তারবিয়াহ
ইস্যু-৭ | ১৪৪১ হিজরি | ২০২০ ইংরেজি
শাতেমে রাসূলের ক্ষেত্রে করণীয়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবি কারীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার তিনটি পদ্ধতি
মাওলানা মুহাম্মদ মুসান্না হাসান হাফি.
অনুবাদঃ আব্দুস সালাম
------------------------------------------------
ইস্যু-৭ | ১৪৪১ হিজরি | ২০২০ ইংরেজি
শাতেমে রাসূলের ক্ষেত্রে করণীয়
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবি কারীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার তিনটি পদ্ধতি
মাওলানা মুহাম্মদ মুসান্না হাসান হাফি.
অনুবাদঃ আব্দুস সালাম
------------------------------------------------
আজকের এই যুগের কাফেররা তাদের পূর্বপুরুষদের পদাঙ্ক অনুসরণে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবি করেছে এবং তাদের এই হীন কর্ম আজ পর্যন্ত চলমান। যার ফলে প্রত্যেক মুসলমান, ঈমানদার ব্যক্তির হৃদয় অস্থির হয়ে এই প্রশ্ন করে যে “আমরা এই মুহূর্তে কী ভাবে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সাহায্য করতে পারি? কি-ই বা করতে পারি আমরা?”
১) জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ।
মহান আল্লাহ তা’আলা মুসলমান মুমিনদের অন্তরের এই জ্বলন-দহন কে নির্বাপিত করার জন্যে ক্বিতাল ফি-সাবিলিল্লাহ কে নির্ধারিত করে দিয়েছেন। কালামে পাকে এরশাদ হচ্ছে,
أأَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَّكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُم بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ ۚ أَتَخْشَوْنَهُمْ ۚ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَن تَخْشَوْهُ إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَقَاتِلُوهُمْ يُعَذِّبْهُمُ اللَّهُ بِأَيْدِيكُمْ وَيُخْزِهِمْ وَيَنصُرْكُمْ عَلَيْهِمْ وَيَشْفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِينَ –وَيُذْهِبْ غَيْظَ قُلُوبِهِمْ ۗ وَيَتُوبُ اللَّهُ عَلَىٰ مَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
“তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রাসুলকে বহিষ্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। যুদ্ধ কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। এবং তাদের মনের ক্ষোভ দূর করবেন। আর আল্লাহ যার প্রতি ইচ্ছা ক্ষমাশীল হবে, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়”। (সূরা: তাওবাহ, আয়াত: ১৩-১৫)
[عن عبادة بن الصامت:] جاهِدوا في سَبيلِ اللهِ؛ فإنَّ الجِهادَ في سَبيلِ اللهِ بابٌ مِن أبْوابِ الجنَّةِ، يُنجِّي اللهُ به مِن الهَمِّ والغَمِّ. شعيب الأرنؤوط (١٤٣٨ هـ)، تخريج المسند ٢٢٦٨٠ • حسن بمجموع طرقه • أخرجه أحمد (٢٢٦٨٠) واللفظ له، وابن أبي عاصم في «الجهاد» (١/١٣٣) باختلاف يسير، والطبراني في «مسند الشاميين» (١٥٠٢) مطولاً
হযরত উবাদা ইবনে সামেত রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা আল্লাহর পথে লড়াই কর। কেননা জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহ হচ্ছে জান্নাতের দরজা সমূহ থেকে একটি দরজা। আল্লাহ তা’আলা এর মাধ্যমে সকল প্রকার দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিবেন।
সুতরাং কাফেরদের এই নাপাক বিরত্ব জিহাদের সাথে আমাদের সম্পর্ক মজবুত করার মাধ্যম হওয়া উচিৎ, এবং আমাদেরকে প্রকাশ করার জন্য রাজপথ ও সমতল ভূমির দিকে বের হওয়ার পরিবর্তে যুদ্ধের জন্য রণাঙ্গনের দিকে বের হওয়া জরুরী। বিশেষ ভাবে আমাদের তীর-তরবারি ঐ সকল রাষ্ট্রের দিকে তাক করা দরকার যেই সকল রাষ্ট্রের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এই ধূলি প্রলপিত হয়েছে। যেমন- ডেনমার্ক, জার্মানি, হল্যান্ড, নরওয়ে ইত্যাদি রাষ্ট্রসমূহ। এই সকল ক্রুসেড রাষ্ট্রগুলোকে এমন শিক্ষা দেওয়া দরকার যাতে করে তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ও এমন দুঃসাহস না দেখাতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ! এই সকল ক্রুসেড রাষ্ট্রগুলো শুধুমাত্র তাদের দেশেই সীমাবদ্ধ নয় বরং গোটা বিশ্ব জুড়েই তারা ছড়িয়ে আছে। এমন অনেক ইসলামি রাষ্ট্র রয়েছে যেগুলোর মাঝে তাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোকে ধ্বংসের টার্গেট বানাতে পারলে তাদের অনেক ক্ষতি সাধিত হবে। এবং তারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পরবে। সুতরাং ঈমানদারদের উপর আবশ্যক হচ্ছে সামনে অগ্রসর হয়ে প্রত্যেক সম্ভাব্য উপয়ে নিজেদের উপর অর্পিত ফরজ দায়িত্ব আদায়ের চেষ্টা করা।
২) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবি কারীকে হত্যা করা।
শরিয়তের আলোকে এই সময় দ্বিতীয় ফরজ কাজ হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবি করার অপরাধে অপরাধীকে শিরশ্ছেদ এর মাধ্যমে হত্যা করতে হবে। আসলাফদের থেকে নিয়ে আমাদের পূর্বপুরুষগণ প্রত্যেক যুগে যুগে মুহাম্মদ বিন মাসলামা রা., আব্দুল্লাহ বিন আতিক রা,, উমায়ের বিন আদি রা,-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন।
১৯২৯ সালে যখন রাজপাল রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে কুৎসা রটনা করে বই প্রকাশ করল তখন গাজী ইলমুদ দ্বীন শহীদ রহ. তাকে হত্যা করে ফেলেন। পরবর্তীতে ইংরেজ সরকারের কুফুরী আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। এবং ৩১শে অক্টোবর ১৯২৯ সালে তাকে শহীদ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার প্রাসঙ্গিকে আল্লামা ইকবাল রহ. বলেন,
اسی گلاں کردے رہگۓ تےترکہاناں دامنڈ ابازی لے گیا
অর্থাৎ, “আমরা আলাপ আলোচনায় লিপ্ত; আর একজন কাঠমিস্ত্রির ছেলে এসে জিতে গেলো?” এবং গাজী আ’মের চেমাহ শহীদ রহ. তাঁর প্রাণ উৎসর্গের মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবীদের এই সুন্নত কে পুনরায় জীবিত করেছেন।
সুতরাং এখানে শুধু এটুকু কথা চিন্তা করলেই হবে যে, যেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় নবীর শানে এতটুকু পরিমাণ বেয়াদবি সহ্য করেন নি যে, তাঁর কথার উপরে কারো এ কথার আওয়াজ উঁচু হবে এবং ধমকিও দিয়েছেন, “খবরদার তোমাদের আমল গুলো নষ্ট করো না”। তাহলে আল্লাহ তা’আলা কি এই নিকৃষ্ট চতুষ্পদ জন্তু-জানোয়ারদের চেয়েও নিকৃষ্ট মানুষদের থেকে তাঁর প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালি দেয়ার পর মুসলমানদের চুপ থাকা আল্লাহ মেনে নিবেন? শুধু বিক্ষোভ, মিছিল-মিটিং করা, রাস্তায় টায়ার জ্বালানো, কুফফারদের প্রতিচ্ছবি আগুনে পোড়ানো এবং পশ্চিমা বিশ্বের পতাকা পদদলিত করাটাই কি আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হবে? হাশরের ময়দানে কোন মুখে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে যাবো? পৃথিবীর বুকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবি করা হয়েছে, আর সেই মুহূর্তের করণীয় সম্পর্কে আমরা অবগত থাকার পরেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছি…? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অদৃশ্য সাহায্য কি এভাবেই হয়ে থাকে? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই আহ্বানের সারা কি দেওয়া যায়না?
যদি ওমায়ের রা. অন্ধ হওয়া সত্যেও ইহুদি মহিলা; শাতেমে রাসূলকে হত্যা করতে পারেন তাহলে কি পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত লক্ষ কোটি ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের মাঝে এমন কেউ নেই যে এই মুষ্ঠিমেও কতিপয় শাতেমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর গর্দান কে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে “তোমার চেহারা উজ্জ্বলিত হউক” এই দোয়ার হকদার হবে?
৩) মুখ ও কলমের দ্বারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ইজ্জতের হেফাজত করা।
আমরা করতে পারি এমন কাজের মধ্যে তৃতীয় যেই কাজটি রয়েছে তা হচ্ছে, আমরা আমাদের লেখালেখি এবং বয়ান-বক্তৃতার মাধ্যমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইজ্জতের হেফাজত করতে পারি। এর মাধ্যমে আমরা কুফফারদের নোংরামি তাদের কু-কর্মের কথা প্রকাশ করে দিতে পারি। এবং মুসলমানদের হৃদয়ে লালিত ঘৃণা এবং রাগ-গোস্বাকে আরো উজ্জীবিত করে দিতে পারি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগেও যখন কোন কাফের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে উদ্দেশ্য করে কোন কিছু বলত বা কোন কবিতা আবৃতি করত, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবায়ে কেরামদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতেন, “তারা তোমাদের কে যেমন কথা বলে, যে ভাবে বলে তোমরা ও তাদেরকে সেই ভাবেই তেমন কথা বল”। যার ফলে সাহাবায়ে কেরামগণ বিশেষ ভাবে “হযরত হাঁসান বিন সাবিত রা., হযরত আব্দুল্লাহ বিন রাওয়াহা রা., হযরত আ’মের বিন আল-আকু রা. হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রশংসা এবং কুফফারদের ছন্দ-আকারে কবিতা আবৃতির মাধ্যমে নিন্দা করতে উঠে-পরে লেগে যান। এবং ছন্দ-কবিতার এই ময়দানেও কুফফাররা মুখ থুবড়ে পরে যায়।
আল্লামা ইবনে বাত্তাল রহ. কাফেরদের নিন্দার্থে কবিতা আবৃতি করার ফজিলত বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, “কাফেরদের নিন্দা করার জন্যে কবিতা আবৃতি করা অতি উত্তম কাজগুলোর মধ্য থেকে একটি। এবং এই কাজের ফজিলতও যেই ব্যক্তি এই কাজটি করবে তাঁর ফজিলত বুঝার জন্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই দুয়া-ই যথেষ্ট যে, “হে আল্লাহ! আপনি তাকে সাহায্য করুন”।
সুতরাং উম্মতের সাহিত্যিক ও লেখক এবং বক্তা ও দ্বীনের দায়ীদের উপর আবশ্যক হচ্ছে তারা সামনে অগ্রসর হয়ে তাদের লেখালেখি এবং বয়ান-বক্তৃতার মাধ্যম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইজ্জতের পবিত্রতা রক্ষা করবেন। এবং উম্মতে মুসলিমার হৃদয়ে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেম ভালোবাসা হৃদয়গ্রাহী আলোচনার মাধ্যমে প্রকাশ করবেন। অন্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রেম ভালোবাসার আগুন জ্বালিয়ে দিবেন। উম্মতের উদাসীন ব্যক্তিদেরকে বুঝিয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সুন্নতের অনুসারী বানাবেন। এবং কুফফারদের কালো চেহারা গোটা বিশ্ববাসীর সামনে উন্মুক্ত করে দিবেন। কাফের এবং কাফেরদের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়ের ব্যাপারে অন্তরে ঘৃণা ও রাগ সৃষ্টি করবেন। নিজের দ্বীন ও ঈমানের দৌলতের উপর গর্ব করার সাথে সাথে কাফেরদের নিয়মনীতি, রীতিনীতিকে ঘৃণা করার শিক্ষা দিবেন। জিহাদ ফি-সাবিলিল্লাহর প্রতি উদ্বুদ্ধ করবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর শানে বেয়াদবি কারীদের হত্যা করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করবেন। মোটকথা, এমন একটি ঈমানী আগুন জ্বালিয়ে দিবেন যা চতুর্দিকে ছড়িয়ে পরা ফিতনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভস্ম করে দিবে। এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করবেন যাতে করে কোন পাথর, গাছ-পালাও তদেরকে আশ্রয় না দেয়।
সারকথা, উম্মতে মুসলিমার উপর এটা একটি ঋণ বা দাবি যে, কুফফারদের পক্ষ থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর উপর কোন ধরনের আঘাত আসলে; কথায় এবং কাজের মাধ্যমে এর উচিত জবাব দেওয়া। এবং এই ঋণ আদায় করেই মুসলিম উম্মাহ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে উপস্থিত হবে। এবং এই ঋণ আদায়ের চিত্রটি এমন হবে ‘হয়তো জমিনের এই সকল নাপাক কীটগুলোর মাথা দেহ থেকে পৃথক হবে, অন্যথায় আমাদের রূহ আমাদের ক্বলব থেকে পৃথক হবে’।
শায়েখ ওসামা বিন লাদেন রহ. জিহাদী নেতৃত্বের অবস্থান থেকে কাফের বিশ্বকে হুশিয়ার করে বলেছিলেন, “তোমাদের আচরণে এটা সুস্পষ্ট ভাবে পরিলক্ষিত হয় যে, তোমরা মুসলমানদের সাথে ক্রুসেড বা ধর্ম নিয়ে যুদ্ধ চলমান রাখতে চাও এবং এই বিষয়টিও জান সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের নিকট তাদের জান-মাল থেকে বেশি প্রিয় নাকি না? সুতরাং তোমরা এখন শুধু আমাদের উত্তর পাবেই না বরং দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট দেখতেও পাবে। এবং আমাদের ধ্বংস হোক; যদি আমরা এখনও আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সাহায্য না করি”।
আল্লাহ তা’আলার নিকট দোয়া করি আল্লাহ তা’আলা যেন আমাদেরকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইজ্জতের হেফাজত করার এবং তাঁর ইজ্জত রক্ষার্থে নিজের জীবন উৎসর্গ করার তাওফিক দান করেন। আমীন।
Comment