ইয়ামান | শাইখ খালিদ আল বাতারফির নতুন ভিডিও বার্তা প্রকাশ
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ ভিত্তিক শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুহতারাম আমীর শাইখ খালিদ আল বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্ সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নতুন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে, ইয়ামানভিত্তিক আল-কায়েদার অফিসিয়াল ‘আল-মালাহিম’ মিডিয়া ক্রুসেডার আমেরিকার বিরুদ্ধে বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্’র ২০ মিনিটেরও অধিক সময়ের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। শাইখের ভিডিও বার্তাটি এমন এক সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, তাদের গোলামরা গত ২০২০ সালের অক্টোবরে পূর্ব ইয়ামানের মাহরা প্রদেশ থেকে শাইখকে বন্দী করেছে। পরে তাকে সৌদি আরবের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অর্থাৎ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে প্রায় ৫ মাস আগে শাইখকে বন্দী করা হয়েছে ।
অপরদিকে শাইখ বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর ভিডিও বার্তায় এমন কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা গত বছরের অক্টোবরের অনেক পরে অর্থাৎ ২০২১ সালে সংঘটিত হয়েছে। নিশ্চয়ই শাইখ বাতারফির এই বার্তা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের দাবিকে খণ্ডন এবং পরিপূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণিত করে।
যেমন, শাইখ তাঁর বক্তব্যের ১১ মিনিটের মাথায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারির ওয়াশিংটন ডিসি-র দাঙ্গা এবং আমেরিকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিভেদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেসব গত বছরের অক্টোবরের পরে সংঘটিত হয়েছে।
ভিডিওটিতে শাইখ “ইসলাম ও মুসলমানদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট শত্রু ইহুদি দখলদারদের সাথে আরবের অত্যাচারী ও মুরতাদ শাসকদের সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ক্রুসেডার আমেরিকার পতনের সাথে সাথে গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ এই প্রশাসনগুলোও অচিরেই ভেঙে পড়বে ইনশাআল্লাহ।
ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো অত্যাচার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ফল বলে উল্লেখ করেছেন শাইখ বাতারফি। এসময় ১৯৯০ সালের পর থেকে আরব উপদ্বীপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ক্রুসেডার আমেরিকার বিরুদ্ধে আল কায়েদা মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ হামলার বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে ১১ই সেপ্টেম্বরের বরকতময় আক্রমণকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফগানিস্তানে মুজাহিদদের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ভোগ করেছে, যার ফলস্বরূপ বর্তমানে তাকে তালেবান মুজাহিদদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছে।
সাদা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী ব্যবস্থা এবং দরিদ্রদের উপর নিপীড়নের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে উল্লেখ করে বাতারফি বলেছেন যে, এর ফলস্বরূপ তারা আত্মহত্যা এবং সাধারণ মানসিক সমস্যার মতো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারীতে এখন পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি লোক মারা গিয়েছে বলেও জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এগুলো ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাচারের ফলস্বরূপ।
তিনি আরো বলেন, “আজ আমেরিকার চেয়ে কে বেশি নিপীড়ক, অবিশ্বাসের পৃষ্ঠপোষক, অসচ্ছলতা ও দুর্নীতির প্রবর্তক এবং সর্বত্র মানবতাকে পরাভূত করার জন্য অত্যাচারীদের সমর্থক?” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আজ যা ঘটছে তা একটি চূড়ান্ত ফলাফল এবং একটি অনিবার্য গন্তব্য।”
ভিডিওটি শেষ হয়েছে, শহিদ (ইনশাআল্লাহ) শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর একটি বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়ায় এবং ইসলামি মাগরিবে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানের পাশাপাশি শহিদ (ইনশাআল্লাহ) মুহাম্মাদ আশ-শামরানির চিত্র রয়েছে। আশ-শামরানী রহিমাহুল্লাহ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলেন।
আল-কায়েদা আরব উপদ্বীপ ভিত্তিক শাখা জামা’আত আনসারুশ শরিয়াহ্’র মুহতারাম আমীর শাইখ খালিদ আল বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্ সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নতুন একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে, ইয়ামানভিত্তিক আল-কায়েদার অফিসিয়াল ‘আল-মালাহিম’ মিডিয়া ক্রুসেডার আমেরিকার বিরুদ্ধে বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্’র ২০ মিনিটেরও অধিক সময়ের একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে। শাইখের ভিডিও বার্তাটি এমন এক সময় প্রকাশ করা হয়েছে, যখন জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে যে, তাদের গোলামরা গত ২০২০ সালের অক্টোবরে পূর্ব ইয়ামানের মাহরা প্রদেশ থেকে শাইখকে বন্দী করেছে। পরে তাকে সৌদি আরবের কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। অর্থাৎ জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুসারে প্রায় ৫ মাস আগে শাইখকে বন্দী করা হয়েছে ।
অপরদিকে শাইখ বাতারফি হাফিজাহুল্লাহ্ তাঁর ভিডিও বার্তায় এমন কিছু ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা গত বছরের অক্টোবরের অনেক পরে অর্থাৎ ২০২১ সালে সংঘটিত হয়েছে। নিশ্চয়ই শাইখ বাতারফির এই বার্তা ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের দাবিকে খণ্ডন এবং পরিপূর্ণরূপে মিথ্যা প্রমাণিত করে।
যেমন, শাইখ তাঁর বক্তব্যের ১১ মিনিটের মাথায় চলতি বছরের ৬ জানুয়ারির ওয়াশিংটন ডিসি-র দাঙ্গা এবং আমেরিকার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিভেদ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেসব গত বছরের অক্টোবরের পরে সংঘটিত হয়েছে।
ভিডিওটিতে শাইখ “ইসলাম ও মুসলমানদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট শত্রু ইহুদি দখলদারদের সাথে আরবের অত্যাচারী ও মুরতাদ শাসকদের সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই ক্রুসেডার আমেরিকার পতনের সাথে সাথে গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ এই প্রশাসনগুলোও অচিরেই ভেঙে পড়বে ইনশাআল্লাহ।
ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো অত্যাচার ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির ফল বলে উল্লেখ করেছেন শাইখ বাতারফি। এসময় ১৯৯০ সালের পর থেকে আরব উপদ্বীপ এবং অন্যান্য অঞ্চলে ক্রুসেডার আমেরিকার বিরুদ্ধে আল কায়েদা মুজাহিদদের বীরত্বপূর্ণ হামলার বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে ১১ই সেপ্টেম্বরের বরকতময় আক্রমণকেও অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক ও আফগানিস্তানে মুজাহিদদের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ভোগ করেছে, যার ফলস্বরূপ বর্তমানে তাকে তালেবান মুজাহিদদের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে হয়েছে।
সাদা মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবাদী ব্যবস্থা এবং দরিদ্রদের উপর নিপীড়নের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে উল্লেখ করে বাতারফি বলেছেন যে, এর ফলস্বরূপ তারা আত্মহত্যা এবং সাধারণ মানসিক সমস্যার মতো অনেক সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস মহামারীতে এখন পর্যন্ত চার লাখেরও বেশি লোক মারা গিয়েছে বলেও জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এগুলো ক্রুসেডার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাচারের ফলস্বরূপ।
তিনি আরো বলেন, “আজ আমেরিকার চেয়ে কে বেশি নিপীড়ক, অবিশ্বাসের পৃষ্ঠপোষক, অসচ্ছলতা ও দুর্নীতির প্রবর্তক এবং সর্বত্র মানবতাকে পরাভূত করার জন্য অত্যাচারীদের সমর্থক?” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আজ যা ঘটছে তা একটি চূড়ান্ত ফলাফল এবং একটি অনিবার্য গন্তব্য।”
ভিডিওটি শেষ হয়েছে, শহিদ (ইনশাআল্লাহ) শাইখ ওসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহ এর একটি বক্তব্যের মাধ্যমে। এরপর আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সিরিয়ায় এবং ইসলামি মাগরিবে মুজাহিদদের পরিচালিত অভিযানের পাশাপাশি শহিদ (ইনশাআল্লাহ) মুহাম্মাদ আশ-শামরানির চিত্র রয়েছে। আশ-শামরানী রহিমাহুল্লাহ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্রে মার্কিন নৌ-ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিলেন।
Comment