প্রধানমন্ত্রীর হিজাব বিরোধি কটুক্তিমূলক বক্তব্যে বাকরুদ্ধ কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তবন্যা বয়েছে:- বাবুনগরী ।
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/15/23717/
গত রবিবার গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘হাত মোজা, পা মোজা, নাক-চোখ ঢেকে এটা কি? জীবন্ত টেন্ট (TENT- তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো, এটারতো কোনো মানে হয় না’ নারীদের প্রসঙ্গে প্ৰধানমন্ত্ৰীর দেয়া ইসলামের একটি ফরয বিধান নিয়ে কটুক্তিমূলক এ বক্তব্যের জবাবে গত ১৪ই জুন রোজ শুক্ৰবার গণমাধ্যমে এক বিবৃতি প্রদান করেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ।
গণমাধ্যমে প্ৰেরিত বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হিজাব (পৰ্দা) ইসলামের ফরয বিধান সমূহের মধ্য হতে অন্যতম একটি ফরয বিধান।
একজন নারীর ইজ্জত-আবরু রক্ষায় শরয়ী পৰ্দার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। একজন নারী শরয়ী পৰ্দা মেনে চললে সমাজ হবে অপরাধ, অরাজকতা ও অনৈতিকতা মুক্ত শান্ত,সুশৃঙ্খল সমাজ। সমাজে ইভটিজিং, নারী ধৰ্ষণ, নারী নিৰ্যাতন ইত্যাদির ন্যায় অপরাধ,অনৈতিকতা ও অরাজকতা আর থাকবে না।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, একজন নারীর জন্য গায়রে মাহরাম তথা পরপুরুষের সামনে দুই হাত, দুই পা খোলা রাখার অবকাশ নেই। পরপুরুষের সামনে পা থেকে মাথা পৰ্যন্ত সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা শরয়ী হিজাবের মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহ্* তা’আলার কালাম পবিত্ৰ কুরআন কারীমের ৭ টি আয়াত এবং আল্লাহ্*র প্রিয় হাবীব রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্ৰায় ৭০ টি হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধানটি ফরয বলে প্ৰমাণিত।
এসকল আয়াত ও হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধান প্ৰমাণিত হওয়ার পাশাপাশি সৰ্ব প্ৰকারের বেপৰ্দা হারাম হওয়াও সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। সুতরাং শরয়ী পৰ্দা নিয়ে রাষ্ট্ৰের সৰ্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত প্ৰধানমন্ত্ৰীর মুখে এমন আপত্তিকর ও কটুক্তিমূলক মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ৯০% মুসলমানের দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত ফরয বিধান পৰ্দা সম্পৰ্কে দেয়া অপমান ও কটুক্তিমূলক বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ, বাকরুদ্ধ কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে সীমাহীন রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাদের হৃদয়ে রক্তের বন্যা বয়েছে।
বাবুনগরী আরো বলেন, একজন মুসলমান ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কোনভাবেই শরীয়তের কোন বিধান নিয়েই বেফাস মন্তব্য করতে পারে না, তাই শরীয়তের অন্যতম ফরয বিধান পৰ্দা সম্পৰ্কে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কটুক্তিমূলক এ বক্তব্য প্ৰত্যাহার করে মহান আল্লাহ্* তা’আলার দরবারে তার জন্য তাওবা করা উচিত।
পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পৰ্দার বিধান মেনে তদানুযায়ী আমলের অভাবেই আজ নারী নিৰ্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, শিশু থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধাও সমাজে আজ নিৰ্যাতনের শিকার হচ্ছে, শুধু নিৰ্যাতনই নয়; বরং নিৰ্যাতনের পর নির্যাতিত ব্যক্তিকে নিৰ্মমভাবে হত্যাও করা হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো পৰ্দাহীনতা, নিৰ্লজ্জতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও পর্দার বিধান মেনে তদানুযায়ী আমল না করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ।
একজন সতী নারীর ভূষণ হচ্ছে শরয়ী পৰ্দা, নারীর ইজ্জত আবরু রক্ষার অন্যতম মাধ্যমও হচ্ছে শরয়ী পর্দা; কিন্তু নারী সমাজ অন্ধের ন্যায় আজ পশ্চিমাদের তালে তাল মিলিয়ে চলাফেরা করে নিজের ইজ্জত আবরু বিনষ্ট করছে, মানবরূপী নরপশু লম্পটদের ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। তাই পৰ্দা সম্পৰ্কে আপত্তিকর মন্তব্য নয় বরং শালিন পোষাক পরিধান, শরয়ী পৰ্দা ও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার প্ৰতি উৎসাহ প্ৰদান করে ইভটিজিং, নারী ধৰ্ষণ ও নারী নিৰ্যাতন মুক্ত সমাজ গড়তে সকলের প্ৰতি উদাত্ত আহ্বান জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ।
গণমাধ্যমে প্ৰেরিত বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, হিজাব (পৰ্দা) ইসলামের ফরয বিধান সমূহের মধ্য হতে অন্যতম একটি ফরয বিধান।
একজন নারীর ইজ্জত-আবরু রক্ষায় শরয়ী পৰ্দার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা নেই। একজন নারী শরয়ী পৰ্দা মেনে চললে সমাজ হবে অপরাধ, অরাজকতা ও অনৈতিকতা মুক্ত শান্ত,সুশৃঙ্খল সমাজ। সমাজে ইভটিজিং, নারী ধৰ্ষণ, নারী নিৰ্যাতন ইত্যাদির ন্যায় অপরাধ,অনৈতিকতা ও অরাজকতা আর থাকবে না।
আল্লামা বাবুনগরী বলেন, একজন নারীর জন্য গায়রে মাহরাম তথা পরপুরুষের সামনে দুই হাত, দুই পা খোলা রাখার অবকাশ নেই। পরপুরুষের সামনে পা থেকে মাথা পৰ্যন্ত সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখা শরয়ী হিজাবের মূল উদ্দেশ্য। আল্লাহ্* তা’আলার কালাম পবিত্ৰ কুরআন কারীমের ৭ টি আয়াত এবং আল্লাহ্*র প্রিয় হাবীব রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্ৰায় ৭০ টি হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধানটি ফরয বলে প্ৰমাণিত।
এসকল আয়াত ও হাদীস দ্বারা পৰ্দার বিধান প্ৰমাণিত হওয়ার পাশাপাশি সৰ্ব প্ৰকারের বেপৰ্দা হারাম হওয়াও সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। সুতরাং শরয়ী পৰ্দা নিয়ে রাষ্ট্ৰের সৰ্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত প্ৰধানমন্ত্ৰীর মুখে এমন আপত্তিকর ও কটুক্তিমূলক মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। ৯০% মুসলমানের দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী ইসলাম কর্তৃক নির্ধারিত ফরয বিধান পৰ্দা সম্পৰ্কে দেয়া অপমান ও কটুক্তিমূলক বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ, বাকরুদ্ধ কোটি কোটি মুসলমানদের হৃদয়ে সীমাহীন রক্তক্ষরণ হয়েছে, তাদের হৃদয়ে রক্তের বন্যা বয়েছে।
বাবুনগরী আরো বলেন, একজন মুসলমান ইচ্ছায় অনিচ্ছায় কোনভাবেই শরীয়তের কোন বিধান নিয়েই বেফাস মন্তব্য করতে পারে না, তাই শরীয়তের অন্যতম ফরয বিধান পৰ্দা সম্পৰ্কে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া কটুক্তিমূলক এ বক্তব্য প্ৰত্যাহার করে মহান আল্লাহ্* তা’আলার দরবারে তার জন্য তাওবা করা উচিত।
পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে পৰ্দার বিধান মেনে তদানুযায়ী আমলের অভাবেই আজ নারী নিৰ্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, শিশু থেকে শুরু করে সত্তর বছরের বৃদ্ধাও সমাজে আজ নিৰ্যাতনের শিকার হচ্ছে, শুধু নিৰ্যাতনই নয়; বরং নিৰ্যাতনের পর নির্যাতিত ব্যক্তিকে নিৰ্মমভাবে হত্যাও করা হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো পৰ্দাহীনতা, নিৰ্লজ্জতা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতা ও পর্দার বিধান মেনে তদানুযায়ী আমল না করে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করা ।
একজন সতী নারীর ভূষণ হচ্ছে শরয়ী পৰ্দা, নারীর ইজ্জত আবরু রক্ষার অন্যতম মাধ্যমও হচ্ছে শরয়ী পর্দা; কিন্তু নারী সমাজ অন্ধের ন্যায় আজ পশ্চিমাদের তালে তাল মিলিয়ে চলাফেরা করে নিজের ইজ্জত আবরু বিনষ্ট করছে, মানবরূপী নরপশু লম্পটদের ইভটিজিং এর শিকার হচ্ছে। তাই পৰ্দা সম্পৰ্কে আপত্তিকর মন্তব্য নয় বরং শালিন পোষাক পরিধান, শরয়ী পৰ্দা ও ইসলামী অনুশাসন মেনে চলার প্ৰতি উৎসাহ প্ৰদান করে ইভটিজিং, নারী ধৰ্ষণ ও নারী নিৰ্যাতন মুক্ত সমাজ গড়তে সকলের প্ৰতি উদাত্ত আহ্বান জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দাঃবাঃ।
সূত্র:https://alfirdaws.org/2019/06/15/23717/
Comment