তাঁরা কি দুয়ার যোগ্য নন?
শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ্
শাইখ তামিম আল আদনানি হাফিজাহুল্লাহ্
ﺑِﺴْــــــــــــــــﻢِﷲِﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِﺍلرَّﺣِﻴﻢ ️
আল্লাহ্ ﷻ সুরা তাওবার* ২০ এবং ২১ নং আয়াতে বলেন,
الَّذِينَ آمَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ أَعْظَمُ دَرَجَةً عِندَ اللّهِ وَأُوْلَئِكَ هُمُ الْفَائِزُونَ ۞ يُبَشِّرُهُمْ رَبُّهُم بِرَحْمَةٍ مِّنْهُ وَرِضْوَانٍ وَجَنَّاتٍ لَّهُمْ فِيهَا نَعِيمٌ مُّقِيمٌ ۞
“যারা ঈমান আনে, হিজরত করে*আর নিজেদের জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে, আল্লাহর কাছে তাদের জন্য বিরাট মর্যাদা রয়েছে, আর এরাই হল সফলকাম। তাঁদের প্রতিপালক তাঁদেরকে* সুসংবাদ দিচ্ছেন তাঁর দয়া ও সন্তুষ্টি আর জান্নাতের, যেখানে তাদের জন্য আছে স্থায়ী সুখ সামগ্রী।”
যারা ঈমান আনে, হিযরত করে,*আর নিজেদের*জানমাল নিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করে। তাঁদের জন্য আল্লাহ নিজেই বিরাট মর্যাদার ব্যবস্থা করে রেখেছেন, তাদের মর্যাদা*দুনিয়ার কারো উপরে ন্যস্ত হয়নি,*তাঁদের মর্যাদা স্বয়ং আল্লাহ ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ শুধু মর্যাদা ঘোষণা-ই করেননি বরং তাঁদের কাজের ব্যাপারে প্রশংসামূলক সার্টিফিকেটও দিচ্ছেন এভাবে যে,*‘আর এরাই হলো সফলকাম’ আল্লাহর দৃষ্টিতে এই দলই সফলকাম।
একটু চিন্তা করুন, যে দলের ব্যাপারে আল্লাহ ﷻ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন যে এরাই সফলকাম। সে দলটি কেমন হতে পারে!*
আমরা আরেকটু* সময় নিয়ে চিন্তা করে দেখি,* একটি বিশেষ দলের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, এরাই সফলকাম।
আল্লাহু ﷻ রব্বুল আ’লামিন যিনি জগত সমূহের মালিক, যিনি আসমান সমূহের মালিক, জান্নাতসমূহ*এবং জাহান্নাম সমূহের মালিক,*জিবরাঈল, ইসরাফিল, মিকাইল আলাইহিমুস সালামের মালিক,*সমস্ত ফেরেশতাকূলের মালিক, যারা*শুধু মহান আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করতে থাকেন,*সেই আল্লাহ তার নিজের পক্ষ থেকে এই দলটির ব্যাপারে সুসংবাদ দিচ্ছেন, আর এই দলটির ব্যাপারে তার দয়া ও সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে দিয়েছেন।*সুবহানাল্লাহ!!
প্রিয় ভাইয়েরা, আমরা একটু বোঝার চেষ্টা করি!*আল্লাহ তায়ালা যিনি কারো মুখাপেক্ষী নন বরং সবাই তাঁর মুখাপেক্ষী।
সেই আল্লাহ নিজ থেকে একটি দলের ব্যাপারে বলছেন, তাঁদের* জন্য রয়েছে বিরাট মর্যাদা, এরাই সফলকাম, তাঁদের প্রতিপালক আল্লাহ ﷻ তাঁদের সুসংবাদ দিচ্ছেন দয়া এবং সন্তুষ্টির! তাঁদের জন্য জান্নাতের ওয়াদা দিচ্ছেন!
*আচ্ছা বলুন তো দেখি,*সে দলটি কারা?
الَّذِينَ آمَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ
“যারা ঈমান আনে,হিজরত করে এবং আল্লাহর রাস্তায় নিজের জানা-মাল দিয়ে জিহাদ করে....”
আপনাদের সামনে আজ একটি বিষয়ে*কথা বলতে চাচ্ছিলাম, যা প্রায়ই আমাদের অনেক কষ্ট দেয়, সেটি হচ্ছে- আল্লাহ ﷻ যে দলটির ব্যপারে এত* প্রশংসা করলেন, এত বড় মর্যাদা নিজ থেকে দান করলেন, যে দলটির জন্য তাঁর সন্তুষ্টি এবং জান্নাতের ওয়াদা ব্যক্ত করলেন, সে দলটির প্রতি আমাদের উদাসীনতা, অবহেলা, অসম্মান,*গাদ্দারী, বেঈমানি*ও বেয়াদবী। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন!!
বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ মসজিদে জুমা’র সালাত হয়,* প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ওয়াজ মাহফিল হয়,*কিন্তু সেগুলোর মধ্য থেকে কয়টি জুমা'র সালাতে আর*কয়টি ওয়াজ মাহফিলে এই দলটির জন্য দোয়া করা হয়? তাঁদের প্রশংসা করা হয়?*তাঁদের অনুপ্রেরণা দেওয়া হয়?
এ দলটি*একদিকে যেমন নিজেদের জীবনকে বাজি রেখে, নিজেদের রক্তকে বিক্রি করে দেয়, নিজেদের পরিবারকে কোরবানি করে দেয়, নিজের আরাম-আয়েশকে ছুড়ে ফেলে, নিজেদের ক্যারিয়ারকে লাথি মেরে, নিজেদের স্ত্রী সন্তানদের একপাশে সরিয়ে রেখে, বাবা-মা-ভাই-বোন আর পরিবারের ভালবাসা কে উপেক্ষা করে*যারা তাগুতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে, জালিম কে ধুলোয়* মিশিয়ে দেয়,*কাফির*আর মুরতাদদের* অহংকারকে চুর্ন বিচূর্ণ করে দেয়, রাসূল ﷺ এর* অবমাননাকারীদের কে ছিহ্নভিন্ন করে দেয়,*ইসলামের দুশমনদের অন্তর এ কাঁপন ধরিয়ে দেয়, আর* সব কাজ শেষ করে, নিজের গুনাহের কথা স্মরণ করে,*নিজের দুর্বলতার কথা স্মরণ করে, আল্লাহর কাছে অশ্রু সজল চোখে বিনয়াবনত হয়।*এই দলটির ব্যাপারে আমাদের*দোয়া কোথায়!!
হে সম্মানিত ইমামগণ!
ওয়াজ মাহফিলের বক্তাগন!
এই দল টি কি আপনাদের দুয়ার যোগ্য নয়!
আবারও বলি আল্লাহ যাদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট*আপনারা কি এখনো তাদের ব্যপারে* সন্তুষ্ট হতে পারছেন না!
আল্লাহর কালাম যাদের*সম্মানের সাক্ষ্য দেয়, আপনাদের জবান কি তাদের সম্মানের সাক্ষ্য দিতে লজ্জা পায়? আবারও বলি লাওহে-মাহফুজে যাদের সম্মানের কথা লেখা রয়েছে।*জিবরাইল আলাইহিস সালাম যাদের সম্মানের ব্যপারে আর সুসংবাদের ব্যপারে*আল্লাহর পক্ষ থেকে আয়াত নিয়ে এসেছেন তাঁদের সম্মানের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিতে আপনারা লজ্জা বোধ করেন?
আপনাদের দোয়ায় স্থান পায় মন্ত্রী-মিনিষ্টার, ওয়ার্ড কমিশনার,* মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান, এলাকার মাতব্বর, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন সেই ভাই,*এসএসসি পরীক্ষার্থী, এমনকি*মুজিব নামের একটি*কঙ্কালও আপনাদের দোয়ায় স্থান পায়। অথচ এই দলটির ব্যাপারে আপনাদের দোয়া আমরা*দেখিনা। আপনারা এলাকার কমিশনারের প্রশংসা করেন, কারণ সে মসজিদে দশ হাজার* টাকা দান করেছে। অথচ আল্লাহর রাসূল ﷺ-এর* অপমানের প্রতিশোধ গ্রহণকারীদের ব্যাপারে আপনারা প্রশংসা করেন না! দশ হাজার* টাকা আপনাদের মুগ্ধ করে! অথচ*যিনি নিজের জীবনকে আল্লাহর রাহে বিক্রি করে দিলেন, তাঁর এই ত্যাগ* আপনাকে মুগ্ধ করতে পারল না! ইঞ্জিনিয়ার সাহেব এসি দিলে তার জন্য তাকবীর হয় কিন্তু যিনি নিজের জীবনকে কোরবান করে দিলেন তাঁর জন্য দোয়া পর্যন্ত হয় না।
অমুক ডাক্তার সাহেব তার বাচ্চাকে কুরআন শিখাতে নিয়ে এসেছেন, আপনি*প্রশংসা সহকারে তা বর্ননা করেন। কিন্তু*আল্লাহর এই কালামকে দুনিয়ার বুকে জিন্দা করার জন্য যিনি নিজের সন্তানের মুখের হাসিকে ঠেলে*দিয়ে, জিহাদের পথে বেরিয়ে যান, তাঁর প্রশংসা করতে পারেন না!
দূরে কোন সফরের আগে নিজে*দরজার গোড়ায় গিয়ে দাঁড়ান,*এরপর নিজের অবুঝ শিশুকে কোলে নেন, এরপর শিশুকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার সময় দেখেন,*আপনার সে সন্তান আপনার দিকে কিভাবে তাকায়! আর সন্তানের সে*দৃষ্টিকে তুচ্ছ করে, স্ত্রী-সন্তানের ভালোবাসাকে বিসর্জন দিয়ে যারা আল্লাহর কালামকে জিন্দা করার জন্য,*জমিন চষে বেড়ান, তাঁদের ত্যাগ আপনাকে মুগ্ধ করেনা?
সে ভাইয়ের ত্যাগ আপনাকে মুগ্ধ করেনা! যিনি স্ত্রীর কাছে গোপন করলেন যে, তিনি আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে যাচ্ছেন, আর ফিরবেন কি না জানা নেই, তার নেক স্ত্রীও*স্বামীর কাছে আল্লাহর*সন্তুষ্টর জন্য গোপন করলেন, যে তিনি আসলে*জানেন,*তাঁর প্রাণপ্রিয় স্বামী* আসলে*কোথায় যাচ্ছেন।*স্বামী যাবার আগে কিছু ফেলে গেছেন*এই ছল করে, একবার প্রিয়তমা স্ত্রীকে দেখতে চাইলেন
আর*স্ত্রী ধরা পড়ে গেলেন, কারন স্বামী দেখলেন তার স্ত্রী চোখের পানি লুকানোর চেষ্টা করছেন, কিন্তু ধরা পড়ে গেছেন।*কখনো এই* দৃশ্য দেখেছেন?*কখনও কি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে! আর এই দৃশ্য আপনাকে* মুগ্ধ করে না, এজন্য এই ঘটনার বর্ণনাও* আপনি করেন না। আসলে কি তাই! হাশরের দিনে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।
কিভাবে আমাদের বিশ্বাস করাবেন যে, আল্লাহ যাদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট আপনারা তাঁদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না? আল্লাহ যাদের কাজের ব্যাপারে কুরআনুল কারীমে প্রশংসা করেছেন অথচ তাদের ব্যাপারে আপনারা দুনিয়ার কোন মজলিসে প্রশংসা করতে পারছেন না!*এটা কিভাবে সম্ভব যে আল্লাহ তাঁদের ব্যাপারে সন্তুষ্ট অথচ আপনারা তাদের ব্যপারে* সন্তুষ্ট হতে পারছেন না! এমন কি তাদের বিরুদ্ধে কটু মন্তব্য করছেন!
আপনারা* কাকে ভয় পান? গর্দানের সমস্ত শিরা-উপশিরা ছিড়ে,* চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে আপনারা কাকে ভয় পান?
কার ভয়ে আপনারা* মুজাহিদীনদের ব্যাপারে দোয়া করেন ন?
কার ভয়ে আপনারা মুজাহিদীনদের ব্যাপার প্রশংসা করেন না?
কার ভয়ে*আপনারা মুজাহিদীনদের কাজের ব্যাপারে সাধারণ মুসলিমদেরকে অবহিত*করেন না?
কার ভয়ে আপনারা নিজেদেরকে মুজাহিদ ভাইদের থেকে আলাদা করে রাখতে চান?
কার ভয়ে*আপনারা জুমার খুতবায় জিহাদের ফজিলত,*মুজাহিদিনদের শানদার ঘটনাগুলো*তুলে ধরেন না?
কার ভয়ে আপনারা গোপন করেন*যে, শহীদের লাশ পঁচে না, কখনও কখনও শহীদের লাশ থেকে মেশকের সুগন্ধ বের হতে থাকে,*কার ভয়ে এসব আপনাদের খুতবায় আসেনা?
কেনো? কেনো আপনারা গোপন করলেন*উম্মতের বোনদের বেইজ্জতি, বাগরাম,*গোয়ান্তানামাবে,*আবু গারিবের অন্ধকার কারা প্রকোষ্ঠ থেকে বোন আফিয়া সিদ্দিকী ও* ফাতেমাদের আর্তচিৎকার? কেন আপনার গোপন করলেন?
আরাকান, কাশ্মীর, উইঘুর, ফিলিস্তিন, ইরাক, আফগান, সিরিয়া,* ইয়েমেন,*ভারতের উত্তর প্রদেশের মাজলুম মুসলমানরা কেন আপনার খুতবায় স্থান পেল না? ওয়াল্লাহি, আল্লাহর সামনে* আপনারা এর*কি জবাব দেবেন?
আপনার রব কে?*আপনার রিজিকদাতা কে? আপনার নিরাপত্তা দাতা কে?*আপনার নিরাপত্তা তুলে নেয়ার মালিক কে? আপনার সম্মানদাতা কে?*আপনার সম্মান তুলে নেয়ার মালিক কে?*আপনার পরিবারের যারা কবরে চলে গেছেন তাদের মালিক কে? আর যারা কবরে যাবেন তাদের মালিক*কে? জাহান সমূহের* মালিক কে? ইয়াওমুদ্দিনের মালিক কে?* জান্নাতের মালিক কে?* জাহান্নামের মালিক কে?*জাহান্নামের ফেরেশতাদের মালিক কে? আপনি যাদের ভয় পাচ্ছেন তাদের মালিক কে? আল জাব্বার কে?*আল মুতাকাব্বির কে?*আল আজিজ কে? আল কাহহার কে? সাদিদুল ইকাব কে?
এর*একটির জবাবও যদি আপনি আজ যাকে ভয় পাচ্ছেন সে না হয়! তবে ওয়াল্লাহি,*সেদিনকে ভয় করুন যেদিন আল্লাহ হুঙ্কার দিয়ে বলবেন আজ তারা কই যারা নিজেদের মালিক* দাবি করতো! আর তাদের সন্তানরাও বা কোথায়? সে দিনকে ভয় করেন! যে দিন আল্লাহ সমস্ত সৃষ্টি কে ধ্বংস করে দিয়ে বলবেন, لِّمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ? আজকের রাজত্ব কার! উত্তর দেয়ার মত কেউ থাকবেনা, আল্লাহ নিজেই তাঁর প্রশ্নের উত্তর দিবেন, لِلَّـهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ ﴿١٦﴾ আজকের রাজত্ব পরাক্রমশালী একমাত্র আল্লাহর।
ভয় যদি করতেই হয়, সেই আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ। অথচ তাগুতকে ভয় পাচ্ছেন!
সেই দলের ব্যপারে,যাদের ব্যপারে আল্লাহতায়ালা বলেছেন,
الَّذِينَ آمَنُواْ وَهَاجَرُواْ وَجَاهَدُواْ فِي سَبِيلِ اللّهِ بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنفُسِهِمْ
“আর তারা জিহাদ করে আল্লাহর পথে নিজেদের জান ও মাল দিয়ে।”
কিংবা যাদের ব্যপারে আল্লাহতায়ালা বলছেন-
“আল্লাহ তাদের সুসংবাদ দিচ্ছেন আল্লাহর সন্তুষ্টির এবং চিরস্থায়ী জান্নাতের।”
একজন মুজাহিদ ভাইয়ের অন্তর ফেঁড়ে দেখেন। দুনিয়াতে উনি অনেক বেশি চান একজন আলেম উনার জন্য আল্লাহর কাছে দুহাত তুলে দুয়া করুক। একজন আলেম তাঁর কাজের শারঈ সত্যতা আর সার্থকতাকে সবার সামনে তুলে ধরুক। তাঁর মাগফেরাতের জন্য দুয়া করুক। ওয়াল্লাহি আল্লাহর পথের সৈনিকদের অন্তর আলেমদের দুয়ার জন্য কাঁদে, তাদের সংস্পর্শ পাওয়ার জন্য তারা অপেক্ষায় থাকে।
আমার কষ্ট লাগে, যখন দেখি আল্লাহর এই সৈনিকদের ব্যপারে কোন দোয়া হয়না, তাঁদেরকে অবহেলা করা হয়, আর তাঁদের সত্যতাকে ইচ্ছেকৃতভাবে গোপন করা হয়, এমনকি বিকৃত করা হয়। ইয়া আল্লাহ!
প্রিয় ভাইয়েরা!
এই দলটির ব্যপারে কথা বলেন, এই দলটির ব্যপারে গর্ব করেন, তাঁদের জন্য দুয়া করেন। সবাইকে তাঁদের কথা বলেন। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী তাঁদের কাজের সত্যতা বর্ণনা করেন। নিজেদের স্ত্রীদের কাছে তাঁদের প্রশংসা করেন। নিজেদের সন্তানদেরকে তাঁদের আদর্শে গড়ে তোলেন, তাঁদের প্রতি আপনার ভালোবাসাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেন।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের বুঝার ও আমল করার তৌফিক দিন।
আমিন ইয়া রাব্বাল আ'লামিন।
Collected
Comment