমি একটি ধর্মিক পরিবারে বড় হয়েছি আমার পিতা আমাকে ধর্মীয়শিক্ষায় শিক্ষিত করেছিলেন ১৬বৎসর বয়সে আমি কোরআনুল কারীমের হিফজ সম্পন্ন করি এবং অন্যদেরকেও শিক্ষা দেওয়ার শুরু করি অত:পর উরুমকি অঞ্চলে শিক্ষকতা করা অবস্থায় একরাত্রেচীনা কর্তৃপক্ষ আমাকে এবং আমার ১৬জন শিশু শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। যাদের সকলের বয়স ছিল মাত্র ৯ থেকে ১৪ বৎসরের ভেতরে। অত:পর তারা আমাদের সকলকে কারাগারের মাটির নিচের একটি শেলে তিনদিন যাবত খাদ্যও পানি ব্যতিরেকে ক্ষুধার্থ অবস্থায় বন্দী করে রাখে অত:পর তারা আমাদের পৃথক পৃথক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এই দিন গুলোতে তারা আমাদেরকে দিবারাত্রি জিজ্ঞাসাবাদ করতে থেকে তখন আমাদেরকে সামান্য পরিমাণ খাদ্যই প্রদান করা হত। তারা আমাদেরকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে নির্যাতনের সময়ভয় বৃদ্ধির জন্য তারা ৯থেকে ১৪বৎসর বয়সী এইসব শিশু-কিশোরদের শেলে শিকারী কুকুর ছেড়ে দেয় বরং বলা যায়,এরা শিশুদেরকে কুকুরের কামড় খাওয়ারজন্য ফেলে রাখে কুকুরের কামড়ে তিনজন ছেলে ও দুজন মেয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হয়,এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করে মৃত্যুরপর চাইনিজ কারারক্ষীরা মৃতদেহগুলোর উপর থু-থু নিক্ষেপ ও লাথিমারতে থাকে অত:পর দেহগুলোকে কালো প্লাস্টিকে ঢুকিয়েনিয়ে যাওয়া হয় এরপর আমাদের কয়েকজনের উপর জিজ্ঞাসাবাদ ও নির্যাতনের মাত্র আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয় স্বাভাবিকভাবে আমরা রাতে ঘুমাত পারতাম না, তারা সবসময় আমাদেরকে বহু ধরনের প্রশ্নকরত এবং ইলেক্ট্রিক শক ও হিংস্র কুকুর ছেড়ে দিয়ে আমাদের উপর নির্যাত চালাত,আর লাঠি দ্বারা প্রহার,আঙুলের নখ উপড়ে ফেলেও ছিল নির্যাতনের অংশ এগুলো ছাড়াও তারা জ্বলন্ত সিগারেট আমাদের হাতের তালু ও কনুইয়ে চেপেধরত মোটকথা,আমরা কারাগারে বহুধরনের নির্যাতন ভোগ করেছি এত কিছুর পরেও যখন আমরা নিজেদের ধর্মবিশ্বাসের উপর অটল ছিলাম তখন নারী-পুরুষ,তরুণ,শিশু-বৃদ্ধ,সকলকেই করাগারে চরম অপমানও অপদস্থতার শিকার হতে হয়েছে উক্ত সময়কালে কিছু মুসলিম পুরুষ যাদের সংখ্যা সম্ভবত পাঁচ বা ছয়জন তারা এই অকথ্য অপমান আর সহ্য করতে পারছিলেন না তাই তারা খালি হাতেই কারারক্ষীদের সাথে লড়াই শুরু করেন এবং নিহত হন আমি কখনও ভুলব না যে,মৃত্যুবরণের পরেও কারারক্ষীরা তাদের দেহের উপর থু-থু নিক্ষেপ,লাথি ও নানারকম বেইজ্জতিমূলক কাজ করতে থাকে আর তাদেরকে প্লাস্টিকের কালো ব্যাগে ভরে আমাদের চোখের সামনে সেখান থেকে সরিয়েনেওয়া হয় অত:পর কারারক্ষীরা আমাদের বলতে থাকে যদি আমরা তাদের কথা না শুনি ও মান্য না করি তবে আমাদেরকে এমন সব নির্যাতনের মুখোমুখি হতে হবে,যা এখনও আমরা প্রত্যক্ষ করিনি তারা এভাবেই আমাদের ভীত-সন্ত্র করে রাখতো কী অপরাধ ছিল আমাদের? আমরা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইবাদত করেছি ও কোরআন শিখেছি এবং আমরা সঠিক পথে ছিলাম,এগুলোই আমাদের অপরাধ! আরও একটি স্বরণীয় অভিজ্ঞাতা হচ্ছে,একদা তারা আমাদের পাঁচজনকে একটি শেলে বন্দী করে এবং সেখানে হিংস্র কুকুর ছেড়ে দেয় একইসাথে শেলের মধ্যে তিনটি কুকুর থাকত এই কুকুরগুলো আমাদের দেহের দু-তিন স্থানে কামড়েছিল অত:পর মহান আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে এরা কামড়ানো বন্ধকরে দেয় মহান রব-ই তাদেরকে বিরত রেখেছিলেন,যে কারণে কুকুরগুলো কামড়ানো বাদ দিয়ে শান্ত হয়ে বসে ছিল কারা রক্ষীরা কুকুরগুলোকে প্রহার করে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে,
কিন্তু তাতে কোনে কাজ হয়নি আমার জন্য আরও একটি মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা এইযে সেখানে একজন মহিলা ছিলেন,আনুমানিক ৩৫বৎসর সবসী যখন আমরা এসব ভয়াবহ নির্যাতন ও অপমান সত্ত্বও ঈমানের উপর অটল ছিলাম তখন তারা আমাকে সেই মহিলার নিকটে নিয়ে গেল যাতে আমি প্রত্যক্ষ করি যে,তাঁর সাথে কী (নির্যাতন) আচরণ করা হয়েছে, তারা আমাকে তাঁর অবস্থা প্রত্যক্ষ করালো। তাঁর শরীরের নিচের অংশ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রপ্ত ছিল,যা আমি বর্ণনা করতে পারব না তাঁর বুকের অর্ধাংশ ছিলনা,আমি জানি কী ঘটানো হয়েছিল তাঁর সাথে তিনি মাটিতে শায়িত ছিলেন,তিনি ছিলেন অত্যন্ত সুন্দর এবং তাঁর মুখে মৃদু হাসির রেখা বিদ্যমান ছিল কারা রক্ষীরা আমাকে হুমকি ছিল,যদি আমি তাদের কথা না মানি তবে আমরা ভাগ্যও উক্ত মহিলার মতই হবে কিন্তু আমরা তাদেরকে মানতে (ঈমান পরিত্যাগে) রাজি হইনি।
আমরা ত্রিশের মত পুরুষ ও মহিলার মৃত্যু প্রত্যক্ষ করেছি।যাদেরকে কারারক্ষীরা হত্যা করেছিল চাইনিজরা তাঁদের মৃতদেহগুলো কালো ব্যাগে ভরে আমাদের কাছ
থেকে সরিয়েনিত আমি সর্বশক্তিমান রবের অনুগ্রহ কখনও ভুলব না.......... ঐ
কুকুরগুলো আমাদেরকে কামড়য়নি (আবেগমাখা কণ্ঠে আল্লাহর প্রতিন্তুষ্টি প্রকাশ)
কিন্তু চাইনিজরা তাদের নির্যাতন অব্যাহত রেখেছিল।
পরে তারা আমাদেরকে কারাগারের পানির কক্ষে বন্দী করেছিল আমি সেখানে
ছয়মাস ছিলাম,তারা আমাকে প্রতিদিন ৪,৫ঘন্টা সেখানে রাখতো,কোনোদিন
ছয় ঘন্টারও বেশি সেখানে থাকতে হত চাইনিজ কর্তৃপক্ষ যখন বুঝতে পারল যে,
আমাদেরকে নমনীয় করা সহজ নয় তখন এর পাশাপাশি আমাদেরকে ইলেক্ট্রিক শক দ্বারা নির্যাতনও চালু রাখলো প্রথমে তারা আমাকে নয় বছরের কারাদণ্ডদিয়েছিল,কিন্তু চার বছর পর তাদের ভয়াবহ নির্যাতনের কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লাম
অত:পর তারা মনে করল আমি কর্মক্ষম হয়ে গেছি এবং অচিরেই মারা যাব।
অপরদিকে আমার দাদী আমার অবস্থা সম্পর্কে অবগত হয় অত:পর ৭০,০০০
হাজার চাইনিজ ইয়ান-এরযিনিময়ে আমাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে,
আমি হাসপাতালে সুস্থ হয়ে উঠি অত:পর জানতে পারি,
চাইনিজ প্রশাসন ইতিমধ্যে আমার পিতাকে হত্যা করেছে তারা আমার বড় তিন ভাইকে প্রশাসনের সাথে বিদ্রোহের অভিযোগে হত্যা করেছে তারা আমার মা-কেও হত্যা করে ফেলেছে পরে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে ধীরে ধীরে হাসপাতালে সুস্থ হয়েউঠি ও স্বাভাবিক শক্তি ফিরে পাই সুস্থতার পর আমি একলক্ষ চাইনিজ ইয়ান(মুদ্রা) খরচ করে পাসর্পোট তৈরী করি অক:পর,সেখান থেকে হিজরত করি।
আজ উইঘুর মুসলিমদের উপর কমিউনিস্ট চীন সরকার যে ভয়ংকর নির্যাতন চালাচ্ছে তা বিশ্ববাসীর কাছে সুস্পষ্ট।
কিন্তু,তারপরও মুসলিম বিশ্বের কাউকে চীন সরকারের বিরুদ্ধে জোর গলায় কিছু বলতে দেখা যায়নি!বরং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট সমপ্রতি আল-জাজিরার সাখে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে চীন সরকারের পক্ষালম্বনের ঘোষণা দিয়েছে।
Comment