ইসলামপন্থীদের গালে চপেটাঘাত!
আওয়ামীলীগ এদেশের আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীদের গালে চপেটাঘাত করে যাচ্ছে একের পর এক। কিন্তু তবু হুশ হচ্ছে না কাপুরুষতায় আাক্রান্ত আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীদের।
২০১৩ সালের এপ্রিলে যখন হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বে বাংলার মুসলমান নবী কটুক্তিকারীদের শাস্তি দিতে এবং অবাধ নারী স্বাধীনতার লাগাম টানতে আন্দোলন করছিল, আলেমগণ খুব হুমকি-ধমকি মূলক বক্তব্য দিচ্ছিল- সরকার তাদের দাবি না মানলে সারা দেশ অচল করে দেওয়া হবে, সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না… ঠিক তখনই আওয়ামীলীগ ৩০ এপ্রিলে সংসদের সর্বোচ্চ আসনে স্পিকার হিসাবে নিয়োগ দেয় নারী সাংসদ ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীকে, যা ছিল আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীদের গালে সুস্পষ্ট চপেটাঘাত!!
কিন্তু দুনিয়ালোবী, বিলাসী আলেমদের কখনোই হুশ হয় না, তাই তারা আবার হাসিনার ভালোবাসা পেতে শুকরানা (কুফরানা) মাহফিল করলো, সেখানে ভন্ড সা’দপন্থী তাবলীগীদের বিরুদ্ধে হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করল, কিন্তু তার ক’দিন পরেই হাসিনা টঙ্গীতে নিজের গোপন তত্ববাধানে সা’দপন্থীদের মাধ্যমে আলেমদেরকে কঠিন মার দিল, যা তাদের গালে সুস্পষ্ট চপেটাঘাত!!
সেই অতীতের ধারাবাহিকতায় আওয়ামীলীগ এবার আরেকটি চপেটাঘাত করলো মৌলবাদীদের গালে।
দিল্লী গণহত্যার সময়েই ভারতের হিংস্র দানব মুসলিম হত্যার কসাই মোদিকে বাংলাদেশের মত ৯০% মুসলিমের দেশে এনে সম্মানিত করার ঘোষণা দিয়ে ইসলামপন্থীদের উপর এক চপেটাঘাত করল। আর যখন আলেম-উলামা ও ইসলামপন্থীগণ মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিলেন, সেই সময়েই “মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় বিব্রত নয় সরকার।” বলেই আরেক চপেটাঘাত করল!!
অপরদিকে দিল্লীর খুনি অমিত শাহ দিল্লীর গণহত্যার রেশ না কাটতেই গতকাল কলকাতায় গিয়ে নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে আবারো কঠোর অবস্থান ঘোষণা করল।
একদিকে ভারতের মুসলিমদেরকে ধ্বংস করতে অমিত শাহের কঠোর অবস্থান, অপরদিকে সেই গণহত্যার নায়কের বিরুদ্ধে বাংলার মুসলিমদের প্রতিবাদ ঠেকাতে হাসিনার আওয়ামীলীগের কঠোর অবস্থান।
তাহলে কি বাংলাদেশও একই রাষ্ট্রের প্রদেশ?? আর সেই গণহত্যাকারীরাই আমাদেরকে শাসন করছে???
Comment