আমরা তাদের ভীষণ ভালোবাসি
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষের সমাজে পাপ ও পুণ্য সবসময় ছিলো এবং পাপাচারীদের মাঝেও পুণ্যবানদের অস্তিত্ব ছিলো। তখন যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা নবী ও রাসূল প্রেরণ করতেন। তাঁরা মানুষকে পাপের পঙ্ক থেকে পুণ্যের পথে এবং কুফুরির অন্ধকার থেকে ইমানের আলোতে টেনে আনতেন। এভাবে পৃথিবীর বুকে সর্বশেষ নবী হিসেবে প্ররিত হয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন পৃথিবী ছিলো জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত। মনুষ্যত্ব ও মানবিকতা বিদায় নিয়েছিলো এবং পশুত্ব ও পাশবিকতা ছড়িয়ে পড়েছিলো। পৃথিবী তখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছিলো।
কিন্তু পেয়ারা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তেইশ বছরের মেহনত ও মোজাহাদার বদৌলতে আবার ন্যায় ও সত্যের জয় হলো, আবার নেককার ও পুণ্যবানদের জামাত তৈরি হলো। তারপর আখেরী নবী বিদায় গ্রহণ করলেন। তখন সাহাবায়ে কেরামর মেহনত ও কুরবানি এবং তাদের সোহবত ও সান্নিধ্যে তাবেঈগণের মোবারক জামাত তৈরি হলো। এভাবেই চলে এসেছে সত্যের ধারাবাহিকতা।
পৃথিবীতে পাপ ছিলো,পাপাচার ছিলো। জুলুম ছিলো,জুলুমাত ছিলো। তবে অন্ধকারের মাঝে আলোরও অস্তিত্ব ছিলো। ন্যায় ও সত্য ছিলো এবং ইনসানিয়াত ও মানবতাও বিদ্যমান ছিলো। তাই পৃথিবী ও মানবজাতি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। পৃথিবীতে যেদিন আলোর অস্তিত্ব থাকবে না সেদিন সবকিছু অন্ধকারে ডুবে যাবে। যখন ন্যায় ও ইনসাফের কোন চিহ্ন থাকবে না, হক ও সত্যের কোন আহ্বান থাকবে না, মানবতা ও মানবিকতার কোন প্রতিনিধি থাকবে না সেদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মানব জাতির অস্তিত্ব মুছে যাবে।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আজ পনের শত বছর পর পৃথিবী ডুবে গেছে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে। মানবজাতি আবার ফিরে গেছে পশুত্ব ও পাশবিকতার যুগে। পাপ ও পাপাচার, অসভ্যতা ও অনাচার চারদিকে এখন এসবেরই জয়জয়কার। ন্যায় ও সত্য এখন পরাজিত। মানবতা ও মানবিকতা এখন বিপর্যস্ত। তাহযীব-তামাদ্দুন এখন বিধ্বস্ত। কোথাও যেন আলোর আশা নেই, প্রত্যাশার শুভ ইঙ্গিত নেই।চারদিকে শুধু ধ্বংসের আলামত। যেন শুরু হয়ে গেছে বরবাদির কেয়ামত। তাহলে? কী হবে পৃথিবীর গতি? কী হবে মানবজাতির পরিণতি?পৃথিবীর কি ধ্বংস হয়ে যাবে এখনি?বিলীন হয়ে যাবে মানবজাতির অস্তিত্ব?
প্রিয় ভাই ও বোন!
তা হতে দিবো না আমরা। কেননা পৃথিবীতে এখনো আছে নেক ইনসাফ। এখানে ওখানে শোনা যায় সত্যের দুর্বল ও শক্তিশালী আহ্বান। ইনসাফ ও ইনসানিয়াতের কমযোর আওয়াজ। গোমরাহির অন্ধকারে এখানে সেখানে এখনো হেদায়েতের আলো মিটিমিটি আলো জ্বলে। নির্জন রাতে কিছু মানুষের এখনো অশ্রু ঝরে। বরফগলিত পাহার এখনো পাড়ি দেয়। হকের বুলন্দির জন্য, ইসলামের বিজয়ের জন্য জিহাদের ময়দানে এখনো কিছু যুবকের রক্ত ঝরে।
হে প্রিয় ভাই ও বোন!
পৃথিবীতে তাদের কোন সহায় নেই,সম্বল নেই তবুও তারা সত্যের জন্য লড়াই করছে। তাই বাতিলের শত কারসাজি ও চক্রান্ত উপেক্ষা করে সত্য এখনো বেঁচে আছে, পৃথিবী এখনো টিকে আছে।
সময় ও সমাজ তাদের উপহাস করে, যা মুখে আসে তাই বলে তবুও তারা মানুষকে ভালোভাবে এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করে। তারা অন্ধকারের জোনাকি। তারা আঁধার রাতের জ্বলজ্বল তারকা। তারা আছে বলেই পৃথিবী এখনো সবুজ এবং মানবতা এখনো সজীব। সংখ্যায় তারা অপ্রতুল, তবুও তারা আছে।
এমন একজনও মানুষ যতদিন থাকবে পাপের ভারে ডুবু ডুবু হয়েও পৃথিবী ততদিন থাকবে, পাশবিকতায় জর্জরিত হয়েও মানবতা ততদিন বাঁচবে। আমি পাপী, দিন-রাত পাপাচারে ডুবে থাকি। তবে আমার একমাত্র সান্ত্বনা, এই পুণ্যাত্মাদের( মুজাহিদীনে কেরামকে) আমি ভীষণ ভালোবাসি।তাদের হাত ধরে আমি অন্ধকারের অতলান্ত থেকে আলোর রাজ্যে ফিরে আসতে চাই। তাদের দলবদ্ধ হয়ে জীবন অতিবাহিত করতে চাই। শাহাদাতের মৃত্যুপানে ধন্য হয়ে, জান্নাতের সবুজ পাখীদের কাতারে সারিবদ্ধ হয়ে উড়তে চাই। আমিন।
প্রিয় ভাই ও বোন!
মানুষের সমাজে পাপ ও পুণ্য সবসময় ছিলো এবং পাপাচারীদের মাঝেও পুণ্যবানদের অস্তিত্ব ছিলো। তখন যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা নবী ও রাসূল প্রেরণ করতেন। তাঁরা মানুষকে পাপের পঙ্ক থেকে পুণ্যের পথে এবং কুফুরির অন্ধকার থেকে ইমানের আলোতে টেনে আনতেন। এভাবে পৃথিবীর বুকে সর্বশেষ নবী হিসেবে প্ররিত হয়েছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তখন পৃথিবী ছিলো জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত। মনুষ্যত্ব ও মানবিকতা বিদায় নিয়েছিলো এবং পশুত্ব ও পাশবিকতা ছড়িয়ে পড়েছিলো। পৃথিবী তখন ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এসে উপনীত হয়েছিলো।
কিন্তু পেয়ারা নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তেইশ বছরের মেহনত ও মোজাহাদার বদৌলতে আবার ন্যায় ও সত্যের জয় হলো, আবার নেককার ও পুণ্যবানদের জামাত তৈরি হলো। তারপর আখেরী নবী বিদায় গ্রহণ করলেন। তখন সাহাবায়ে কেরামর মেহনত ও কুরবানি এবং তাদের সোহবত ও সান্নিধ্যে তাবেঈগণের মোবারক জামাত তৈরি হলো। এভাবেই চলে এসেছে সত্যের ধারাবাহিকতা।
পৃথিবীতে পাপ ছিলো,পাপাচার ছিলো। জুলুম ছিলো,জুলুমাত ছিলো। তবে অন্ধকারের মাঝে আলোরও অস্তিত্ব ছিলো। ন্যায় ও সত্য ছিলো এবং ইনসানিয়াত ও মানবতাও বিদ্যমান ছিলো। তাই পৃথিবী ও মানবজাতি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। পৃথিবীতে যেদিন আলোর অস্তিত্ব থাকবে না সেদিন সবকিছু অন্ধকারে ডুবে যাবে। যখন ন্যায় ও ইনসাফের কোন চিহ্ন থাকবে না, হক ও সত্যের কোন আহ্বান থাকবে না, মানবতা ও মানবিকতার কোন প্রতিনিধি থাকবে না সেদিন পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এবং মানব জাতির অস্তিত্ব মুছে যাবে।
প্রিয় ভাই ও বোন!
আজ পনের শত বছর পর পৃথিবী ডুবে গেছে জাহেলিয়াতের অন্ধকারে। মানবজাতি আবার ফিরে গেছে পশুত্ব ও পাশবিকতার যুগে। পাপ ও পাপাচার, অসভ্যতা ও অনাচার চারদিকে এখন এসবেরই জয়জয়কার। ন্যায় ও সত্য এখন পরাজিত। মানবতা ও মানবিকতা এখন বিপর্যস্ত। তাহযীব-তামাদ্দুন এখন বিধ্বস্ত। কোথাও যেন আলোর আশা নেই, প্রত্যাশার শুভ ইঙ্গিত নেই।চারদিকে শুধু ধ্বংসের আলামত। যেন শুরু হয়ে গেছে বরবাদির কেয়ামত। তাহলে? কী হবে পৃথিবীর গতি? কী হবে মানবজাতির পরিণতি?পৃথিবীর কি ধ্বংস হয়ে যাবে এখনি?বিলীন হয়ে যাবে মানবজাতির অস্তিত্ব?
প্রিয় ভাই ও বোন!
তা হতে দিবো না আমরা। কেননা পৃথিবীতে এখনো আছে নেক ইনসাফ। এখানে ওখানে শোনা যায় সত্যের দুর্বল ও শক্তিশালী আহ্বান। ইনসাফ ও ইনসানিয়াতের কমযোর আওয়াজ। গোমরাহির অন্ধকারে এখানে সেখানে এখনো হেদায়েতের আলো মিটিমিটি আলো জ্বলে। নির্জন রাতে কিছু মানুষের এখনো অশ্রু ঝরে। বরফগলিত পাহার এখনো পাড়ি দেয়। হকের বুলন্দির জন্য, ইসলামের বিজয়ের জন্য জিহাদের ময়দানে এখনো কিছু যুবকের রক্ত ঝরে।
হে প্রিয় ভাই ও বোন!
পৃথিবীতে তাদের কোন সহায় নেই,সম্বল নেই তবুও তারা সত্যের জন্য লড়াই করছে। তাই বাতিলের শত কারসাজি ও চক্রান্ত উপেক্ষা করে সত্য এখনো বেঁচে আছে, পৃথিবী এখনো টিকে আছে।
সময় ও সমাজ তাদের উপহাস করে, যা মুখে আসে তাই বলে তবুও তারা মানুষকে ভালোভাবে এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করে। তারা অন্ধকারের জোনাকি। তারা আঁধার রাতের জ্বলজ্বল তারকা। তারা আছে বলেই পৃথিবী এখনো সবুজ এবং মানবতা এখনো সজীব। সংখ্যায় তারা অপ্রতুল, তবুও তারা আছে।
এমন একজনও মানুষ যতদিন থাকবে পাপের ভারে ডুবু ডুবু হয়েও পৃথিবী ততদিন থাকবে, পাশবিকতায় জর্জরিত হয়েও মানবতা ততদিন বাঁচবে। আমি পাপী, দিন-রাত পাপাচারে ডুবে থাকি। তবে আমার একমাত্র সান্ত্বনা, এই পুণ্যাত্মাদের( মুজাহিদীনে কেরামকে) আমি ভীষণ ভালোবাসি।তাদের হাত ধরে আমি অন্ধকারের অতলান্ত থেকে আলোর রাজ্যে ফিরে আসতে চাই। তাদের দলবদ্ধ হয়ে জীবন অতিবাহিত করতে চাই। শাহাদাতের মৃত্যুপানে ধন্য হয়ে, জান্নাতের সবুজ পাখীদের কাতারে সারিবদ্ধ হয়ে উড়তে চাই। আমিন।
Comment