জিহাদের পথে এসে আমরা আমেরিকার চাহিদাই পুরণ করছি নাতো?!
এ কয়েকদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ভাইদের পোস্ট কমেন্ট পড়ে আমি এটুকু বুঝতে পেরেছি যে, জিহাদী নামী কিছু লোক এমন আছে যারা ভাইদেরকে অনর্থক বিতর্কে আটকে দিতে চায়।
একদল লোক আছে একিউ আর তালেবানের মাঝে পার্থক্য করতে চায়। এবং যারা তাদের ঐক্যের বিষয়টিতে একমত তাদেরকে উক্ত আলোচনায় টেনে এনে মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চায়।
বড় কষ্ট লাগে ঐ ভাইদেরকে নিয়ে যারা এই ২০২৩ এরও শেষ প্রান্তে এসেও এখনো সোশ্যাল মিডিয়ায় গালাগালি, তুচ্ছতাচ্ছিল্য ও অপর ভাই এর প্রতি চরম কঠোর আচরণ করে যান। তারা না ইলম রাখে, না আমল আর না আখলাক্ব। হাদাহুমুল্ল-হ।
আমার মনে হয় দায়ী ভাইদের আরো চৌকস হওয়া জরুরী। সবার সব কথার উত্তর দিতে যাওয়াটা অনেক সময়ই "সময় অপচয়, বোকামো ও গাফলতির" ই প্রমান বহন করে।
দায়ী ভাইদের উচিত অফিশিয়াল বক্তব্য গুলো অফিশিয়াল সাইট থেকে স্পষ্ট বুঝে নেওয়া এবং তাহা হুবাহু শুনিয়ে দেওয়া। সকল বিতর্ক থেকে মুক্ত থাকা। গঠন মুলক সমালোচনার গঠন মুলক জবাব দিয়েই ক্ষান্ত থাকা, বাড়তি প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে না যাওয়া। যেমন : একিউ আর তালেবান - মামুর আমিরের সম্পর্ক। এটা অতি স্পষ্টও মিমাংশিত বিষয়। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করলে অফিশিয়াল উত্তর গুলো কালেক্ট করে শেয়ার করে দেওয়া ; না জানলে স্বীকার করে নেওয়া ও জানার চেষ্টা করা, তারপর জানিয়ে দেওয়া। নিজে থেকে খুব বেশি কিছু না বলা। যে অফিশিয়াল বক্তব্য বিশ্বাস করবেনা সে আসলে আপনার আমার কথাও যে বিশ্বাস করবেনা এটাই অধিকতর নিশ্চিত বিষয়।
তাই নিজে থেকে অধিকতর কথা বলতে না যাওয়া। কারণ তখন রাগ আসবে ভেতরে, প্রতিপক্ষ লা'নত গালী, দিয়ে আঘাত করবে হয়তো আপনি সবর হারাবেন তখন উম্মাহর মাঝে জিহাদের বদনাম হবে। আলিমরা মুজাহিদদের থেকে দূরে চলে যাবে। তাই এসব অতিরিক্ত তর্ক ছেড়ে অফিশিয়াল বক্তব্যই শুনিয়ে দেওয়া ভালো হবে ইনশাআল্লাহ। এতে সময়ের যাথাযত ব্যবহার হবে। দ্বীনের ফায়দা হবে। মুসলিমদের মাঝে ফাটল সৃষ্টি করা শয়তানরা পরাজিত হবে।
এ জাতীয় এমন নানা ফিতনায় সোশ্যাল মিডিয়ার অবস্থা বড়ই করুন! অথচ এসব বিষয় গুলো নিয়েই আমিরগন সতর্ক করে আসছেন এখনো যাচ্ছেন।
বহুদিন আগে প্রকাশিত হওয়া "খোরাসানের মুজাহিদিনের নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশের জিহাদ সমর্থক ভাইদের জন্য অনলাইন দাওয়াতের কিছু নির্দেশনা" নামক আর্টিকেল প্রকাশিত হয়েছিল। আমার জানামতে এটি অনেক প্রচার প্রসারও হয়েছিল। কিন্তু ঐসব ভাইগন হয়তো এই মহামূল্যবান আর্টিকেলটি তর্ক-বিতর্ক গালিগালাজ ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের ঝামেলায় পড়ার সুযোগই পাননি। হায় আফসোস! যদি প্রতিটা দায়ী ভাই আর্টিকেলটি পড়তেন?! এবং মেনে চলতেন, তবে এতদিনে আমরা মিডিয়া জিহাদের ভিন্ন চেহারাই দেখা যেত।
ঐ আর্টিকেলের মাঝের কিছু অংশ উল্লেখ করছি ; এবং পুরো আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ করছি
সম্মানিত ও অনুসৃত উলামাগণের ব্যাপারে এমনভাবে ব্যক্তি সমালোচনা করা যা শরীয়াহ সমর্থিত নয়, এবং দাওয়াহর উসুলের বাইরে। তাদের নামে অনর্থক কুৎসা রটানো। তাদের শানে নানা মন্দ শব্দ প্রয়োগ করা। যেমন : দরবারি, দালাল, মুরজিয়া, তাগুতের গোলাম ইত্যাদি। মনে রাখতে হবে, ইখতিলাফ (দালিলিক মতভিন্নতা) আলাদা জিনিস আর কাউকে অপমান করা এবং মানহানি করা আলাদা জিনিস। যেখানে সাধারণ মুসলমানকে গালি দেওয়াই পাপ, সেখানে সম্মানিত কোনো আলেমকে গালি দেওয়া তো চরম অন্যায় ও জঘন্যতম কাজ। এই বেয়াদবিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে মুজাহিদীন সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা করছে। দেশে দেশে অবুঝ তরুণদের এমন দায়িত্বহীন পদক্ষেপের কারণে জিহাদ ও মুজাহিদিন সম্পর্কে অনেক সাধারণ মানুষের অন্তরে বীতশ্রদ্ধা ও বিরক্তিকর মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। যারা এগুলো করে, তারা না মুজাহিদিনের মানহাজের অনুসারী আর না কোনো জিহাদি কাফেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তাগুতি শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকার ফলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেককে অনেক কাজ করতে হয়; কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য, আবার কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব ক্ষেত্রে তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য নয়, সেসব ক্ষেত্রে দালিলিকভাবে মতভিন্নতা হতে পারে। কিন্তু তাদের নামোল্লেখ করে জনসমক্ষে আক্রমণাত্মক সমালোচনা করা বা মন্দ ভাষায় গালমন্দ করা না উম্মতের জন্য কল্যাণকর আর না জিহাদের জন্য। এসব কাজের মাধ্যমে আমাদের থেকে সম্মানিত উলামাদের দূরে সরে যাবেন। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, তারাও জিহাদি মানহাজের বিরুদ্ধে চলে যাবেন। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে কুফফারগোষ্ঠী এটাই চায়।
উল্লেখ্য RAND কর্পোরেশন তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে জিহাদ ও মুজাহিদিনের সাথে উলামায়ে কেরামের বিভাজন সৃষ্টির কথা এনেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হল, আমাদের অবুঝ ভাইয়েরা এমন কাজ করে ফেলছেন যার ফলে শত্রুর লক্ষ অর্জিত হচ্ছে। আল্লাহ্ তাআলা সকলকে হেফাজত করুন।
তাগুতি শাসনব্যবস্থার অধীনে থাকার ফলে অনিচ্ছাসত্ত্বেও অনেককে অনেক কাজ করতে হয়; কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য, আবার কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। যেসব ক্ষেত্রে তাদের ওজর গ্রহণযোগ্য নয়, সেসব ক্ষেত্রে দালিলিকভাবে মতভিন্নতা হতে পারে। কিন্তু তাদের নামোল্লেখ করে জনসমক্ষে আক্রমণাত্মক সমালোচনা করা বা মন্দ ভাষায় গালমন্দ করা না উম্মতের জন্য কল্যাণকর আর না জিহাদের জন্য। এসব কাজের মাধ্যমে আমাদের থেকে সম্মানিত উলামাদের দূরে সরে যাবেন। তাঁদেরকে যারা ভালোবাসে, তারাও জিহাদি মানহাজের বিরুদ্ধে চলে যাবেন। উম্মাহর এই ক্রান্তিলগ্নে কুফফারগোষ্ঠী এটাই চায়।
উল্লেখ্য RAND কর্পোরেশন তাদের বিভিন্ন প্রতিবেদনে জিহাদ ও মুজাহিদিনের সাথে উলামায়ে কেরামের বিভাজন সৃষ্টির কথা এনেছে। দুঃখজনক ব্যাপার হল, আমাদের অবুঝ ভাইয়েরা এমন কাজ করে ফেলছেন যার ফলে শত্রুর লক্ষ অর্জিত হচ্ছে। আল্লাহ্ তাআলা সকলকে হেফাজত করুন।
দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত -উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
এবং এ সংক্রান্ত প্রকাশিত আরো সকল রিসলাহ পড়ে নেওয়া অত্যন্ত উপকারী হবে।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তিনার দ্বীনের খেদমত সঠিক পন্থায় পূর্ণ ইখলাসের সাথে করার তাওফিক দান করুন আমিন!
ফিতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন! ধোঁকা থেকে বাঁচিয়ে রাখুন আমিন!
Comment