اداره النصر
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents
بنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
عيد تو آئی ہے ليكن
عید الفطر 1444 ھ کے موقع پر
القاعدہ برّصغیر کی جانب سے
تمام اہلِ ایمان بالخصوص مسلمانانِ برّصغیر کے نام پیغام
‘ঈদ তো এসেছে, কিন্তু ...’
পবিত্র ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরি উপলক্ষে
‘আল কায়দা উপমহাদেশ’ শাখার পক্ষ থেকে
সমস্ত মুসলিমদের প্রতি, বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলিমদের প্রতি বিশেষ বার্তা
Eid al Fitr 1444 AH Message
By Al Qa’eda in the Subcontinent
ڈاونلوڈ کریں
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
پی ڈی ایف
PDF (361 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩৬১ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/4puly...QS+F+.pdf/file
https://archive.org/download/eidul-f...AQS%20F%20.pdf
https://anonfiles.com/F00di7nbzc/Eid...1444_AQS_F_pdf
ورڈ
WORD (956 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৯৫৬ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/09qmb...S+F+.docx/file
https://archive.org/details/eidul-fi...4-aqs-f_202304
https://archive.org/download/eidul-f...QS%20F%20.docx
https://anonfiles.com/q425i4n5zf/Eid...444_AQS_F_docx
غلاف
book cover [864 KB]
বুক কভার [৮৬৪ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/2d5hj...EidBn.jpg/file
***********
‘ঈদ তো এসেছে, কিন্তু ...’
পবিত্র ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরী উপলক্ষে
সমস্ত মুসলিমের প্রতি, বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলিমদের প্রতি ‘আল কায়েদা উপমহাদেশ’ শাখার পক্ষ থেকে বার্তা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد، الله أكبر كبيرا والحمد لله كثيرا وسبحان الله بكرة وأصيلا
আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণার পর....!
আমরা সারা বিশ্বের মুসলিমদের, বিশেষভাবে উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে ১৪৪৪ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতরের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এবং আপনাদের সকলের সৎকর্মগুলো কবুল করে নিন। সারাবছর আপনাদেরকে কল্যাণের চাদরে আবৃত রাখুন!
আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন সকল ঈমানদারের সালাত ও সিয়াম সহ অন্য সকল নেক আমালকে নিজের দরবারে কবুল ও মঞ্জুর করে নেন! জান্নাতে প্রবেশের যোগ্যতা দান করেন। জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুযায়ী এই দুনিয়াতে জীবন পরিচালনার সুযোগ দান করেন। আখিরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্যের নেয়ামত দানের ফায়সালা আমাদের জন্য করে দেন! তিনি যেন নিজের সন্তুষ্টির মহান দৌলত আমাদেরকে নসীব করেন!
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!
'ঈদ' ঈমানদারদের জন্য উৎসব। আল্লাহর প্রতি যাদের ঈমান রয়েছে, যারা সৎকর্ম পালনে আগ্রহী, যারা অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করে - এমন সকলের জন্যই 'ঈদ' বৈশ্বিক এক মহা উৎসব। এই ঈদের দিন সকল ঈমানদার ভাষা, বর্ণ, দেশ ও গোষ্ঠীগত পার্থক্য পেছনে ফেলে, শরীকবিহীন এক আল্লাহর শরীয়ত প্রদত্ত আনন্দকে নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়। উম্মাহর এই আনন্দের দিনে আমরাও তাদের সঙ্গে রয়েছি। উম্মাহর আনন্দ তো আমাদেরই আনন্দ এবং তাদের দুর্দশা তো আমাদেরই দুর্দশা। আলহামদুলিল্লাহ এবারের ঈদুল ফিতর এমন এক সময়ে ঈমানদারদের কাছে এসেছে, যখন এক শতাব্দী পর মুসলিম উম্মাহর একটি দেশে শরীয়তে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপস্থিতি রয়েছে। সেখানে সালাত কায়েম করা হচ্ছে, যাকাতের বিধান পালিত হচ্ছে। শরীয়তের বিধান হিজাবকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ২য় বারের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঈদ তো এসেছে, কিন্তু... মুসলিম উম্মাহর লক্ষ লক্ষ ঘর আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন। ৫৭ টি কথিত ইসলামী রাষ্ট্রের মধ্যে ৫৬ টিতেই পবিত্র ও আলোকিত ইসলামী শরীয়তের পরিবর্তে, মানব রচিত গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান অথবা জাতীয়তাবাদের আঁধার ছেয়ে আছে। এই ঈদের আগে রমযানে এমন একটা সময় আমাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে, যখন আমাদের প্রথম কিবলা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা ও মেরাজের মঞ্জিল 'মসজিদে আকসা'য় অভিশপ্ত ইহুদীরা হামলা করেছে। মুসল্লিদেরকে আহত করা হয়েছে এবং হিজাব পরিহিত বোনদের সাদা হিজাবকে রক্ত দ্বারা রঞ্জিত করা হয়েছে। কাশ্মীরে দখলদাররা নিয়মতান্ত্রিক হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। মুসলিম বোনদের হিজাবকে অসম্মানিত করা হচ্ছে। কাশ্মীরি বোনদের দ্বারা জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও নিজেদের স্বামী, সন্তান, ভাই, পিতাদেরকে হারাবার বিলাপ অব্যাহত আছে।
পূর্ব তুর্কিস্তানে (তথাকথিত জিনজিয়াংতে) উইঘুরের মুসলমানদেরকে রমযানে মদ পান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিম রমণীদেরকে নাস্তিকদের নাট্যমঞ্চে নাচতে ও গাইতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিম রমণীদেরকে চাইনিজদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে জোরপূর্বক আবদ্ধ করা হচ্ছে। উইঘুরের বোনদের মাথায় চাইনিজ নাস্তিকরা পেশাব করছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ভারতের অবস্থাও এর চেয়ে ভিন্ন নয়। বিহারে 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিয়ে আল্লাহর কিতাবের পাণ্ডুলিপি এবং মাদরাসাগুলোকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে টিভি ক্যামেরায় সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন সময়ে ২ জন মুসলিমকে মাথায় বন্দুক রেখে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। রাজস্থানের মসজিদে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সোমালিয়াতে আল্লাহর শরীয়ত বাস্তবায়নকারী মুসলিম যুবকদের উপর সুশৃঙ্খল যৌথ ক্রুসেড হামলা শুরু করা হয়েছে। ইয়েমেন থেকে ওয়াজিরিস্তান ও কাবায়েলি এলাকা পর্যন্ত আমেরিকা এবং মার্কিন জোটের ড্রোন বিমানগুলো বোম্বিং করে যাচ্ছে।
'ঈদ' অবশ্যই আনন্দের উপলক্ষ। কিন্তু এবার এই আনন্দকে ঘিরে আছে বিষাদের অন্ধকার। আমরা ঈদের আগমনে অবশ্যই আনন্দিত। কিন্তু এই আনন্দ অনুভব করার জন্য আমাদেরকে চোখ বুজে থাকতে হচ্ছে। কারণ আল্লাহর পবিত্র কাবা শরীফ ঘিরে নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনার সয়লাব দেখা যাচ্ছে। ক্রুসেডার শক্তি আমাদের কেবলার মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র শহর মদীনা ও মসজিদে নববীতে ইহুদীরা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুদের কন্যাদের সম্মান জাজিরাতুল আরবে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। বনু হাশেমের যুবকরা আল্লাহর দীন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপরাধে সৌদি তাগুতের জেলে বন্দী রয়েছেন। তাগুত বিন সালমান এই যুগের আবরাহা হয়ে রিয়াদে কাবা শরীফের আদলে নতুন সভ্যতার 'মুকাআব' নির্মাণ করছে।
পাকিস্তানের সামরিক এবং বেসামরিক শাসক মহল আমেরিকার সামনে সেজাদাবনত হয়েছে। আল্লাহর হাকিমিয়াত ও একচ্ছত্র শাসনতান্ত্রিক অধিকারে আমেরিকাকে অংশীদার বানিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা আমেরিকাকে নিজেদের সকল কর্মকাণ্ডের ইলাহ তথা ঈশ্বর স্থির করে নিয়েছে। আমেরিকা এবং তার লেজুড়মূলক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে, এরপর সুদ দিচ্ছে। ঋণ যখন পরিশোধ করতে পারছে না, তখন গোটা সমাজকেই বন্ধক হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরাই আল্লাহর ক্রোধের সম্মুখীন হবার উপযোগী। গোটা রাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে এরা ছিনিমিনি খেলছে। এরা এই সুদী ব্যবস্থা ভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানে যারা শরীয়ত বাস্তবায়নের দাবি করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে 'অল-আউট অপারেশন' এর ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত অপারেশন অল-আউটের নামে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনা করে আসছিলো। আজ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সকল সশস্ত্র বাহিনী এবং গোপন এজেন্সিগুলো সম্মিলিতভাবে 'একক ইউনিট' হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের ধর্মহীন শাসক মহল হিন্দুত্ববাদের দাসত্ব করে হাজী শরীয়তুল্লাহ এবং সৈয়দ তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহিমার পবিত্র ভূমি বাংলাকে কার্যতভাবে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে তারা মোদীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মুজাহিদ, আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষাকারী যুবকদের কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমানত রক্ষার চেষ্টার অপরাধে কারাগারে তাদের নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
নিঃসন্দেহে ঈদ হচ্ছে দুঃখ দুর্দশার কাল অতিক্রম করার পর শরৎকালের আগমনের মতো। ঈদ আমাদের আনন্দ ও খুশির উপলক্ষ। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর এমন দুর্দশার পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে পারি?
অবশ্য চাইলেই আমরা ঈদের এই দিনটাকে আনন্দ ও খুশির বসন্তকালে রূপান্তর করতে পারি। আমাদের শুধু প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমরা বিশুদ্ধ ও আলোকিত শরীয়তের আলো উম্মাহর প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিবো। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অনুগামী হবো। বিয়ে, বিচ্ছেদ, ব্যবসা বাণিজ্য, চাষাবাদ - জীবনের সকল স্তরে, সকল প্রয়োজনে ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ করবো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যে শরীয়ত এসেছে, আমাদের সরকার পরিচালনা ও বিচার ব্যবস্থায় সেটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
মজলুম শ্রীনগরের হোক অথবা কাশঘরের হোক, ইদলিবের হোক কিংবা গুয়ান্তানামোর হোক - আমরা তাকে আশ্রয় দিবো ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো। জালিম হোয়াইট হাউজের হোক অথবা দিল্লির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের হোক কিংবা রাওয়ালপিন্ডির GHQ এর হোক - আমরা উম্মাহর প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। টেক্সাস থেকে তিহার (Tihar) ও আদিয়ালা (Adiyala) - জালিমের শিকলে আবদ্ধ সকল মুসলিম ভাই বোনকে আমরা মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর দীনকে আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য - আমরা আমাদের চেষ্টা জারি রাখবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা সকল উপায় অবলম্বন করে, সর্বাত্মকভাবে এই দীনকে সাহায্য করার ও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো। একাজে সর্বোচ্চ কুরবানী করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখবো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে, আমাদের সন্তানদের থেকেও বেশি ভালোবাসা পাবার হকদার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহায্য করা এবং তাঁর সম্মানের প্রতিরক্ষায় আমরা আমাদের সন্তানদের শরীরে বোমা বেঁধে সামনে বাড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবো ইনশাআল্লাহ।
দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানে, আমাদের সামর্থ্যে থাকা সকল উপায় অবলম্বন করে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমরা শুধু মিম্বার ও মিহরাবের আবাদেই নিজেদের আবদ্ধ রাখবো না। বরং যুদ্ধের ময়দান ও পরিখাগুলোতেও আমরা ছড়িয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আমরা আমাদের পূর্ণ মনোযোগ শুধু যিকিরের হালাকা ও আল্লাহর স্মরণের মজলিশগুলোতেই আবদ্ধ করে ফেলবো না। বরং বদর ও ইয়ারমুকের যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
যদি আমরা উপর্যুক্ত কাজগুলো করি, আমাদের কিছু না থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা এগিয়ে আসি, যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি - তবেই ঈদ আমাদের জন্য আনন্দ ও খুশির উপলক্ষ হয়ে আসবে। তখন আমাদের ঈদের দিন আমাদের জন্য দুঃখ দুর্দশার দিন হয়ে আসবে না। এভাবেই শরীয়তহীনতার অন্ধকার আল্লাহর জমিন থেকে দূরীভূত হবে। ১৪০০ বছর আগে ঈদ যেমন আনন্দ ও শান্তির আলো নিয়ে মুমিনদের অন্তরে প্রবেশ করতো, তেমনি আমাদের অন্তরেও প্রবেশ করবে। আমাদের চেহারাগুলো উজ্জ্বল হবে। শান্তির বহিঃপ্রকাশ আমাদের চেহারাই ঘটবে। এরপর বিশুদ্ধ অন্তর ও বিশুদ্ধ জিহ্বা দিয়ে আমরা ঈদের দিন আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা উচ্চস্বরে দিবো ইনশাআল্লাহ।
اللهم أبرم لهذه الأمة أمر رشد يعز فيه أهل طاعتك ويذل فيه أهل معصيتك ويؤمر فيه بالمعروف وينهى فيه عن المنكر اللهم أعز الاسلام والمسلمين وانصر المجاهدين آمين يا رب العالمين
(হে আল্লাহ! আপনি এই উম্মাহর জন্য এমন কল্যাণের রাজপথ নির্মাণ করুন যেখানে আপনার অনুগত বান্দারা সম্মানিত হবে এবং আপনার নাফরমান বান্দারা লাঞ্ছিত হবে; যে পথে সৎ কাজের আদেশ করা হবে এবং অসৎ কাজে বারণ করা হবে।
হে আল্লাহ! আপনি ইসলাম এবং মুসলিমদেরকে সম্মানিত করুন। মুজাহিদদের সাহায্য ও নুসরাহ দান করুন!
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!)
وصلى الله تعالى على نبينا وحبيبنا محمد وعلى آله وصحبه وأمته أجمعين
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين
*******
***
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, প্রত্যক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সদকাতুল ফিতর’ হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী - ১৫০৩)
*********
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر
আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
আন নাসর মিডিয়া
An Nasr Media
پیش کرتے ہیں
পরিবেশিত
Presents
بنگالی ترجمہ
বাংলা অনুবাদ
Bengali Translation
عنوان:
শিরোনাম:
Titled:
عيد تو آئی ہے ليكن
عید الفطر 1444 ھ کے موقع پر
القاعدہ برّصغیر کی جانب سے
تمام اہلِ ایمان بالخصوص مسلمانانِ برّصغیر کے نام پیغام
‘ঈদ তো এসেছে, কিন্তু ...’
পবিত্র ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরি উপলক্ষে
‘আল কায়দা উপমহাদেশ’ শাখার পক্ষ থেকে
সমস্ত মুসলিমদের প্রতি, বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলিমদের প্রতি বিশেষ বার্তা
Eid al Fitr 1444 AH Message
By Al Qa’eda in the Subcontinent
ڈاونلوڈ کریں
সরাসরি দেখুন ও ডাউনলোড করুন
For Direct Viewing and Downloading
پی ڈی ایف
PDF (361 KB)
পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৩৬১ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/4puly...QS+F+.pdf/file
https://archive.org/download/eidul-f...AQS%20F%20.pdf
https://anonfiles.com/F00di7nbzc/Eid...1444_AQS_F_pdf
ورڈ
WORD (956 KB)
ওয়ার্ড ডাউনলোড করুন [৯৫৬ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/09qmb...S+F+.docx/file
https://archive.org/details/eidul-fi...4-aqs-f_202304
https://archive.org/download/eidul-f...QS%20F%20.docx
https://anonfiles.com/q425i4n5zf/Eid...444_AQS_F_docx
غلاف
book cover [864 KB]
বুক কভার [৮৬৪ কিলোবাইট]
https://www.mediafire.com/file/2d5hj...EidBn.jpg/file
***********
‘ঈদ তো এসেছে, কিন্তু ...’
পবিত্র ঈদুল ফিতর ১৪৪৪ হিজরী উপলক্ষে
সমস্ত মুসলিমের প্রতি, বিশেষ করে উপমহাদেশের মুসলিমদের প্রতি ‘আল কায়েদা উপমহাদেশ’ শাখার পক্ষ থেকে বার্তা
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيم
الله أكبر الله أكبر لا إله إلا الله والله أكبر الله أكبر ولله الحمد، الله أكبر كبيرا والحمد لله كثيرا وسبحان الله بكرة وأصيلا
আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণার পর....!
আমরা সারা বিশ্বের মুসলিমদের, বিশেষভাবে উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে ১৪৪৪ হিজরীর পবিত্র ঈদুল ফিতরের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এবং আপনাদের সকলের সৎকর্মগুলো কবুল করে নিন। সারাবছর আপনাদেরকে কল্যাণের চাদরে আবৃত রাখুন!
আমরা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন সকল ঈমানদারের সালাত ও সিয়াম সহ অন্য সকল নেক আমালকে নিজের দরবারে কবুল ও মঞ্জুর করে নেন! জান্নাতে প্রবেশের যোগ্যতা দান করেন। জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ অনুযায়ী এই দুনিয়াতে জীবন পরিচালনার সুযোগ দান করেন। আখিরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সান্নিধ্যের নেয়ামত দানের ফায়সালা আমাদের জন্য করে দেন! তিনি যেন নিজের সন্তুষ্টির মহান দৌলত আমাদেরকে নসীব করেন!
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!
'ঈদ' ঈমানদারদের জন্য উৎসব। আল্লাহর প্রতি যাদের ঈমান রয়েছে, যারা সৎকর্ম পালনে আগ্রহী, যারা অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করে - এমন সকলের জন্যই 'ঈদ' বৈশ্বিক এক মহা উৎসব। এই ঈদের দিন সকল ঈমানদার ভাষা, বর্ণ, দেশ ও গোষ্ঠীগত পার্থক্য পেছনে ফেলে, শরীকবিহীন এক আল্লাহর শরীয়ত প্রদত্ত আনন্দকে নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়। উম্মাহর এই আনন্দের দিনে আমরাও তাদের সঙ্গে রয়েছি। উম্মাহর আনন্দ তো আমাদেরই আনন্দ এবং তাদের দুর্দশা তো আমাদেরই দুর্দশা। আলহামদুলিল্লাহ এবারের ঈদুল ফিতর এমন এক সময়ে ঈমানদারদের কাছে এসেছে, যখন এক শতাব্দী পর মুসলিম উম্মাহর একটি দেশে শরীয়তে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপস্থিতি রয়েছে। সেখানে সালাত কায়েম করা হচ্ছে, যাকাতের বিধান পালিত হচ্ছে। শরীয়তের বিধান হিজাবকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ২য় বারের মতো ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ।
ঈদ তো এসেছে, কিন্তু... মুসলিম উম্মাহর লক্ষ লক্ষ ঘর আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন। ৫৭ টি কথিত ইসলামী রাষ্ট্রের মধ্যে ৫৬ টিতেই পবিত্র ও আলোকিত ইসলামী শরীয়তের পরিবর্তে, মানব রচিত গণতান্ত্রিক বিধি-বিধান অথবা জাতীয়তাবাদের আঁধার ছেয়ে আছে। এই ঈদের আগে রমযানে এমন একটা সময় আমাদের উপর দিয়ে অতিবাহিত হয়েছে, যখন আমাদের প্রথম কিবলা এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসরা ও মেরাজের মঞ্জিল 'মসজিদে আকসা'য় অভিশপ্ত ইহুদীরা হামলা করেছে। মুসল্লিদেরকে আহত করা হয়েছে এবং হিজাব পরিহিত বোনদের সাদা হিজাবকে রক্ত দ্বারা রঞ্জিত করা হয়েছে। কাশ্মীরে দখলদাররা নিয়মতান্ত্রিক হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। মুসলিম বোনদের হিজাবকে অসম্মানিত করা হচ্ছে। কাশ্মীরি বোনদের দ্বারা জোরপূর্বক উচ্ছেদ ও নিজেদের স্বামী, সন্তান, ভাই, পিতাদেরকে হারাবার বিলাপ অব্যাহত আছে।
পূর্ব তুর্কিস্তানে (তথাকথিত জিনজিয়াংতে) উইঘুরের মুসলমানদেরকে রমযানে মদ পান করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিম রমণীদেরকে নাস্তিকদের নাট্যমঞ্চে নাচতে ও গাইতে বাধ্য করা হচ্ছে। মুসলিম রমণীদেরকে চাইনিজদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে জোরপূর্বক আবদ্ধ করা হচ্ছে। উইঘুরের বোনদের মাথায় চাইনিজ নাস্তিকরা পেশাব করছে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
ভারতের অবস্থাও এর চেয়ে ভিন্ন নয়। বিহারে 'জয় শ্রীরাম' শ্লোগান দিয়ে আল্লাহর কিতাবের পাণ্ডুলিপি এবং মাদরাসাগুলোকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে টিভি ক্যামেরায় সরাসরি সম্প্রচার চলাকালীন সময়ে ২ জন মুসলিমকে মাথায় বন্দুক রেখে শহীদ করে দেয়া হয়েছে। রাজস্থানের মসজিদে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সোমালিয়াতে আল্লাহর শরীয়ত বাস্তবায়নকারী মুসলিম যুবকদের উপর সুশৃঙ্খল যৌথ ক্রুসেড হামলা শুরু করা হয়েছে। ইয়েমেন থেকে ওয়াজিরিস্তান ও কাবায়েলি এলাকা পর্যন্ত আমেরিকা এবং মার্কিন জোটের ড্রোন বিমানগুলো বোম্বিং করে যাচ্ছে।
'ঈদ' অবশ্যই আনন্দের উপলক্ষ। কিন্তু এবার এই আনন্দকে ঘিরে আছে বিষাদের অন্ধকার। আমরা ঈদের আগমনে অবশ্যই আনন্দিত। কিন্তু এই আনন্দ অনুভব করার জন্য আমাদেরকে চোখ বুজে থাকতে হচ্ছে। কারণ আল্লাহর পবিত্র কাবা শরীফ ঘিরে নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনার সয়লাব দেখা যাচ্ছে। ক্রুসেডার শক্তি আমাদের কেবলার মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র শহর মদীনা ও মসজিদে নববীতে ইহুদীরা স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুদের কন্যাদের সম্মান জাজিরাতুল আরবে নিলামে বিক্রি হচ্ছে। বনু হাশেমের যুবকরা আল্লাহর দীন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপরাধে সৌদি তাগুতের জেলে বন্দী রয়েছেন। তাগুত বিন সালমান এই যুগের আবরাহা হয়ে রিয়াদে কাবা শরীফের আদলে নতুন সভ্যতার 'মুকাআব' নির্মাণ করছে।
পাকিস্তানের সামরিক এবং বেসামরিক শাসক মহল আমেরিকার সামনে সেজাদাবনত হয়েছে। আল্লাহর হাকিমিয়াত ও একচ্ছত্র শাসনতান্ত্রিক অধিকারে আমেরিকাকে অংশীদার বানিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা আমেরিকাকে নিজেদের সকল কর্মকাণ্ডের ইলাহ তথা ঈশ্বর স্থির করে নিয়েছে। আমেরিকা এবং তার লেজুড়মূলক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঋণ নিচ্ছে, এরপর সুদ দিচ্ছে। ঋণ যখন পরিশোধ করতে পারছে না, তখন গোটা সমাজকেই বন্ধক হিসেবে তাদের হাতে তুলে দিচ্ছে। এরাই আল্লাহর ক্রোধের সম্মুখীন হবার উপযোগী। গোটা রাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে এরা ছিনিমিনি খেলছে। এরা এই সুদী ব্যবস্থা ভিত্তিক অর্থনীতির মাধ্যমে আল্লাহ্ ও আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেছে।
পাকিস্তানে যারা শরীয়ত বাস্তবায়নের দাবি করে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে 'অল-আউট অপারেশন' এর ঘোষণা করেছে। গতকাল পর্যন্ত অপারেশন অল-আউটের নামে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাশ্মীরে অভিযান পরিচালনা করে আসছিলো। আজ মুজাহিদদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সকল সশস্ত্র বাহিনী এবং গোপন এজেন্সিগুলো সম্মিলিতভাবে 'একক ইউনিট' হিসেবে কাজ করবে।
বাংলাদেশের ধর্মহীন শাসক মহল হিন্দুত্ববাদের দাসত্ব করে হাজী শরীয়তুল্লাহ এবং সৈয়দ তিতুমীর রহমতুল্লাহি আলাইহিমার পবিত্র ভূমি বাংলাকে কার্যতভাবে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে তারা মোদীর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মুজাহিদ, আল্লাহর রাসূলের সম্মান রক্ষাকারী যুবকদের কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমানত রক্ষার চেষ্টার অপরাধে কারাগারে তাদের নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
নিঃসন্দেহে ঈদ হচ্ছে দুঃখ দুর্দশার কাল অতিক্রম করার পর শরৎকালের আগমনের মতো। ঈদ আমাদের আনন্দ ও খুশির উপলক্ষ। কিন্তু মুসলিম উম্মাহর এমন দুর্দশার পরিস্থিতিতে আমরা কিভাবে আনন্দ উৎসবে মেতে উঠতে পারি?
অবশ্য চাইলেই আমরা ঈদের এই দিনটাকে আনন্দ ও খুশির বসন্তকালে রূপান্তর করতে পারি। আমাদের শুধু প্রতিজ্ঞা করতে হবে যে, আমরা বিশুদ্ধ ও আলোকিত শরীয়তের আলো উম্মাহর প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিবো। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তের অনুগামী হবো। বিয়ে, বিচ্ছেদ, ব্যবসা বাণিজ্য, চাষাবাদ - জীবনের সকল স্তরে, সকল প্রয়োজনে ইসলামী শরীয়তের অনুসরণ করবো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যে শরীয়ত এসেছে, আমাদের সরকার পরিচালনা ও বিচার ব্যবস্থায় সেটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
মজলুম শ্রীনগরের হোক অথবা কাশঘরের হোক, ইদলিবের হোক কিংবা গুয়ান্তানামোর হোক - আমরা তাকে আশ্রয় দিবো ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবো। জালিম হোয়াইট হাউজের হোক অথবা দিল্লির প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের হোক কিংবা রাওয়ালপিন্ডির GHQ এর হোক - আমরা উম্মাহর প্রতিরক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো। টেক্সাস থেকে তিহার (Tihar) ও আদিয়ালা (Adiyala) - জালিমের শিকলে আবদ্ধ সকল মুসলিম ভাই বোনকে আমরা মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর দীনকে আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য, আল্লাহর রাসূলের দেখানো পথে খিলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য - আমরা আমাদের চেষ্টা জারি রাখবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকা সকল উপায় অবলম্বন করে, সর্বাত্মকভাবে এই দীনকে সাহায্য করার ও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করবো। একাজে সর্বোচ্চ কুরবানী করার জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখবো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাছে, আমাদের সন্তানদের থেকেও বেশি ভালোবাসা পাবার হকদার। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সাহায্য করা এবং তাঁর সম্মানের প্রতিরক্ষায় আমরা আমাদের সন্তানদের শরীরে বোমা বেঁধে সামনে বাড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবো ইনশাআল্লাহ।
দাওয়াত ও জিহাদের ময়দানে, আমাদের সামর্থ্যে থাকা সকল উপায় অবলম্বন করে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আমরা শুধু মিম্বার ও মিহরাবের আবাদেই নিজেদের আবদ্ধ রাখবো না। বরং যুদ্ধের ময়দান ও পরিখাগুলোতেও আমরা ছড়িয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।
আমরা আমাদের পূর্ণ মনোযোগ শুধু যিকিরের হালাকা ও আল্লাহর স্মরণের মজলিশগুলোতেই আবদ্ধ করে ফেলবো না। বরং বদর ও ইয়ারমুকের যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি আমাদের জীবনে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
যদি আমরা উপর্যুক্ত কাজগুলো করি, আমাদের কিছু না থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা এগিয়ে আসি, যারা আল্লাহর রাস্তায় নিজেদের বিলিয়ে দিচ্ছেন তাদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি - তবেই ঈদ আমাদের জন্য আনন্দ ও খুশির উপলক্ষ হয়ে আসবে। তখন আমাদের ঈদের দিন আমাদের জন্য দুঃখ দুর্দশার দিন হয়ে আসবে না। এভাবেই শরীয়তহীনতার অন্ধকার আল্লাহর জমিন থেকে দূরীভূত হবে। ১৪০০ বছর আগে ঈদ যেমন আনন্দ ও শান্তির আলো নিয়ে মুমিনদের অন্তরে প্রবেশ করতো, তেমনি আমাদের অন্তরেও প্রবেশ করবে। আমাদের চেহারাগুলো উজ্জ্বল হবে। শান্তির বহিঃপ্রকাশ আমাদের চেহারাই ঘটবে। এরপর বিশুদ্ধ অন্তর ও বিশুদ্ধ জিহ্বা দিয়ে আমরা ঈদের দিন আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা উচ্চস্বরে দিবো ইনশাআল্লাহ।
اللهم أبرم لهذه الأمة أمر رشد يعز فيه أهل طاعتك ويذل فيه أهل معصيتك ويؤمر فيه بالمعروف وينهى فيه عن المنكر اللهم أعز الاسلام والمسلمين وانصر المجاهدين آمين يا رب العالمين
(হে আল্লাহ! আপনি এই উম্মাহর জন্য এমন কল্যাণের রাজপথ নির্মাণ করুন যেখানে আপনার অনুগত বান্দারা সম্মানিত হবে এবং আপনার নাফরমান বান্দারা লাঞ্ছিত হবে; যে পথে সৎ কাজের আদেশ করা হবে এবং অসৎ কাজে বারণ করা হবে।
হে আল্লাহ! আপনি ইসলাম এবং মুসলিমদেরকে সম্মানিত করুন। মুজাহিদদের সাহায্য ও নুসরাহ দান করুন!
আমীন, ইয়া রাব্বাল আলামীন!)
وصلى الله تعالى على نبينا وحبيبنا محمد وعلى آله وصحبه وأمته أجمعين
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين
*******
***
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ السَّكَنِ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَهْضَمٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ فَرَضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَكَاةَ الْفِطْرِ صَاعًا مِنْ تَمْرٍ، أَوْ صَاعًا مِنْ شَعِيرٍ عَلَى الْعَبْدِ وَالْحُرِّ، وَالذَّكَرِ وَالأُنْثَى، وَالصَّغِيرِ وَالْكَبِيرِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَأَمَرَ بِهَا أَنْ تُؤَدَّى قَبْلَ خُرُوجِ النَّاسِ إِلَى الصَّلاَةِ.
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, প্রত্যক গোলাম, আযাদ, পুরুষ, নারী, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিমের উপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘সদকাতুল ফিতর’ হিসেবে খেজুর হোক অথবা যব হোক এক সা’ পরিমাণ আদায় করা ফরয করেছেন এবং লোকজনের ঈদের সালাতের বের হবার পূর্বেই তা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারী - ১৫০৩)
*********
اپنی دعاؤں میں ہمیں یاد رکھيں
اداره النصر براۓ نشر و اشاعت
القاعدہ برِّ صغیر
আপনাদের দোয়ায়
আন নাসর মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
আল কায়েদা উপমহাদেশ
In your dua remember your brothers of
An Nasr Media
Al-Qaidah in the Subcontinent
Comment