বিনয় মুমিনের ভূষণ।
প্রকৃত মুসলিম তাঁর ভাই বন্ধুদের সাথে ভদ্র ও বিনয় আচরণ করে। সবার প্রতি আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ হয় তাঁরাও তাঁর প্রতি আন্তরিক ও বিনয় হয়,কেননা ইসলাম মুসলিমদেরকে এমনিই হতে বলে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
أَذِلَّة عَلَی المٶمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَی الکَا فِرِينَ .
"তাঁরা মুমিনদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি হবে কঠোর। (সূরা মায়েদা :৫৪)
রাসূল (সাবিনয় নম্রতাকে জীবনের সুন্দর্য্য অাখ্যা দিয়ে তার প্রতি মুসলিমদের উৎসাহিত করেছেন,সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রসূল (সা ইরশাদ করেন,
إنَّ الرَّفقَ لَايَکُونُ فِي شَيءٍإلّا زَانَهُ وَلَا يُنزَعُ مِن شَيءٍإلّا شَانَهُ.
"যে বস্তুতেই নম্রতা থাকে, তাকে শোভামণ্ডিত করে, আর যে বস্তু থেকেই নম্রতা উঠিয়ে নেয়া হয় তা ত্রুটিযুক্ত হয়ে পড়ে। (সহিহ মুসলিম :২৫৯৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাতের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে বিনয় নম্রতার অসংখ্য দৃশ্য,তিনি ছিলেন বিনয় নম্রতা ও উদারতার মুর্ত প্রতিক, তাঁর মুখ থেকে কখনো অশ্লীল ও কঠোর শব্দ বের হয়নি, কখনো কোন মুসলিমকে তিনি গালি দেননি,সহিহ বুখারিতে এসেছে, রসূল(সাএর খাদেম হযরত আনাস(রাবলেন,
لَم يَکُن رَسُولُ الّٰلهِ صلّٰی الّٰلهُ عَليهِ وَسَلّمَ فَاحِشًا، وَلَا لَعَّانًا ،وَلَا سَبَّابًا،کَانَ يَقُولُ عِندَ المَعتَبَةِ،مَالَهُ تَرِبَ جَنِينُهُ.
"হযরত আনাস (রাবলেন :রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্লীলভাষী ছিলেন না,অভিসম্পাতকারীও ছিলেন না, এবং গালিও দিতেন না। কাউকে তিরস্কার করার প্রয়োজন হলে বলতেন: কী হলো তার? ধূলোধূসরিত হোক তার কপাল!(বুখারী:৬০৪৬)
প্রিয় ভাই! বিনয় গুণ অর্জন করার চেষ্টা করুন,একজন বিনয়- নম্র মানুষ কোথাও কষ্টে পরেনা, তাকে সবাই সমিহ করে চলে, অন্যরাও তার সঙ্গে বিনয়- নম্র আচরণই করে। বিশেষ করে দ্বীনের দা'য়ীদের জন্য বিনয় একটি অপরিহার্য গুণ,বিনয়ি ব্যক্তি সহজেই দাওয়াহর কাজ করতে পারে, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিনয়- নম্রতা অবল্বনের নির্দেশ দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَاخفِض جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ المُٶ مِنِينَ.
"আর যেসব মুমিন আপনার অনুসরণ করে তাদেরপ্রতি বিনয়ী হোন।(সূরা মায়েদা ৫:১১৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَبِمَارحمَةٍمِنَ اللّٰهِ لِنتَ لَهُم وَلَوکُنتَ فضًّاغَلِيظ القَلبِ لَا انفَضُّوامِن حَو لِكَ.
"আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছেন।পহ্মান্তরে আপনি যদি রুঢ় ও কঠিনচিত্ত হতেন,তাহলে তারা আপনার আশপাশ হতে সরে পড়ত।(সূরা আলে-ইমরান,৩:১৫৯)
আয়াত গুলো থেকে বুঝা যায় একজন দা'য়ীকে অবশ্যই বিনয়ের গুণ অর্জন করতে হবে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বিনয়ের গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন,আমিন।
ইয়া রাব্বাল আলামিন।
প্রকৃত মুসলিম তাঁর ভাই বন্ধুদের সাথে ভদ্র ও বিনয় আচরণ করে। সবার প্রতি আন্তরিক ও ঘনিষ্ঠ হয় তাঁরাও তাঁর প্রতি আন্তরিক ও বিনয় হয়,কেননা ইসলাম মুসলিমদেরকে এমনিই হতে বলে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
أَذِلَّة عَلَی المٶمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَی الکَا فِرِينَ .
"তাঁরা মুমিনদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি হবে কঠোর। (সূরা মায়েদা :৫৪)
রাসূল (সাবিনয় নম্রতাকে জীবনের সুন্দর্য্য অাখ্যা দিয়ে তার প্রতি মুসলিমদের উৎসাহিত করেছেন,সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে রসূল (সা ইরশাদ করেন,
إنَّ الرَّفقَ لَايَکُونُ فِي شَيءٍإلّا زَانَهُ وَلَا يُنزَعُ مِن شَيءٍإلّا شَانَهُ.
"যে বস্তুতেই নম্রতা থাকে, তাকে শোভামণ্ডিত করে, আর যে বস্তু থেকেই নম্রতা উঠিয়ে নেয়া হয় তা ত্রুটিযুক্ত হয়ে পড়ে। (সহিহ মুসলিম :২৫৯৪)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাতের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে বিনয় নম্রতার অসংখ্য দৃশ্য,তিনি ছিলেন বিনয় নম্রতা ও উদারতার মুর্ত প্রতিক, তাঁর মুখ থেকে কখনো অশ্লীল ও কঠোর শব্দ বের হয়নি, কখনো কোন মুসলিমকে তিনি গালি দেননি,সহিহ বুখারিতে এসেছে, রসূল(সাএর খাদেম হযরত আনাস(রাবলেন,
لَم يَکُن رَسُولُ الّٰلهِ صلّٰی الّٰلهُ عَليهِ وَسَلّمَ فَاحِشًا، وَلَا لَعَّانًا ،وَلَا سَبَّابًا،کَانَ يَقُولُ عِندَ المَعتَبَةِ،مَالَهُ تَرِبَ جَنِينُهُ.
"হযরত আনাস (রাবলেন :রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অশ্লীলভাষী ছিলেন না,অভিসম্পাতকারীও ছিলেন না, এবং গালিও দিতেন না। কাউকে তিরস্কার করার প্রয়োজন হলে বলতেন: কী হলো তার? ধূলোধূসরিত হোক তার কপাল!(বুখারী:৬০৪৬)
প্রিয় ভাই! বিনয় গুণ অর্জন করার চেষ্টা করুন,একজন বিনয়- নম্র মানুষ কোথাও কষ্টে পরেনা, তাকে সবাই সমিহ করে চলে, অন্যরাও তার সঙ্গে বিনয়- নম্র আচরণই করে। বিশেষ করে দ্বীনের দা'য়ীদের জন্য বিনয় একটি অপরিহার্য গুণ,বিনয়ি ব্যক্তি সহজেই দাওয়াহর কাজ করতে পারে, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বিনয়- নম্রতা অবল্বনের নির্দেশ দিয়েছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন
وَاخفِض جَنَاحَكَ لِمَنِ اتَّبَعَكَ مِنَ المُٶ مِنِينَ.
"আর যেসব মুমিন আপনার অনুসরণ করে তাদেরপ্রতি বিনয়ী হোন।(সূরা মায়েদা ৫:১১৮)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন:
فَبِمَارحمَةٍمِنَ اللّٰهِ لِنتَ لَهُم وَلَوکُنتَ فضًّاغَلِيظ القَلبِ لَا انفَضُّوامِن حَو لِكَ.
"আল্লাহর দয়ায় আপনি তাদের প্রতি কোমল-হৃদয় হয়েছেন।পহ্মান্তরে আপনি যদি রুঢ় ও কঠিনচিত্ত হতেন,তাহলে তারা আপনার আশপাশ হতে সরে পড়ত।(সূরা আলে-ইমরান,৩:১৫৯)
আয়াত গুলো থেকে বুঝা যায় একজন দা'য়ীকে অবশ্যই বিনয়ের গুণ অর্জন করতে হবে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বিনয়ের গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন,আমিন।
ইয়া রাব্বাল আলামিন।
Comment