‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন!
ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার প্রচেষ্টায়|
‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন!
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলারই জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদুর রাসূল্লাহ ﷺ তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণের উপর।
সম্মানিত ভাইয়েরা! আজকে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একই সাথে বেদনার বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ এই ভূখ-ের মানুষের জিহাদের ইতিহাস অনেক পুরনো। উপমহাদেশের প্রায় প্রতিটি জিহাদি অঙ্গনে বাংলার বীরপুরুষেরা অংশ গ্রহণ করেছেন। সাইয়েদ আহমাদ শহীদ রহিমাহুল্লাহর জিহাদি আন্দোলন, হাজী শরিয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমিরের বাশেরকেল্লাহর আন্দোলনসহ আফগান জিহাদ, আরাকান জিহাদেও অংশ নিয়েছেন এই ভূখণ্ডের বীরপুরুষেরা। অনেকে আল্লাহর ইচ্ছায় যুক্ত হয়েছেন গৌরবময় শহীদি কাফেলায়।
এ মাটিতে তাওহিদবাদী শুহাদার সিলসিলা ছোট নয়... অনেক লম্বা! সেই খুরাসান, শাম থেকে নিয়ে আরাকান ও হিন্দুন্তান জুড়ে যাদের পদচারনা বিস্তৃত! আমরা ভুলিনি গাজী ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী রহিমাহুল্লাহর কথা! শাইখ আব্দুর রহমান যশোরী রহিমাহুল্লাহর কথা! আমরা ভুলিনি শাইখ ফজলুর রহমানের কথা। এই তো সেদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন শাইখ মুফতি আব্দুল হান্নান রহিমাহুল্লাহ! আজ চলে গেলেন শাইখ হাফিজ মাওলানা ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ! এর আগে তাগুতের কারাগারে জীবন দিয়েছেন শাইখ আবদুর রহমান এবং তাঁর সাথীরা। তাঁদের কাউকেই আমরা ভুলিনি।
আমাদের মনে আছে খোরাসানের জমিতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দেয়া উস্তাদ মুহাম্মাদ মিকদাদ, উস্তাদ আবু ইউসুফ আর ভাই সুলাইমানদের কথা, রহিমাহুল্লাহর আজমাইন!
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অগ্রবর্তীরা ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ত্যাগ ও কুরবানির উপমা পেশ করে গেছেন! আমাদের চলার পথের পাথেয় রেখে গেছেন! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হল-
এই মহাপুরুষদের কীর্তিগাঁথা আমরা স্মরণ রাখিনি! লিপিবদ্ধ রাখিনি! তাঁরা তাঁদের কাজ করে গিয়েছেন, কিন্তু পরের প্রজন্ম আজ তা ভুলতে বসেছে! তাঁদের অবদান আমরা পরের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারিনি! ফলে প্রজন্মের বড় একটি অংশ বিভ্রান্ত হয়েছে দিকনির্দেশনা না পেয়ে! ভুলে গেছে নিজ করণীয়। ভুলে গেছে নিজ জিম্মাদারির কথা।
হে ভাই! অতীত, সে তো অতীত হয়ে গেছে! ভুল যা হবার তাতো হয়ে গেছে! কিন্তু আমাদের হাতে এখনো কিছু সময় রয়ে গেছে, আমাদের ভুল শুধরে নেয়ার! এখনো সময় আছে আমাদের পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাঁথা সংরক্ষণের! নতুন প্রজন্মকে তাঁদের পূর্বসূরিদের চিনিয়ে দেওয়ার!
সম্মানিত ভাইয়েরা! আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে অগ্রগামীদের জীবনী, অবদান ও ইতিহাস লিখে রাখি! সংরক্ষণ করি! নতুন প্রজন্মের কাছে বিগত প্রজন্মের বীরত্ব ও ত্যাগের গল্প তুলে ধরা আমাদেরই দায়িত্ব।
আলা ইন্না নাসরাল্লাহি কারিব!
সম্মানিত ভাইয়েরা! গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাপারটি নিয়ে আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু করতে যাচ্ছেন "অগ্রগামী কাফেলা” নামে একটি প্রজেক্ট! বাংলার জিহাদি আন্দোলনের পরিচিত বা অপরিচিত সিংহপুরুষদের নিয়ে আপনিও আপনার স্মৃতিচারণ লিখে পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেইলে! পাঠাতে পারেন বাংলার জিহাদি আন্দোলনের মুজাহিদদের জীবনী, তাঁদের কোন বাণী, তাঁদের লিখিত কোন চিঠি বা বই অথবা বয়ান এমনকি দুর্লভ ভিডিও কিংবা অডিও! ইনশাআল্লাহ প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ ও তাহকীকের পর এগুলোকে প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ!
আসুন আমরা সবাই শামিল হই ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার এ প্রচেষ্টায়।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা- contact@alfirdaws.org
আরজগুজার
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
৩ আগস্ট ২০১৯ঈসায়ী
১ যিলহজ্জ ১৪৪০হিজরি
PICTURE
PDF
VIDEO
ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার প্রচেষ্টায়|
‘অগ্রগামী কাফেলা’ প্রজেক্টের সূচনা ও উম্মাহর প্রতি আবেদন!
সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলারই জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহাম্মাদুর রাসূল্লাহ ﷺ তাঁর পরিবারবর্গ ও সাহাবাগণের উপর।
সম্মানিত ভাইয়েরা! আজকে একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও একই সাথে বেদনার বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। আলহামদুলিল্লাহ এই ভূখ-ের মানুষের জিহাদের ইতিহাস অনেক পুরনো। উপমহাদেশের প্রায় প্রতিটি জিহাদি অঙ্গনে বাংলার বীরপুরুষেরা অংশ গ্রহণ করেছেন। সাইয়েদ আহমাদ শহীদ রহিমাহুল্লাহর জিহাদি আন্দোলন, হাজী শরিয়তুল্লাহ রহিমাহুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমিরের বাশেরকেল্লাহর আন্দোলনসহ আফগান জিহাদ, আরাকান জিহাদেও অংশ নিয়েছেন এই ভূখণ্ডের বীরপুরুষেরা। অনেকে আল্লাহর ইচ্ছায় যুক্ত হয়েছেন গৌরবময় শহীদি কাফেলায়।
এ মাটিতে তাওহিদবাদী শুহাদার সিলসিলা ছোট নয়... অনেক লম্বা! সেই খুরাসান, শাম থেকে নিয়ে আরাকান ও হিন্দুন্তান জুড়ে যাদের পদচারনা বিস্তৃত! আমরা ভুলিনি গাজী ইমামুদ্দীন বাঙ্গালী রহিমাহুল্লাহর কথা! শাইখ আব্দুর রহমান যশোরী রহিমাহুল্লাহর কথা! আমরা ভুলিনি শাইখ ফজলুর রহমানের কথা। এই তো সেদিন আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন শাইখ মুফতি আব্দুল হান্নান রহিমাহুল্লাহ! আজ চলে গেলেন শাইখ হাফিজ মাওলানা ইয়াহইয়া রহিমাহুল্লাহ! এর আগে তাগুতের কারাগারে জীবন দিয়েছেন শাইখ আবদুর রহমান এবং তাঁর সাথীরা। তাঁদের কাউকেই আমরা ভুলিনি।
আমাদের মনে আছে খোরাসানের জমিতে ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত ঢেলে দেয়া উস্তাদ মুহাম্মাদ মিকদাদ, উস্তাদ আবু ইউসুফ আর ভাই সুলাইমানদের কথা, রহিমাহুল্লাহর আজমাইন!
আলহামদুলিল্লাহ আমাদের অগ্রবর্তীরা ইতিহাসের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে ত্যাগ ও কুরবানির উপমা পেশ করে গেছেন! আমাদের চলার পথের পাথেয় রেখে গেছেন! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হল-
এই মহাপুরুষদের কীর্তিগাঁথা আমরা স্মরণ রাখিনি! লিপিবদ্ধ রাখিনি! তাঁরা তাঁদের কাজ করে গিয়েছেন, কিন্তু পরের প্রজন্ম আজ তা ভুলতে বসেছে! তাঁদের অবদান আমরা পরের প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারিনি! ফলে প্রজন্মের বড় একটি অংশ বিভ্রান্ত হয়েছে দিকনির্দেশনা না পেয়ে! ভুলে গেছে নিজ করণীয়। ভুলে গেছে নিজ জিম্মাদারির কথা।
হে ভাই! অতীত, সে তো অতীত হয়ে গেছে! ভুল যা হবার তাতো হয়ে গেছে! কিন্তু আমাদের হাতে এখনো কিছু সময় রয়ে গেছে, আমাদের ভুল শুধরে নেয়ার! এখনো সময় আছে আমাদের পূর্বপুরুষদের কীর্তিগাঁথা সংরক্ষণের! নতুন প্রজন্মকে তাঁদের পূর্বসূরিদের চিনিয়ে দেওয়ার!
সম্মানিত ভাইয়েরা! আসুন আমরা যার যার জায়গা থেকে অগ্রগামীদের জীবনী, অবদান ও ইতিহাস লিখে রাখি! সংরক্ষণ করি! নতুন প্রজন্মের কাছে বিগত প্রজন্মের বীরত্ব ও ত্যাগের গল্প তুলে ধরা আমাদেরই দায়িত্ব।
আলা ইন্না নাসরাল্লাহি কারিব!
সম্মানিত ভাইয়েরা! গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যাপারটি নিয়ে আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু করতে যাচ্ছেন "অগ্রগামী কাফেলা” নামে একটি প্রজেক্ট! বাংলার জিহাদি আন্দোলনের পরিচিত বা অপরিচিত সিংহপুরুষদের নিয়ে আপনিও আপনার স্মৃতিচারণ লিখে পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেইলে! পাঠাতে পারেন বাংলার জিহাদি আন্দোলনের মুজাহিদদের জীবনী, তাঁদের কোন বাণী, তাঁদের লিখিত কোন চিঠি বা বই অথবা বয়ান এমনকি দুর্লভ ভিডিও কিংবা অডিও! ইনশাআল্লাহ প্রয়োজনীয় বিশ্লেষণ ও তাহকীকের পর এগুলোকে প্রকাশ করা হবে, ইনশাআল্লাহ!
আসুন আমরা সবাই শামিল হই ইতিহাস সংরক্ষণ ও গৌরবের উত্তরাধিকার আকড়ে ধরার এ প্রচেষ্টায়।
লেখা পাঠানোর ঠিকানা- contact@alfirdaws.org
আরজগুজার
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
আল-ফিরদাউস মিডিয়া ফাউন্ডেশন
৩ আগস্ট ২০১৯ঈসায়ী
১ যিলহজ্জ ১৪৪০হিজরি
PICTURE
VIDEO
Comment