আল-কায়েদা || কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
আলকুদস সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ করবে!
ফিলিস্তিন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাহরাইনে সঙ্ঘটিত খেয়ানতের চুক্তি প্রসঙ্গে বয়ান
PDF- 710.27KB
DOC-1.01MB
image
সকল ফাইল একত্রে- rar-5.75MB
----------------------------------
ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ অংশটাই একটি মূল্যবান অঞ্চল। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। ইসলামের গৌরবময় কেন্দ্রীয় দূর্গগুলো থেকে একটি দূর্গ। এ সকল কারণে এটা প্রতিটি মুসলিমের মনে আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মানের কেন্দ্রবিন্দুতে বসবাস করে। প্রতিটি মুসলিমের অন্তরে ভালবাসা, আগ্রহ ও সম্মানের স্থানে অবস্থান করে। আর আমরা কায়িদাতুল জিহাদের সদস্যগণও আমাদের অন্যান্য সকল মুসলিম ভাইদের ন্যায় এর ব্যাপারে সর্বপ্রকার সম্মান ও মূল্যায়ন অন্তরে লালন করি। কারণ এটি আমাদের পবিত্র ভূমিসমূহ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। আমাদের মূল্যবান আবাদিসমূহ থেকে অন্যতম আবাদি।
এটি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজের ঘাটি। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদধুলিতে ধন্য ভূমি। ইসলামের তৃতীয়তম পবিত্র ভূমি, যার অবস্থান মুসলমানদের অন্তরের গভীরে, মুসলমানদের অনুভূতির নিবিড়ে। যার পাশে হ্রেষাধ্বনি তুলেছিল অসংখ্য মুসলিম বিজেতার ঘোড়া। যার বাড়ি-ঘরগুলোতে প্রবেশ করেছিল শ্রেষ্ঠ মুজাহিদবাহিনীগুলো।
তাই আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে, ইসলামী কর্তব্য এবং দু:খ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার কর্তব্য। এগুলো হল ইসলামী রক্তের বন্ধন, যাকে সর্বদা আর্দ্র রাখতে হবে। এগুলো হল নৈতিকতা ও বিশ্বস্ততার যিম্মাদারিতে ঈমানী হক, যাকে তার প্রাপকের নিকট পৌঁছে দেওয়া আবশ্যক।
সম্মানিত ও বিশ্বস্ত লোকদের নিকট সর্বোত্তম আদায় হল, প্রয়োজনের মুহূর্তে আদায় করা। আর আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণের জন্য পূর্বের যেকোন সময় থেকে বর্তমানে সাহায্য-সহযোগীতা, বিশ্বস্ততা ও কুরবানী সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ আমাদের স্বজাতীয় বিশ্বাসঘাতক ও তাগুতরা তাদের কথিত ‘শতাব্দির চুক্তি’ বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়েছে। সর্বদিক থেকে ফিলিস্তিনীদের গলা চেপে ধরেছে। তাদের মাঝে আর তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মাঝে শক্ত আড়াল সৃষ্টি করে রেখেছে। বাহরাইনের মানামা চক্রান্তের মাধ্যমে সকল অনিষ্ট স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আরবের ইহুদীরা আলকুদসবাসীর জন্য ভয়ংকর হাসির দাত প্রকাশ করেছে। আল্লাহর শপথ! এটা মহা দুর্যোগ, ভয়াবহ বিপদ। আরবের উপর ইতিমধ্যেই চলে আসা বিপদের জন্য পরিতাপ! ফিলিস্তিনকে বিক্রি করা হচ্ছে, তার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। অথচ মুসলিমগণ জীবিত, এই দুর্ভোগ ও দু:খজনক অবস্থা প্রত্যক্ষ করছে।
আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইয়েরা বর্তমানে এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে আছেন, যার মাঝে মাঝে সাজানো আছে বিভিন্ন কামনা-বাসনা ও লোভের বস্তু। তাদেরকে চতুর্দিক থেকে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বেষ্টন করে আছে। তারা আজ মুসলিম ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানের পথ নির্ধারণের এক নাজুক মুহূর্তে আছেন।
এজন্য আমরা সাধারণভাবে আমাদের সমগ্র মুসলিম জাতিকে এবং বিশেষভাবে পুণ্যবান যুবকদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে: আমাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে ফিলিস্তিনের প্রতি হক আছে, যা আদায় করা আমাদের উপর অত্যাবশ্যক। আমাদের উপর এমন যিম্মাদারি আছে, যা খুব গুরুত্বের সাথে লক্ষণীয়। এটি এমন সমস্যা, যার কারণ, ফলাফল এবং নিকটবর্তী ও দূর্ববর্তী পরিণতিগুলো নিয়ে আমাদের সর্বক্ষণ ভাবা উচিত।
এটি আমাদের জন্য একটি দুনিয়াবী লাঞ্চনা (যা পরকালীন লাঞ্চনা থেকে হালকা), যদি আমরা আমাদের জনগণ ও ভাইদেরকে সাহায্য না করি, যদি আমরা এধরণের কঠিন পরিস্থিতিতে গাজার ইয়াতীম, বিধবা ও নবজাতকদের ব্যাপারে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাই। অথচ তারা বিশ্বাসঘাতক শাসকদের অসহযোগীতার ফলে শক্ত নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ এবং কঠিন কষ্ট ও ভোগান্তি সহ্য করছে।
হে আমাদের মহান জাতি! আমরা যদি এসকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের সাথে এক কাতারে না দাড়াই, তাহলে এটা হবে আমাদের ইসলামী বন্ধনকে ছিন্ন করা। আল্লাহ যদি আমাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া, এক কাতারে আসা, সকলের মত এক করা এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা সহজ করে দেন, আর সাথে সাথে আমরা পরিকল্পিত অংশের প্রত্যাশা ও ভিতরগত সাম্প্রদায়িকতা থেকে সতর্ক থাকি, সুপ্ত পরিণতি ও গোপন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দূরদৃষ্টি রাখি এবং সকলে এমন কোন সুস্পষ্ট কথা আকড়ে ধরি, যা একজন বললে সকল মুসলমান বলবে, তাহলে সে সময় এই উম্মত এবং আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের অবস্থাই হবে অন্যরকম।
তাই হে মুমিনগণ! নিজেদের মাঝে ত্যাগ ও বীরত্বের শোনিতধারা প্রবাহিত করুন! আল্লাহর পথে প্রস্তুতি গ্রহণ ও জানমাল দিয়ে জিহাদ করার জন্য সিংহের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ুন। আপনাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আমাদের উপর এবং সমস্ত মুসলিমদের উপর তাদের যে হক আছে, তার কিছুটা দায়িত্ব পালনের জন্য উঠে দাড়ান। আর সফলতার চারটি উপায় সঞ্চয় করতে সচেষ্ট হোন। তা হল: ধৈর্য, লড়াইয়ে অবিচলতা, দৃঢ়তা ও আল্লাহর পথে জিহাদ।
ইহুদী ও খৃষ্টানদের এমন প্রধান প্রধান বিষয়গুলোকে টার্গেট করুন, যা ইহুদী-খৃষ্টানদের নাক মাটিতে লুটানোর পূর্ব পর্যন্ত থামবে না।
হে সম্মানিত উলামাগণ! উম্মতের সামনে স্পষ্ট করুন যে, যে ব্যক্তি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করবে, সে তাদের মতই কাফের হয়ে যাবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন-
ومن يتولهم منكم فإنه منهم
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, সে তাদেরই মধ্য থেকে গণ্য হবে।” [সুরা মায়েদা-৫১]
তাদের সামনে আরো স্পষ্ট করুন যে, তাওহীদের উপর এক হওয়া ব্যতিত মুক্তির কোন পথ নেই। আরো স্পষ্ট করুন যে, জিহাদ ও দাওয়াত ব্যতিত কখনোই ইসলাম বিজয় লাভ হবে না। মিথ্যা গণতন্ত্রের খেলার মাধ্যমে বিজয় আসবে না, যা উম্মতকে শরীয়ত থেকে দূরে নিয়ে গেছে। উম্মতের সামনে আরো বয়ান করুন যে, ইহুদী-খৃস্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজে আইন।
তারপর তাদের সামনে পরিপূর্ণভাবে বয়ান করুন এবং পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট করুন যে, আমরা হলাম এক জাতি। আমাদের সকলের জিহাদ একই জিহাদ। আর বর্তমান যামানার সর্বাধিক ত্যাগী ও সত্যনিষ্ঠ মুজাহিদীন ও জিহাদকে সাহায্য করা প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজে আইন, যতক্ষণ না বিশ্বইহুদী-খৃষ্টানগোষ্ঠী এবং তাদের মিত্র ও কর্মচারীদের পরাজয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি হয়ে যায়।
আরো বলুন যে, কাশ্মীর, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, চেচনিয়া, মধ্য এশিয়া, ইরাক, সিরিয়া, জাযিরাতুল আরব, সোমালিয়া, ইসলামিক মাগরিব ও তুর্কিস্তানের জিহাদকে সাহায্য করা সকল মুসলমানের উপর ফরজে আইন, যতক্ষণ না মুসলিম দেশসমূহ থেকে সীমালঙ্ঘনকারী কাফেরদেরকে বের করার মত যথেষ্ট পরিমাণন শক্তি হয়ে যায়।
হে আমাদের সম্মানিত উলামাগণ! উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য সকল মুসলমানের কাজ করাকে ফরজ সাব্যস্ত করা এবং এই অত্যাবশ্যকীয় লড়াই ও বরকতময় জিহাদের জন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী বের হওয়ার আহ্বান করার ব্যাপারে যে সকল বয়ান প্রকাশিত হয়েছে, আমরা সেগুলোকে সর্বশক্তি দিয়ে সমর্থন করছি। অনুরূপ, বাহরাইনের অর্থনৈতিক চক্রান্ত এবং যে সকল কাফের ও মুরতাদ লিডাররা সেখানে উপস্থিত হয়েছে, তাদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের বীরত্বপূর্ণ অবস্থানকে আমরা অত্যন্ত মূল্যায়ন করছি।
তাদেরকে আমরা সে পরিমাণ অভিনন্দন জানাই, যে পরিমাণ ভালবাসা ও মূল্যায়ন আমাদের অন্তরে মুখলিস উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে রয়েছে এবং যে পরিমাণ শ্রদ্ধা ও সম্মান আমরা আমাদের উম্মতের উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে অন্তরে লালন করি।
আর আমরা তাদের আলোচনাকে উপরে উঠিয়ে এবং তাদের লুকায়িত মর্যাদাকে প্রকাশ করে তাদের প্রতি করুণা করছি না। বরং আমরা কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি তাদের কল্যাণ কামনার জন্য নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
দেশ ও ভূখণ্ড ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও, বিশেষ করে ফিলিস্তিন-সমস্যার ব্যাপারে এবং সাধারণভাবে সমস্ত মুসলিম দেশগুলোর ব্যাপারে তাদের এই মহত্বপূর্ণ অবস্থান, মানামার চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত মোকাবেলর প্রতি আহ্বান এবং এই মোকাবেলাকে সমস্ত মুসলমানদের রক্ষার মোকাবেলা বলে তাদের পক্ষ থেকে অভিহিত করা সুস্পষ্টভাবে একথারই প্রমাণ বহন করে যে, উম্মতের মধ্যে এখনো বৃষ্টির ন্যায় কল্যাণ রয়েছে, ফলে এখন এটা বুঝা দায় যে, তার প্রথম অংশ উত্তম না শেষ অংশ।
এটা একথারও প্রমাণ বহন করে যে, অহংকারী শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই ও জিহাদের দাওয়াত এখন আল্লাহর অনুগ্রহে ফল দিতে শুরু করেছে। আল্লাহর অনুগ্রহে উম্মত যে দলে দলে এতে প্রবেশ করবে, এটাই তার বড় নিদর্শন।
বাহরাইনের চক্রান্ত প্রত্যাখ্যানকারী এবং তা ব্যর্থ করার জন্য প্রচেষ্টাকারী বিশ্বের সকল দল ও সংগঠনকে তারা যে অভিনন্দন ও অভিবাদন জানিয়েছেন, আমরা তাদের সেই অভিবাদনের জবাব দিচ্ছি, তার অনুরূপ কথার মাধ্যমে বা তার চেয়ে উত্তম কথার মাধ্যমে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে এসকল বাহাদুর ও সত্য প্রকাশকারী দলসমূহের উপর সুবাসিত অভিবাদনের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হতেই থাকবে। আর আমাদের আল্লাহর পথে দাওয়াত আশা করি তাদের নিকট উত্তমভাবে গৃহিত হবে এবং ইসলাম ও জিহাদকে সাহায্য করণার্থে তাকে সংশোধন ও সাহায্য করা হবে।
আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ উম্মতের উলামায়ে কেরামের কল্যাণকামনা এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে উপদেশ দানের দায়িত্ব পালনার্থে তাদেরকে অভিহিত করছি যে: তাদের অনেক ভাইগণ রয়েছেন জিহাদের ময়দানে, কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধের ভূমিতে, যারা ইলম, ফিকহ ও জিহাদের গুণে গুণান্বিত। তারা তাদের ভাইদের জন্য পুণ্য ও কল্যাণের কাজে অগ্রগামিতা পছন্দ করেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের বন্ধন সৃষ্টি করতে আগ্রহী। মশওয়ারার উদ্দেশ্যে এবং পারস্পরিক চিন্তা-ভাবনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছার উদ্দেশ্যে, যা উম্মাহর অবশিষ্ট ঐক্য ও দ্বীনদারী রক্ষা করবে। যেন আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণ ও অন্যান্য মুসলিম দেশসমূহকে সাহায্য করার উত্তম পন্থা আবিস্কার করা যায় এবং বিভিন্ন উপায় ও পন্থায় শতাব্দীর চুক্তি নামক ষড়যন্ত্রকে অকার্যকর করা যায়।
আর তারা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখতে পারেন যে, একনিষ্ঠ মুজাহিদীন উলামায়ে কেরাম সর্বদাই ইসলামকে সাহায্য করার ব্যাপারে সকল মানুষের চেয়ে অধিক আগ্রহী এবং তারা মনে করে যে, যেসকল আহলে ইলম ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ তাগুতী শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকার কারণে ঈমানী পরীক্ষার মধ্যে আছেন, মুজাহিদ উলামাগণ হলেন তাদের জন্য সাহায্যকারী দল।
এখনই সময় এসেছে মুজাহিদীন উলামায়ে কেরামের সাথে পারস্পরিক নৈকট্য গড়ে তোলার এবং এক কাতারে কাতারবদ্ধ হওয়ার। চাই রণাঙ্গনে অবস্থানরত মুজাহিদীন উলামায়ে কেরামের সাথে হোক কিংবা যে সকল উলামায়ে কেরাম ওযরের কারণে জিহাদের ময়দানে যাওয়া থেকে আটকা পড়েছে, তাদের সাথে হোক।
কারণ তারা ইসলাম ও মুসলিমদের সাহায্যের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করেছেন এবং এ পথে কারাবরণ ও অনেক দু:খ-কষ্ট সহ্য করেছেন। এছাড়াও ইলমের ময়দান থেকে দূরে গিয়ে কঠিন যুদ্ধে প্রবৃত্ত হওয়ার কারণে উম্মতের অধিকাংশ জনগণের দুর্ব্যবহার সয়েছেন এবং তাদের শত্রুরা তাদেরকে নিজ জাতির সাথে নিরাপদ যোগাযোগ করা থেকে বঞ্চিত করেছে।
আপনাদেরকে সাহায্য করা এবং আপনাদের সালাম ও অভিবাদনের জবাব দেওয়া আমাদের উপর আপনাদের একটি হক, চাই তা একটি ভাল কথার মাধ্যমে হোক, তথা একটি একনিষ্ঠ কল্যাণকামিতা বা একটি উপকারী দাওয়াত বা একটি সতর্ককারী উপদেশের মাধ্যমে হোক।
পরিশেষে আমরা আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বক্তব্য শেষ করছি যে: আলকুদসকে ইহুদীকরণের বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধ কিছুতেই থামবে না ইনশাআল্লাহ।
وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
“আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহকে সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিশালী, পরাক্রমশালী।” [সুরা হজ-৪০]
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
আলকুদস সকল মুসলিমকে ঐক্যবদ্ধ করবে!
ফিলিস্তিন বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাহরাইনে সঙ্ঘটিত খেয়ানতের চুক্তি প্রসঙ্গে বয়ান
PDF- 710.27KB
DOC-1.01MB
image
সকল ফাইল একত্রে- rar-5.75MB
----------------------------------
ফিলিস্তিনের সম্পূর্ণ অংশটাই একটি মূল্যবান অঞ্চল। ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। ইসলামের গৌরবময় কেন্দ্রীয় দূর্গগুলো থেকে একটি দূর্গ। এ সকল কারণে এটা প্রতিটি মুসলিমের মনে আত্মমর্যাদা ও আত্মসম্মানের কেন্দ্রবিন্দুতে বসবাস করে। প্রতিটি মুসলিমের অন্তরে ভালবাসা, আগ্রহ ও সম্মানের স্থানে অবস্থান করে। আর আমরা কায়িদাতুল জিহাদের সদস্যগণও আমাদের অন্যান্য সকল মুসলিম ভাইদের ন্যায় এর ব্যাপারে সর্বপ্রকার সম্মান ও মূল্যায়ন অন্তরে লালন করি। কারণ এটি আমাদের পবিত্র ভূমিসমূহ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমি। আমাদের মূল্যবান আবাদিসমূহ থেকে অন্যতম আবাদি।
এটি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেরাজের ঘাটি। মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পদধুলিতে ধন্য ভূমি। ইসলামের তৃতীয়তম পবিত্র ভূমি, যার অবস্থান মুসলমানদের অন্তরের গভীরে, মুসলমানদের অনুভূতির নিবিড়ে। যার পাশে হ্রেষাধ্বনি তুলেছিল অসংখ্য মুসলিম বিজেতার ঘোড়া। যার বাড়ি-ঘরগুলোতে প্রবেশ করেছিল শ্রেষ্ঠ মুজাহিদবাহিনীগুলো।
তাই আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণের প্রতি আমাদের কর্তব্য রয়েছে, ইসলামী কর্তব্য এবং দু:খ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেওয়ার কর্তব্য। এগুলো হল ইসলামী রক্তের বন্ধন, যাকে সর্বদা আর্দ্র রাখতে হবে। এগুলো হল নৈতিকতা ও বিশ্বস্ততার যিম্মাদারিতে ঈমানী হক, যাকে তার প্রাপকের নিকট পৌঁছে দেওয়া আবশ্যক।
সম্মানিত ও বিশ্বস্ত লোকদের নিকট সর্বোত্তম আদায় হল, প্রয়োজনের মুহূর্তে আদায় করা। আর আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণের জন্য পূর্বের যেকোন সময় থেকে বর্তমানে সাহায্য-সহযোগীতা, বিশ্বস্ততা ও কুরবানী সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ আমাদের স্বজাতীয় বিশ্বাসঘাতক ও তাগুতরা তাদের কথিত ‘শতাব্দির চুক্তি’ বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়েছে। সর্বদিক থেকে ফিলিস্তিনীদের গলা চেপে ধরেছে। তাদের মাঝে আর তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মাঝে শক্ত আড়াল সৃষ্টি করে রেখেছে। বাহরাইনের মানামা চক্রান্তের মাধ্যমে সকল অনিষ্ট স্পষ্ট হয়ে গেছে।
আরবের ইহুদীরা আলকুদসবাসীর জন্য ভয়ংকর হাসির দাত প্রকাশ করেছে। আল্লাহর শপথ! এটা মহা দুর্যোগ, ভয়াবহ বিপদ। আরবের উপর ইতিমধ্যেই চলে আসা বিপদের জন্য পরিতাপ! ফিলিস্তিনকে বিক্রি করা হচ্ছে, তার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে সেখান থেকে বিতাড়িত করা হচ্ছে। অথচ মুসলিমগণ জীবিত, এই দুর্ভোগ ও দু:খজনক অবস্থা প্রত্যক্ষ করছে।
আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইয়েরা বর্তমানে এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে আছেন, যার মাঝে মাঝে সাজানো আছে বিভিন্ন কামনা-বাসনা ও লোভের বস্তু। তাদেরকে চতুর্দিক থেকে চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র বেষ্টন করে আছে। তারা আজ মুসলিম ফিলিস্তিনের সমস্যা সমাধানের পথ নির্ধারণের এক নাজুক মুহূর্তে আছেন।
এজন্য আমরা সাধারণভাবে আমাদের সমগ্র মুসলিম জাতিকে এবং বিশেষভাবে পুণ্যবান যুবকদেরকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি যে: আমাদের প্রত্যেকের ঘাড়ে ফিলিস্তিনের প্রতি হক আছে, যা আদায় করা আমাদের উপর অত্যাবশ্যক। আমাদের উপর এমন যিম্মাদারি আছে, যা খুব গুরুত্বের সাথে লক্ষণীয়। এটি এমন সমস্যা, যার কারণ, ফলাফল এবং নিকটবর্তী ও দূর্ববর্তী পরিণতিগুলো নিয়ে আমাদের সর্বক্ষণ ভাবা উচিত।
এটি আমাদের জন্য একটি দুনিয়াবী লাঞ্চনা (যা পরকালীন লাঞ্চনা থেকে হালকা), যদি আমরা আমাদের জনগণ ও ভাইদেরকে সাহায্য না করি, যদি আমরা এধরণের কঠিন পরিস্থিতিতে গাজার ইয়াতীম, বিধবা ও নবজাতকদের ব্যাপারে দায়িত্বমুক্ত হয়ে যাই। অথচ তারা বিশ্বাসঘাতক শাসকদের অসহযোগীতার ফলে শক্ত নিষেধাজ্ঞা, অবরোধ এবং কঠিন কষ্ট ও ভোগান্তি সহ্য করছে।
হে আমাদের মহান জাতি! আমরা যদি এসকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের সাথে এক কাতারে না দাড়াই, তাহলে এটা হবে আমাদের ইসলামী বন্ধনকে ছিন্ন করা। আল্লাহ যদি আমাদের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া, এক কাতারে আসা, সকলের মত এক করা এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করা সহজ করে দেন, আর সাথে সাথে আমরা পরিকল্পিত অংশের প্রত্যাশা ও ভিতরগত সাম্প্রদায়িকতা থেকে সতর্ক থাকি, সুপ্ত পরিণতি ও গোপন ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে দূরদৃষ্টি রাখি এবং সকলে এমন কোন সুস্পষ্ট কথা আকড়ে ধরি, যা একজন বললে সকল মুসলমান বলবে, তাহলে সে সময় এই উম্মত এবং আমাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের অবস্থাই হবে অন্যরকম।
তাই হে মুমিনগণ! নিজেদের মাঝে ত্যাগ ও বীরত্বের শোনিতধারা প্রবাহিত করুন! আল্লাহর পথে প্রস্তুতি গ্রহণ ও জানমাল দিয়ে জিহাদ করার জন্য সিংহের ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ুন। আপনাদের ফিলিস্তিনী ভাইদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন। আমাদের উপর এবং সমস্ত মুসলিমদের উপর তাদের যে হক আছে, তার কিছুটা দায়িত্ব পালনের জন্য উঠে দাড়ান। আর সফলতার চারটি উপায় সঞ্চয় করতে সচেষ্ট হোন। তা হল: ধৈর্য, লড়াইয়ে অবিচলতা, দৃঢ়তা ও আল্লাহর পথে জিহাদ।
ইহুদী ও খৃষ্টানদের এমন প্রধান প্রধান বিষয়গুলোকে টার্গেট করুন, যা ইহুদী-খৃষ্টানদের নাক মাটিতে লুটানোর পূর্ব পর্যন্ত থামবে না।
হে সম্মানিত উলামাগণ! উম্মতের সামনে স্পষ্ট করুন যে, যে ব্যক্তি মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদেরকে সাহায্য করবে, সে তাদের মতই কাফের হয়ে যাবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন-
ومن يتولهم منكم فإنه منهم
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, সে তাদেরই মধ্য থেকে গণ্য হবে।” [সুরা মায়েদা-৫১]
তাদের সামনে আরো স্পষ্ট করুন যে, তাওহীদের উপর এক হওয়া ব্যতিত মুক্তির কোন পথ নেই। আরো স্পষ্ট করুন যে, জিহাদ ও দাওয়াত ব্যতিত কখনোই ইসলাম বিজয় লাভ হবে না। মিথ্যা গণতন্ত্রের খেলার মাধ্যমে বিজয় আসবে না, যা উম্মতকে শরীয়ত থেকে দূরে নিয়ে গেছে। উম্মতের সামনে আরো বয়ান করুন যে, ইহুদী-খৃস্টানদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজে আইন।
তারপর তাদের সামনে পরিপূর্ণভাবে বয়ান করুন এবং পরিপূর্ণভাবে স্পষ্ট করুন যে, আমরা হলাম এক জাতি। আমাদের সকলের জিহাদ একই জিহাদ। আর বর্তমান যামানার সর্বাধিক ত্যাগী ও সত্যনিষ্ঠ মুজাহিদীন ও জিহাদকে সাহায্য করা প্রতিটি মুসলিমের উপর ফরজে আইন, যতক্ষণ না বিশ্বইহুদী-খৃষ্টানগোষ্ঠী এবং তাদের মিত্র ও কর্মচারীদের পরাজয়ের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি হয়ে যায়।
আরো বলুন যে, কাশ্মীর, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, চেচনিয়া, মধ্য এশিয়া, ইরাক, সিরিয়া, জাযিরাতুল আরব, সোমালিয়া, ইসলামিক মাগরিব ও তুর্কিস্তানের জিহাদকে সাহায্য করা সকল মুসলমানের উপর ফরজে আইন, যতক্ষণ না মুসলিম দেশসমূহ থেকে সীমালঙ্ঘনকারী কাফেরদেরকে বের করার মত যথেষ্ট পরিমাণন শক্তি হয়ে যায়।
হে আমাদের সম্মানিত উলামাগণ! উলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার জন্য সকল মুসলমানের কাজ করাকে ফরজ সাব্যস্ত করা এবং এই অত্যাবশ্যকীয় লড়াই ও বরকতময় জিহাদের জন্য প্রত্যেককে নিজ নিজ শক্তি ও সামর্থ অনুযায়ী বের হওয়ার আহ্বান করার ব্যাপারে যে সকল বয়ান প্রকাশিত হয়েছে, আমরা সেগুলোকে সর্বশক্তি দিয়ে সমর্থন করছি। অনুরূপ, বাহরাইনের অর্থনৈতিক চক্রান্ত এবং যে সকল কাফের ও মুরতাদ লিডাররা সেখানে উপস্থিত হয়েছে, তাদের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের বীরত্বপূর্ণ অবস্থানকে আমরা অত্যন্ত মূল্যায়ন করছি।
তাদেরকে আমরা সে পরিমাণ অভিনন্দন জানাই, যে পরিমাণ ভালবাসা ও মূল্যায়ন আমাদের অন্তরে মুখলিস উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে রয়েছে এবং যে পরিমাণ শ্রদ্ধা ও সম্মান আমরা আমাদের উম্মতের উলামায়ে কেরামের ব্যাপারে অন্তরে লালন করি।
আর আমরা তাদের আলোচনাকে উপরে উঠিয়ে এবং তাদের লুকায়িত মর্যাদাকে প্রকাশ করে তাদের প্রতি করুণা করছি না। বরং আমরা কল্যাণ ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি তাদের কল্যাণ কামনার জন্য নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করি।
দেশ ও ভূখণ্ড ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও, বিশেষ করে ফিলিস্তিন-সমস্যার ব্যাপারে এবং সাধারণভাবে সমস্ত মুসলিম দেশগুলোর ব্যাপারে তাদের এই মহত্বপূর্ণ অবস্থান, মানামার চক্রান্তকারীদের চক্রান্ত মোকাবেলর প্রতি আহ্বান এবং এই মোকাবেলাকে সমস্ত মুসলমানদের রক্ষার মোকাবেলা বলে তাদের পক্ষ থেকে অভিহিত করা সুস্পষ্টভাবে একথারই প্রমাণ বহন করে যে, উম্মতের মধ্যে এখনো বৃষ্টির ন্যায় কল্যাণ রয়েছে, ফলে এখন এটা বুঝা দায় যে, তার প্রথম অংশ উত্তম না শেষ অংশ।
এটা একথারও প্রমাণ বহন করে যে, অহংকারী শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াই ও জিহাদের দাওয়াত এখন আল্লাহর অনুগ্রহে ফল দিতে শুরু করেছে। আল্লাহর অনুগ্রহে উম্মত যে দলে দলে এতে প্রবেশ করবে, এটাই তার বড় নিদর্শন।
বাহরাইনের চক্রান্ত প্রত্যাখ্যানকারী এবং তা ব্যর্থ করার জন্য প্রচেষ্টাকারী বিশ্বের সকল দল ও সংগঠনকে তারা যে অভিনন্দন ও অভিবাদন জানিয়েছেন, আমরা তাদের সেই অভিবাদনের জবাব দিচ্ছি, তার অনুরূপ কথার মাধ্যমে বা তার চেয়ে উত্তম কথার মাধ্যমে। তাই আমাদের পক্ষ থেকে এসকল বাহাদুর ও সত্য প্রকাশকারী দলসমূহের উপর সুবাসিত অভিবাদনের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হতেই থাকবে। আর আমাদের আল্লাহর পথে দাওয়াত আশা করি তাদের নিকট উত্তমভাবে গৃহিত হবে এবং ইসলাম ও জিহাদকে সাহায্য করণার্থে তাকে সংশোধন ও সাহায্য করা হবে।
আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠ উম্মতের উলামায়ে কেরামের কল্যাণকামনা এবং এ ব্যাপারে তাদেরকে উপদেশ দানের দায়িত্ব পালনার্থে তাদেরকে অভিহিত করছি যে: তাদের অনেক ভাইগণ রয়েছেন জিহাদের ময়দানে, কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধের ভূমিতে, যারা ইলম, ফিকহ ও জিহাদের গুণে গুণান্বিত। তারা তাদের ভাইদের জন্য পুণ্য ও কল্যাণের কাজে অগ্রগামিতা পছন্দ করেন এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগের বন্ধন সৃষ্টি করতে আগ্রহী। মশওয়ারার উদ্দেশ্যে এবং পারস্পরিক চিন্তা-ভাবনা ও পর্যালোচনার মাধ্যমে এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছার উদ্দেশ্যে, যা উম্মাহর অবশিষ্ট ঐক্য ও দ্বীনদারী রক্ষা করবে। যেন আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণ ও অন্যান্য মুসলিম দেশসমূহকে সাহায্য করার উত্তম পন্থা আবিস্কার করা যায় এবং বিভিন্ন উপায় ও পন্থায় শতাব্দীর চুক্তি নামক ষড়যন্ত্রকে অকার্যকর করা যায়।
আর তারা নিশ্চিতভাবে জেনে রাখতে পারেন যে, একনিষ্ঠ মুজাহিদীন উলামায়ে কেরাম সর্বদাই ইসলামকে সাহায্য করার ব্যাপারে সকল মানুষের চেয়ে অধিক আগ্রহী এবং তারা মনে করে যে, যেসকল আহলে ইলম ও শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিগণ তাগুতী শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকার কারণে ঈমানী পরীক্ষার মধ্যে আছেন, মুজাহিদ উলামাগণ হলেন তাদের জন্য সাহায্যকারী দল।
এখনই সময় এসেছে মুজাহিদীন উলামায়ে কেরামের সাথে পারস্পরিক নৈকট্য গড়ে তোলার এবং এক কাতারে কাতারবদ্ধ হওয়ার। চাই রণাঙ্গনে অবস্থানরত মুজাহিদীন উলামায়ে কেরামের সাথে হোক কিংবা যে সকল উলামায়ে কেরাম ওযরের কারণে জিহাদের ময়দানে যাওয়া থেকে আটকা পড়েছে, তাদের সাথে হোক।
কারণ তারা ইসলাম ও মুসলিমদের সাহায্যের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করেছেন এবং এ পথে কারাবরণ ও অনেক দু:খ-কষ্ট সহ্য করেছেন। এছাড়াও ইলমের ময়দান থেকে দূরে গিয়ে কঠিন যুদ্ধে প্রবৃত্ত হওয়ার কারণে উম্মতের অধিকাংশ জনগণের দুর্ব্যবহার সয়েছেন এবং তাদের শত্রুরা তাদেরকে নিজ জাতির সাথে নিরাপদ যোগাযোগ করা থেকে বঞ্চিত করেছে।
আপনাদেরকে সাহায্য করা এবং আপনাদের সালাম ও অভিবাদনের জবাব দেওয়া আমাদের উপর আপনাদের একটি হক, চাই তা একটি ভাল কথার মাধ্যমে হোক, তথা একটি একনিষ্ঠ কল্যাণকামিতা বা একটি উপকারী দাওয়াত বা একটি সতর্ককারী উপদেশের মাধ্যমে হোক।
পরিশেষে আমরা আমাদের ফিলিস্তিনী জনগণকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বক্তব্য শেষ করছি যে: আলকুদসকে ইহুদীকরণের বিরুদ্ধে চলমান এই যুদ্ধ কিছুতেই থামবে না ইনশাআল্লাহ।
وَلَيَنصُرَنَّ اللَّهُ مَن يَنصُرُهُ ۗ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
“আল্লাহ অবশ্যই তাদের সাহায্য করবেন, যারা আল্লাহকে সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিশালী, পরাক্রমশালী।” [সুরা হজ-৪০]
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের প্রতিপালক।
শাওয়াল ১৪৪০ হিজরী
জুন ২০১৯ খৃষ্টাব্দ
Comment