Announcement

Collapse
No announcement yet.

মিজানুর রহমান আজহারী সম্পর্কে

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • মিজানুর রহমান আজহারী সম্পর্কে

    আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাইয়েরা।

    মিজানুর রহমান আজহারীর মতে-

    বিল ক্লিনটনের আবিষ্কার- তালেবান
    বুশের আবিষ্কার- আল কায়েদা
    বারাক ওবামার আবিষ্কার- আইএস

    মুসলিমরা সন্ত্রাস এই কথা প্রসঙ্গে উনি এ কথা বলেছেন।তবে জিহাদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন।

    ওনার ব্যাপারে আপনাদের মতামত জানতে চাচ্ছি।

    জাযাকাল্লাহ।

  • #2
    আশাকরি ভাইয়েরা সাড়া দিবেন,ইনশাআল্লাহ।
    ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

    Comment


    • #3
      আখি, তালিবান, আল কায়দা, আইএস। তিনটি সংগঠনের মধ্যে এমন কি একজন আলিমও নেই যারা কথিত লোকদের থেকে বেশি জানে???? আনোওয়ার লাকী, শাইখের ইলম!!! প্রচলিত বক্তাদের থেকে কম ছিলো??? শাইখের ডিগ্রি কম ছিলো? শাইখকে ইউএস ড্রোন আক্রমণ করে শহিদ করে দেয়! তাজলে কথাটা কেমন??? যাদের জন্য কাজ করি তারাই আমাকে হত্যা হত্যা করে??? নাউজুবিল্লাহ। আল্লাহ আমাদের মওদুদিবাদ থেকে হিফাজত করুন আমীন।
      ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

      Comment


      • #4

        আসলে তিনি নিজেই আমেরিকারে তৈরি মডারেট মুসলিম। যাক, তারপরও তার দ্বারা যেহেতু অনেক মানুষ হেদায়াত পাচ্ছে তাই তার যতটুকু ভালো ততটুকুকে আমরা ভালো বলবো, আর যা কিছু খারাপ তাকে খারাপ বলবো। ভুলগুলো দলিলের আলোকে তুলে ধরবো। তবে কোন সীমালঙ্ঘন করবো না। বরং আল্লাহ তায়ালার এ বাণী স্মরণ রাখবো,

        وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى

        “কোন জাতির সাথে শত্রুতা যেন তোমাদেরকে বেইনসাফীর প্রতি উদ্বুদ্ধ না করে। বরং তোমরা ইনসাফ করো, তা তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী।” -সূরা মায়েদা, ৮

        অর্থাৎ আমরা আমাদের নিজস্ব ঘরানার আলেমদের (কওমি/সালাফী) ভুলগুলোর ক্ষেত্রে যে কর্মপন্থা অবলম্বন করি, ভুলগুলো ধরে দেয়ার পাশাপাশি যতটুকু সম্মান তাঁদেরকে প্রদর্শন করি, তাকেও ততটুকু প্রদান করবো, তিনি ভিন্ন ঘরানার অর্থাৎ আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও জামাতপন্থী হওয়ার কারণে তার সাথে ভিন্ন আচরণ করবো না।

        এটি সকল মুসলমানের প্রতি ওয়ালার অন্তর্ভুক্ত। আফসোসের বিষয়, আমাদের কওমি আলেমগণ ওয়ালা-বারার শিক্ষা ভুলে যাওয়ার কারণে তার মতো একজন মুসলিমের বিপক্ষে তাগুতের দরবারে নালিশ করেছেন। তিনি জামাতপন্থী হওয়া, তার ওয়াজে বিপুল পরিমাণ লোকসমাগম হওয়া ইত্যাদি কারণে সরকার তো তার বিপক্ষে ব্যবস্থা নিতোই এবং এ বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে সংসদে আলোচনাও করেছিলো। কিন্তু তার আগেই হুজুররা তার বিপক্ষে অভিযোগ করে শুধু শুধু দেশের মানুষের নিকট সমালোচিত হয়েছেন। আসলে ওয়ালা-বারার মাসয়ালা ঠিক না হলে এধরণের বিচ্যুতি ঘটতেই থাকবে।

        এরচেয়েও দুঃখজনক হলো, কোনো কোন কওমি আলেমের কথায় তো আযহারী সাহেবের মাহফিলে অধিক লোক-সমাগমের কারণে হিংসার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে। যেমন তাদের একজন বলেছেন, “যদি বৃষ্টি না হতো তাহলে লোকসংখ্যা দেখিয়ে দিতাম।” নাউযুবিল্লাহ।

        আসলে কওমি আলেমগণের বয়ান বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী, যয়ীফ-মউযু হাদিস ও দুর্বোধ্য মা’রেফাতের আলোচনায় ভরপুর থাকে। পক্ষান্তরে আযহারী, জাকির নায়েক এদের ওয়াজ জীবন-ঘনিষ্ঠ ও কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হয়ে থাকে, যার কারণে পাবলিক তাদের বয়ানের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, তা থেকে বেশি উপকৃত হয়। কওমি আলেমদের উচিত নিজেদের এ ঘাটতি পূরণ করার দিকে মনোযোগী হওয়া। তা না করে অযাচিত বিরোধিতা করলে শুধু দিন দিন নিজেদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত হতে থাকবে।
        الجهاد محك الإيمان

        জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

        Comment


        • #5
          সত্য সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও সবাই সত্যের জন্য উপযুক্ত না। কথাটি আযহারির মতো যত মডারেট মোল্লারা আছে, তাদের সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

          আমি আলেমগণের বিরোধিতা করিনা। তাঁদের ভুল ধরতেও উন্মুখ না। তাঁরা তো নবীর ওয়ারিস। তাঁরাই তো দ্বীনে হক্কের ধারক-বাহক। তাঁদের ভুল ধরতে যাবো আমরা! মাআযাল্লাহ।

          তবে দরবারি ও অন্ধ মোল্লারা? তারা তো নবীর ওয়ারিসই নয়। জাস্ট দাওরা বা ইফতা সম্পন্ন হতে পারে। ওরা আমাদের রোল-মডেল বা অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারেনা। অবশ্য তাদের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করবোনা। ওদেরকে ওদের তাকদিরের উপর ছেড়ে দেব। লাঞ্চনা যার প্রাপ্য, সে লাঞ্চিত হবেই, বি-ইযনিল্লাহ।

          প্রসঙ্গক্রমে "শাইখ সিফাত হাসান" নামের এক লোক এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ছেলের কথাই ধরি। ওরা শাইখ তামিম আল আদনানী হাফি. এর সম্পর্কে বাজে বকেছিল, বিরূপ মন্তব্য ও মন্দ ধারণা ছড়িয়েছিল। তো তাদের সেই ভিডিওর কমেন্টগুলা দেখলে হৃদয়টা জুড়িয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ। শতাদিক কমেন্টের সবগুলা কমেন্টই তাদেরকে ঝাড়ু-পিটা করেছে। আর ট্যাগ ও সম্ভাষণ! সেটা তো আছেই।

          তো যাইহোক, এটা তাদের প্রাপ্যই ছিলো। ঐ কমেন্টগুলোও কিন্তু আমাদের ভিতরকার ভাইদের না। আম লোকদের কমেন্টই অধিকাংশ। আবার শাইখ আবু বকর জাকারিয়া! তার আলোচনার কমেন্টগুলার কথা না হয় বাদই দিলাম।

          আসলে হক্বের কাফেলা চলমান। কেউ বিরোধিতা করে জুতাপেটা খাবে, আবার কেউ শরীক হয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এটাই দ্বীন, দ্বীনে হক্ব।

          আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
          হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

          Comment


          • #6
            Originally posted by আদনানমারুফ View Post

            তিনি যে, মডারেট মুসলিম তা তার একটি কথাই থেকে সুস্পষ্ট। যাক, তারপরও তার দ্বারা যেহেতু অনেক মানুষ হেদায়াত পাচ্ছে তাই তার যতটুকু ভালো ততটুকুকে আমরা ভালো বলবো, আর যা কিছু খারাপ তাকে খারাপ বলবো। ভুলগুলো দলিলের আলোকে তুলে ধরবো। তবে কোন সীমালঙ্ঘন করবো না। বরং আল্লাহ তায়ালার এ বাণী স্মরণ রাখবো,

            وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى

            “কোন জাতির সাথে শত্রুতা যেন তোমাদেরকে বেইনসাফীর প্রতি উদ্বুদ্ধ না করে। বরং তোমরা ইনসাফ করো, তা তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী।” -সূরা মায়েদা, ৮

            অর্থাৎ আমরা আমাদের নিজস্ব ঘরানার আলেমদের (কওমি/সালাফী) ভুলগুলোর ক্ষেত্রে যে কর্মপন্থা অবলম্বন করি, ভুলগুলো ধরে দেয়ার পাশাপাশি যতটুকু সম্মান তাঁদেরকে প্রদর্শন করি, তাকেও ততটুকু প্রদান করবো, তিনি ভিন্ন ঘরানার অর্থাৎ আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ও জামাতপন্থী হওয়ার কারণে তার সাথে ভিন্ন আচরণ করবো না।

            এটি সকল মুসলমানের প্রতি ওয়ালার অন্তর্ভুক্ত। আফসোসের বিষয়, আমাদের কওমি আলেমগণ ওয়ালা-বারার শিক্ষা ভুলে যাওয়ার কারণে তার মতো একজন মুসলিমের বিপক্ষে তাগুতের দরবারে নালিশ করেছেন। তিনি জামাতপন্থী হওয়া, তার ওয়াজে বিপুল পরিমাণ লোকসমাগম হওয়া ইত্যাদি কারণে সরকার তো তার বিপক্ষে ব্যবস্থা নিতোই এবং এ বিষয়টি তারা ইতোমধ্যে সংসদে আলোচনাও করেছিলো। কিন্তু তার আগেই হুজুররা তার বিপক্ষে অভিযোগ করে শুধু শুধু দেশের মানুষের নিকট সমালোচিত হয়েছেন। আসলে ওয়ালা-বারার মাসয়ালা ঠিক না হলে এধরণের বিচ্যুতি ঘটতেই থাকবে।

            এরচেয়েও দুঃখজনক হলো, কোনো কোন কওমি আলেমের কথায় তো আযহারী সাহেবের মাহফিলে অধিক লোক-সমাগমের কারণে হিংসার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে। যেমন তাদের একজন বলেছেন, “যদি বৃষ্টি না হতো তাহলে লোকসংখ্যা দেখিয়ে দিতাম।” নাউযুবিল্লাহ।

            আসলে কওমি আলেমগণের বয়ান বানোয়াট কেচ্ছা-কাহিনী, যয়ীফ-মউযু হাদিস ও দুর্বোধ্য মা’রেফাতের আলোচনায় ভরপুর থাকে। পক্ষান্তরে আযহারী, জাকির নায়েক এদের ওয়াজ জীবন-ঘনিষ্ঠ ও কুরআন-সুন্নাহ ভিত্তিক হয়ে থাকে, যার কারণে পাবলিক তাদের বয়ানের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়, তা থেকে বেশি উপকৃত হয়। কওমি আলেমদের উচিত নিজেদের এ ঘাটতি পূরণ করার দিকে মনোযোগী হওয়া। তা না করে অযাচিত বিরোধিতা করলে শুধু দিন দিন নিজেদের সম্মানই ভূলুণ্ঠিত হতে থাকবে।
            মাশা আল্লাহ মুহতারাম আদনান মারুফ ভাই! খুবি চমৎকার ও উপকারী আলোচনা করেছেন, আল্লাহ তায়ালা তিনার শান অনুযায়ী আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন!
            হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

            Comment


            • #7
              Originally posted by আহমাদ সালাবা View Post
              সত্য সবার জন্য উন্মুক্ত হলেও সবাই সত্যের জন্য উপযুক্ত না। কথাটি আযহারির মতো যত মডারেট মোল্লারা আছে, তাদের সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

              আমি আলেমগণের বিরোধিতা করিনা। তাঁদের ভুল ধরতেও উন্মুখ না। তাঁরা তো নবীর ওয়ারিস। তাঁরাই তো দ্বীনে হক্কের ধারক-বাহক। তাঁদের ভুল ধরতে যাবো আমরা! মাআযাল্লাহ।

              তবে দরবারি ও অন্ধ মোল্লারা? তারা তো নবীর ওয়ারিসই নয়। জাস্ট দাওরা বা ইফতা সম্পন্ন হতে পারে। ওরা আমাদের রোল-মডেল বা অনুকরণীয় আদর্শ হতে পারেনা। অবশ্য তাদের ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করবোনা। ওদেরকে ওদের তাকদিরের উপর ছেড়ে দেব। লাঞ্চনা যার প্রাপ্য, সে লাঞ্চিত হবেই, বি-ইযনিল্লাহ।

              প্রসঙ্গক্রমে "শাইখ সিফাত হাসান" নামের এক লোক এবং আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফের ছেলের কথাই ধরি। ওরা শাইখ তামিম আল আদনানী হাফি. এর সম্পর্কে বাজে বকেছিল, বিরূপ মন্তব্য ও মন্দ ধারণা ছড়িয়েছিল। তো তাদের সেই ভিডিওর কমেন্টগুলা দেখলে হৃদয়টা জুড়িয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ। শতাধিক কমেন্টের সবগুলা কমেন্টই তাদেরকে ঝাড়ু-পিটা করেছে। আর ট্যাগ ও সম্ভাষণ! সেটা তো আছেই।

              তো যাইহোক, এটা তাদের প্রাপ্যই ছিলো। ঐ কমেন্টগুলোও কিন্তু আমাদের ভিতরকার ভাইদের না। আম লোকদের কমেন্টই অধিকাংশ। আবার শাইখ আবু বকর জাকারিয়া! তার আলোচনার কমেন্টগুলার কথা না হয় বাদই দিলাম।

              আসলে হক্বের কাফেলা চলমান। কেউ বিরোধিতা করে জুতাপেটা খাবে, আবার কেউ শরীক হয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। এটাই দ্বীন, দ্বীনে হক্ব।

              আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
              আমীন আমীন আমীন ! বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার-রহিমীন!
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment


              • #8
                ড. জাকির নায়িক বিতর্কিত হবার একটি কারণ হল তিনি বিন লাদেনকে সমর্থন করেছেন এবং প্রতিটি মুসলিমের বিন লাদেনের মত হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।উইকিপিডিয়াতে এমনটিই আছে।সেজন্যই হয়তো আজ হকপন্থী একজন আলেম নিষিদ্ধ।

                Comment


                • #9
                  আজকের এই পরিস্থিতিতে আমাদের আলেম সমাজ উম্মাহ'র পাশে কমই দেখছি। আজ মানুষ করোনা নয় বরংছ না খেয়ে মরার উপক্রম। আমাদের হাজারো আলিম আছেন যাদের টাকার পরিমাণ কোটি ছাড়াবে কিন্তু আমরা তাদের দানশীল হিসেবে দেশে কমই দেখছি। আমাদের যদি এরকম সামর্থ্য থাকতো তাহলে আমরা প্রকাশ্যে গরিবদের পাশে দাড়াতাম।
                  والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

                  Comment


                  • #10
                    Originally posted by খুররাম আশিক View Post
                    আজকের এই পরিস্থিতিতে আমাদের আলেম সমাজ উম্মাহ'র পাশে কমই দেখছি। আজ মানুষ করোনা নয় বরংছ না খেয়ে মরার উপক্রম। আমাদের হাজারো আলিম আছেন যাদের টাকার পরিমাণ কোটি ছাড়াবে কিন্তু আমরা তাদের দানশীল হিসেবে দেশে কমই দেখছি। আমাদের যদি এরকম সামর্থ্য থাকতো তাহলে আমরা প্রকাশ্যে গরিবদের পাশে দাড়াতাম।

                    বড় সত্য বলেছেন ভাই।
                    হে মু'মিনগণ! তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও।

                    Comment


                    • #11
                      Originally posted by খুররাম আশিক View Post
                      আজকের এই পরিস্থিতিতে আমাদের আলেম সমাজ উম্মাহ'র পাশে কমই দেখছি। আজ মানুষ করোনা নয় বরংছ না খেয়ে মরার উপক্রম। আমাদের হাজারো আলিম আছেন যাদের টাকার পরিমাণ কোটি ছাড়াবে কিন্তু আমরা তাদের দানশীল হিসেবে দেশে কমই দেখছি। আমাদের যদি এরকম সামর্থ্য থাকতো তাহলে আমরা প্রকাশ্যে গরিবদের পাশে দাড়াতাম।
                      ভাই, তারা নিজেদের গাটের টাকা খরচ করে গরীবদের খাওয়াবে?!! তারা তো ব্যাংকে মাদ্রাসার কোটি কোটি টাকা জমিয়ে রেখে মাদ্রাসার ছাত্রদের শুধু ডাল-নিরামিশ খাওয়ায়। তারাই আবার আমাদেরকে তাওয়াক্কুলের ওয়াজ করে। আমাদেরকে পড়ানো হয়, স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করা তাওয়াক্কুলের খেলাফ। তাই স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা না করে ফাসেক-বেদ্বীনদের কাছে কালেকশন-ভিক্ষা করতে হবে। সত্যিই বড় আশ্চর্য তাদের তাওয়াক্কুল।

                      আসলে তাদের জিহাদ বিরোধীতার বড় একটি কারণ, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুলের ঘাটতি। তাই তারা বাহ্যিক আসবাব-উপকরণেরই হিসেব-নিকেশ করে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেন, এখন কাফেরদের সাথে আমাদের মোকাবেলার সামর্থ্য নেই। যেমনিভাবে খন্দকের যুদ্ধের দিন মুনাফিকরা বলেছিলো,
                      يَا أَهْلَ يَثْرِبَ لَا مُقَامَ لَكُمْ فَارْجِعُوا

                      হে মদীনাবাসী, আজ তোমাদের টিকে থাকার কোন সুযোগ নেই। অতএব তোমরা ফিরে যাও। -সুরা আহযাব, ১৩

                      অথচ আল্লাহ তায়ালা বদরে ফেরেশতাদের মাধ্যমে সাহায্য করার পর সুস্পষ্টরূপে জানিয়ে দিয়েছেন, ফেরেশতা পাঠানো হয়েছে, শুধুমাত্র মুসলমানের অন্তরের প্রশান্তির জন্য, নতুবা
                      وَمَا النَّصْرُ إِلَّا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ

                      বিজয় তো শুধু আল্লাহর তরফ হতেই। -আলে ইমরান, ১২৬ আনফাল, ৮

                      ইবনে তাইমিয়াহ রহ. যথার্থই বলেছেন, “জিহাদের মাঝেই সবর, তাওয়াক্কুলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় এবং আল্লাহ তায়ালার মহব্বত, সবর, তাওয়াক্কুল সহ এ ধরণের যত ভালো অবস্থা-মাকাম রয়েছে (যেগুলো অর্জনের জন্য পীরেরা খানকা প্রতিষ্ঠা করে) সবগুলোই জিহাদের মাঝে সর্বোচ্চ মাত্রায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।” -মাজমাউল ফাতাওয়া, ২৮/৪৪১
                      الجهاد محك الإيمان

                      জিহাদ ইমানের কষ্টিপাথর

                      Comment


                      • #12
                        যতটুকু জানতে পারছি আলেম উলামারা সাধারণ মানুষের যথেষ্ট সহায়তা করছেন। নিজের পকেট থেকেই হোক আর অন্যের থেকে কালেকশান করেই হোক দুর্দিনে আলেম উলামাদের এ ভূমিকা দরকার ছিল এবং প্রশংসনীয়। পক্ষান্তরে সরকারি ত্রাণ দলীয় লোকেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়ে যাচ্ছে। একেক জন চেয়ারম্যানের ঘরে টনের টন চাল পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি গ্যালনের গ্যালন তেলও চুরি করছে। পক্ষান্তরে আলেম উলামারা যা দিচ্ছেন জনসাধারণ সঠিকভাবে পাচ্ছে।

                        Comment


                        • #13
                          আলেম হল বিরিয়ানির মতো, সামান্য নষ্ট হলে ফেলে দিতে হয় । কিন্তু সাধারণ মানুষ হল পান্থা ভাতের মত, সামান্য নষ্ট হলেও ধুয়ে খাওয়া যায় । সেজন্য আলেমদের কে খুব সতর্ক থাকার দরকার ।
                          "জিহাদ ঈমানের একটি অংশ ৷"-ইমাম বোখারী রহিমাহুল্লাহ

                          Comment


                          • #14
                            আজহারি সাব(সাহেব) , যে কথা গুলো বলেছে সে কথা গুলো আমরা মানতে পারব না । কারন(কারণ) যে কেউ কিছু বলে দলিল দিতে হবে , উপবাদ(অপবাদ) দিলে হবে না , আজহারি সাব উপবাদ দিয়েছে । দলিল দেয় নি
                            আল্লাহ তায়ালা আজহারি সাব সহ সমস্ত মুটারেড(মডারেট) আলেম দের কে সঠিক বুঝ দান করুক আমিন।

                            Comment


                            • #15
                              মাশাল্লাহ। বেশ সুন্দর আলোচনা।

                              Comment

                              Working...
                              X