ইমারাতে ইসলামীর বহিরাগত সম্পর্কসমূহ
বর্তমানে একদিকে কাতারের রাজধানী দোহাতে আন্ত-আফগান আলোচনা শুরু হয়েছে, অপর দিকে ইমারাতে ইসলামীর রাজনৈতিক দায়িত্বশীলরা বিভিন্ন রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করা শুরু করেছেন।
যদিও বেশ কিছু বছর আগে থেকেই ইমারাতে ইসলামীর প্রতিনিধিরা আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ ও রাজনৈতিক সফরের ধারা শুরু করেছেন; ইমারাতে ইসলামির প্রতিনিধিরা এই সময়ে অনেক দেশে সফর করেছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন কনফারেন্স ও অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে এবং তাদের মূল বার্তা (ইসলামী শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা) পূরা বিশ্বের কাছে পৌছিয়ে দিয়েছেন, তবে আন্ত-আফগান আলোচনা শুরু পর সাক্ষাতের এই ধারা আবারো বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈশ্বিক রাষ্ট্র ও বিশেষ করে ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ ইসলামী ইমারাতের কাছে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইহার কারণ হচ্ছে, ইমারাতে ইসলামীর রাজনৈতিক মতপ্রকাশের সুযোগ ও তার অবস্থান পরিষ্কার করার বৈধ অধিকার ১৯ বছর পূর্বে আফগানে আক্রমণের দিন থেকেই ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। দেড় যুগের বেশি সময় ধরে সমস্ত আন্তর্জাতিক মিডিয়া ইসলামী ইমারাতের বিরোদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো, মিথ্যা অভিযোগ ও বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য পাবলিশ করায় ব্যস্ত ছিল।
এই মিথ্যা প্রচারণা ও প্রোপাগান্ডা অধিকাংশ মানুষের চিন্তাকে নষ্ট করে দিয়েছে, এমনকি ইসলামী বিশ্বের জনগণ ও ইসলামী বড় ব্যক্তিরাও ইমারতে ইসলামিকে বিদ্রোহী ও অবৈধ জামাত মনে করত; অথচ তখন একমাত্র ইমারাতে ইসলামীই ছিল মুজাহিদ আফগান জাতি ও সমস্ত জনগনের নিরাপত্তার প্রতিনিধিত্বকারী।
কিছু দিন পূর্বে যখন ইমারাতের প্রতিনিধিরা মুসলিম আলেমদের বৈশ্বিক সংস্থার প্রধান ও সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, এখন আমরা বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে ইমারাতে ইসলামীর প্রতি ইসলামী বিশ্বের আলেমদের চিন্তায় যে সমস্ত প্রশ্ন ঘুরপাক খেত তার উত্তর দেয়া হয়েছে এবং সেগুলো দূর হয়ে গেছে।
মহাব্বত ও ইখালাসে পূর্ণ সাক্ষাতের পরিবেশই ইহা সাক্ষ্য দিয়েছে যে, ইমারাতে ইসলামী মুসলিম বিশ্ব ও আলেম সমাজের দুশ্চিন্তার কোন কিছুই তারা বিশ্বাস করে না। এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইমারাতে ইসলামী এবং ইসলামী বিশ্বের জনগনের প্রোপাগান্ডা ও ভুল বুঝাবুঝির এক বিশাল বাধা রয়েছে, যদি সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে এই বাধা দূর হয়ে যায় তাহলে ইমারাতে ইসলামীর প্রতি এই সমস্ত সমাজের যে ভুল দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে তাও দূর হয়ে যাবে।
এই দিকে দৃষ্টি দিয়ে, ইহা এমন একটু সুযোগ যা দুই পক্ষকেই পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে। ইমারাতে ইসলামীর উপর আবশ্যক বিশ্বের সমস্ত অঞ্চল ও জাতির কাছে তাদের কার্ক্রমের বার্তা (ইসলামী শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা) পৌছে দেয়া। ইহার বিপরীতে বৈশ্বিক রাষ্ট্রসমূহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষ করে ইলমী সংস্থা -যারা মুসলিমদেরকে একত্রিত করা ও উন্নতি করার চেষ্টা করছে- তাদের পক্ষ থেকে ইমারাতে ইসলামীর সাথে সর্বদা সরাসরি সম্পর্ক রক্ষা করা ও উত্তম পরামর্শ পেশ করা আবশ্যক। সেই সাথে মহাব্বত ও ইখলাসের সাথে যেকোন কাজের সমালোচনা করা এবং সকল সংকট ও সমস্যার সমাধানে সাহায্য করা আবশ্যক।
- http://alsomood.com/?p=23079
-----------------------
কিছু দিন পূর্বে রাশিয়ার সাথে ইমারাতে ইসলামীর সম্পর্কের ব্যপারে আলোচনা করে ইমারাত ইসলামীর প্রধান মুফতী মৌলভী আমীর খান বলেছেনঃ
“ফ্রেডারেল রাশিয়ার সাথে ভবিষ্যৎ সম্পর্ক দুই রাষ্ট্রের দেশীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন ও অনুপ্রবেশ না করার মূলনীতির ভিত্তিতে হওয়া আবশ্যক, যাতে তিক্ত ও ব্যর্থ অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে”
Comment