Announcement

Collapse
No announcement yet.

পার্বত্য চট্টগ্রামের দেশ বিরোধী অপতৎপরতা ও বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল। ২/ পর্ব।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পার্বত্য চট্টগ্রামের দেশ বিরোধী অপতৎপরতা ও বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল। ২/ পর্ব।

    পার্বত্য চট্টগ্রামের দেশ বিরোধী অপতৎপরতা ও বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল। ২/ পর্ব।



    (২ পর্ব//পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্রিস্টানদের অপতৎপরতা)

    একটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অনেক উপজাতি জনগোষ্ঠী খ্রিস্টান হয়ে গেছেন।
    আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নিয়ামক ভূমিকা পালন করছে এনজিও ও মিশনারী প্রতিষ্ঠানগুলো, যাদের ৯০ ভাগ টাকা ব্যয় করা হয় ধর্মান্তরিত করার পিছনে।
    পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলাতেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য গির্জা।
    এরমধ্যে কাকড়াছড়ি জেলায় ৭৩টি গির্জা রয়েছে।
    ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ জেলায় ৪ হাজার ৩১টি পরিবারকে অর্থলোভে খ্রিষ্টান বানানো হয়েছে।
    বান্দরবান জেলায় গির্জা রয়েছে ১১৭টি । এখানে একই সময়ে খ্রিষ্টান হয়েছে ৬ হাজার ৪৮০ টি উপজাতি পরিবার ।
    রাঙ্গামাটিতে রয়েছে ৪টি গির্জা। খ্রিস্টান বানানো হয়েছে ১ হাজার ৬৯০টি পরিবারকে। পাহাড়ি যেসব জনগোষ্ঠীর লোক সংখ্যা কম, তাদের প্রায় শতভাগ খ্রিস্টান হয়ে গেছে অনেক আগেই, এমন একটি উপজাতি পাংখু। ধর্ম বদলের সঙ্গে সঙ্গে তারা ইংরেজিকেও তারা ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। কক্সবাজারের মালুমঘাটে জি-বাংলা নামক একটি খ্রিষ্টান এনজিও ১৯৬৫ সালে ''খ্রিস্টান মেমোরিয়াল হাসপাতাল" প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. বিঘা বি অলসন স্থানীয়দের নিরক্ষতা ও দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে হাসপাতালের আড়ালে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করে আসছেন।
    ১৯৬৫ সালে উক্ত এলাকায় কোন খ্রিস্টান ছিল না।
    ২০০৩ সালের এক জরিপ অনুসারে , সেখানে এখন ১০ হাজার বাঙালিকে পরিবারসহ খৃষ্টান বানানো হয়। এই সংখ্যা বর্তমানে ৪০ হাজারে উন্নীত হয়েছে।
    ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রতি ৩২৬ জনের মধ্যে একজন খ্রিস্টান ছিল।
    ১৯৮১ সালে সেই সংখ্যা প্রতি ২৯ জনের মধ্যে একজন এবং ১৯৯১ সালে প্রতি ২২ জনের মধ্যে ১ জনে এসে দাঁড়ায়। ১৯৩৯ সালে বাংলাদেশে খ্রিস্টান জনসংখ্যা ছিল ৫০ হাজার।
    ১৯৯১ সালের আদমশুমারীতে খ্রিষ্টান জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৫০ লক্ষ।
    মদিনা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ২০১০ এর এক পরিসংখ্যান অনুসারে বাংলাদেশে মুসলমানদের সংখ্যা দ্বিগুণ বাড়লেও খ্রিষ্টানের সংখ্যা ১৩ গুণ বেড়েছে। এখন প্রশ্ন জাগে, তারা কি একজন ১৫ জন করে সন্তান জন্ম দিয়েছে? আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ থিওরিও তাদেরই আমদানি করা মতবাদ।
    যদি বলা হয়, না, তাহলে বাকি জনসংখ্যা এলো কোত্থেকে?
    অবশ্যই এরা ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টান । এনজিওর নাম ধারণ করে খ্রিস্টানরা দুর্গম এলাকায় হাসপাতাল, বিনোদন কেন্দ্র, গির্জা ইত্যাদি গড়ে তুলেছে। বহুজাতি কোম্পানিগুলোর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্বার্থে এবং অসহায়, নিঃস্ব, নিরক্ষর মানুষের সেবার নামে নতুন ধর্মে দীক্ষিত করছে তারা।
    নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত হাজারো এনজিওর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে মূলত খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করাই তাদের কাজ। তাই তাদের বাজেটের ৯০% টার্গেটকৃত ব্যক্তিদের পিছনে ব্যায় করা হয়।
    অর্থ ও জাগতিক সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে দলে দলে দর্মান্তরিত করে চলছে তারা।

    জাতিসংঘের ইউএনভিপি ও ইউনিসেফের যৌথ অর্থায়নে এখানে ৪ হাজার "পাড়াকেন্দ্র" প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আরো ১ হাজার প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
    সাম্রাজ্যবাদী খ্রিস্টানদের অর্থায়নে নির্মিত এইসব পাড়াকেন্দ্র থেকে এনজিওগুলোর সব অপতৎপরতা পরিচালিত হয়।


    (সংগৃহীত)

    (( নোট:- এখনো কি সজাগ হওয়ার সময় আসেনি? ))

    চলবে ইনশাআল্লাহ...

  • #2
    এইসব এনজিও কর্মীদের হত্যা করা বৈধ হবে, যেহেতু তাদের মধ্যে অনেক মুসলিম থাকে

    Comment


    • #3
      এই সব এনজিওদের অর্থ আয়ের উৎস গুলোকে ধ্বংস করে দিতে হবে। এবং এই সব অঞ্চলে মুসলিমদের আনাগোনা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অধিক হারে মাদ্রাসা এবং মসজিদ এবং দাওয়াতের কাজ বাড়াতে হবে । এবং এই সব মিশনারিদেরকে হত্যা করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।
      পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

      Comment


      • #4
        এই সব এনজিওদের অর্থ আয়ের উৎস গুলোকে ধ্বংস করে দিতে হবে। এবং এই সব অঞ্চলে মুসলিমদের আনাগোনা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং অধিক হারে মাদ্রাসা এবং মসজিদ এবং দাওয়াতের কাজ বাড়াতে হবে । এবং এই সব মিশনারিদেরকে হত্যা করে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হবে।


        জী ভাই! বলা সহজ , বাস্তবতা কিন্তু এর বিপরীত।
        কারণ এদের সহায়ক , স্বয়ন মুরতাদ সরকার হাসিনা, তার পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করে তাদের সহযোগিতা করছে। কারণ রোহিঙ্গা শরণার্থী ১৬/১৭ সালে যখন বাংলাদেশে আসে।

        বাংলাদেশের আলেম উলামা, পীর মাশায়েখ, মুসল্লি, সাধারণ মুসলমান ও বিভিন্ন মহলের পক্ষ হতে সাহায্য সহযোগিতার ব্যাপক সাড়া পড়েছিল,
        এদেশের মুসলমান ও আম জনতা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ,
        তখন মুরতাদ সরকার, যালেম সরকার, মুরতাদ হাসিনা তার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা কারীদের জেল , জরিমানা নানাধরনের হয়রানির মাধ্যমে ঐখান থেকে সরিয়েছে। এর মূলে ছিল কিন্তু এই সব এনজিও সংস্থা গুলো। এ জন্য শত্রু চিহ্নিত করে সাপের মাথায় আঘাত করতে হবে।

        প্রশ্নঃ- করবে কে?

        উত্তরঃ- আল্লাহ তাআলা বলেন 9:14

        قَاتِلُوۡہُمۡ یُعَذِّبۡہُمُ اللّٰہُ بِاَیۡدِیۡکُمۡ وَ یُخۡزِہِمۡ وَ یَنۡصُرۡکُمۡ عَلَیۡہِمۡ وَ یَشۡفِ صُدُوۡرَ قَوۡمٍ مُّؤۡمِنِیۡنَ ﴿ۙ۱۴﴾
        তোমরা তাদের সাথে লড়াই কর, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদেরকে আযাব দেবেন এবং তাদেরকে অপদস্থ করবেন, আর তোমাদেরকে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য করবেন এবং মুমিন কওমের অন্তরসমূহকে চিন্তামুক্ত করবেন।

        আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বুঝার ,মানার, আমলের তৌফিক দান করুন। আমীন।

        Comment


        • #5
          তাহলে সাপের মাথায় আঘাত করতে যত দেড়ি হবে ততই মুসলিমদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। তাই এই সাপের মাথাকে সমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে।
          পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

          Comment

          Working...
          X