Tweet
আবারো হাসবে সেই সূর্যটা !
সারা বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ যখন আজ নির্যাতিত,নিপীড়িত,লাঞ্চিত ও অবহেলিত।ঠাঁই নেই তাদের নিরাপদে কোথাও থাকার,জায়গা নেই নিরাপদে কোথাও যাবার।কুফফার জোটের নির্মম নির্যাতন আর নিপীড়ন বেড়েই চলেছে ক্রমশ তাদের উপর;আফগান,ইরাক,সিরিয়া,সোমালিয়া,মালী সহ প্রায় প্রতিটি মুসলিম রাষ্ট্রে যখন নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন আমাদের ভাই-বোনরা, তখন আমরা ‘আমরাতো শান্তিতে আছি’এই বুলি আওড়িয়ে মাজলুমানদের পক্ষে কথা বলা থেকে মুখে কুলুপ এঁটে কানে আঙ্গুল দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে বসে আছি ! কারণ, আমরা শান্তি প্রিয়,শান্তশিষ্ট জনগণ। ফলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে উম্মাহর লাশের সাড়ি,দৃষ্টির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এক কালের পরাক্রমশালী আর আজকের অসহায় উম্মাহর শরণার্থী শিবির।গৃহহীন হয়ে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে তাদের ; পিতা-মাতা হারিয়ে অসহায় হয়েছেন হাজারো মুসলিম।তাদের নেই কোন মানবাধিকার নেই।নেই বাচার কোন বৈধতা।
মায়েদের করুন আহাজারি,বৃদ্ধদের অসহায় চোখের পানি আর নিথর নিস্তব্ধ পড়ে থাকা উম্মাহর শিশুদের নিদারুণ করুন অবস্থাও ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের গাফলতির নিদ ভাঙ্গাতে।আমরা পারিনি আরেকবার বিন কাসেম আর সালাউদ্দিন হয়ে উম্মাহর চোখ থেকে দুঃখ,দুর্দশার পানি মুছে দিতে;পেরেছি শুধু মীর জাফর হয়ে বারবার পিছন হতে ছুরি মারতে!!
উত্তরণের মহা সম্মানিত পথ ছেড়ে আমরা বেছে নিয়েছি যিল্লতির পতনের পথ! মন গড়া কল্প-কাহিনী আর ইচ্ছামাফিক কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়ে মসৃণ করছি পতনের পথ।বুঝেও ভান করে আছি না বুঝার, দেখেও ভান করে আছি না দেখার।আর কেউ কেউ নিষিদ্ধ বস্তু দুনিয়ার মোহে পড়ে আরেকটু ভালো থাকার আশায়,দুনিয়ার স্বাদ আরেকটু চেখে দেখার লোভে নিলামে উঠিয়েছি নিজের মহা মূল্যবান ইমান-আমলকে।বিকিয়ে দিচ্ছি নিজের মান মর্যাদা।তারপরেও আমরা আবার সেজেছি আল্লামা আর ইসলামী চিন্তাবিদ খেতাবে !!!
নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারতে এখন আমরা সিদ্ধ-হস্ত।কাফেরদের সামান্য ইশারা আর তাগুতের ফাঁকা হুমকি ধমকিতে কাবু হয়ে যাচ্ছি আমরা, বিরোধিতা করছি উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের,উম্মাহর ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের ছায়া সরিয়ে, ঝলমলে হাস্যোজ্বল রোদ্র আনয়নে ব্যতিব্যস্ত, নিজেদের জানের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয়কারী মুজাহিদদেরকে।
আল্লাহ্* তায়ালা বলেছেন كتب عليكم القتال وهو كره لكم. তোমাদের উপর ফরজ করা হল ক্বিতাল,যদিও তা তোমাদের কাছে অপছন্দনিয়।অপছন্দনীয় ও বন্ধুর এ পথকে নিজেদের রক্ত দিয়ে মসৃণ করা মুজাহিদদেরকে আমরা বলছি সন্ত্রাস!মানব বন্ধন করছি তাদের বিরুদ্ধে !
‘নিজেরা শান্তিতে আছি’ এ বুলি আওড়িয়ে আর কত দিন আমরা পারব শান্তিতে থাকতে? (এখনো কি আমরা শান্তিতে আছি?!)অন্য মুসলিম ভাইদের বিপদে পাশে না দাঁড়ানো সেই আমাদের উপর যখন বিপদ নেমে আসবে, নেমে আসবে হিন্দুত্ববাদের কড়াল থাবা , তখন আমাদের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে কি কখনো চিন্তা করেছি?
বড্ড হাসি পায় এবং কষ্ট লাগে, যখন দেখি অবুঝের মত নিজেদের শত্রুর কাছে নিজেদের বিপদের কথা বলে আমরা পরিত্রাণের পথ খুঁজে বেড়াই। আবেদন-আবদার করি তাদের কাছে, যারা ইসলামকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে,শপথ নিয়েছে ভু-পৃষ্ট থেকে মুসলিমদের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলার।বারবার বিচার নিয়ে যাই আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের শত্রুর কাছে।জান চলে যাবে,স্ত্রী সন্তান বিধবা হয়ে যাবে,জেলে যেতে হবে এ সমস্ত ওয়াহানের কারণে সুন্নাহ সম্মত পথ ছেড়ে দিয়ে,চির শত্রু পশ্চিমাদের দেখানো পথে তাদের কাছে বিচার নিয়ে যাই।অথচ যাদের পথ থেকে বাঁচার জন্য আমরা দিনে কমপক্ষে ১৭ বার মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।কিন্তু দিনশেষে সব ভুলে গিয়ে আবার তাদের দরবারেই ধরনা দিই।বড় আজীব বিষয়!!
তবে উত্তাল সমুদ্রের মাঝেও তরী তীরে গিয়ে ভিড়বে; মেঘের কালো ছায়া ভেদ করে সেই সূর্যটা আবার হাসবে।পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় কোণায় আবারো উঠবে সুমধুর আযানের ঝংকার। আবারো কেঁপে উঠবে গৌরগবিন্দের সেই অহংকার।ভূলুণ্ঠিত হবে হবে ঔদ্ধত্য সব কুফরের শীর।নিভে যাবে কুফরের সব অন্ধকার। মহান আল্লাহ্* তায়ালা বলেন।قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِم وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ > যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
كتب الله لاغلبن انا ورسلي,ان الله لقوي عزيز. আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ.. আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।
সুতরাং এখন আমাদের মুমিন হওয়া বাকী। মুমিন হওয়ার এই শর্ত পূরণ হলে “আবারো হেসে উঠবে সেই সূর্যটা” !
আল্লাহ্* আমাদের কে فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا>>অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে।>> এর ‘তোমাদের ঈমান আনার মত’ ইমান আনার তাওফীক দান করুন।আমীন।
মায়েদের করুন আহাজারি,বৃদ্ধদের অসহায় চোখের পানি আর নিথর নিস্তব্ধ পড়ে থাকা উম্মাহর শিশুদের নিদারুণ করুন অবস্থাও ব্যর্থ হয়েছে, আমাদের গাফলতির নিদ ভাঙ্গাতে।আমরা পারিনি আরেকবার বিন কাসেম আর সালাউদ্দিন হয়ে উম্মাহর চোখ থেকে দুঃখ,দুর্দশার পানি মুছে দিতে;পেরেছি শুধু মীর জাফর হয়ে বারবার পিছন হতে ছুরি মারতে!!
উত্তরণের মহা সম্মানিত পথ ছেড়ে আমরা বেছে নিয়েছি যিল্লতির পতনের পথ! মন গড়া কল্প-কাহিনী আর ইচ্ছামাফিক কোরআন হাদীসের ব্যাখ্যা দিয়ে মসৃণ করছি পতনের পথ।বুঝেও ভান করে আছি না বুঝার, দেখেও ভান করে আছি না দেখার।আর কেউ কেউ নিষিদ্ধ বস্তু দুনিয়ার মোহে পড়ে আরেকটু ভালো থাকার আশায়,দুনিয়ার স্বাদ আরেকটু চেখে দেখার লোভে নিলামে উঠিয়েছি নিজের মহা মূল্যবান ইমান-আমলকে।বিকিয়ে দিচ্ছি নিজের মান মর্যাদা।তারপরেও আমরা আবার সেজেছি আল্লামা আর ইসলামী চিন্তাবিদ খেতাবে !!!
নিজেদের পায়ে নিজেরা কুড়াল মারতে এখন আমরা সিদ্ধ-হস্ত।কাফেরদের সামান্য ইশারা আর তাগুতের ফাঁকা হুমকি ধমকিতে কাবু হয়ে যাচ্ছি আমরা, বিরোধিতা করছি উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের,উম্মাহর ভাগ্যাকাশে কালো মেঘের ছায়া সরিয়ে, ঝলমলে হাস্যোজ্বল রোদ্র আনয়নে ব্যতিব্যস্ত, নিজেদের জানের বিনিময়ে জান্নাত ক্রয়কারী মুজাহিদদেরকে।
আল্লাহ্* তায়ালা বলেছেন كتب عليكم القتال وهو كره لكم. তোমাদের উপর ফরজ করা হল ক্বিতাল,যদিও তা তোমাদের কাছে অপছন্দনিয়।অপছন্দনীয় ও বন্ধুর এ পথকে নিজেদের রক্ত দিয়ে মসৃণ করা মুজাহিদদেরকে আমরা বলছি সন্ত্রাস!মানব বন্ধন করছি তাদের বিরুদ্ধে !
‘নিজেরা শান্তিতে আছি’ এ বুলি আওড়িয়ে আর কত দিন আমরা পারব শান্তিতে থাকতে? (এখনো কি আমরা শান্তিতে আছি?!)অন্য মুসলিম ভাইদের বিপদে পাশে না দাঁড়ানো সেই আমাদের উপর যখন বিপদ নেমে আসবে, নেমে আসবে হিন্দুত্ববাদের কড়াল থাবা , তখন আমাদের অবস্থা কি হবে তা নিয়ে কি কখনো চিন্তা করেছি?
বড্ড হাসি পায় এবং কষ্ট লাগে, যখন দেখি অবুঝের মত নিজেদের শত্রুর কাছে নিজেদের বিপদের কথা বলে আমরা পরিত্রাণের পথ খুঁজে বেড়াই। আবেদন-আবদার করি তাদের কাছে, যারা ইসলামকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য আধা জল খেয়ে মাঠে নেমেছে,শপথ নিয়েছে ভু-পৃষ্ট থেকে মুসলিমদের শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলার।বারবার বিচার নিয়ে যাই আল্লাহর শত্রু ও নিজেদের শত্রুর কাছে।জান চলে যাবে,স্ত্রী সন্তান বিধবা হয়ে যাবে,জেলে যেতে হবে এ সমস্ত ওয়াহানের কারণে সুন্নাহ সম্মত পথ ছেড়ে দিয়ে,চির শত্রু পশ্চিমাদের দেখানো পথে তাদের কাছে বিচার নিয়ে যাই।অথচ যাদের পথ থেকে বাঁচার জন্য আমরা দিনে কমপক্ষে ১৭ বার মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই।কিন্তু দিনশেষে সব ভুলে গিয়ে আবার তাদের দরবারেই ধরনা দিই।বড় আজীব বিষয়!!
তবে উত্তাল সমুদ্রের মাঝেও তরী তীরে গিয়ে ভিড়বে; মেঘের কালো ছায়া ভেদ করে সেই সূর্যটা আবার হাসবে।পৃথিবীর প্রতিটি কোণায় কোণায় আবারো উঠবে সুমধুর আযানের ঝংকার। আবারো কেঁপে উঠবে গৌরগবিন্দের সেই অহংকার।ভূলুণ্ঠিত হবে হবে ঔদ্ধত্য সব কুফরের শীর।নিভে যাবে কুফরের সব অন্ধকার। মহান আল্লাহ্* তায়ালা বলেন।قَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِم وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ > যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন।
كتب الله لاغلبن انا ورسلي,ان الله لقوي عزيز. আল্লাহ লিখে দিয়েছেনঃ আমি এবং আমার রসূলগণ অবশ্যই বিজয়ী হব। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, পরাক্রমশালী।
وَلَا تَهِنُوا وَلَا تَحْزَنُوا وَأَنتُمُ الْأَعْلَوْنَ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ.. আর তোমরা নিরাশ হয়ো না এবং দুঃখ করো না। যদি তোমরা মুমিন হও তবে, তোমরাই জয়ী হবে।
সুতরাং এখন আমাদের মুমিন হওয়া বাকী। মুমিন হওয়ার এই শর্ত পূরণ হলে “আবারো হেসে উঠবে সেই সূর্যটা” !
আল্লাহ্* আমাদের কে فَإِنْ آمَنُوا بِمِثْلِ مَا آمَنتُم بِهِ فَقَدِ اهْتَدَوا>>অতএব তারা যদি ঈমান আনে, তোমাদের ঈমান আনার মত, তবে তারা সুপথ পাবে।>> এর ‘তোমাদের ঈমান আনার মত’ ইমান আনার তাওফীক দান করুন।আমীন।
Comment