কাবুলে অ্যামেরিকার হামলা ও দাবির ব্যাপারে আমাদের অবস্থান
অ্যামেরিকা দাবি করেছে – তাদের হামলায় শহীদ হয়েছেন আল-কায়েদা প্রধান শায়েখ আয়মান আল-জাওয়াহিরি (হাফি.)।
একাধিক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায় যে, গতকাল রবিবার কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় শাহাদাত বরণ করেছেন আল-কায়েদার প্রধান শায়েখ আয়মান আল-জাওাহিরি (হাফি.)। একটি ভবনের বারান্দায় অবস্থানকালে ড্রোন হামলা চালানো হয় শায়েখের উপর। তারা এও দাবি করে যে, ঐ হামলায় শায়েখ আয়মান ব্যাতিত ভবনের অন্য কেউ হতাহত হয়নি।
সন্ত্রাসী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই সংবাদ নিঃসন্দেহে মুসলিম উম্মাহর অন্তরকে ব্যথিত করেছে, ইসলাম প্রিয় শত-সহস্র চোখকে অশ্রুসিক্ত করেছে। আর শায়েখ (হাফি.)-এর শাহাদাতের এই সংবাদটি সত্য হয়ে থাকলে, তা নিঃসন্দেহে উম্মাহর জন্য এক বিশাল ও অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তা উম্মাহর অগ্রযাত্রার পথে কোন বাধা নয়, থমকে যাবার কোন কারণ নয়। কেননা মুসলিমদের রব আল্লাহ তাআলা আল হাইয়ুল কাইয়ুম, তিনি অবিনশ্বর। আর অমুসলিমদের কোন মাওলা নেই, সাহায্যকারী নেই।
তবে আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট কোন নির্ভরযোগ্য সূত্র এই হামলা বা শায়েখ (হাফি.) এর শাহাদাতের বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত করেনি। আর আমরা মিথ্যাবাদী মার্কিনীদের ও তাদের দালাল মিডিয়াকে বিশ্বাস করিনা।
ইসলামি ইমারত আফগানিস্তানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ (হাফি.) এক বিবৃতিতে কাবুলে মার্কিন হামলার খবর নিশ্চিত করেছে, এবং এই হামলার নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। এটাকে তিনি আন্তর্জাতিক আইনের এবং দোহা চুক্তির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি শায়েখ আয়মান (হাফি.)-এর শাহাদাতের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ করেননি।
সুতরাং, যাদের অন্তরে উম্মাহ, ইসলাম ও শায়েখের প্রতি ভালবাসা রয়েছে, তাদের উচিৎ সবর করা ও ভেঙ্গে না পড়া। এবং আল-কায়েদা সম্পৃক্ত নির্ভরযোগ্য কোন মিডিয়া থেকে সঠিক সংবাদের অপেক্ষা করা।
আর কোন কিছুইতো আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিনের অগোচরে নয়। আমরা তাঁর কাছে তাঁর এক প্রিয় বান্দার ব্যাপারে ফয়সালা জানার এবং তাঁর ব্যাপারে উত্তম ধারণা রাখার দোয়া করি।
Comment