অত্যাচার, নিপীড়ন, লুটতরাজ সহ নানামুখী নৃশংসতার এক দীর্ঘ অধ্যায় পেরিয়ে এসেছে আজকের এই ছাত্রলীগ। দলান্ধতা ও ক্ষমতায়নের এক লালসা এদের সবাইকে করে ফেলেছে উন্মাদ, উশৃঙ্খল। কি কাজ করছে? কার জন্য করছে? আমার কি স্বার্থ? - এত কিছু চিন্তার অবকাশও পাচ্ছে না এরা। কিন্তু এতো কিছুর পরও এই অপশক্তির অধীনে থেকে গেছে গুটিকতক দেশপ্রেমিক ও ভালো মানুষ সবসময়ই। এমন বিচ্যূতদের জন্যই চলতি মাসের ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নামক দেশ বিক্রির এজেন্ডা ও আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ড নিঃসন্দেহে তাদের বিচ্যূতি থেকে বের হয়ে আসার এক মাইলফলকে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ।
আর তাই, আজকের এই পোস্ট মূলত তাদের প্রতি যারা বিচ্যূত, অধঃপতিত এক মতাদর্শের উপর থেকেও নিজের ধর্ম নিয়ে বেঁচে থেকে ঘুণে ধরা এই সমাজ ও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন লালন করে চলেছে। আর তাদের জন্য এই পোস্ট একটি কুঠারাঘাতের ন্যায় যারা ক্ষণস্থায়ী এক ক্ষমতার লালসায় নিজের ধর্ম, সমাজ ও দেশকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় এজেন্ডার পদতলে।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাস ইনশাাআল্লাহ বাংলার জমীনে এক নতুন অধ্যায়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এতোদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে গলা ফাঁটিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বুলি আউড়িয়ে হাজারো অন্যায়ের পক্ষে হাত কপচিয়েছে, শাহাবাগী চেতনায় আবেগে কাপড় খুলে ফেলেছে তারা ভেবে দেখুক স্বাধীনতার সংজ্ঞা কি? দেশ প্রেম কাকে বলে?
সাধারণ চিন্তাশক্তির অধিকারী একজন নিরক্ষর বাঙ্গালীও এটা বুঝে গেছে যে, এই অক্টোবরের ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মূলত দুই দেশের স্বার্থকে কেন্দ্র করে নয় বরং দেশ বিক্রির চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে তাদের বুকে তো তীর বিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা এটি। তাহলে তারা মুখ খুলছে না কেন? প্রতিবাদ করছে না কেন? কেন এটিকে এজেন্ডা করে মাঠে নামছে না? তবে কি আজ রাষ্ট্রের স্বার্থ নিয়ে কথা বলাও রাষ্ট্রদ্রোহীতার নামান্তর?
তাহলে, নিকৃষ্টতার নীচু স্তরে নেমে যাওয়া আওয়ামীলীগের অধীনে সামান্য সংখ্যক সুশীল যারা থেকে গেছেন আজও তারা কি অনুধাবন করতে পারছেন, কার স্বার্থে কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে আপনাদের দিয়ে? একবারও কি ভেবে দেখেছেন, একজন মুসলিম বাঙ্গালী হয়েও আপনি মূলত কাজ করে চলেছেন এই উপমহাদেশ থেকে ইসলাম নিঃশ্চিহ্নকরণের এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামা গো-পূজারী মালাউনদের পক্ষে?
আপনারা জেনে বা না জেনে মূলত ভারতীয় এজেন্ডার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, যে এজেন্ডার প্রধান মিশন হলো সমগ্র উপমহাদেশকে নিয়ে অখন্ড ভারত গঠন। এবং ঠিক এই লক্ষ্য পূরণে দিল্লীর গোলামে পরিণত হওয়া বাংলার শাসকগোষ্টির মাধ্যমেই এদেশের আভ্যন্তরীণ কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে অনেকধাপ এগিয়ে গেছে গো-পূজারীরা। তাই, আলোচনা দীর্ঘ করার পরিবর্তে ৩ টি বিষয় উল্লেখপূর্বক সমাপ্তি টানাই শ্রেয় মনে করছি -
১. আবরার ফাহাদ যে পোস্ট দেয়ার কারণে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন সেটি ছিলো বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের বিপক্ষে। এর প্রেক্ষিতে তাকে হত্যা করার মূল নির্দেশক হিসেবে কাজ করে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের সক্রিয় সদস্য ছাত্রলীগে সদ্য পদপ্রাপ্ত লেখক ভট্টাচার্জ, পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের আরেক সক্রিয় সদস্য অমিত সাহা। এবং হত্যাকান্ডে সবচেয়ে মারমুখো ছিলো আরেক মালাউন অনিক সরকার। আবার এই হত্যাকান্ডের তদন্তভার যে পুলিশ অফিসারের উপর দেয়া হয় সে হচ্ছে ইসকনের আরেক সক্রিয় সদস্য কৃষ্ন পদ রায়। তারমানে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে প্রশাসনিক পর্যায় পর্যন্ত ভারতীয় এজেন্টরা ঢুকে পড়েছে। কি স্বার্থে? কিভাবে সম্ভব হলো? - এগুলো নিয়ে একটু চিন্তার খোরাক রাখুন।
২. ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শেখ বাহরুল আলমকে। কেন? কারণ এটি ছিলো ভারতবিরোধী অথচ দেশের পক্ষে। তাই, যারা অন্তত দেশের জন্য ভাবে বা ভাবছে শেখ বাহরুল আলম অবশ্যই তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
৩. আবাররকে যখন ১০১১ নাম্বার রুমে নেয়া হয় তখন সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মী পড়াশুনা করছিলো। যার ডাক নাম বিটু। বিটু যখন সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেয় তখন সে বলে, ওখানে আমার কাছে পরিবেশটা কেমন ভালো লাগছিলো না তাই আমি তখন ওই রুম থেকে চলে যাই। অর্থাৎ আওয়ামীলীগার হলেও তার মধ্যে ভালো মানুষী আছে এখনো। তাই ওইসব যুবকের জন্য এখানে সুপ্ত আহ্বান আছে যে, ছাত্রলীগ ভালো ছেলেদের জন্য নয়।
...
আর যারা আওয়ামীলীগের পক্ষে সাধারণ সমর্থক হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য একটি অপ্রিয় সত্য কথা হচ্ছে, মূলত এই রাষ্ট্রীয় দুষ্টচক্রের কাছে আপনাদের কোন মূল্যই নেই।
আর তাই, আজকের এই পোস্ট মূলত তাদের প্রতি যারা বিচ্যূত, অধঃপতিত এক মতাদর্শের উপর থেকেও নিজের ধর্ম নিয়ে বেঁচে থেকে ঘুণে ধরা এই সমাজ ও দেশকে নিয়ে স্বপ্ন লালন করে চলেছে। আর তাদের জন্য এই পোস্ট একটি কুঠারাঘাতের ন্যায় যারা ক্ষণস্থায়ী এক ক্ষমতার লালসায় নিজের ধর্ম, সমাজ ও দেশকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে ভারতীয় এজেন্ডার পদতলে।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাস ইনশাাআল্লাহ বাংলার জমীনে এক নতুন অধ্যায়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এতোদিন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে গলা ফাঁটিয়েছে, বঙ্গবন্ধুর বুলি আউড়িয়ে হাজারো অন্যায়ের পক্ষে হাত কপচিয়েছে, শাহাবাগী চেতনায় আবেগে কাপড় খুলে ফেলেছে তারা ভেবে দেখুক স্বাধীনতার সংজ্ঞা কি? দেশ প্রেম কাকে বলে?
সাধারণ চিন্তাশক্তির অধিকারী একজন নিরক্ষর বাঙ্গালীও এটা বুঝে গেছে যে, এই অক্টোবরের ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি মূলত দুই দেশের স্বার্থকে কেন্দ্র করে নয় বরং দেশ বিক্রির চূড়ান্ত প্রস্তুতি। আর যারা নিজেদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলে তাদের বুকে তো তীর বিদ্ধ হওয়ার মতো ঘটনা এটি। তাহলে তারা মুখ খুলছে না কেন? প্রতিবাদ করছে না কেন? কেন এটিকে এজেন্ডা করে মাঠে নামছে না? তবে কি আজ রাষ্ট্রের স্বার্থ নিয়ে কথা বলাও রাষ্ট্রদ্রোহীতার নামান্তর?
তাহলে, নিকৃষ্টতার নীচু স্তরে নেমে যাওয়া আওয়ামীলীগের অধীনে সামান্য সংখ্যক সুশীল যারা থেকে গেছেন আজও তারা কি অনুধাবন করতে পারছেন, কার স্বার্থে কাজ করিয়ে নেয়া হচ্ছে আপনাদের দিয়ে? একবারও কি ভেবে দেখেছেন, একজন মুসলিম বাঙ্গালী হয়েও আপনি মূলত কাজ করে চলেছেন এই উপমহাদেশ থেকে ইসলাম নিঃশ্চিহ্নকরণের এজেন্ডা নিয়ে মাঠে নামা গো-পূজারী মালাউনদের পক্ষে?
আপনারা জেনে বা না জেনে মূলত ভারতীয় এজেন্ডার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন, যে এজেন্ডার প্রধান মিশন হলো সমগ্র উপমহাদেশকে নিয়ে অখন্ড ভারত গঠন। এবং ঠিক এই লক্ষ্য পূরণে দিল্লীর গোলামে পরিণত হওয়া বাংলার শাসকগোষ্টির মাধ্যমেই এদেশের আভ্যন্তরীণ কর্তৃত্ব নিয়ে নেয়ার ষড়যন্ত্রে অনেকধাপ এগিয়ে গেছে গো-পূজারীরা। তাই, আলোচনা দীর্ঘ করার পরিবর্তে ৩ টি বিষয় উল্লেখপূর্বক সমাপ্তি টানাই শ্রেয় মনে করছি -
১. আবরার ফাহাদ যে পোস্ট দেয়ার কারণে নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন সেটি ছিলো বাংলাদেশের স্বার্থে ভারতের বিপক্ষে। এর প্রেক্ষিতে তাকে হত্যা করার মূল নির্দেশক হিসেবে কাজ করে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের সক্রিয় সদস্য ছাত্রলীগে সদ্য পদপ্রাপ্ত লেখক ভট্টাচার্জ, পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করে উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের আরেক সক্রিয় সদস্য অমিত সাহা। এবং হত্যাকান্ডে সবচেয়ে মারমুখো ছিলো আরেক মালাউন অনিক সরকার। আবার এই হত্যাকান্ডের তদন্তভার যে পুলিশ অফিসারের উপর দেয়া হয় সে হচ্ছে ইসকনের আরেক সক্রিয় সদস্য কৃষ্ন পদ রায়। তারমানে গ্রাউন্ড লেভেল থেকে প্রশাসনিক পর্যায় পর্যন্ত ভারতীয় এজেন্টরা ঢুকে পড়েছে। কি স্বার্থে? কিভাবে সম্ভব হলো? - এগুলো নিয়ে একটু চিন্তার খোরাক রাখুন।
২. ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তির বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়ায় বহিষ্কার করা হয়েছে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শেখ বাহরুল আলমকে। কেন? কারণ এটি ছিলো ভারতবিরোধী অথচ দেশের পক্ষে। তাই, যারা অন্তত দেশের জন্য ভাবে বা ভাবছে শেখ বাহরুল আলম অবশ্যই তাদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত।
৩. আবাররকে যখন ১০১১ নাম্বার রুমে নেয়া হয় তখন সেখানে ছাত্রলীগের এক কর্মী পড়াশুনা করছিলো। যার ডাক নাম বিটু। বিটু যখন সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেয় তখন সে বলে, ওখানে আমার কাছে পরিবেশটা কেমন ভালো লাগছিলো না তাই আমি তখন ওই রুম থেকে চলে যাই। অর্থাৎ আওয়ামীলীগার হলেও তার মধ্যে ভালো মানুষী আছে এখনো। তাই ওইসব যুবকের জন্য এখানে সুপ্ত আহ্বান আছে যে, ছাত্রলীগ ভালো ছেলেদের জন্য নয়।
...
আর যারা আওয়ামীলীগের পক্ষে সাধারণ সমর্থক হয়ে কাজ করছেন তাদের জন্য একটি অপ্রিয় সত্য কথা হচ্ছে, মূলত এই রাষ্ট্রীয় দুষ্টচক্রের কাছে আপনাদের কোন মূল্যই নেই।
Comment