Announcement

Collapse
No announcement yet.

আপনি কি অহেতুক হাসি-ঠাট্টা করেন?

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আপনি কি অহেতুক হাসি-ঠাট্টা করেন?

    আপনি কি অহেতুক হাসি-ঠাট্টা করেন?

    অনেক অবুঝ ভাইকে দেখা যায় তারা সবসময় হাসি-ঠাট্টা নিয়ে ব্যস্ত থাকে, সহপাঠী বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশী কেও নিস্তার পায় না এদের হাত থেকে, তারা অন্যের দূর্বলতাগুলো গুনে গুনে রাখে সুযোগ পেলেই মানুষের সামনে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে অপমান করে। প্রিয় ভাই! আপনি কি জানেন কত বড় জঘন্য কাজ আপনি করছেন? কত বড় গুনাহের কাজে আপনি লিপ্ত হচ্ছেন, আপনি আপনার যে ভাইকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করছেন হয়তো সম্মান বাঁচাতে সেও আপনাদের সঙ্গে হাসছে, কিন্তু তার মনে কষ্টের যে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে তা আপনি কি ভাবে সাড়িয়ে তুলবেন। আপনি ভাবছেন সামান্য হাসি-ঠাট্টায় আর কি কষ্ট পাবে, কিন্তু হে ভাই আপনি ভুল ধারণায় আছেন একটু চিন্তা করে দেখুন সবার সামনে যদি কথা গুলো আপনাকে বলা হত আপনি কি সহ্য করতে পারতেন। প্রিয় ভাই! কাউকে হাসি-ঠাট্টা করে কষ্ট দেয়া মারাত্মক গুনা এমন বদ অভ্যাস থেকে আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিফাজত করুন।
    প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো কাউকে কষ্ট দিয়ে কথা বলতেন না, সুনানে তিরমিযীতে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:
    لَاتُمَارِ أَخَاكَ وَلَاتُمَازِحْهُ وَلَاتَعِدْهُ مَوْعِدًا فَتُخْلِفَهُ
    " তোমার ভাইয়ের সাথে অহেতুক বির্তক করবে না: তার সাথে হাসি-ঠাট্টা ও মশকরা করবে না এবং তার সাথে কোনো ওয়াদা করার পর তা ভঙ্গ করবে না।
    (সুনানুত তিরমিজিঃ ১৯৯৫)
    প্রিয় ভাই! হাসি-ঠাট্টা কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না নিজে ঠাট্টা মশকারি করলে অনেক সময় তা সম্পর্ক নষ্টের কারণ হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও ভালোবাসা কমে যায়। তাই একজন আদর্শ মুমিন অতিরিক্ত হাসি-ঠাট্টা থেকে বেঁচে থাকে, আপনার ভাইয়ের মাঝে কোনো সুন্দর গুণ থাকলে তার প্রশংসা করুন তার দোষত্রুটি নিয়ে সবার সামনে হাসি-ঠাট্টা না করে গোপনে তা শুধরে দিন আল্লাহ আপনাকে মানুষের মাঝে সম্মানিত করবেন।াপপনি যদি মুসলিম ভাইয়ের দোষ মানুষের মাঝে প্রকাশ করে দেন তাহলে আল্লাহ আপনাকে লাঞ্ছিত করবেন। সুনানে ইবনে মাজাহ বর্ণিত একটি সহিহ হাদিসে এসেছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
    مَنْ سَتَرَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ سَتَرَاللَّهُ عَوْرَتَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْكَشَفَ عَوْرَةَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ كَشَفَ اللَّهُ عَوْرَتَهُ حَتَّی يَفْضَحَهُ بِهَا فِي بَيْتِهِ
    " যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ গোপন করে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন। যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের দোষ প্রকাশ করে আল্লাহ তাআলা তার দোষ প্রকাশ করে দেবেন। এমনকি তাকে আপন ঘর পর্যন্ত লাঞ্ছিত করবেন।
    ( সুনানু ইবনে মাজাহ: ২৫৪৬)
    প্রিয় ভাই! আমার যদি একটি সুন্দর পরিছন্ন ও সম্মানজনক জীবন চাই তাহলে মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের ভালোবাসা পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে পরস্পরের কল্যাণকামী হতে হবে সবার ইজ্জত ও সম্মানের দিকে খিয়াল রেখে আমাদের চলতে হবে।
    আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দিন আমিন, ইয়া রব্বাল আলামিন।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

  • #2
    জি ভাই আমাদের অহেতুক সকল কাজ পরিহার করা উচিত এটাই একজন মুমিনের অলংকার।
    জিহাদই হলো মুমিন ও মুনাফিকের মাঝে
    পার্থক্যকারী একটি ইবাদাহ

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ, চেষ্টা করি। তবে অনেক সময়ই ব্যর্থ হই।

      Comment

      Working...
      X