বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার প্রেক্ষিতে আল কায়েদা কেন্দ্রীয় নেতৃ
“যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা হচ্ছে তাদেরকেও (শত্রুদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হল। কারণ, তাদের প্রতি নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম। যাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বলে 'আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ’। আল্লাহ যদি (সকল যুগে) মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা (কাফেরদেরকে মুমিনদের দ্বারা) প্রতিহত না করতেন তাহলে (খ্রীস্টান সন্ন্যাসীদের) আশ্রম, গির্জা, (ইহুদিদের) উপাসনালয় এবং (মুসলমানদের) মসজিদসমূহ ধ্বংস করে দেয়া হত, যেখানে আল্লাহর নাম অধিক পরিমাণে স্মরণ করা হয়। যারা (কাফেরদেরকে প্রতিহত করার মাধ্যমে) আল্লাহর (দ্বীনের) সাহায্য করবে আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে সাহায্য করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিধর পরাক্রমশালী”। (সূরা হজ্বঃ ৩৯-৪০)
শুরুতেই আমরা নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে সংগঠিত ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের কারণে আহত প্রিয় মুসলিম উম্মাহর প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আমাদের সেসকল পূণ্যবান মুসলিম ভাইদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি যারা জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহর ঘরে আগে আগে ছুটে গিয়েছিলেন। অতঃপর চরম ইসলাম বিদ্বেষী এক ক্রুসেডার তাঁদের ওপর নির্মমভাবে হামলা চালায় এবং সেখানে উপস্থিত অর্ধশতাধিক নিরপরাধ মুসলমানকে শহীদ করে।
আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন তাঁদেরকে ক্ষমা করেন, তাদের প্রতি দয়া করেন এবং তাদেরকে শহীদ হিসাবে কবুল করেন। আমীন।
হে প্রিয় উম্মাহ!
এই ঘৃণ্য অপরাধটি একের পর ঘটতে থাকা সে সব অপরাধেরই একটি, যেগুলোতে আল্লাহর পবিত্র ঘরসমূহে অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মুসল্লিদেরকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এবার নতুন যে বিষয়টি যুক্ত হয়েছে তা হল, কাপু্রুষোচিত এ কাজটিকে ভিডিওর
মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা হয়েছে। আমরা আফগানিস্তানে, ইরাকে, ফিলিস্তিনে এবং সিরিয়াতে এর চেয়েও গুরুতর ও নিকৃষ্টতর ঘটনা দেখেছি। এই তো মাত্র ক’মাস আগে বিশ্ববাসী দেখেছে, মার্কিন ক্রুসেডাররা কী নির্মমভাবে আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশের একটি মসজিদকে লক্ষ্যস্থল বানিয়েছিল। যেখানে আল্লাহর পবিত্র কোরআনের হিফয সম্পন্নকারী শতাধিক শিশুর সম্মানার্থে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে তারা প্রায় একশ নিরপরাধ মুসলিম শিশুকে শহীদ করে। এর ক’মাস আগে বিশ্ববাসী এটাও প্রত্যক্ষ করেছে যে, কীভাবে আমেরিকানরা সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের একটি মসজিদ মসজিদুল জীনাতে আয়োজিত একটি দ্বীনী মাহফিলকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। সেখানে তারা দাওয়াত ও তাবলীগের সাথে সম্পৃক্ত আমাদের প্রায় পঞ্চাশ জন নিরপরাধ ভাইকে শহীদ করে। আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে কবুল করুন ও জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।
আমরা মুসলিম উম্মাহর যুবকদেরকে এ সকল সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে পাকড়াও করার জন্য উৎসাহিত করছি। সম্মানের সাথে বেঁচে থাকার জন্য হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করছি, তারা যেন তাদের ভাইদের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য বীরত্বপূর্ণ কাজে আত্মনিয়োগ করে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টির প্রতি আমরা তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করছি তা হল, তারা যেন আমেরিকানদের, চীনাদের এবং উগ্রপন্থী ক্রুসেডারদের মধ্য থেকে যারাই তাদেরকে (আমেরিকান ও চীনাদেরকে) বন্ধু রূপে গ্রহণ করছে তাদেরকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানায়। এ আঘাত হবে আমাদের ভাইদের ওপর চালানো হামলার প্রতিশোধ নেয়ার লক্ষ্যে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে দুনিয়া ও আখেরাতের লক্ষ্যসমূহ বিবেচনায় রাখা হবে। এ আঘাত হবে গোটা মুসলিম উম্মাহের জন্য তাঁদের অন্তরের ক্রোধকে প্রশমিত করার জন্য প্রতিষেধক। পাশাপাশি উম্মাহর মর্যাদা রক্ষা এবং তার ইজ্জত ও সম্মানের প্রতিরক্ষা, লুন্ঠিত স্বাধীনতার পুনরুদ্ধার, দখলকৃত ভূমিগুলোতে বিজয় অর্জন এবং মজলুম এই দ্বীনকে সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে। আমাদের মায়েরা আমাদেরকে হারিয়ে ফেলুক (আমাদের ধ্বংস অবধারিত হোক) যদি আমরা আমাদের ভাইদের রক্তের প্রতিশোধ না নেই।
হে ঈমানদার ভাইয়েরা!
আপনারা নিজেদেরকে আকস্মিক যে কোন দুর্ঘটনায় নিজেকে স্থির রাখতে এবং মনোবল সুদৃঢ় রাখতে অভ্যস্ত করে তুলুন। শত্রুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন। অনুশীলন ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদেরকে বীরত্বপূর্ণ কাজ করতে এবং সাহসী উদ্যোগ গ্রহণে অভ্যস্ত করে তুলুন। পাশাপাশি বীরত্বের অধিকারী সাহাবী ও তাবেঈনদের জীবনী অধ্যায়ন করুন। নিজ সন্তানদেরকে কাফেরদের
প্রতি বিদ্বেষ ও তাদের থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করার শিক্ষা প্রদান করুন। তাদেরকে শারীরিক প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র প্রশিক্ষণে লিপ্ত রাখুন। তাদেরকে বিজয়ী মুসলিমদের জয়গান শোনান।
আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে এমন ভাবে গড়ে তুলুন যেন তারা ইসলামকে নিয়ে এবং ইসলামের ইতিহাস, মূল্যবোধ ও আদর্শকে নিয়ে গর্ব করে। আপনারা নামাজের ব্যাপারে যত্নবান হোন। মহান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক অটুট রাখুন। সতর্কতা অবলম্বন করুন। আত্মরক্ষার হাতিয়ার সঙ্গে রাখুন। মসজিদগুলোর গেইটে নিরাপত্তা নিশ্চিতকারী নিজস্ব পাহারার ব্যবস্থা গড়ে তুলুন। আল্লাহ তা‘আলার এই বাণীর ওপর আমল করুন।
আল্লাহ সুব’হানাহু ওয়া তা’আলা বলেন-
أُولَئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ أَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ
“তাদের তো উচিৎ ছিল, মসজিদগুলোতে ভীতসন্ত্রস্ত অবস্থায় প্রবেশ করা” (সূরা বাকারা-১১৪)
হে আল্লাহর পথের মুজাহিদগণ!
আপনারা শার্লি এবদোর ওপর কঠিন আক্রমণকারী বীরদের অনুসরণ করুন। ক্রুসেডার যোদ্ধাদেরকে তাদের ঘাঁটিগুলোতে এবং তাদের একত্রিত হওয়ার স্থানগুলোতে লক্ষ্যবস্তু বানান। তবে তাদের গির্জা ও উপাসনালয়গুলোতে আক্রমণ করবেন না। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে নিষেধ করেছেন তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে বিরত থাকুন। আমাদের সত্য দ্বীনের শিক্ষা ও তার মহৎ সামরিক নীতির অনুসরণ করুন। আপনারা বিশ্ববাসীকে ইসলামের ইউসুফী সৌন্দর্য ও মুহাম্মাদী আখলাক দেখিয়ে দিন। আপনারা কথায় ও কাজে গোটা বিশ্বকে জানিয়ে দিন যে, আমরাই গোটা মানবজাতির প্রতি সবচেয়ে বেশি দয়াবান। তবে হ্যাঁ, আমরা কারো জলুম সহ্য করি না। তাদেরকে জানিয়ে দিন, আমরা রক্তের বদলায় রক্তপাত ঘটাতে পছন্দ করি না। তবে আমরা রক্তকে রক্ষা করার জন্য রক্ত প্রবাহিত করতে প্রস্তুত।
তাদেরকে জানিয়ে দিন, যারা আমাদের দ্বীনের জন্য আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে আমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবো। যারা আমাদের ভূমিগুলো থেকে আমাদেরকে বের করে দিতে চায় এবং যারা আমাদেরকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকাকে সহায়তা করে তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে।
পরিশেষে বলবো-
শাহাদাত বরণ করা আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা এবং এটাই আমাদের মূলধন। মুসলিম উম্মাহ যখন তাদের মূলধন, গৌরব ও প্রকৃত মর্যাদার এ পথে অধিক হারে এগিয়ে আসবে তখন আর ক্রুসেডারদের বিশ্বাসঘাতকতা এই উম্মাহকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে পারবে না। আমাদের চক্ষুসমূহ শীতল হবে না যতক্ষণ না আমরা আমাদের ভাইদের রক্তের যথাযথ প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারবো।সুতরাং জলদি করো! জলদি করো! হে মুসলিম যুবকেরা, হে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমিকেরা!
হে আল্লাহ, আপনি মসজিদ আন-নূরের শহীদ ভাইদের পবিত্র রক্ত থেকে এমন নূর সৃষ্টি করুন যার দ্বারা পশ্চিমা দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য আপনার দ্বীনে দীক্ষিত হওয়ার পথ উন্মুক্ত হয়, যে দ্বীনকে আপনি আপনার সকল বান্দাদের জন্য মনোনীত করেছেন। হে আল্লাহ, এমন এক নূর তৈরি করে দিন যার দ্বারা মুসলমানদের সামনে সঠিক পথ উন্মুক্ত হয় যেন তারা আপনার বান্দাদের পক্ষ থেকে এবং আপনার প্রিয় বন্ধুদের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে পারে।
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
Comment