তাহরির আশ শামকে শরঈ আদালতে বসার আহ্বান জানালেন শাইখ আবু মুহাম্মাদ আস সুদানি
তানযিম হুররাসুদ্দীন এর উচ্চপদস্ত নেতা শাইখ আবু মুহাম্মাদ আস সুদানি হাইআত তাহরির আশ শামের প্রধান আবু মুহাম্মাদ জাওলানি এবং এ দলের নেতৃবৃন্দকে শরিয়া আদালতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শরীয়াহ আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে তিনি শাইখ আবু কাতাদাহর নাম প্রস্তাব করেছেন।
১৪ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি তারিখে শামের মুজাহিদদের বিভিন্ন চ্যানেলে শাইখের تجديد الخطاب للهيئة শিরোনামের বার্তাটি প্রকশিত হয়।
উক্ত বার্তায় শাইখ আস-সুদানি বলেন-
‘আমি আবারো হাইয়াত তাহরির আশ শামের নেতৃবৃন্দকে শরিয়াহ আদালতে বসার আহ্বান করছি, যার বিচারক হবেন শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিযাহুল্লাহ। শাইখের ব্যাপারে হাইয়ার নেতৃবৃন্দ পূর্ব থেকেই সন্তুষ্ট, যেমনটি তাদের ও আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে অতীতে দেখা গেছে ।”
উল্লেখ্য গত ৯ অক্টোবর শাইখ সুদানি ((شرع الله يفصل بيننا وبينكم)) শিরোনামের বার্তায় তাহরিরের প্রধান আল-জাওলানিকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
“অতঃপর হে আবু মুহাম্মাদ জাওলানি! আমি আপনাকে আহ্বান করছি- যদি আপনি সত্যবাদী হন এবং সত্যকেই চান, তাহলে আমাদের সম্মানিত শাইখ আবু কাতাদাহ’র কাছে আল্লাহর শরীয়ত দ্বারা ফায়সালার যে আহ্বান আপনাদের করা হয়েছে, তাতে সাড়া দিন, যাকে আপনি পূর্বে আমাদের মাঝে বিচার করে দেওয়ার ব্যাপারে পসন্দ করেছিলেন।”
উল্লেখ্য তাহরিরের পক্ষ থেকে এই বার্তার কোন জবাব দেয়া হয়নি।
তাহরির আশ-শাম বেশ কয়েক মাস ধরে হুররাস এবং অন্যান্য সংগঠনের বেশ কয়েকজন আলিম, নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে রয়েছেন শাইখ আবু আব্দুর রাহমান আল মাক্কি, শাইখ খাল্লাদ আল জুফি, শাইখ আবুল ফিদা হালাবি, ভাই আবু ইউসুফসহ আরও কয়েকজন। এমনকি তাহরির আশ-শামের দখলে নেই এমন বেশ কিছু এলাকায় তারা অপারেশন চালিয়েছে। এসব অপারেশনের ফলে স্থানীয়দের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে নারীও রয়েছে। বার্তায় শাইখ সুদানি তাহরির কর্তৃক হুররাসের মুজাহিদদের গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন।
হুররাসুদ্দীনের সদস্যদের পাশাপাশি তাহরির আশ শাম অন্যান্য দলের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কোন দলের সাথে যুক্ত নন, এমন উম্মাহ দরদী বিভিন্ন আত্মত্যাগী ব্যক্তিদেরও তারা গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। ব্রিটিশ ত্রাণ কর্মী তৌকির শরীফ, আমেরিকান মুহাজির সাংবাদিক বিলাল আব্দুল করিম, ফ্রান্সের মুহাজির ফিরকাতুল গুরাবা’র আমীর উমর উমসেন সহ বিভিন্ন ব্যক্তি বর্তমান তাহরির আশ-শামের হাতে বন্দী। এর মধ্যে তৌকির শরীফকে দুই দফায় বন্দী করা হয়েছে। প্রথম বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাবার পর তিনি তাহরিরের হাতে নির্যাতিত হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তাহরির আশ-শাম তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হকপন্থী মুজাহিদিনের বিভিন্ন জামআতকে কোণঠাসা করে রেখেছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে নুসাইরিদের বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার উপরও বাধা দিচ্ছে। লক্ষনীয় বিষয় হল তাহরিরের এসব কর্মকান্ড সিরিয়াতে তুরস্কের সামরিক নীতি এবং তুরস্ক-রাশিয়ার বোঝাপড়ার ছকের সাথে মিলে যাচ্ছে।
তাহরিরের কিছু নীতির সমালোচনা করা, ইদলিবে তুর্কির অবস্থানের বিরুদ্ধে বলা এবং নুসাইরি শত্রুদের প্রতি স্বতন্ত্র অপারেশন রুমের প্রতি সমর্থন জানানো ছাড়া হুররাস এবং অন্যান্য জিহাদি দলগুলোর বিরুদ্ধে বলার মত কোন অভিযোগ দেখা যায়না। অথচ এর কোনটি অপরাধ নয়। এর কারণে হত্যা, গ্রেফতারি কিংবা নির্যাতনও কোনভাবে যৌক্তিক না।
শাইখ সুদানি তার বার্তায় হুররাসের সদস্যদের সবর করা ও উলামায়ে রাব্বানি ও আহলুল ইলমদের মাশওয়ারা মেনে চলার প্রতি আহ্বান করেছেন।
প্রসঙ্গত জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের পক্ষ নেওয়ার কারণে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর সিরিয়ার ইদলিব থেকে হাইয়াত তাহরির আশ শামের স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী শাইখ সামী আল উরাইদিসহ জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের চার শাইখ ও নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছিল। তাহরির আশ শামের নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতারকৃত নেতৃত্বদের বাড়িঘরসহ সিরিয়ায় অবস্থানরত শাইখ আবুল কাসসাম উরদুনির বাসাও তছনছ করে দেয়। শাইখ আল-উরদুনি ছিলেন শাইখ আবু মুসআব যারকাবির নায়েব বা ডেপুটি। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে আরও ছিলেন – শাইখ আবু হুমাম আস সুরি ও শাইখ আব্দুল করিম আল মিসরি।
তাহরির আশ শাম এক বিবৃতিতে গ্রেফতারকৃত শাইখ ও উমারাহদের ‘ফিতনা ও ফাসাদের মূল’ আখ্যায়িত করে তাঁদের তাহরির এর শরিয়াহ আদালতে পেশ করা হবে জানিয়েছিল। গ্রেফতারী এবং দমনপীড়নের এ ধারাবাহিকতাই এখন চলছে। এ ঘটনার প্রায় এক বছর পূর্বে, শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসি সর্বপ্রথম জনসম্মুখে বলেন – আন-নুসরার জাবহাতু ফাতহিশ শামে পরিণত হবার সিদ্ধান্ত হাকিমুল উম্মাহ শায়খ যাওয়াহিরি’র সমর্থিত ছিলো না। পরে এ তথ্যের সত্যতা কায়িদাতুল জিহাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
তানযিম হুররাসুদ্দীন এর উচ্চপদস্ত নেতা শাইখ আবু মুহাম্মাদ আস সুদানি হাইআত তাহরির আশ শামের প্রধান আবু মুহাম্মাদ জাওলানি এবং এ দলের নেতৃবৃন্দকে শরিয়া আদালতে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। শরীয়াহ আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে তিনি শাইখ আবু কাতাদাহর নাম প্রস্তাব করেছেন।
১৪ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি তারিখে শামের মুজাহিদদের বিভিন্ন চ্যানেলে শাইখের تجديد الخطاب للهيئة শিরোনামের বার্তাটি প্রকশিত হয়।
উক্ত বার্তায় শাইখ আস-সুদানি বলেন-
‘আমি আবারো হাইয়াত তাহরির আশ শামের নেতৃবৃন্দকে শরিয়াহ আদালতে বসার আহ্বান করছি, যার বিচারক হবেন শাইখ আবু কাতাদাহ আল ফিলিস্তিনি হাফিযাহুল্লাহ। শাইখের ব্যাপারে হাইয়ার নেতৃবৃন্দ পূর্ব থেকেই সন্তুষ্ট, যেমনটি তাদের ও আমাদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে অতীতে দেখা গেছে ।”
উল্লেখ্য গত ৯ অক্টোবর শাইখ সুদানি ((شرع الله يفصل بيننا وبينكم)) শিরোনামের বার্তায় তাহরিরের প্রধান আল-জাওলানিকে উদ্দেশ্য করে বলেন-
“অতঃপর হে আবু মুহাম্মাদ জাওলানি! আমি আপনাকে আহ্বান করছি- যদি আপনি সত্যবাদী হন এবং সত্যকেই চান, তাহলে আমাদের সম্মানিত শাইখ আবু কাতাদাহ’র কাছে আল্লাহর শরীয়ত দ্বারা ফায়সালার যে আহ্বান আপনাদের করা হয়েছে, তাতে সাড়া দিন, যাকে আপনি পূর্বে আমাদের মাঝে বিচার করে দেওয়ার ব্যাপারে পসন্দ করেছিলেন।”
উল্লেখ্য তাহরিরের পক্ষ থেকে এই বার্তার কোন জবাব দেয়া হয়নি।
তাহরির আশ-শাম বেশ কয়েক মাস ধরে হুররাস এবং অন্যান্য সংগঠনের বেশ কয়েকজন আলিম, নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে রয়েছেন শাইখ আবু আব্দুর রাহমান আল মাক্কি, শাইখ খাল্লাদ আল জুফি, শাইখ আবুল ফিদা হালাবি, ভাই আবু ইউসুফসহ আরও কয়েকজন। এমনকি তাহরির আশ-শামের দখলে নেই এমন বেশ কিছু এলাকায় তারা অপারেশন চালিয়েছে। এসব অপারেশনের ফলে স্থানীয়দের বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে, সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। হতাহতদের মধ্যে নারীও রয়েছে। বার্তায় শাইখ সুদানি তাহরির কর্তৃক হুররাসের মুজাহিদদের গ্রেফতার গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন।
হুররাসুদ্দীনের সদস্যদের পাশাপাশি তাহরির আশ শাম অন্যান্য দলের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কোন দলের সাথে যুক্ত নন, এমন উম্মাহ দরদী বিভিন্ন আত্মত্যাগী ব্যক্তিদেরও তারা গ্রেফতার ও নির্যাতন করেছে। ব্রিটিশ ত্রাণ কর্মী তৌকির শরীফ, আমেরিকান মুহাজির সাংবাদিক বিলাল আব্দুল করিম, ফ্রান্সের মুহাজির ফিরকাতুল গুরাবা’র আমীর উমর উমসেন সহ বিভিন্ন ব্যক্তি বর্তমান তাহরির আশ-শামের হাতে বন্দী। এর মধ্যে তৌকির শরীফকে দুই দফায় বন্দী করা হয়েছে। প্রথম বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পাবার পর তিনি তাহরিরের হাতে নির্যাতিত হওয়ার সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তাহরির আশ-শাম তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে হকপন্থী মুজাহিদিনের বিভিন্ন জামআতকে কোণঠাসা করে রেখেছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে নুসাইরিদের বিরুদ্ধে সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার উপরও বাধা দিচ্ছে। লক্ষনীয় বিষয় হল তাহরিরের এসব কর্মকান্ড সিরিয়াতে তুরস্কের সামরিক নীতি এবং তুরস্ক-রাশিয়ার বোঝাপড়ার ছকের সাথে মিলে যাচ্ছে।
তাহরিরের কিছু নীতির সমালোচনা করা, ইদলিবে তুর্কির অবস্থানের বিরুদ্ধে বলা এবং নুসাইরি শত্রুদের প্রতি স্বতন্ত্র অপারেশন রুমের প্রতি সমর্থন জানানো ছাড়া হুররাস এবং অন্যান্য জিহাদি দলগুলোর বিরুদ্ধে বলার মত কোন অভিযোগ দেখা যায়না। অথচ এর কোনটি অপরাধ নয়। এর কারণে হত্যা, গ্রেফতারি কিংবা নির্যাতনও কোনভাবে যৌক্তিক না।
শাইখ সুদানি তার বার্তায় হুররাসের সদস্যদের সবর করা ও উলামায়ে রাব্বানি ও আহলুল ইলমদের মাশওয়ারা মেনে চলার প্রতি আহ্বান করেছেন।
প্রসঙ্গত জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের পক্ষ নেওয়ার কারণে ২০১৭ সালের ২৮ নভেম্বর সিরিয়ার ইদলিব থেকে হাইয়াত তাহরির আশ শামের স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী শাইখ সামী আল উরাইদিসহ জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের চার শাইখ ও নেতৃত্বকে গ্রেফতার করেছিল। তাহরির আশ শামের নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেফতারকৃত নেতৃত্বদের বাড়িঘরসহ সিরিয়ায় অবস্থানরত শাইখ আবুল কাসসাম উরদুনির বাসাও তছনছ করে দেয়। শাইখ আল-উরদুনি ছিলেন শাইখ আবু মুসআব যারকাবির নায়েব বা ডেপুটি। গ্রেফতারকৃতদের মাঝে আরও ছিলেন – শাইখ আবু হুমাম আস সুরি ও শাইখ আব্দুল করিম আল মিসরি।
তাহরির আশ শাম এক বিবৃতিতে গ্রেফতারকৃত শাইখ ও উমারাহদের ‘ফিতনা ও ফাসাদের মূল’ আখ্যায়িত করে তাঁদের তাহরির এর শরিয়াহ আদালতে পেশ করা হবে জানিয়েছিল। গ্রেফতারী এবং দমনপীড়নের এ ধারাবাহিকতাই এখন চলছে। এ ঘটনার প্রায় এক বছর পূর্বে, শাইখ আবু মুহাম্মাদ আল-মাক্বদিসি সর্বপ্রথম জনসম্মুখে বলেন – আন-নুসরার জাবহাতু ফাতহিশ শামে পরিণত হবার সিদ্ধান্ত হাকিমুল উম্মাহ শায়খ যাওয়াহিরি’র সমর্থিত ছিলো না। পরে এ তথ্যের সত্যতা কায়িদাতুল জিহাদের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
Comment