হতেপারে এটিই আপনার শেষ রামাদান।
বিশ্ব জুড়ে এই দুর্যোগ দূর্ভিক্ষ আর মহামারির মাঝেও সময় থেমে নেই। লকডাউনে পৃথিবী স্থির হয়ে গেলেও সময় চলছে তার আপন গতিতে, আমরা পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছি কবরের দিকে, সময়ের পুজিঁ ফুরিয়ে যাচ্ছে আখেরাতের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রমস নিঃশ্বেস হয়ে আসছে। কত মানুষ আমাদের চোখের সামনেই পারি জমাচ্ছে কবর জগতে একদিন আমাদেরও পালা আসবে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে আমলের খাতা, তখন চাইলেও দু'রাকাত সালাত আদায় করা যাবে না, দুটো পয়সা সাদাকা করা যাবে না, ঠোট নাড়িয়ে একবার সুবাহানাল্লাহ পড়ার সুযোগও আমরা আর পাবনা, আফসোস কেবল আফসোস ছাড়া সে দিন কিছুই করার থাকবে না। মৃত্যু যখন আমাদের দোরগোড়ায় এসে যাবে তখন এক মূহুর্তও এদিক ওদিক হবেনা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلُۖ فَإِذَاجَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةٌۖ وَلَايَسْتَقْدِمُونَ
" আর প্রত্যেক জাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যখন তাদের সেই সময় চলে আসে তখন তার তা এক মুহূর্তও আগ-পিছ করতে পারে না। ' (সূরা আরাফ, ৭:৩৪)
একবার মৃত্যুর সীমানায় প্রবেশ করার পর সেখান থেকে ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। হঠাৎ নিষ্ঠুর মৃত্যু যখন কারোর দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াবে তখন তার আফসোসের শেষ থাকবেনা। হয়...! ঈমান আনার সুযোগ তো,শেষ হয়েগেল। আমল করার সময় তো,শেষ হয়েগেল। তাওবা করার সময় তো,শেষ হয়েগেল। আমার গুণাহ মাফ করানোর সুযোগ তো,হাত ছাড়া হয়েগেল। জাহান্নামের পাড়ে দাড়িঁয়ে মানুষ হাহাকার করে বলে উঠবে,
يَٰلَيْتَنَانُرَدُّوَلَا نُكَذِّبَ بِئَايَٰتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
" হায় আফসোস! আমাদের যদি আবার দুনিয়াতে ফেরত পাঠানো হতো! তাহলে আমরা আমাদের রবের নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করতাম না এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতাম।' ( সূরা আনফাল, ৬: ২৭)
জাহান্নামের অবর্ণনীয় আজাবে অতিষ্ঠীত হয়ে মানুষ বার বার আল্লাহর কাছে আবেদন করবে। হে আল্লাহ! আমাদের আরেকটি বার সুযোগ দিন আমরা নেক আমল করে আসব, আল্লাহ তায়আলা বলেন,
وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَٰلِحًاغَيْرَالَّذِی كُنَّانَعْمَلُۚ
" সেখানে তারা আর্তচিৎকার করে বলবে, 'হে আমাদের রব! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করুন। আমরা নেক আমল করব-আগে যা করতাম তা আর করব না। ' (সূরা ফতির, ৩৫: ৩৭)
তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন,
أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّايَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيرُۖ فَذّوقُواْ فَمَالِلظّٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٍ
" আমি কি তোমাদের এতটুকু বয়স দিইনি, যে সময়ের মধ্যে কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারে? আর তোমাদের কাছে তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং আজাব ভোগ করো। জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।' (সূরা ফাতির, ৩৫: ৩৭)
প্রিয় ভাই! কুরআনের এই স্পষ্ট সর্তকবার্তা শুনার পরেও কি আপনি সর্তক হবেন না? গাফলতি ও অবহেলায় জোয়ারে বেশে বেশে একটির পর একটি বছর কেঁটে যাচ্ছে। আপনার সময়ও ফুঁরিয়ে আচ্ছে আপনি আর কবে সর্তক হবেন।
ভাই আমার! একটু মনে করে দেখুন গত রমাদান আপনি কিভাবে কাঁটিয়েছেন? এই রমাদানেও আপনি ওভাবে হেলায় ফেলায় কাঁটিয়ে দিবেন! আপনাকে এই নিশ্চয়তা কে দিয়েছে যে আপনি আরো একটি বছর বেঁচে থাকবেন। আগামি বছর আপনি রমাদান আবার পাবেন, বলুন আপনাকে কে এই গ্যারান্টি দিয়েছে? আগামি বছর রমাদানে আপনি সুস্থ থাকেন! আমল করার মত ফুর্রসত পাবেন। তো, কিসের ভরসায় আপনি জীবনের পুঁজিগুলো নিঃশ্বোস করছেন? কিসের আশায় আপনি গুণাহ করে যাচ্ছেন? কত গুণাহ করলে আপনার পেটভরবে? আর কত সময় নষ্ট করলে আপনার বোধোদয় হবে? আর কত মানুষকে মরতে দেখলে আপনি সচেতন হবেন? আপনাকে কেই নিশ্চয়তা দিয়েছে যে আপনি তাওবার সুযোগ পাবেন।
ভাই আমার! আপনি সেই লোকগুলোর কথা সরণ করোন যারা গতবছর আপনার সঙ্গে সওম পালন করেছিল, আপনার সঙ্গে ঈদের জামাতে শরিক হয়েছিল কিন্তু তারা আজ দুনিয়ায় নেই। আর কোনো দিন তারা রমাদান পাবেনা, আর কোনো দিন তারা তাওবা করতে পারবে না, আর কখনো তারা দু'রাকাত নফল সালাত আদায় করার সুযেগ পাবেনা। '
প্রিয় ভাই! দুনিয়ার চলমান অবস্থা আপনি নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন। প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। আপনি বুঝতে পারছেন না? কিভাবে চোখের সামনে একের পর এক বিপর্য নেমে আচ্ছে। সুত ছিড়ে যাওয়া তাসবির দানার মত ফিতনা একের পর এক খসে পড়ছে। পরিস্থিতির প্রতি গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন এক কঠিন পরিনতীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, আমরা কেউ জানিনা অনাগত দিনগুলো কতটা কঠিন হবে। তাই সময় থাকতেই কিছু পাথেও সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। হায়াতের পুঁজি শেষ না হতেই কিছু আমল করে নিন, অতীতের গুণাহগুলো মাফ করে নিন।
প্রিয় ভাই! গাফলতি অনেক হয়েছে এই রমাদানে হলেও অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। হতে পারে এটিই আপনার জীবনের শেষ রমাদান। হতেপারে এটিই আপনার ও আমার জীবনের শেষ রমাদান।
বিশ্ব জুড়ে এই দুর্যোগ দূর্ভিক্ষ আর মহামারির মাঝেও সময় থেমে নেই। লকডাউনে পৃথিবী স্থির হয়ে গেলেও সময় চলছে তার আপন গতিতে, আমরা পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছি কবরের দিকে, সময়ের পুজিঁ ফুরিয়ে যাচ্ছে আখেরাতের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় প্রমস নিঃশ্বেস হয়ে আসছে। কত মানুষ আমাদের চোখের সামনেই পারি জমাচ্ছে কবর জগতে একদিন আমাদেরও পালা আসবে চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে আমলের খাতা, তখন চাইলেও দু'রাকাত সালাত আদায় করা যাবে না, দুটো পয়সা সাদাকা করা যাবে না, ঠোট নাড়িয়ে একবার সুবাহানাল্লাহ পড়ার সুযোগও আমরা আর পাবনা, আফসোস কেবল আফসোস ছাড়া সে দিন কিছুই করার থাকবে না। মৃত্যু যখন আমাদের দোরগোড়ায় এসে যাবে তখন এক মূহুর্তও এদিক ওদিক হবেনা, আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَلِكُلِّ أُمَّةٍ أَجَلُۖ فَإِذَاجَآءَ أَجَلُهُمْ لَا يَسْتَأْخِرُونَ سَاعَةٌۖ وَلَايَسْتَقْدِمُونَ
" আর প্রত্যেক জাতির জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। যখন তাদের সেই সময় চলে আসে তখন তার তা এক মুহূর্তও আগ-পিছ করতে পারে না। ' (সূরা আরাফ, ৭:৩৪)
একবার মৃত্যুর সীমানায় প্রবেশ করার পর সেখান থেকে ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। হঠাৎ নিষ্ঠুর মৃত্যু যখন কারোর দোরগোড়ায় এসে দাঁড়াবে তখন তার আফসোসের শেষ থাকবেনা। হয়...! ঈমান আনার সুযোগ তো,শেষ হয়েগেল। আমল করার সময় তো,শেষ হয়েগেল। তাওবা করার সময় তো,শেষ হয়েগেল। আমার গুণাহ মাফ করানোর সুযোগ তো,হাত ছাড়া হয়েগেল। জাহান্নামের পাড়ে দাড়িঁয়ে মানুষ হাহাকার করে বলে উঠবে,
يَٰلَيْتَنَانُرَدُّوَلَا نُكَذِّبَ بِئَايَٰتِ رَبِّنَا وَنَكُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ
" হায় আফসোস! আমাদের যদি আবার দুনিয়াতে ফেরত পাঠানো হতো! তাহলে আমরা আমাদের রবের নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করতাম না এবং আমরা মুমিনদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যেতাম।' ( সূরা আনফাল, ৬: ২৭)
জাহান্নামের অবর্ণনীয় আজাবে অতিষ্ঠীত হয়ে মানুষ বার বার আল্লাহর কাছে আবেদন করবে। হে আল্লাহ! আমাদের আরেকটি বার সুযোগ দিন আমরা নেক আমল করে আসব, আল্লাহ তায়আলা বলেন,
وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيهَا رَبَّنَآ أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَٰلِحًاغَيْرَالَّذِی كُنَّانَعْمَلُۚ
" সেখানে তারা আর্তচিৎকার করে বলবে, 'হে আমাদের রব! আমাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করুন। আমরা নেক আমল করব-আগে যা করতাম তা আর করব না। ' (সূরা ফতির, ৩৫: ৩৭)
তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন,
أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُم مَّايَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تَذَكَّرَ وَجَآءَكُمُ النَّذِيرُۖ فَذّوقُواْ فَمَالِلظّٰلِمِينَ مِن نَّصِيرٍ
" আমি কি তোমাদের এতটুকু বয়স দিইনি, যে সময়ের মধ্যে কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারে? আর তোমাদের কাছে তো সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং আজাব ভোগ করো। জালেমদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই।' (সূরা ফাতির, ৩৫: ৩৭)
প্রিয় ভাই! কুরআনের এই স্পষ্ট সর্তকবার্তা শুনার পরেও কি আপনি সর্তক হবেন না? গাফলতি ও অবহেলায় জোয়ারে বেশে বেশে একটির পর একটি বছর কেঁটে যাচ্ছে। আপনার সময়ও ফুঁরিয়ে আচ্ছে আপনি আর কবে সর্তক হবেন।
ভাই আমার! একটু মনে করে দেখুন গত রমাদান আপনি কিভাবে কাঁটিয়েছেন? এই রমাদানেও আপনি ওভাবে হেলায় ফেলায় কাঁটিয়ে দিবেন! আপনাকে এই নিশ্চয়তা কে দিয়েছে যে আপনি আরো একটি বছর বেঁচে থাকবেন। আগামি বছর আপনি রমাদান আবার পাবেন, বলুন আপনাকে কে এই গ্যারান্টি দিয়েছে? আগামি বছর রমাদানে আপনি সুস্থ থাকেন! আমল করার মত ফুর্রসত পাবেন। তো, কিসের ভরসায় আপনি জীবনের পুঁজিগুলো নিঃশ্বোস করছেন? কিসের আশায় আপনি গুণাহ করে যাচ্ছেন? কত গুণাহ করলে আপনার পেটভরবে? আর কত সময় নষ্ট করলে আপনার বোধোদয় হবে? আর কত মানুষকে মরতে দেখলে আপনি সচেতন হবেন? আপনাকে কেই নিশ্চয়তা দিয়েছে যে আপনি তাওবার সুযোগ পাবেন।
ভাই আমার! আপনি সেই লোকগুলোর কথা সরণ করোন যারা গতবছর আপনার সঙ্গে সওম পালন করেছিল, আপনার সঙ্গে ঈদের জামাতে শরিক হয়েছিল কিন্তু তারা আজ দুনিয়ায় নেই। আর কোনো দিন তারা রমাদান পাবেনা, আর কোনো দিন তারা তাওবা করতে পারবে না, আর কখনো তারা দু'রাকাত নফল সালাত আদায় করার সুযেগ পাবেনা। '
প্রিয় ভাই! দুনিয়ার চলমান অবস্থা আপনি নিজ চোখে দেখতে পাচ্ছেন। প্রতিদিন পাল্টে যাচ্ছে পরিস্থিতি। আপনি বুঝতে পারছেন না? কিভাবে চোখের সামনে একের পর এক বিপর্য নেমে আচ্ছে। সুত ছিড়ে যাওয়া তাসবির দানার মত ফিতনা একের পর এক খসে পড়ছে। পরিস্থিতির প্রতি গভীর ভাবে লক্ষ্য করলে আপনি স্পষ্ট বুঝতে পারবেন এক কঠিন পরিনতীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা, আমরা কেউ জানিনা অনাগত দিনগুলো কতটা কঠিন হবে। তাই সময় থাকতেই কিছু পাথেও সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। হায়াতের পুঁজি শেষ না হতেই কিছু আমল করে নিন, অতীতের গুণাহগুলো মাফ করে নিন।
প্রিয় ভাই! গাফলতি অনেক হয়েছে এই রমাদানে হলেও অন্তত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করুন। হতে পারে এটিই আপনার জীবনের শেষ রমাদান। হতেপারে এটিই আপনার ও আমার জীবনের শেষ রমাদান।