Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে কিছু কথা || শায়খ ডক্টর সামি আল-উরাইদি হাফিযাহুল্লাহ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে কিছু কথা || শায়খ ডক্টর সামি আল-উরাইদি হাফিযাহুল্লাহ


    مؤسسة الشهداء
    আশ শুহাদা মিডিয়া
    Ash Shuhada Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled:



    كلمة في سقوط نظام الطاغية بشار الأسد

    স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে
    কিছু কথা

    A few words about the fall of the dictator Bashar al-Assad's government



    للشيخ سامي العريدي حفظه الله

    শায়খ ডক্টর সামি আল-উরাইদি হাফিযাহুল্লাহ

    By Sheikh Dr. Sami Al-Uraidi Hafizahullah





    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading








    روابط بي دي اب
    PDF (655 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [৬৫৫ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/jnhUjYbY#WBwK83ysCKjF0So96Bu9voELf1PtgKO2DkYZDBfES bI

    روابط ورد
    Word (463 KB)
    ওয়ার্ড [৪৬৩ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/67hVnZYL#OBEQS_ECEmmgmXHnm_8vZzsuHtelMC55VM2I27OAS Zo
    **********


    স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন সম্পর্কে
    কিছু কথা
    শায়খ ড. সামি আল-উরাইদি হাফিযাহুল্লাহ


    عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُهْلِكَ عَدُوِّكُمْ وَيَسْتَخْلفَكُمْ في الأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
    “আশা করা যায় যে, তোমাদের রব তোমাদের শত্রুদের ধ্বংস করে দেবেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে ক্ষমতা প্রদান করবেন, তারপর তিনি দেখবেন, তোমরা কেমন কাজ করো।” [সূরা আরাফ ০৭:১২৯]





    الحمد لله معز الإسلام بنصره، ومذل الشرك بقهره، ومصرف الأمور بأمره، ومديم النعم بشكره، ومستدرج الكفار بمكره، الذي قدر الأيام دولا بعدله، وجعل العاقبة للمتقين بفضله والصلاة والسلام على من أعلى الله منار الإسلام بسيفه.. أما بعد
    সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি ইসলামকে তাঁর সাহায্যে সম্মানিত করেছেন, শিরককে তাঁর কঠোরতার মাধ্যমে অপদস্ত করেছেন, সব কাজ তাঁর আদেশে পরিচালনা করেন, তাঁর শুকরিয়াতে অনুগ্রহ অব্যাহত রাখেন, কাফেরদেরকে আপন কৌশলে ধ্বংস করেন। তিনি নিজের ইনসাফ দ্বারা দিবস পঞ্জিকায় পালা বদল করেন, অবশেষে নিজ অনুগ্রহে সৌভাগ্য দান করেন পরকালের জন্য একমাত্র আল্লাহভীরুদেরকে। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক ওই নবীর উপর, আল্লাহ পাক যার তরবারির মাধ্যমে ইসলামের মিনারকে সমুন্নত করেছেন।
    হামদ ও সালাতের পর...
    সাধারণভাবে গোটা মুসলিম জাতির ওপর এবং বিশেষভাবে শামবাসীদের ওপর আল্লাহর একটি মহান নেয়ামত হলো, তিনি এই অঞ্চলের জালিম শাসক বাশার আল-আসাদকে পরাজিত করার সৌভাগ্য দান করেছেন। অতএব, আল্লাহর প্রতি সমস্ত প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা এবং অনুগ্রহের স্বীকারোক্তি। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি যেন এই সাহায্য, বিজয় ও তামকিনের (ভূখণ্ডের কর্তৃত্ব) পরিণতিকে মুসলমানদের অনুকূল করে দেন। ‌
    একদিকে যখন এই মহান ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে, অপরদিকে ঘটনার কারণ ও পরিণতি নিয়ে বিরোধ ও আলোচনা বেড়ে গেছে।... এখানে কি কোনো আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ ছিল, যা আসাদ সরকারের পতনে সহায়ক ছিল? এ ধরনের আরও বিভিন্ন বিতর্ক চালু হয়ে গিয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত কিছু ভাষ্য লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করছি, নিম্নোক্ত কিছু পয়েন্টের মাধ্যমে:
    প্রথমত, প্রতিটি মুসলমানের মনে প্রতিষ্ঠিত বদ্ধমূল বিশ্বাস হলো, সমস্ত বিষয় আল্লাহর পরিকল্পনা ও ইচ্ছা অনুযায়ী ঘটে, তাই সৃষ্টি জগৎ ও বিশ্বে কেবল সে সমস্ত ঘটনা ঘটে, যা আল্লাহ ইচ্ছা ও নির্ধারণ করেছেন। তাঁরই হাতে সবকিছুর রাজত্ব রয়েছে। তিনি যাকে চান সম্মানিত করেন, যাকে চান অপমানিত করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
    قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ. تُولِجُ اللَّيْلَ في النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَاب
    “বলুন, ‘হে আল্লাহ! রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দেন এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজত্ব ছিনিয়ে নেন; যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন, আপনার হাতেই সমস্ত কল্যাণ, আপনি সবকিছু করার ক্ষমতা রাখেন। আপনি রাতকে দিনে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতে প্রবেশ করান, জীবিতকে মৃত থেকে বের করেন এবং মৃতকে জীবিত থেকে বের করেন, আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে হিসাব ছাড়া রিযিক দান করেন।” [সূরা আলে ইমরান ০৩:২৬-২৭]
    ইরশাদ হচ্ছে-
    كُلَّ يَوْمٍ هُوَ فِي شَأْنٍ
    “তিনি (আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা) সর্বদাই কোন না কোন কাজে রত আছেন।” (সূরা আর-রহমান ৫৫:২৯)
    তাফসীর আল-বাগাওয়ী-তে এই আয়াতের তাফসীরে বলা হয়েছে:
    “তাফসীরকারীরা বলেছেন: তাঁর (আল্লাহর) কাজগুলোর মধ্যে কিছু এই: তিনি যাকে চান জীবিত করেন, যাকে চান মৃত করেন, যাকে চান রিযিক দেন, যাকে চান সম্মানিত করেন, যাকে চান অপমানিত করেন, যাকে চান অসুস্থ থেকে সুস্থ করেন, যাকে চান বন্দী থেকে মুক্ত করেন, যাকে চান দুঃখ থেকে মুক্তি দেন, যাকে চান অনুগ্রহ করেন, যাকে চান ভিক্ষা দেন, যাকে চান পাপ মাফ করেন—সৃষ্টি জগতের মধ্যে তাঁর এমনই অসংখ্য অগণিত কাজ রয়েছে, যা তিনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সম্পাদন করেন।”
    অতএব, যা ঘটেছে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্ধারণে ছিল— এটি তাঁর অনুগ্রহ ও পরীক্ষা তাঁর বান্দাদের জন্য। আমরা যতভাবেই এই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করি না কেন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাকদীরের জন্য প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য।

    দ্বিতীয়ত, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শামের অত্যাচারী শাসকের পতনের প্রধান কারণগুলোর একটি হলো এই যে, আল্লাহ পাক শামের জনগণের ওপর অনুগ্রহ করেছেন। দীর্ঘ দশক ধরে এই অপরাধী শাসনের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ থেকে আসা একদল মুমিন ও ধৈর্যশীল ব্যক্তির অবিচল অবস্থান এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই জালেমের বিরুদ্ধে তারা নিজেদের জবান, অর্থ সম্পদ ও জীবন দ্বারা জিহাদ করেছেন।
    অতএব এই মহৎ ঘটনা সাম্প্রতিক দিনগুলোর, কয়েক মাসের কিংবা কয়েক বছরের ফল নয়; বরং এটা সত্য-মিথ্যার মধ্যকার দীর্ঘ দশকের সংঘাতের ফল। সুতরাং, সেই মহান পূর্বসূরিদের অবদান ভুলে যাওয়া আমাদের জন্য খুব বড়ো অন্যায় হবে, যারা এই অপরাধী শাসনের বিরুদ্ধে সাধ্যের সবটুকু উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাঁদের প্রচেষ্টাকে বরকতময় করুন এবং তাঁদের জিহাদকে হেফাযত করুন! তাঁদের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য শামের এমন লোকদেরকে আল্লাহ পথ প্রদর্শন করেছেন, যারা পূর্ববর্তীদের পথ অনুসরণ করে কাজ চালিয়ে গেছেন। এর ফলস্বরূপ, সাম্প্রতিক জিহাদ ও বিপ্লবের পরে অপরাধী সরকার আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়ায় উৎখাত হয়েছে।
    আল্লাহর নিয়ম হলো, বড়ো বড়ো ঘটনা হঠাৎ করে ঘটে না। মক্কা বিজয়ের আগে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করতে হয়েছিল, যেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তারবিয়াহ, দাওয়াহ, হিজরত এবং যুদ্ধ। এই সবকিছু মিলিয়ে বিজয়ের পথ তৈরি হয়েছিল। এভাবেই প্রতিটি বড়ো ঘটনা বহু প্রচেষ্টা, মহান ত্যাগ এবং অবিচল কর্মের ফলস্বরূপ এসে থাকে। যদিও কেউ কেউ ভাবতে পারেন, এ ধরনের ছোটো ছোটো কাজ বা প্রচেষ্টা তেমন কার্যকর নয়, তবে এগুলোই শেষ পর্যন্ত বিজয় ও সাফল্যের বুনিয়াদ তৈরি করে।

    তৃতীয়ত, আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সংগ্রাম চলতে থাকবে। এই সংগ্রামে মিথ্যার পক্ষের লোকেরা সত্যের পক্ষের লোকদের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং মিথ্যাচারের মাধ্যমে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
    وَلَا يَزَالُونَ يُقَاتِلُونَكُمْ حَتَّى يَرُدُّوكُمْ عَنْ دِينِكُمْ إِن اسْتَطَاعُوا
    “আর তারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যতক্ষণ না তোমাদেরকে তোমাদের ধর্ম থেকে ফিরিয়ে নিতে পারে, যদি তারা সক্ষম হয়।” (সূরা বাকারাহ ০২:২১৭)
    আল্লাহ তাআলা আরো বলেছেন:
    وَإِذْ يَمْكُرُ بِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا لِيُثْبِتُوكَ أَوْ يَقْتُلُوكَ أَوْ يُخْرِجُوكَ وَيَمْكُرُونَ وَيَمْكُرُ اللَّهُ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِين
    “আর (স্মরণ করো ওই সময়ের কথা) যখন যখন কাফেররা তোমার প্রতি ষড়যন্ত্র করেছিল, যাতে তারা তোমাকে আটকে রাখে, অথবা তোমাকে হত্যা করে, অথবা তোমাকে বের করে দেয়। তারা ষড়যন্ত্র করছিল, আর আল্লাহও কৌশল করেন, আল্লাহই সর্বোত্তম কৌশল অবলম্বনকারী।” (সূরা আনফাল ০৮:৩০)
    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আরো বলেছেন:
    وَقَدْ مَكَرُوا مَكْرَهُمْ وَعِنْدَ الله مَكْرُهُمْ وَإِنْ كَانَ مَكْرُهُمْ لَتَرُول مِنْهُ الْجِبَالُ إبراهيم
    “তারা তাদের ষড়যন্ত্র করেছিল, আর আল্লাহও তাদের ষড়যন্ত্র জানেন, যদিও তাদের ষড়যন্ত্র এমন শক্তিশালী যে, তা পাহাড়কেও সরিয়ে ফেলতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম ১৪:৪৬)
    এছাড়া আল্লাহ তাআলা বলেন:
    إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا وَأَكِيدُ كَيْدًا فَمَهْل الْكَافِرِينَ أَمْهَلْهُمْ رُوَيْدًا
    “তারা ভীষণ চক্রান্ত করে, আর আমি ভীষণ কৌশল করি। অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দাও, তাদেরকে অবকাশ দাও কিছু কালের জন্য।” (সূরা তারিক ৮৬:১৫-১৭)

    এই আয়াতগুলো আমাদের জানিয়ে দেয়, সত্য ও মিথ্যার মধ্যে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে এবং মিথ্যাবাদী পক্ষ থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলবে, তবে আল্লাহর পরিকল্পনা সবকিছুকে পরাজিত করবে।
    অতএব এই অপরাধী শাসনের পতনও আল্লাহর চিরন্তন বিধানের ব্যতিক্রম নয়। শামের মাটিতে সত্যপন্থী ও মিথ্যাপন্থীদের মধ্যে চলমান সংঘাতের ঘটনাবলী প্রত্যক্ষ করলে যেকোনো পর্যবেক্ষকের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, এই অপরাধীদের ষড়যন্ত্র কতটা গভীর ছিল। বিগত সময়টাতে তাদের ষড়যন্ত্র ছিল এই দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপরাধী সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা ও সমর্থন যোগানো।
    এরা নিজেদের ষড়যন্ত্রে একে অপরের অংশীদার ছিল। তবে যখন তারা দেখল যে, এই পর্যায়ে অপরাধী সরকারকে উৎখাত করার মধ্যে তাদের স্বার্থ নিহিত, তখন তারা ষড়যন্ত্রের কৌশল বদলে ফেললো। এতদিন যাদেরকে সমর্থন করতো, তাদের কাছ থেকে হাত গুটিয়ে নিলো, যাতে তারা নিজেদের স্বার্থ ও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে এবং সত্যপন্থা ও সত্যপন্থীদের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। এটা এমন একটি বিষয়, যা ঘটনাপ্রবাহ পর্যবেক্ষণকারী যে কারো কাছে স্পষ্ট।
    তাদের এই অবস্থান পরিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর একটি হলো আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে শামের আহলে সুন্নাহর ওপর দয়া ও অনুগ্রহ। তাদের ধৈর্য, অবিচলতা ও জিহাদ শত্রুদের বিরুদ্ধে এই সংঘর্ষে তাদের আপোসহীন রেখেছে। এসব কারণ এবং অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে এই পৃথিবীতে সত্য-মিথ্যার মধ্যকার চিরন্তন লড়াই সম্পর্কিত আল্লাহ তাআলার স্থির বিধান বাস্তবায়িত হয়েছে— যেমন আল্লাহ বলেন:
    ولولا دفع الله الناس بعضهم ببعض لفسدت الأرض ولكن الله ذو فضل على العالمين
    “যদি আল্লাহ মানুষের এক দলকে আরেক দলের মাধ্যমে প্রতিহত না করতেন, তবে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেত। কিন্তু আল্লাহ সমস্ত জগতের ওপর অগণিত অনুগ্রহ দানকারী।” [সূরা আল-বাকারাহ ০২:২৫১]
    আল্লাহ পাক আরো ইরশাদ করেছেন:
    وَلَوْلا دَفْعُ الله النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ
    “আর যদি আল্লাহ মানুষের কিছু অংশকে অন্য অংশ দ্বারা প্রতিরোধ না করতেন, তবে ধ্বংস হয়ে যেত ধর্মীয় স্থাপনা, মন্দির, গির্জা, উপাসনাগৃহ এবং মসজিদ, যেখানে আল্লাহর নাম অধিক হারে উচ্চারিত হয়। আর নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সাহায্য করবেন যারা তাঁকে সাহায্য করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ শক্তিশালী, পরাক্রমশালী।” (সূরা হজ ২২:৪০)

    চতুর্থত, শামের জনগণের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুগ্রহ, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন এবং সত্য-মিথ্যার মধ্যকার চিরন্তন লড়াই সম্পর্কিত আল্লাহর স্থির বিধান বাস্তবায়িত হবার পর আসে পরীক্ষা ও মূল্যায়নের পর্যায়। এ পরীক্ষার উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর বান্দারা এই বড়ো নেয়ামতের পরে কী করে তা যাচাই করা। যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন:
    قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ اسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا إِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ. قَالُوا أُوذِينَا مِنْ قَبْلِ أَنْ تَأْتِيَنَا وَمِنْ بَعْدِ مَا جِئْتَنَا قَالَ عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُهْلِكَ عَدُوَّكُمْ وَيَسْتَخْلِفَكُمْ فِي الْأَرْضِ فَيَنْظُرَ كَيْفَ تَعْمَلُونَ
    “মূসা তাঁর সম্প্রদায়কে বলেছিলেন, ‘আল্লাহর সাহায্য নিয়ে ধৈর্য ধরো। পৃথিবী আল্লাহর, তিনি তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে চান, তাকে দেবেন; পরিণতি হবে আল্লাহভীরুদের জন্য।’ তারা বলেছিল, ‘আমরা তো অত্যাচারিত হয়েছি, আপনার আসার আগে এবং আপনার আসার পরও।’ তিনি বললেন, ‘আশা করা যায় যে, তোমাদের রব তোমাদের শত্রুদের ধ্বংস করবেন এবং তোমাদেরকে পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা দেবেন, তিনি দেখবেন, তোমরা কীভাবে কাজ করো। (সূরা আরাফ ০৭:১২৮-১২৯)
    এই পর্যায়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এর পরিণতি বহুদূর প্রসারিত। সুতরাং আমাদের উচিত আল্লাহর প্রিয় কাজগুলো করা, যেন তিনি তাঁর নেয়ামত, অনুগ্রহ এবং বিজয় আমাদেরকে পূর্ণরূপে দান করেন।
    اللهم أتم علينا نعمتك وعافيتك ونصرك وسترك
    “হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহ, আপনার পক্ষ থেকে সুস্থতা, সাহায্য এবং সুরক্ষা পরিপূর্ণরূপে দান করুন।”
    واختم لنا بخير الشهاد في سبيلك
    .. আমাদেরকে আপনার পথে সর্বোত্তম শহীদ হওয়ার পরিণতি দান করুন।

    লিখেছেন:
    ড. সামি আল-উরাইদি
    জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৬ হিজরি
    রিসালাতু মুজাহিদ মিডিয়া




    **********
    روابط الغلاف- ١
    book Banner [397 KB]
    বুক ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩৯৭ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/izAwDbRS#DNNeoEqBxG5Gt4JQOpCrXnr2AKL_ZMRyDzivwMHRe Nk


    روابط الغلاف- ٢
    Banner [340 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৩৪০ কিলোবাইট]






    https://mega.nz/file/DmwxnIQZ#Fe66fnGtbkpZAgb_oKiXUrCyTzvBt2Kf5U3bUI4Cn qA


    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الشهداء للإنتاج الإعلامي
    আপনাদের দোয়ায়
    আশ শুহাদা মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    In your dua remember your brothers of
    Ash Shuhada Media

  • #2

    اللهم أتم علينا نعمتك وعافيتك ونصرك وسترك
    “হে আল্লাহ, আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহ, আপনার পক্ষ থেকে সুস্থতা, সাহায্য এবং সুরক্ষা পরিপূর্ণরূপে দান করুন।”
    واختم لنا بخير الشهاد في سبيلك
    .. আমাদেরকে আপনার পথে সর্বোত্তম শহীদ হওয়ার পরিণতি দান করুন।
    আমীন আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
    “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

    Comment


    • #3
      উপমহাদেশে আবারোও ইসলাম কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। সেটা অচিরেই বি ইজনিল্লাহ
      Last edited by Rakibul Hassan; 1 day ago.

      Comment


      • #4
        রিসালাহটি পড়ে যা বুঝলাম :
        1. শামের বিজয় এটি আল্লাহ তাআ'লার ইচ্ছাতেই হয়েছে। অতএব, যা ঘটেছে তা আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্ধারণে ছিল— এটি তাঁর অনুগ্রহ ও পরীক্ষা তাঁর বান্দাদের জন্য। আমরা যতভাবেই এই ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করি না কেন, আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাকদীরের জন্য প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য। ​
        2. শামের বিজয় কেবল ২/১ মাসের লড়াই এরই ফল নয় বরং বহু দশক ধরে এ শাসনব্যবস্থার বিরুধিতাকারীদের সবর ও জিহাদেরই ফল। তাই পূর্ববর্তিদের অবদানকেও স্মরণ রাখতে হবে।
        3. শামের বিজয় খাঁটি মুসলিমদের জন্য বিশেষ ভাবে শামের খাঁটি মুসলিমদের জন্য আল্লাহ তাআ'লার একটি বিশেষ নেয়ামত। তাই শোকর গুজার হতে হবে আমাদেরকে।
        4. আল্লাহ তাআ'লা বিজয়দেন মুমিনদের পরিক্ষা করার জন্য যে তা কেমন আমল করে৷ তাই বিজয়ের পর আল্লাহর ইবাদতে আরো আরো মশগুল হওয়া জরুরী
        হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

        Comment

        Working...
        X