বাংলা:
Pdf Downloading links:
www.mediafire.com/file/dcgugew2gd4fgbf/Bangal.pdf/file
https://ia601500.us.archive.org/22/i...315/Bangal.pdf
https://archive.org/details/bangal_20200315
অনলাইনে পড়ুন:
প্রশংসা মাত্রই মহান আল্লাহর যিনি মুমিনদেরকে বিজয়ী করেন এবং কাফেরদেরকে ধ্বংস করেন। সলাত ও সালাম তাঁরই প্রেরীত রাসুল মুহাম্মাদের উপর।
আল্লাহ তাআলার প্রশংসার পর আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই আফগানের ইমারাতে ইসলামিয়া’র সম্মানিত আমিরুল মুমিনিন মাওলানা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজহুল্লাহু ও র’আহু) এবং তার অধিনস্ত সকল মুমিন মুজাহিদ ভাইবোন ও তাদের পরিবারসহ আফগানিস্তানের সকল শ্রেনীর স্বাধিনতাকামী জনগনকে। আল্লাহ তাদের এই বিজয়কে স্থায়িত্ব ও পূর্নতা দান করুন।
প্রায় ১৯ বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বের তাগুতের মোড়ল আমেরিকা শেষ পর্যন্ত তার লেজ গুটিয়ে পালানোর পায়তারা করছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর ওয়াদাকে সত্যে পরিনত করেছেন। তিনি বলেনঃ
“কাফেররা আল্লাহর রাস্তায় বাধা প্রদান করতে তাদের সম্পদ ব্যায় করে, তারা এভাবে ব্যায় করতেই থাকবে, অতপর তা তাদের আফসোসের কারন হবে এবং তারা পরাজিত হবে। আর কাফেরদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হবে” (আনফাল, ৩৬)
আমরা এই আয়াতের সত্যতা বছরের পর বছর ধরে দেখছি। আমেরিকা তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে আফগানকে তাদের পদানত করার চেষ্টা করেছে। এই যুদ্ধে তাদের ব্যাপক পরিমান অর্থ ব্যায় করেছে, কিন্তু আল্লাহ তাদের এই অর্থ ব্যায়কে তাদের জন্য আফসোসের কারন বানিয়েছেন এবং শেষপর্যন্ত লেজ গুটিয়ে আফগান থেকে পালাতে বাধ্য করছেন আলহামদুলিল্লাহ।
২৯শে ফেব্রুয়ারী ২০২০ মোতাবেক হিজরি ১৪৪১ সনের রজবের ৫ তারিখ বিশ্ব তাগুত প্রধান আমেরিকা ও তার মিত্রদের নিয়ে গঠিত ন্যাটো জোটের সাথে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের একটি যুদ্ধ বিরতি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা মুমিন মুজাহিদ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
হে আফগানের বীর মুজাহিদগন! আপনাদের এই সফলতার দিনে অভিনন্দনের পাশাপাশি মহান রবের দরবারে কায়মনোবাক্যে এই দোয়া করছি যে নিজেদের ভূমির মত সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে কাফেরদের কবল থেকে মুক্ত করার অভিযানে নিজেদেরকে উজার করে দেওয়ার তাওফিক যেনো আল্লাহ আপনাদেরকে দান করেন এবং আমাদেরকেও আপনাদের অনুগামী করেন। আমীন।
আমেরিকার পা-চাটা গোলামদের উদ্দেশ্যে বলছি! তোমাদের প্রভুর এই অবস্থা দেখে শিক্ষা নাও এবং নিজেদেরকে সংশোধন করো। নয়তো সেদিন বেশি দুরে নয় যেদিন তোমাদের প্রভুদের মতো পালিয়ে বাঁচারও সুযোগ পাবেনা। আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনি মুমিনদেরকেই বিজয়ী করবেন।
হে মুসলিম উম্মাহ তোমরা সুসংবাদ গ্রহন করো! মুজাহিদদেরকে অতিতের ন্যায় সমর্থন ও সহযোগিতা করে দ্বীনের বিজয়ে নিজেদেরকে শরিক করে নাও। মনে রেখো যদি তোমরা নিজেদের সিংহদেরকে হেফাজত করতে না পারো তাহলে কাফেরদের কুকুরগুলো তোমাদেরকে খেয়ে ফেলবে। সুতরাং দীন প্রতিষ্ঠার এই মহান কাজে নিজের জান ও মাল দিয়ে তাঁদের সহযোদ্ধা হয়ে যাও।
হে মুসলিম যুবক তোমাকে বলছি! হ্যা তোমাকেই বলছি! এই বিজয়তুল্য শান্তিচুক্তি দেখেও কি তোমার হুশ হয়নি যে কাফেররা মুসলিমদেরকে কখনোই সমূলে পদানত করতে পারেনা? এরপরও কি তুমি বলবে যে শত্রুর তুলনায় আমাদের শক্তি সামর্থ কম? তোমার কি জানা নেই যে মুসলিমরা ইতিহাসের কোনকালেই কাফেরদের তুলনায় অধিক সৈন্য ও অস্ত্রের অধিকারী ছিলোনা? বরং তাদের ইমান ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলই ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র, যার প্রমান আবারো তোমার সামনে হাজির।
এবার জেগে উঠো! বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তোমার দিকে চেয়ে আছে হাজারো মা বোন ও বাবারা আর বলছে
“হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই অত্যাচারী জনপদ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠান” (নিসা, ৭৫) আর বলাই বাহুল্য, তুমিই হচ্ছো সেই অভিভাবক ও সাহায্যকারী।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেনো আমাদেরকে তাঁর সন্তোষ-ভাজন করেন এবং তাঁর প্রতিও সন্তুষ্ট থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।
Pdf Downloading links:
www.mediafire.com/file/dcgugew2gd4fgbf/Bangal.pdf/file
https://ia601500.us.archive.org/22/i...315/Bangal.pdf
https://archive.org/details/bangal_20200315
অনলাইনে পড়ুন:
প্রশংসা মাত্রই মহান আল্লাহর যিনি মুমিনদেরকে বিজয়ী করেন এবং কাফেরদেরকে ধ্বংস করেন। সলাত ও সালাম তাঁরই প্রেরীত রাসুল মুহাম্মাদের উপর।
আল্লাহ তাআলার প্রশংসার পর আমরা অভিনন্দন জানাতে চাই আফগানের ইমারাতে ইসলামিয়া’র সম্মানিত আমিরুল মুমিনিন মাওলানা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা (হাফিজহুল্লাহু ও র’আহু) এবং তার অধিনস্ত সকল মুমিন মুজাহিদ ভাইবোন ও তাদের পরিবারসহ আফগানিস্তানের সকল শ্রেনীর স্বাধিনতাকামী জনগনকে। আল্লাহ তাদের এই বিজয়কে স্থায়িত্ব ও পূর্নতা দান করুন।
প্রায় ১৯ বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বর্তমান বিশ্বের তাগুতের মোড়ল আমেরিকা শেষ পর্যন্ত তার লেজ গুটিয়ে পালানোর পায়তারা করছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর ওয়াদাকে সত্যে পরিনত করেছেন। তিনি বলেনঃ
“কাফেররা আল্লাহর রাস্তায় বাধা প্রদান করতে তাদের সম্পদ ব্যায় করে, তারা এভাবে ব্যায় করতেই থাকবে, অতপর তা তাদের আফসোসের কারন হবে এবং তারা পরাজিত হবে। আর কাফেরদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হবে” (আনফাল, ৩৬)
আমরা এই আয়াতের সত্যতা বছরের পর বছর ধরে দেখছি। আমেরিকা তার সর্বশক্তি নিয়োগ করে আফগানকে তাদের পদানত করার চেষ্টা করেছে। এই যুদ্ধে তাদের ব্যাপক পরিমান অর্থ ব্যায় করেছে, কিন্তু আল্লাহ তাদের এই অর্থ ব্যায়কে তাদের জন্য আফসোসের কারন বানিয়েছেন এবং শেষপর্যন্ত লেজ গুটিয়ে আফগান থেকে পালাতে বাধ্য করছেন আলহামদুলিল্লাহ।
২৯শে ফেব্রুয়ারী ২০২০ মোতাবেক হিজরি ১৪৪১ সনের রজবের ৫ তারিখ বিশ্ব তাগুত প্রধান আমেরিকা ও তার মিত্রদের নিয়ে গঠিত ন্যাটো জোটের সাথে ইসলামী ইমারাহ আফগানিস্তানের একটি যুদ্ধ বিরতি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা মুমিন মুজাহিদ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
হে আফগানের বীর মুজাহিদগন! আপনাদের এই সফলতার দিনে অভিনন্দনের পাশাপাশি মহান রবের দরবারে কায়মনোবাক্যে এই দোয়া করছি যে নিজেদের ভূমির মত সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে কাফেরদের কবল থেকে মুক্ত করার অভিযানে নিজেদেরকে উজার করে দেওয়ার তাওফিক যেনো আল্লাহ আপনাদেরকে দান করেন এবং আমাদেরকেও আপনাদের অনুগামী করেন। আমীন।
আমেরিকার পা-চাটা গোলামদের উদ্দেশ্যে বলছি! তোমাদের প্রভুর এই অবস্থা দেখে শিক্ষা নাও এবং নিজেদেরকে সংশোধন করো। নয়তো সেদিন বেশি দুরে নয় যেদিন তোমাদের প্রভুদের মতো পালিয়ে বাঁচারও সুযোগ পাবেনা। আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনি মুমিনদেরকেই বিজয়ী করবেন।
হে মুসলিম উম্মাহ তোমরা সুসংবাদ গ্রহন করো! মুজাহিদদেরকে অতিতের ন্যায় সমর্থন ও সহযোগিতা করে দ্বীনের বিজয়ে নিজেদেরকে শরিক করে নাও। মনে রেখো যদি তোমরা নিজেদের সিংহদেরকে হেফাজত করতে না পারো তাহলে কাফেরদের কুকুরগুলো তোমাদেরকে খেয়ে ফেলবে। সুতরাং দীন প্রতিষ্ঠার এই মহান কাজে নিজের জান ও মাল দিয়ে তাঁদের সহযোদ্ধা হয়ে যাও।
হে মুসলিম যুবক তোমাকে বলছি! হ্যা তোমাকেই বলছি! এই বিজয়তুল্য শান্তিচুক্তি দেখেও কি তোমার হুশ হয়নি যে কাফেররা মুসলিমদেরকে কখনোই সমূলে পদানত করতে পারেনা? এরপরও কি তুমি বলবে যে শত্রুর তুলনায় আমাদের শক্তি সামর্থ কম? তোমার কি জানা নেই যে মুসলিমরা ইতিহাসের কোনকালেই কাফেরদের তুলনায় অধিক সৈন্য ও অস্ত্রের অধিকারী ছিলোনা? বরং তাদের ইমান ও আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলই ছিলো তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র, যার প্রমান আবারো তোমার সামনে হাজির।
এবার জেগে উঠো! বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তোমার দিকে চেয়ে আছে হাজারো মা বোন ও বাবারা আর বলছে
“হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই অত্যাচারী জনপদ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠান” (নিসা, ৭৫) আর বলাই বাহুল্য, তুমিই হচ্ছো সেই অভিভাবক ও সাহায্যকারী।
পরিশেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেনো আমাদেরকে তাঁর সন্তোষ-ভাজন করেন এবং তাঁর প্রতিও সন্তুষ্ট থাকার তাওফিক দান করেন। আমিন।
Comment