Announcement

Collapse
No announcement yet.

বাবরী মসজিদ ট্র্যাজেডি কেউ কি আছে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার? - উস্তাদ আবু আনওয়ার আল-হিন্দি হাফিযাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বাবরী মসজিদ ট্র্যাজেডি কেউ কি আছে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার? - উস্তাদ আবু আনওয়ার আল-হিন্দি হাফিযাহুল্লাহ


    اداره الحکمہ
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al Hikmah Media

    پیش کرتے ہیں
    পরিবেশিত
    Presents

    بنگالی ترجمہ
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    عنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:

    سانحۂ بابری مسجد: کوئی ہے جو اس سے عبرت حاصل کرے!؟

    বাবরী মসজিদ ট্র্যাজেডি
    কেউ কি আছে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?

    Babri Mosque Tragedy
    Does anyone take education from?


    از أوستاد ابو انور الہندی حفظہ اللہ
    উস্তাদ আবু আনওয়ার আল-হিন্দি হাফিযাহুল্লাহ
    By Ustad Abu Anwar al-Hindi Hafizahullah




    ڈون لوڈ كرين
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading









    پی ڈی ایف
    PDF (963 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৯৬৩ কিলোবাইট]







    ورڈ
    WORD (701 KB)
    ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৭০১ কিলোবাইট]







    غلاف
    book cover [2.3 MB]
    বুক কভার [২.৩ মেগাবাইট]







    بينر
    banner [2.3 MB]
    ব্যানার [২.৩ মেগাবাইট]







    اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
    اداره الحکمہ براۓ نشر و اشاعت
    القاعدہ برِّ صغیر

    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ

    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent

  • #2
    আমাদের সামনে এক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে ভুল বুঝার অবকাশ নেই জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পথ, ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের সফরপথ সহজ হবে না পথ দীর্ঘ, বন্ধুর, রক্তাক্ত
    কিন্তু এটিই একমাত্র পথ যার শেষ প্রান্তে রয়েছে সম্মান, মর্যাদা আর বিজয় অন্য সব পথ আমাদের নিয়ে যাবে লাঞ্ছনা, অপমান আর ধ্বংসে

    বাবরী মসজিদ ট্র্যাজেডি এই শিক্ষা আমাদের সামনে রেখে গেছে কেউ কি আছে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      বাবরী মসজিদ ট্র্যাজেডি
      কেউ কি আছে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণ করার?
      সবাইকে পড়ার অনুরোধ করছি। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        ইতিহাস থেকে স্পষ্ট যে বাবরী মসজিদ ধ্বংস করে রামমন্দির নির্মাণ কোন একটি দলের প্রকল্প নয়। ভারতীয় হিন্দু দল ও নেতাদের বড় একটি অংশ সরাসরি এর সাথে যুক্ত। বাকিরা সমর্থক। কিন্তু দুঃখজনকভাবে উপমহাদেশের মুসলিমদের বিশাল একটি অংশ এই বাস্তবতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। হিন্দুত্ববাদী এই প্রকল্প মুসলিমের জন্য কতোটা বিপজ্জনক, তা অনুধাবনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ব্যাপক ব্যর্থতা। আফসোসের সাথে বলতে হয়, গতানুগতিক রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে ইসলামী দল এবং উলামায়ে কেরামও এই হুমকিকে সঠিকভাবে চিনতে পারছেন না।

        বিশেষ করে ভারতের মুসলিমদের বিশাল একটি অংশ এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা আলিমদের বড় একটি অংশ এখনো মনে করছেন ‘সেক্যুলার ভারত’ মুসলিমদের রক্ষা করবে। তারা কেন যেন ভুলে যাচ্ছেন সেক্যুলার ভারতের সেক্যুলার সংবিধান, সেক্যুলার আদালত, সেক্যুলার প্রতিষ্ঠান এবং সেক্যুলার বাহিনীগুলোর মাধ্যমেই বারবার মুসলিমদের আক্রান্ত হবার ইতিহাস রয়েছে। ‘সেক্যুলার ভারত’ই মুসলিমদের কাশ্মীরকে গলা চেপে হত্যা করছে।

        অন্যদিকে পাকিস্তানের মুসলিমরা আজও এমন এক শাসকগোষ্ঠী এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য নুসরতের আশা নিয়ে বসে আছেন যারা শুরু থেকে কেবল মুসলিমদের রক্তই ঝরিয়ে গেছে। আর হিন্দুত্ববাদের আগ্রাসন আর ভারতীয় এজেন্টদের জুলুমের শিকার হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মুসলিমরা এখনো নির্বাচন আর গণতন্ত্রের মধ্যে সমাধানের নিষ্ফল স্বপ্ন দেখে যাচ্ছে।

        আমরা বিশ্বাস করি ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে শুরু করে উপরোক্ত উলামায়ে কেরাম, সকলেই আন্তরিকভাবে দ্বীন ইসলাম এবং উম্মতে মুসলিমার কল্যাণ চান। কিন্তু তারা আজও এমন কিছু কাঠামোর ভিতরে চিন্তা করছেন যেগুলো অনেক আগেই অকার্যকর প্রমাণিত হয়ে গেছে। উপমহাদেশে বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থা এ অঞ্চলের মুসলিমদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। বিদ্যমান শাসকগোষ্ঠীগুলো মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষায় আগ্রহী নয়। বরং তারা আগ্রাসনকারীদের দলভুক্ত। নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই বাস্তবতাগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। এই কথাগুলো ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ – সবগুলো জনপদের জন্যই সত্য।

        ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে গণতন্ত্র, সেক্যুলার সংবিধান, জাতীয়তাবাদী সীমানা আর ‘রাষ্ট্রের নিয়ম’ মেনে মুসলিমদের স্বার্থ রক্ষার, ঈমান ও ইজ্জত রক্ষার এবং ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের স্বপ্ন দেখা হয়েছে। এর ফলাফল আমাদের সামনে পরিষ্কার। স্বপ্ন আজ দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। আর কতকাল গেলে এই পথের অর্থহীনতা স্পষ্ট হবে?

        আমরা কি মনে করছি আমাদের সামনে কোন বিপদ নেই? যেখানে হিন্দুত্ববাদীদের প্রকল্প প্রকাশ্য ও ঘোষিত?

        নাকি আমরা মনে করছি, বিদ্যমান ব্যবস্থা কোন না কোন ভাবে আমাদের রক্ষা করবে? আমাদের মা-বোনদের হেফাজত করবে?

        আমরা কি আজও সেক্যুলার সংবিধান, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, মানবাধিকার সংস্থা কিংবা জাতিসংঘের উপর ভরসা করে রইবো?

        বসনিয়াতে কিংবা মিয়ানমারে গণহত্যার সময় কেউ কি এগিয়ে এসেছে মুসলিমদের রক্ষায়? গত দশ বছর ধরে বিলাদুশ শামে আহলুস সুন্নাহর উপর হত্যা চালানো হয়েছে নির্মমভাবে। ধর্ষণ, নির্যাতন, কেমিক্যাল অস্ত্র, ব্যারেল বোমা – বাদ যায়নি কিছুই। তারপরও কি এগিয়ে এসেছে কেউ? মিশরে একদিনে গুলি চালিয়ে ১৪০০ মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে। কেউ কি কিছু বলেছে? ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে জায়নবাদীরা আমাদের হত্যা করে আসছে। কেউ কি কিছু করেছে?

        সংবিধান, জাতিসঙ্ঘ, মানবাধিকার সংস্থা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় – কোন কিছুই কি মুসলিমদের কাজে এসেছে?

        আর কতো উদাহরণ দরকার আমাদের?

        চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধে (new cold war) এই অঞ্চলে ভারত আমেরিকার প্রধান মিত্র। ইসরায়েলের সাথেও আছে ভারতের নিবিড় সম্পর্ক। কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসন চলছে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসনের অনুকরণে। আবার ভারতের সম্পর্ক আছে রাশিয়ার সাথেও। সিরিয়ার মতো দেশের সরকারকেই যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাঁধা না দেয় তাহলে কোন যুক্তিকে আমরা আশা করি যে ভারতকে কেউ আটকাবে? কোন যুক্তিতে মনে করা যায় যে হিন্দুত্ববাদের সর্বনাশা প্রকল্পে কেউ বাঁধা দেবে?


        বাস্তবতা হল, মুসলিমের রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসবে না। যেভাবে আগেও কেউ আসেনি। কোন দেশের সংবিধান কিংবা আদালত মুসলিমদের নিরাপত্তা দিবে না। এভাবে আগেও দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মুসলিমদের জন্য কাঁদবে না, যেভাবে আগেও কাঁদেনি। কাশ্মীর ও আসামে কী হচ্ছে, কী হয়েছে তা দুনিয়ার সামনেই আছে। দাঙ্গার নামে দিল্লিতে কী হয়েছে পৃথিবী দেখেছে। কিন্তু কেউ আসেনি। কেউ আসবেও না।

        হিন্দুত্ববাদী প্রকল্প তার নিজের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এক শতাব্দী ধরে চলা প্রস্তুতিকে তারা এখন কাজে রূপান্তরিত করছে। ছোট ঢেউ সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে সুনামির আকার নিয়েছে। এই ঢেউ এখন এগিয়ে আসছে উপমহাদেশের, বিশেষ করে ভারতের মুসলিমদের দিকে। তাদের গ্রাস করার জন্য। এই সুনামি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদী সীমান্ত মেনে চলবে না। এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে পুরো অঞ্চলে জুড়ে।

        বিদ্যমান কাঠামোর ভিতরে আমাদের জন্য কোন সমাধান নেই। আছে শুধু হত্যা, নির্যাতন আর অপমান। ব্রিটিশদের আগমনের মাধ্যমে অপমান ও পরাজয়ের যে অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল সে অধ্যায় আজও চলছে। ব্রিটিশরা চলে গেলেও তাদের রেখে যাওয়া ব্যবস্থা আমাদেরকে সেই একই খাঁচায় আটকে রেখেছে।

        তাই উপমহাদেশের মুসলিমদের নতুন করে চিন্তা করতে হবে। বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। ছেলেভুলানো আশ্বাস দিয়ে আর কাজ চলবে না। কোন সরকার, সেনাবাহিনী কিংবা প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। প্রতিরোধ গড়তে হলে, উঠে দাড়াতে হবে মুসলিমদেরই।

        অস্তিত্ব টিকাতে হলে, হারানো গৌরব ও সম্মান ফিরে পেতে হলে জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর কোন বিকল্প উপমহাদেশের মুসলিমদের সামনে নেই। আর এই জিহাদ হতে হবে ঈমানের প্রতিরক্ষা এবং ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের লক্ষ্যে। কোন রাষ্ট্রের স্বার্থে না। ভারতের মুসলিমদের ‘সেক্যুলার ইন্ডিয়ার’ মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। প্রস্তুত হতে হবে আত্মরক্ষার জন্য। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মুসলিমদের চিন্তা করতে হবে তারা কি জাতীয়তাবাদী সীমান্তের ভিতরে নিজেদের ঈমানকে আটকে রাখবে? নাকি মহান আল্লাহর শরীয়াহ অনুযায়ী নিজের করনীয় নির্ধারণ করবে।

        আমাদের সামনে এক কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ভুল বুঝার অবকাশ নেই। জিহাদ ফী সাবিলিল্লাহর পথ, ইসলামী শরীয়াহ কায়েমের সফর –পথ সহজ হবে না। এ পথ দীর্ঘ, বন্ধুর, রক্তাক্ত। কিন্তু এটিই একমাত্র পথ যার শেষ প্রান্তে রয়েছে সম্মান, মর্যাদা আর বিজয়। অন্য সব পথ আমাদের নিয়ে যাবে লাঞ্ছনা, অপমান আর ধ্বংসে। বাবরী মসজিদ এই শিক্ষা আমাদের সামনে রেখে গেছে।
        আল্লাহ্‌ তাআলা এই উম্মাহ কে সঠিক পথ দেখান, আমীন

        Comment


        • #5
          Originally posted by Sabbir Ahmed View Post

          আল্লাহ্‌ তাআলা এই উম্মাহ কে সঠিক পথ দেখান, আমীন
          ছুম্মা আমীন। জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            Originally posted by abu ahmad View Post

            ছুম্মা আমীন। জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাই।
            ওয়া ইয়্যাক ভাই

            Comment

            Working...
            X