গণতন্ত্র একটি মানবরচিত মতবাদ,গণমানুষের ইচ্ছা এবং আইন অনুসারে পরিচালিত হয় বলেই এর রাষ্ট্র বা শাসন ব্যবস্থাকে গণতন্ত্র বলা হয়।অন্য দিকে ইসলাম আল্লাহর মনোনীত জিবন ব্যবস্থা।আল্লাহর খলীফা হিসাবে এবং তার ইচ্ছানুসারে পরিচালিত হয় বলে ইসলামের শাসন ব্যবস্থাকে খিলাফত বলা হয়।রাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্র দু'টিই মানবরচিত মতবাদ,পক্ষান্তরে খেলাফত আল্লাহর মনোনীত শাসন ব্যবস্থার নাম।নিন্মে খেলাফত ও গনতন্ত্রের মাঝে সাংঘর্ষিক কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল।
(১)গনতন্ত্রে জনগণকে সার্বভৌমত্ব মানা হয়,যাহা সম্পূর্ন শিরক,পক্ষান্তরে ইসলামি খেলাফতি রাষ্ট্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মানা,যা তাওহীদের অন্তর্ভুক্ত।
(২)গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অর্থ হল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা,পক্ষান্তরে খেলাফতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অর্থ হল আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা।
(৩)গণতন্ত্রের মূল দর্শন হল মানুষকে সন্তুষ্ট করা যেভাবে হোক,পক্ষান্তরে ইসলামি খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার বিধান অনুসারে মানুষের সেবা করা।
(৪)গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্ম নিচক ব্যক্তিগত ব্যাপার,ব্যাক্তিগত ভাবে এতে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতা স্বীকৃত।কিন্তু সমাজ,রাষ্ট্র ও অর্থনীতিতে ধর্মের কোন প্রবেশাধিকার স্বীকার করা হয়না।এর রাজনীতি ধর্ম বিবর্জিত।পক্ষানতরে ইসলামি খেলাফতে ধর্ম শুধু ব্যক্তিগত জিবনে নয়,মানুষের সার্বিক জিবনে এর বিধি বিধান বাস্তবায়ন করে, রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ধর্মের নীতিমালা অনুসরণ করে চলে।
(৫)গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ যেহেতু সকল ক্ষমতার মালিক,তাই ভাল-মন্দ,কল্যান-অকল্যান,এমন কি বৈধ-অবৈধ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় সাব্যস্ত করার অধিকার জনগণের।এতে সংখ্যাগরিষ্ট রায়ে যে কোন ব্যক্তি যেমন রাষ্ট্র প্রধান হতে পারে,তেমনি ইচ্ছামত যে কোন আইন রচনা করতে পারে।এজন্য 'majority must be granted' হল গণতন্ত্রের চূড়ান্ত কথা।পক্ষান্তরে ইসলামি রাষ্ট্রে যেহেতু আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানা হয়,সেহেতু ভাল-মন্দ,কল্যান-অকল্যান,বৈধ-অবৈধ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়।
(৬)গণতন্ত্রের নেতাকে পদপ্রার্থী হতে হয়,নিজের যোগ্যতা ও গুনাবলীর ঘোষনা দিয়ে তাকে পদের উপযুক্ত প্রমান দিতে হয়।পক্ষান্তরে ইসলামে পদের দাবিদার ব্যক্তিকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয়,এবং তাকে পদ দেয়া হয়না।
সংক্ষেপিত
(১)গনতন্ত্রে জনগণকে সার্বভৌমত্ব মানা হয়,যাহা সম্পূর্ন শিরক,পক্ষান্তরে ইসলামি খেলাফতি রাষ্ট্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মানা,যা তাওহীদের অন্তর্ভুক্ত।
(২)গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অর্থ হল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা,পক্ষান্তরে খেলাফতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার অর্থ হল আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনা।
(৩)গণতন্ত্রের মূল দর্শন হল মানুষকে সন্তুষ্ট করা যেভাবে হোক,পক্ষান্তরে ইসলামি খেলাফতের মূল উদ্দেশ্য হল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তার বিধান অনুসারে মানুষের সেবা করা।
(৪)গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধর্ম নিচক ব্যক্তিগত ব্যাপার,ব্যাক্তিগত ভাবে এতে ধর্মীয় বিশ্বাস ও আচার অনুষ্ঠান পালনের স্বাধীনতা স্বীকৃত।কিন্তু সমাজ,রাষ্ট্র ও অর্থনীতিতে ধর্মের কোন প্রবেশাধিকার স্বীকার করা হয়না।এর রাজনীতি ধর্ম বিবর্জিত।পক্ষানতরে ইসলামি খেলাফতে ধর্ম শুধু ব্যক্তিগত জিবনে নয়,মানুষের সার্বিক জিবনে এর বিধি বিধান বাস্তবায়ন করে, রাষ্ট্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ধর্মের নীতিমালা অনুসরণ করে চলে।
(৫)গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণ যেহেতু সকল ক্ষমতার মালিক,তাই ভাল-মন্দ,কল্যান-অকল্যান,এমন কি বৈধ-অবৈধ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয় সাব্যস্ত করার অধিকার জনগণের।এতে সংখ্যাগরিষ্ট রায়ে যে কোন ব্যক্তি যেমন রাষ্ট্র প্রধান হতে পারে,তেমনি ইচ্ছামত যে কোন আইন রচনা করতে পারে।এজন্য 'majority must be granted' হল গণতন্ত্রের চূড়ান্ত কথা।পক্ষান্তরে ইসলামি রাষ্ট্রে যেহেতু আল্লাহকে সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক মানা হয়,সেহেতু ভাল-মন্দ,কল্যান-অকল্যান,বৈধ-অবৈধ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে আইন প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়।
(৬)গণতন্ত্রের নেতাকে পদপ্রার্থী হতে হয়,নিজের যোগ্যতা ও গুনাবলীর ঘোষনা দিয়ে তাকে পদের উপযুক্ত প্রমান দিতে হয়।পক্ষান্তরে ইসলামে পদের দাবিদার ব্যক্তিকে অযোগ্য বিবেচনা করা হয়,এবং তাকে পদ দেয়া হয়না।
সংক্ষেপিত
Comment