Announcement

Collapse
No announcement yet.

দৃষ্টি আকর্ষণ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • দৃষ্টি আকর্ষণ

    আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইয়েরা।

    আমি বিভ্রান্তির মাঝে পড়ে গিয়েছি। আমার বিভ্রান্তি দূর করুন।

    লোন উলফ(মার্চ, ২০১৯) পড়া শেষ হল।যেহেতু জিহাদ সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুব কম তাই বিভ্রান্ত হওয়াটা কে আপনারা ক্ষমাসুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন।

    বিভ্রান্তির কারণসমূহঃ

    ১/যুদ্ধের ময়দানে বেসামরিক কিংবা নিরস্ত্র লোকদের উপর আঘাত করার বিধান নেই বলে আমি জানি।তাহলে কেন টুইন টাওয়ার কিংবা হলি আর্টিজানের হামলাকে গ্লোবাল জিহাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

    ২/বিএসএফ কিংবা ভারতীয় র' এজেন্ট কে খুন করার ব্যাপারে আমি একমত।কিন্তু সাধারণ নাগরিককে হত্যা করাকে কেন বৈধতা দেয়া হচ্ছে?

    ৩/ফ্রান্সে ট্রাকযোগে বেসামরিক লোক হত্যাকে কেন জিহাদ মনে করা হচ্ছে?

    এসবের ফলে কি কুফুরি শক্তিগুলো ইরাক/সিরিয়া/আফগানিস্তানেে সন্ত্রাস দমনের নামে অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে না?

    সর্বশেষ যে বিষয়টি বলতে চাই-পুলিশ,সেনাবাহিনীকে কেন তাগুত বলা হচ্ছে? এদের মাঝেও অনেক ভাল মুমিন মুসলিম আছে।কিন্তু তাদেরকেও মুরতাদ বলা হচ্ছে। জিহাদ সংক্রান্ত সংবাদে দেখতে পাই, আফগানিস্তানের মুসলিম সেনাদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ওদের মধ্যেও তো মুমিন থাকতে পারে।কারও মধ্যে যদি ৯৯টা কুফর থাকে আর ১টা ঈমানের বৈশিষ্ট্য থাকে তবুও থাকে কাফের বলতে আমাদের রাসূল (সাঃ) নিষেধ করেছেন।

    নিজদেশের সেনাসদস্যদের ওপর হামলা না করে যদি কুফুরি ঘাটিতে হামলা চালানো হয় তবে সেটাই কি উত্তম নয়?

    একজন মূর্খ এবং অশিক্ষিত লোকের বিভ্রান্তি দূর করছেন এমন ভাববেন ভাইয়েরা।ভুলের জন্য পুনরায় ক্ষমাপ্রার্থী।

    জাযাকাল্লাহ।

  • #2
    ১/যুদ্ধের ময়দানে বেসামরিক কিংবা নিরস্ত্র লোকদের উপর আঘাত করার বিধান নেই বলে আমি জানি।তাহলে কেন টুইন টাওয়ার কিংবা হলি আর্টিজানের হামলাকে গ্লোবাল জিহাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

    উত্তরঃ ভাই আপনি তাহলে মাসআল জানেননা ফিকহের প্রায় সকল কিতাবেই সিয়ার বা জিহাদ অধ্যায়ে মাসআলাটি আনা হয়েছে যে, সকল কাফির ও মুশরিক যাদের সাথে মুসলিমদের কোন চুক্তি নেই বা যারা জিযিয়া দেয়না তাদের সকলের রক্ত মুমিনদের জন্য বৈধঃ হাদিস শরীফে আছে যে রাসুলে আকরাম সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী মুসতালিককে ধ্বংস করে দিয়েছেন সেখানের গাছপালা গুলুকেও ছাড়েননি হত্যা করেছেন! তাই আপনার এ সংশয় থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বিঃদ্রঃ আপনি এবিষয়ে গভীর অধ্যায়ন করুন! লোন উল্ফ মেগাজিনে এর উপকারী দিকটিও বর্নিত আছে বলে আশা করি তাই সেটাও পড়ে নিন! উপকারী দিক হলো আমেরিকা হলো শত্রুপ্রধান তাই আমেরিকার গাছপালাও আমাদের শত্রু এবং তাদের হত্যায় তাদের অন্তরে ত্রাশ ছড়াবে এবং সকল চেলাদের অন্তরে ও ত্রাশ ছড়বে। [এখন থেকেই জিহাদি অধ্যয়ন শুরু করে দিন! ভালোভাবে ইলম অর্জন করুন!]

    ২/বিএসএফ কিংবা ভারতীয় র' এজেন্ট কে খুন করার ব্যাপারে আমি একমত।কিন্তু সাধারণ নাগরিককে হত্যা করাকে কেন বৈধতা দেয়া হচ্ছে?
    উত্তরঃ এটার কারন ও আগেরটার মতই তারাও শত্রু মাথার একটি অংশ তাছাড়া আপনি মেগাজিনটি আরো গভির ভাবে অধ্যায়ন করলে তার কারন আপনার সামনে স্পষ্ট হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    সর্বশেষ যে বিষয়টি বলতে চাই-পুলিশ,সেনাবাহিনীকে কেন তাগুত বলা হচ্ছে? এদের মাঝেও অনেক ভাল মুমিন মুসলিম আছে।কিন্তু তাদেরকেও মুরতাদ বলা হচ্ছে। জিহাদ সংক্রান্ত সংবাদে দেখতে পাই, আফগানিস্তানের মুসলিম সেনাদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ওদের মধ্যেও তো মুমিন থাকতে পারে।কারও মধ্যে যদি ৯৯টা কুফর থাকে আর ১টা ঈমানের বৈশিষ্ট্য থাকে তবুও থাকে কাফের বলতে আমাদের রাসূল (সাঃ) নিষেধ করেছেন।

    নিজদেশের সেনাসদস্যদের ওপর হামলা না করে যদি কুফুরি ঘাটিতে হামলা চালানো হয় তবে সেটাই কি উত্তম নয়?
    উত্তরঃ তাদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে কাফের নয় বরং দলগতভাবে কাফের/তাগুত বলা হয়েছে আর তারা দলগতভাবে বাস্তবেই ইসলামের দুশমন, তাই মাঝে যারা মুমিন রয়েছেন তারা যদি মুমিনই হয়ে থাকেন তাহলে তারা ব্যক্তিগত ভাবে বাদ!

    বিঃদ্রঃ আপনি নিজে থেকেই এ বিষয়ে অধ্যয়ন শুরু করুন সহায়ক হবে যদি আপনি ফোরামে দেওয়া ইসলামিক সাইট গুলো ভিজিট করেন যেমন darulilm.org
    আর ভাইরাও ইনশাআল্লাহ *আপনার সংশয় সময়করে নীরসন করে দিবেন।
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ।
      অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
      আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
      ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

      Comment


      • #4
        জিযিয়া কর বা তাওহীদের দাওয়াত দেয়ার আগেই কি আমরা কিতাল করব?যেমন ধরুন-আমি যদি কোন কাফেরকে তাওহীদ বা জিযিয়া করের দাওয়াত না দিয়েই কিতাল করে ফেলি তবে তা কি বৈধ হবে?

        Isis আর আল কায়েদার এবং তালেবান এসবের মধ্যে তফাৎ কোন কোন জায়গায় তাও জানাবেন ভাই।

        জাযাকাল্লাহ।

        Comment


        • #5
          Originally posted by abu mosa View Post
          মাশাআল্লাহ।
          অনেক সুন্দর আলোচনা করেছেন।
          আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।
          আমিন আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ও কবুল করুন আমিন!
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            আখি, আপনার প্রশ্নগুলো সবই পুরাতন প্রশ্ন, এগুলোর উত্তর পূর্বেই দেয়া হয়েছে, আপনি নিচের লেখাগুলো পড়ে নিলে আপনার সংশয় দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

            মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত দেশসমুহের বেসামরিক জনসাধারণকে হামলার বৈধতার দলীল


            ৯/১১ হামলার ব্যাপারে শাইখ নাসির আল-ফাহদের ফতোয়া



            শরীয়তের সুস্পষ্ট বিধাণের বিরোধিতা বা প্রত্যাখ্যান করা দলের ব্যাপারে হুকুম। শাইখ নাসির আল-ফাহাদ


            আর আপনি যে বলেছেন, মুসলিম দেশে যুদ্ধ না করে কাফেরদের উপর আক্রমন করাই উত্তম তো এটা যদি সম্ভব হতো তবে অবশ্যই ভালো হতো, আলকাযেদার মানহাজ তো এটাই আগে সাপের মাথা আমেরিকাকে ধ্বংস করো। কিন্তু অনেক সময়ই এই দালাল শাসকদের হটানো ব্যতীত জিহাদ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাংলাদেশ থেকে যখন আপনি ভারতের বিপক্ষে যুদ্ধ করার ইচ্ছা করবেন তখন পেছন থেকে এই দালাল শাসকরাই কি আপনার পিঠে ছুরি বসিয়ে দিবে না? ফিকহের মূলনীতি হলো, ما لا يتم الواجب إلا به فهو واجب কোন ফরয বিধান পালনের জন্য যা কিছু করা অপরিহার্য তা করাও ফরয। আসলে আপনি যে মূল কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করার যে মানহাজ-কর্মপদ্ধতি পেশ করছেন তা ইতিপূর্বে হারাকাতুল জিহাদ গ্রহণ করেছিল। তারা সরকারের বিরোধীতা না করে কাফেরদের সাথে জিহাদ করার ইচ্ছা করেছিল। কিন্তু সরকার তাদেরকে কেমন নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। আর মুমিন একগর্তে দুবার দংশিত হয় না। সুতরাং ওয়ালা-বারার সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন, কোন মুসলমানকে কাফের বলা যেমন ভয়াবহ তেমনি কাফেরকে মুসলিম বলার ক্ষতিও ব্যাপক। এর কারণে মুরতাদ মুসলমান মনে করে তার দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সমূহ আশংকা থাকে। দেখুন, আলকায়েদা ওয়ালা-বারা, হাকিমিয়্যাহর মাসয়ালায় শাসকদের তাকফীর করে তাদের জিহাদী মানহায প্রনয়ণ করে অল্প কয়েক বছরে পৃথিবীতে কত শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। পক্ষান্তরে পাকিস্তানের মুরতাদ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান ষাট বছর ধরে চলমান কাশ্মীর জিহাদ নিষ্ফল হয়েছে। যাক, আসলে একদিনেই সকল সংশয় দূর হবে না, আমাদের সাথে থাকুন, হাকিমিয়্যাহ-ওয়ালা,বারা বিষয়ে পড়াশোনা অব্যাহত রাখুন, ইনশাআল্লাহ, আল্লাহ আমাদের সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন।
            [/SIZE]
            الجهاد محك الإيمان

            জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

            Comment


            • #7
              প্রিয় আখি,আপনি কিতাবের জিহাদ বিষয়ক অধ্যায়গুলো পড়তে পারেন। আমি দেখেছি, আমাদের কওমির অনেক ভাইই জিহাদের অনেক মাসলার ব্যাপারে অজ্ঞ। এক কওমির ভাইয়ের সাথে আমার কথা হলো ওনি একজন মুফতি সাহেবও বটে কিন্তু মানতে না রাজ নিওরস্ত্রদের হত্যা করার ক্ষেত্রে। তাহলে বুঝুন সাধারণ মুসলমানরা জিহাদের মাসলার ব্যাপারে কত অজ্ঞ। এক ভাইয়ের সাথে হলো ওনিও মানতে নারাজ বেসামরিক লোকদের হত্যার ব্যাপারে। এরকম অনেক ভাইই আছেন। অনেক মুসলিম ভাইয়ের ধারণা, সামরিক ছাড়া হত্যা করা যাবে না। কিন্তু মাসলা কি বলে??? আমরা ইতিহাসে দেখতে পাই যারা বালেগ তাদেরকেই হত্যা করা হয়েছে।
              ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

              Comment


              • #8
                মাশাল্লাহ। ভাই বেশ ভাল বুঝিয়েছেন। জাযাকাল্লাহ।

                Comment


                • #9
                  সম্মানিত পোষ্টকারী ভাই, আপনার সবগুলো প্রশ্নই অতি পরিচিত ও পুরাতন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মিডিয়ার লক্ষ্য। এ ব্যাপারে অসংখ্য কিতাব, আর্টিকেল, অডিও ভিডও বয়ান আছে আলহামদু লিল্লাহ। আপনার প্রতেকটা প্রশ্নই দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ, যদিও চাইলে এক কথায়ও উত্তর দেওয়া যায়।
                  আমাদের যে ‘মাসায়েলে আরবা’ আছে, যেগুলো শরীয়া দাওরাতে ক্লাস করানো হয়, সেগুলো পড়লেই সব জানা যাবে ইনশআল্লাহ।

                  আর এখান থেকেই সংক্ষেপে জানতে চাইলে একটি একটি করে প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়া সহজ হবে ইনশআল্লাহ।

                  আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করুন!!

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by salahuddin aiubi View Post
                    সম্মানিত পোষ্টকারী ভাই, আপনার সবগুলো প্রশ্নই অতি পরিচিত ও পুরাতন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া এবং এ ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মিডিয়ার লক্ষ্য। এ ব্যাপারে অসংখ্য কিতাব, আর্টিকেল, অডিও ভিডিও বয়ান আছে আলহামদু লিল্লাহ। আপনার প্রত্যেকটা প্রশ্নই দীর্ঘ আলোচনা সাপেক্ষ, যদিও চাইলে এক কথায়ও উত্তর দেওয়া যায়।
                    আমাদের যে ‘মাসায়েলে আরবা’ আছে, যেগুলো শরীয়া দাওরাতে ক্লাস করানো হয়, সেগুলো পড়লেই সব জানা যাবে ইনশআল্লাহ।

                    আর এখান থেকেই সংক্ষেপে জানতে চাইলে একটি একটি করে প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়া সহজ হবে ইনশআল্লাহ।

                    আল্লাহ আপনার জন্য সহজ করুন!!
                    isis, আল কায়েদা এবং তালেবান এদের মধ্যে পার্থক্যগুলি কি কি ভাই? কুফুরি বিশ্বের কথা বাদই দিলাম,মুসলিমরাই বা কেন মুজাহিদদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়?

                    Comment


                    • #11
                      সালাহউদ্দিন ইউসুফ ভাই,,আপনার অনুরোধ থাকবে নিয়মিত ফোরাম ব্রাউজ করার। তাহলে না জানা এমন অনেক বিষয়ের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। প্রিয় ভাই, আল কায়দা হলো বৈশ্বিক জিহাদী সংগঠন, যারা তালেবানদের কাছে বাইয়াতবদ্ধ। আর তালিবানরা আফগানে একটি বৈধ সরকার ব্যবস্থাপনায় আছেন, এবং ইসলামীক সরকার। আমাদের উপর ওয়াজিব হলো ইসলামের সরকারকে বাইয়াত দেওয়া এবং ত্বাগুত হাসিনার কাছে থেকে বারায়াত ঘোষণা করা। isis এর ব্যাপারে ভাইয়েরা ভালো বলতে পারবেন। আপনি অপেক্ষা করুন, ইনশাআল্লাহ ভালো কিছু পাবেন। আপনি যেই বিষয়গুলোতে কনফিউজড হচ্ছেন সেগুলো আমাদের মাদ্রাসা ও মাহফিলে আলোচনা হয় না। আমরা প্রকৃত অর্থে ইসলামের দেশে নয় বরং আমরা ত্বাগুতের দেশে বাস করি। আমাদের দেশ এটি মুসলিমদেশ হতে পারে কিন্তু ইসলামের দেশ নয়, আবার পুরোপুরি দারুল হারবও নয়। এই জন্য আমাদের আরো অনেক কিছু জানতে হবে। আর জানার ক্ষেত্রে ছহিহটা জানতে হবে। আর অনুসরণ করতে হবে সাহাবাদের।
                      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

                      Comment


                      • #12
                        মাশাল্লাহ ভাই বেশ সুন্দর বুঝিয়েছেন।

                        প্রিয় ভাই,তারমানে আল কায়েদা, তালেবানের কাছে দায়বদ্ধ, কিন্তু তালেবান আল কায়েদার কাছে দায়বদ্ধ নয়?

                        একটা বিষয় ভাই। আমি জীবনে কখনো মসজিদের খুতবায় জিহাদ শব্দটা শুনি নি।একটা ফরজ ইবাদাত কিভাবে এড়িয়ে গেলাম আমরা!!

                        Isis এর ব্যাপারে কেউ জানালে ভাল হত।

                        Comment


                        • #13
                          Originally posted by Salahuddin Yusuf View Post
                          isis, আল কায়েদা এবং তালেবান এদের মধ্যে পার্থক্যগুলি কি কি ভাই? কুফুরি বিশ্বের কথা বাদই দিলাম,মুসলিমরাই বা কেন মুজাহিদদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়?

                          সম্মানিত ভাই, উপরের প্রশ্নগুলোর সাথে আরো একটি প্রশ্ন যোগ করলেন। জাযাকাল্লাহ।

                          আমি একেবারে সংক্ষেপে আপনার উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর দেবো ইনশআল্লাহ। আপনার পোষ্টে মূলত দু’টি প্রশ্ন: ১. কাফের দেশের বেসামরিক নাগরিকদেরকে হত্যা করা যাবে কি না? ২. বর্তমান মুসলিম দেশগুলোর সেনাবাহিনী মুসলিম না মুরতাদ?

                          প্রথম প্রশ্নের উত্তর: কাফের দেশের বেসামরিক লোকদেরকে হত্যা করা জায়েয আছে, এটা উম্মাহর পূর্ববর্তী-পরবর্তী সকল উলামায়ে কেরামের অভিমত। এটাই কুরআন-সু্ন্নাহ বলে। ইসলামে সামরিক-বেসামরিক বলে কোন ভেদাভেদ নেই। ইসলাম দেখে, কে প্রকৃতিগতভাবে যুদ্ধ করতে সক্ষম, আর কে সক্ষম না। সে হিসাবে নারী, শিশু, অতিশয় বৃদ্ধ, লেংড়া, লুলা, অন্ধ এজাতীয় লোকদেরকে শুধু অযোদ্ধা ও অক্ষম মনে করে। তথাপি যদি এদের কেউ যুদ্ধে সাহায্য করে, তবে তাদেরকেও হত্যা করা বৈধ হয়ে যায়। অর্থাৎ এদেরকে যদিও প্রকৃতিগতভাবে যুদ্ধের অনুপযুক্ত মনে করা হয়, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে যদি তারা যুদ্ধে সাহায্য-সহযোগীতা করে, তবে এদেরকেও হত্যা করা বৈধ। সংক্ষেপে এতটুকুই বললাম।

                          এবার এর একটা বোধগম্য যুক্তি দেওয়া দরকার। সেটা হল:: কাফের রাষ্ট্রগুলো যখন মুসলিমদের উপর অত্যাচারি আক্রমণ করে অথবা মুসলিমদের উপর কোন সংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধ চালায়, তখন সে দেশের কাফের জনগণ তাদেরকে সমর্থন করে। কেউ কেউ অন্তরে সমর্থন না করলেও কাজে সমর্থন করেন। কারণ ওই কাফের রাষ্ট্রটি তাদের টেক্সের টাকাতেই চলছে। ওই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও সকল রাষ্ট্রযন্ত্র ওই জনগণের মাধ্যমেই গঠিত হচ্ছে। ওই জনগণ এগুলো পাওয়াকে নিজেদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয় মনে করে। তাই মনস্তাত্ত্বিকভাবে কাফের রাষ্ট্রের সকল জনগণই যুদ্ধে শরীক।
                          দুনিয়াটা অনেক কঠিন। দুনিয়াতে দায়িত্ব ছাড়া ও চিন্তা ছাড়া থাকা যায় না। তাই কাফের জনগণ ভালো-মন্দ চিন্তা না করে, তেমন দায়িত্বশীল না হয়ে আরামে-আহ্লাদে জীবন কাটালে সেটার ফল ভোগ করতেই হবে।

                          আর বর্তমানে সারা বিশ্বের প্রতিটি কাফেরই মুসলিমদের ধর্মের মৌলিক অবস্থা সম্পর্কে জানে এবং মুসলিমদের দেখে নিজেদের ধর্মাচারকে তার সাথে তুলনা করতে পারে। তাই এহেন অবস্থায় সত্য ধর্ম ইসলাম গ্রহণ না করা, সত্য অনুসন্ধান না করে নিশ্চিন্তে জীবন কাটানো, এটা অপরাধ। এদেরকেই চতুষ্পদ জন্তুর চেয়ে নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। তাই এর শাস্তি তাদেরকে ভোগ করতেই হবে।

                          ২. আপনার দ্বিতীয় প্রশ্নের *উত্তর হচ্ছে: বর্তমানে মুসলিম দেশগুলোতে মুসলিম নামধারী এ সকল সরকার ও সেনাবাহিনী হল মুরতাদ বাহিনী। তারা মুসলিম নয়। তাই তাদেরকে হত্যা করা বৈধ। তাদের মধ্যে শতকড়া ৮০% অপরাধী, দুরাচারি, ধর্ম সম্পর্কে চরম উদাসীন। উদাসীনতা করেই মুরতাদ হয়েছে। আর বাকি ২০% যদি এমন থাকে যে, তারা ধর্মকে ভালোবাসে, ব্যক্তিগতভাবে নামায-রোজা পালন করে, তবে তারা অজ্ঞতার কারণে অনেকগুলো কুফরে লিপ্ত হচ্ছে। কুফরী শাসনব্যবস্থার প্রহরী হিসাবে কাজ করছে। কুফরের পক্ষের বাহিনীতে অন্তর্ভূক্ত হয়ে গেছে। তাদের এই অজ্ঞতার জন্য ধর্মের ব্যাপারে উদাসীনতাই দায়ী। তবু তারা যদি আন্তরিকভাবে মুসলিম হয়, আর তাদের বর্তমান কাজগুলো কুফর হওয়ার ব্যাপারে একটুও না জানে, তাহলে সেটা আল্লাহ দেখবেন। আমাদের জন্য তাদের বুক ফেড়ে মনের অবস্থা যাচাই করা সম্ভব না। আমরা বাহ্যিকভাবে তাদেরকে কুফরের বাহিনীতে, কুফরের কাতারে দেখছি। তারা কুফরের বাহিনীর সাথে মিলেই আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। মোটকথা, তাদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা জায়েয।
                          আর আপনি যে বলেছেন, কারো মাঝে ১০০ টি কুফর আর একটিমাত্র ঈমানের বিষয় থাকলেও তাকে কাফের বলা যাবে না- এটা সঠিক নয়। এটা ভুল। আপনি এটা ভুল জেনেছেন ভাই। যার থেকে এ কথাটি জেনেছেন তার থেকে একটু ভালোমত জেনে নিন যে, আসলে কথাটি কিভাবে হবে?? এবং এর উদ্দেশ্য কী?

                          ৩. আপনি জিজ্ঞেস করেছেন, আই এস, আলকায়েদা, তালেবানের মাঝে পার্থক্য কী? পার্থক্য হল: এই এস ভ্রান্ত, পথভ্রষ্ট আর তালেবান আলকায়েদা সঠিক। আই এস প্রথমত: কতগুলো অন্যায় কাজ করেছে। নিজ আমিরেরর অবাধ্যতা করেছে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। এটা ব্যক্তির নৈতিকতার ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যা। আই এস দলীয়ভাবে এটা করেছে। আর তাদের মধ্যে সুস্পষ্ট ক্ষমতার লোভ দেখা গেছে। এগুলো অনেক বিস্তারিত আলোচনা সাপেক্ষ।

                          আর পরবর্তীতে আই এস কতগুলো আকিদাগত বাড়াবাড়িতেও পতিত হয়েছে। যেমন তারা তাওয়িলকারী ও জাহেলদেরকে ছাড় দেয় না। তাকফীরের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করে না।

                          আল্লাহ পাক আপনাকে আমাকে বুঝার তাওফিক দান করুন!!

                          Comment


                          • #14
                            আলহামদুলিল্লাহ। অনেক কিছু বুঝতে পারলাম। জাযাকাল্লাহ।

                            Comment


                            • #15
                              ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
                              সম্মানিত ভাই! আপনার অধিকাংশ সংশয় মূলত একটি প্রশ্নকে কেন্দ্র করেই। সেটি হলো- বেসামরিক কাফেরদের হত্যা করার বিধান। যেমন আপনি বলেছেন,
                              ১/যুদ্ধের ময়দানে বেসামরিক কিংবা নিরস্ত্র লোকদের উপর আঘাত করার বিধান নেই বলে আমি জানি।তাহলে কেন টুইন টাওয়ার কিংবা হলি আর্টিজানের হামলাকে গ্লোবাল জিহাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?

                              ২/বিএসএফ কিংবা ভারতীয় র' এজেন্ট কে খুন করার ব্যাপারে আমি একমত।কিন্তু সাধারণ নাগরিককে হত্যা করাকে কেন বৈধতা দেয়া হচ্ছে?

                              ৩/ফ্রান্সে ট্রাকযোগে বেসামরিক লোক হত্যাকে কেন জিহাদ মনে করা হচ্ছে?

                              এসবের ফলে কি কুফুরি শক্তিগুলো ইরাক/সিরিয়া/আফগানিস্তানেে সন্ত্রাস দমনের নামে অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে না?
                              আপনার এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর আশা করি এই লিংকের লেখাটিতে পাবেন ইনশাআল্লাহ। লিংক: https://darulilm.org/2017/06/07/targetting_harbis/

                              এই লেখাটি পড়ার পরও যদি কোনো সংশয় থাকে, তাহলে অবশ্যই জানাবেন ভাই ইনশাআল্লাহ।

                              আপনার পরবর্তী কথাটি হলো,

                              এসবের ফলে কি কুফুরি শক্তিগুলো ইরাক/সিরিয়া/আফগানিস্তানেে সন্ত্রাস দমনের নামে অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ পাচ্ছে না?
                              অর্থাৎ, আপনার কথা হলো- মুজাহিদীনের হামলাসমূহের জন্য কাফেররা মুসলিমদের দেশগুলোতে হামলা করছে। এক্ষেত্রে আপনার একটি বিষয় জানা থাকা দরকার যে, মুজাহিদরা কাফেরদের উপর হামলা করার পূর্ব থেকেই কাফেররা মুসলিমদের দেশসমূহে তাদের হামলা অব্যাহত রেখেছে। কখনো অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের মাধ্যমে, কখনো বায়তুল আকসা দখলের মাধ্যমে, কখনো দাদাগিরি করতে, বাণিজ্য কার্যক্রমের অন্তরালে, আর সর্বশেষে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে। এভাবে, মুজাহিদগণ কাফেরদের বিরুদ্ধে হামলা করার পূর্ব থেকেই সন্ত্রাসী কাফেররা মুসলিমদের উপর হামলা অব্যাহত রেখেছে। যাইহোক, এখানে এ কথাটি বলার কারণ হলো- মুজাহিদগণ যদি কাফেরদের উপর হামলা না করতেন, তাহলেও কাফেররা মুসলিমদের উপর হামলা করতেই থাকতো।
                              এখানে আরো একটি বিষয় বুঝতে হবে, কাফেররা হামলা না করলেও কাফেরদের উপর মুজাহিদীনের হামলা অবৈধ হয়ে যাবে না, বরং আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদ অব্যাহত থাকবে। [এই পয়েন্টটা হয়তো ভালোভাবে বুঝাতে পারিনি ভাই। দয়া করে, এই পয়েন্টে কোনো সংশয় সৃষ্টি হলে আবার জানাবেন ইনশাআল্লাহ। ]

                              আপনার পরবর্তী বিষয়টি হলো-
                              র্বশেষ যে বিষয়টি বলতে চাই-পুলিশ,সেনাবাহিনীকে কেন তাগুত বলা হচ্ছে? এদের মাঝেও অনেক ভাল মুমিন মুসলিম আছে।কিন্তু তাদেরকেও মুরতাদ বলা হচ্ছে। জিহাদ সংক্রান্ত সংবাদে দেখতে পাই, আফগানিস্তানের মুসলিম সেনাদেরকে মুরতাদ আখ্যা দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। ওদের মধ্যেও তো মুমিন থাকতে পারে।

                              আমার জানামতে, পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে তাগুত বলার কারণ ২টি। একটি হলো তারা মানবরচিত আইনের প্রহরী। তাদের মাধ্যমে তাগুত সরকার মানবরচিত আইন বাস্তবায়ন করে।
                              দ্বিতীয়টি হলো- তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে কাফেরদের সহায়তাকারী। আর, মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে কাফেরদের সহায়তা করা কুফরে আকবার।

                              তাই তাদেরকে মূলত দলগতভাবে মুরতাদ বাহিনী বলা হয়। তবে, তাদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ মুসলিমও থাকতে পারে। এই কথাটি আপনি যেমন বলছেন, তেমনি মুজাহিদগণও বলেছেন।

                              আপনার পরবর্তী সংশয়টি হলো-

                              কারও মধ্যে যদি ৯৯টা কুফর থাকে আর ১টা ঈমানের বৈশিষ্ট্য থাকে তবুও থাকে কাফের বলতে আমাদের রাসূল (সাঃ) নিষেধ করেছেন।
                              এটি কুরআন-সুন্নাহর স্পষ্ট খেলাফ, সাহাবায়ে-কেরাম, তাবেঈ-তাবেঈনের মতের সম্পূর্ণ বিপরীত। কেননা সকল সাহাবায়ে কেরামের ইজমা অনুযায়ী ঐ সমস্ত ব্যক্তিদেরকে মুরতাদ ফতওয়া দেয়া হয়েছে, যারা ইসলামের সকল বিধান পালন করলেও শুধুমাত্র একটি পালনে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। যারা দাবি করেছে যাকাত রাসূলের সময় ছিল, এর হুকুম বর্তমানে বাকি নেই।
                              অনেকে বলে থাকেন, উপরোক্ত মতটি ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) এর, অথচ ইমাম আবূ হানীফা (রহঃ) ঐ ব্যক্তিদেরকে কাফের আখ্যায়িত করেছেন যারা আল্লাহ্*র সকল বিধান মানতো, নামায পড়তো, রোযা রাখতো, হজ্জ করতো, যাকাত দিতো, কিন্তু শুধুমাত্র বলতো কুরআন মাখলুক (অর্থাৎ, কুরআন কে তৈরি করা হয়েছে – অথচ আল্লাহর ‘কথা’ এর ব্যাপারে এমন উক্তি সরাসরি কুফরী)। ইবনে আবী হাতেম বর্ণনা করেন:
                              قال ابن أبي حاتم الحافظ ثنا أحمد بن محمد بن مسلم ثنا على ابن الحسن الكراعي قال: قال أبو يوسف: ناظرت أبا حنيفة ستة أشهر فاتفق رأينا على أن من قال: القرآن مخلوق فهو كافر
                              ইমাম আবূ ইউসুফ (রহঃ) বলেছেন, আমি ইমাম আবূ হানীফার সাথে ছয় মাস বাহাস (পর্যালোচনা) করেছি, অতঃপর আমরা একমত পোষণ করেছি যে, যে ব্যক্তি বলবে কুরআন মাখলুক সে কাফের। (ইমাম বায়হাকী (রহঃ) সহীহ সনদে এই আছারটি উল্লেখ করেছেন।) (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৪০ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]
                              আহমদ বিন কাসেম বিন আতিয়্যাহ্* বলেন:
                              قال أحمد بن القاسم بن عطية : سمعت أبا سليمان الجوزجاني يقول: سمعت محمد ابن الحسن يقول: والله لا أصلي خلف من يقول: القرآن مخلوق؛ ولا استفتي إلا أمرت بالإعادة. "كتاب العلو
                              ইমাম মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেছেন, আল্লাহ্*র শপথ আমি ঐ ব্যক্তির পিছনে নামায পড়ি না যে বলে কুরআন মাখলুক। (কেউ পড়লে) তাকে পুনরায় পড়ার আদেশ দিয়ে ফতওয়া প্রদান করি। (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৪০ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]
                              সুতরাং, উপরোক্ত মতটি যেভাবে বর্ণনা করা হয় তা আবূ হানীফা (রহঃ) এর মত হতে পারে না। আর যদি হয়েও থাকে, তার যে অর্থ নেয়া হয় সেটি সঠিক নয়। এর অর্থ হবে কেউ যদি একশটি কাজ করে, আর তার নিরান্নব্বইটি কাজই এমন যা অস্পষ্ট কুফরের উপস্থিতি প্রমাণ করে, কিন্তু একটি কাজ তাকে মুমিন হিসাবে সাব্যস্ত করে, তাহলে তাকে কাফের বলা যাবে না। কেননা ইসলাম হল ইয়াক্বীনী বিষয় যা সংশয় দ্বারা দূরীভূত হয় না।
                              আল্লামা কাশ্মীরী (রহঃ) বর্ণনা করেছেন:
                              وفي "الهندية" : إذا كان في المسألة وجوه توجب الكفر، ووجه واحد يمنع، فعلى المفتي أن يميل إلى ذلك الوجه، إلا إذا صرح بإرادة توجب الكفر، فلا ينفعه التأويل حينئذ
                              ফতওয়ায়ে হিন্দিয়ার মধ্যে এসেছে, যদি কোনো মাসআলায় এমন একাধিক বিষয় থাকে যা কুফরকে সাব্যস্ত করে, কিন্তু একটি বিষয় বিরত রাখে তখন মুফতির জন্য আবশ্যক হল সে মতটিই গ্রহণ করা। কিন্তু সে যদি তার ইচ্ছা স্পষ্টভাবে বর্ণনা করে এবং তা কুফরকে সাব্যস্ত করে, তাহলে আর কোনো ব্যাখ্যাই কাজে আসবে না। (ইকফারুল মুলহিদীন, পৃষ্ঠা-৫৯ প্রকাশনা:ইদারাতুল কুরআন, করাচী]

                              নির্দেশনা:
                              কুফরে বাওয়াহ তথা স্পষ্ট কুফরের দ্বারা মানুষ কাফের হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অন্য কোনো নেক আমলের দিকে লক্ষ্য করা হয় না।


                              ---
                              এই বিষয়টি আশা করি স্পষ্ট হয়েছে ভাই।

                              আপনার পরবর্তী কথা হলো হলো-
                              নিজদেশের সেনাসদস্যদের ওপর হামলা না করে যদি কুফুরি ঘাটিতে হামলা চালানো হয় তবে সেটাই কি উত্তম নয়?
                              আপনার এ কথার উত্তর সংক্ষেপে আদনান মারুফ ভাই দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। উনার কমেন্ট পড়ে নিলেই আশা করি বিষয়টি বুঝার কথা ইনশাআল্লাহ।

                              আপনার আরেকটি জিজ্ঞাসা হলো-
                              isis, আল কায়েদা এবং তালেবান এদের মধ্যে পার্থক্যগুলি কি কি ভাই?
                              এই বিষয়ে সংক্ষেপে বললে,

                              আইসিসকে তাদের বাতিল মতবাদের কারণে ও মুসলিমদের রক্তকে হালাল করে নেওয়ার কারণে উলামায়ে কেরামগণ খারেজী ফতোয়া প্রদান করেছেন। আইএসের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিংকের প্রকাশনাগুলো পড়ুন-- https://justpaste.it/Anti_IS

                              আল-কায়েদা ও তালেবান বর্তমান যুগের হক্বপন্থী মুজাহিদীন সংগঠনগুলোর অন্যতম। আর, তাদের পরস্পরের মাঝে সম্পর্ক হলো- আল-কায়েদা তালেবানের হাতে বায়াতবদ্ধ।


                              আপনার সর্বশেষ জানার বিষয় হলো-

                              কুফুরি বিশ্বের কথা বাদই দিলাম,মুসলিমরাই বা কেন মুজাহিদদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়?
                              এই বিষয়ে কী বলতে পারি ভাই? আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন, কেন তারা মুজাহিদগণকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যা দেয়! মনে রাখতে হবে, চোর কখনো চুরির অপরাধের শাস্তির কথাবার্তাও সহ্য করতে পারে না। ডাকাতির বিরুদ্ধে কথা বললে ডাকাত সহ্য করতে পারে না।
                              আর, মুসলিমরা আন্তর্জাতিক তথ্য সন্ত্রাসের শিকার। মিডিয়ার ধোঁকায় মুসলিমরা মুজাহিদীনকে ভুল বুঝছে। সংক্ষেপে এটুকুই বললাম ভাই। এসব প্রশ্নের বিস্তারিত আপনি মুজাহিদীনের বিভিন্ন প্রকাশনাসমূহ পড়লে বুঝবেন আশা করি ইনশাআল্লাহ।

                              ভুল হলে ক্ষমা করবেন, শুধরিয়ে দিবেন বলে প্রত্যাশা। আর, অধমের জন্য দোয়া করবেন ইনশাআল্লাহ।

                              Comment

                              Working...
                              X