Announcement

Collapse
No announcement yet.

কোন দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কোন দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়।

    কোন দোয়া তাড়াতাড়ি কবুল হয়।
    একজন আদর্শ মুমিন তার ভাইয়ের জন্য তাই পছন্দ করে যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে, সহিহ বুখারিতে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    لَايُؤْمِنُ أَحَدَكُمْ حَتَّی يُحِبَّ لِأَخِيهِ مَايُحِبُّ لِنَفْسِهِ
    " তোমাদের কেউ ততক্ষণ পযর্ন্ত পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না নিজের জন্য যা পছন্দ করে তা আপন ভাইয়ের জন্যও পছন্দ করে। (বুখারি:১৩)
    তাই এক মুমিন অপর মুমিনের জন্য তার অনুপস্থিতে দোয়া করে সে নিজের জন্য আল্লাহর কাছে যা চায় তার মুমিন ভাইয়ের জন্য তাই প্রার্থনা করে, এই দোয়ায় যেহেতু লৌকিকতার কোনো সুযোগ থাকেনা তাই এমন দোয়া খুবই ইখলাস ও নিষ্ঠাপূর্ণ হয় ফলে আল্লাহর দরবারে তা খুব দ্রুত কবুল হয়।
    সুনানে আবু দাউদে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    إِنَّ أَسْرَعَ الدُّعَاءِ إِجَابَةً دَعْوَةُ غَائِبٍ لِغَائِبٍ
    " সবচয়ে দ্রুত কবুল হওয়া দোয়া হলো, কারও অগোচরে তার জন্য দোয়া করে। (সুনানু আবি-দাউদ:১৫৩৫)
    প্রিয় ভাই! আপনি যখন আপনার ভাইয়ের তার অনুপস্থিতে দোয়া করেন এটি দ্রুত আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়, আর আপনার জন্য যদি আপনার কোনো ভাই আপনার অগোচরে দোয়া করে তাও আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। তাই মুমিন ভাইদের উচিত পরস্পরের জন্য দোয়া করা এবং অপর মুসলিম ভাইয়ের কাছে দোয়ার জন্য আবেদন করা। সুনানে আবু দাউদে এসেছে একবার উমরে ফারুক রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উমরা করার অনুমতিু চাইলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন এবং তাঁর কাছে দোয়ার আবেদন করে বললেন,
    لَاتَنْسَنَا يَا أُخَيَّ مِنْ دُعَائِكَ
    " হে আমার প্রিয় ভাই, তোমার দোয়ায় আমাকে ভুলে যেয়ো না।
    উমর রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম এর একথাটি আমাকে এতবেশি আনন্দিত করেছে যে,এর পরিবর্তে পুরো দুনিয়ার মালিক হয়ে গেলেও আমি এত খুশি হতাম না।
    (সুনানু আবি দাউদঃ১৪১৮)
    প্রিয় ভাই! আপনি যখন দোয়া করার জন্য আল্লাহর দরবারে হাত তুলেন তখন আপনার মুমিন ভাইয়ের জন্যও দোয়া করুন, মুসনাদে আহমদে বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে এসেছে জনৈক সাহাবি একবার দোয়া করেন, হে আল্লাহ! আপনি কেবল আমাকে এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম কে ক্ষমা করুন।তাঁর এই দোয়া শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াল্লাম বলেন :
    لَقَدْ حَجَبْتَهَا عَنْ نَاسٍ كَثِيرٍ
    " তুমি অনেক মানুষকে এই দোয়া থেকে বঞ্ছিত করেছ।
    (মুসনাদে আহমদ:৬৮৪৯)
    এই কথার মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে বুঝিয়ে দিলেন যে অন্যান্য মুসলিমদের দোয়া না করে শুধু নিজের জন্য দোয়া করে নিজের সাথে রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম কে শরিক করলেও এটা ইসলামের শিষ্টাচার নয়। ইসলাম চায় মুমিন নিজের জন্য যা পছন্দ করে অপর জন্যও তাই পছন্দ করুক।
    আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন আমি, ইয়া রব্বাল আলামিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

  • #2
    মাশাআল্লাহ
    চমৎকার আলোচনা করেছেন ।
    "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

    Comment


    • #3
      মাশাল্লাহ। ভাল লাগল।

      Comment

      Working...
      X