Announcement

Collapse
No announcement yet.

Bengali Translation || সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারীর ধ্বংস সম্পর্কিত বিবৃতি

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • Bengali Translation || সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারীর ধ্বংস সম্পর্কিত বিবৃতি


    مؤسسة الحكمة
    আল হিকমাহ মিডিয়া
    Al-Hikmah Media

    تـُــقدم
    পরিবেশিত
    Presents

    الترجمة البنغالية
    বাংলা অনুবাদ
    Bengali Translation

    بعنوان:
    শিরোনাম:
    Titled

    সুইডেনে কুরআন অবমাননাকারীর ধ্বংস সম্পর্কিত বিবৃতি
    بيان بشأن هلاك المعتدي على المصحف الشريف في السويد
    A statement regarding the death of the perpetrator who attacked the Holy Quran in Sweden."









    للقرائة المباشرة والتحميل
    সরাসরি পড়ুন ও ডাউনলোড করুন
    For Direct Reading and Downloading





    روابط بي دي اب
    PDF (291 KB)
    পিডিএফ ডাউনলোড করুন [২৯১ কিলোবাইট]




    https://share.eu.internxt.com/d/sh/f...4be2599067b8ce 71f5aeef496295





    روابط ورد
    Word (369 KB)
    ওয়ার্ড [৩৬৯ কিলোবাইট]




    https://share.eu.internxt.com/d/sh/f...069ddf7ae484c0 cbda713234eb73


    https://mega.nz/file/j3IWlLDC#FmSQ3q...32Emp31t9xYdxG tQ


    روابط الغلاف
    Banner [641 KB]
    ব্যানার ডাউনলোড করুন [৬৪১ কিলোবাইট]




    https://secure.internxt.com/d/sh/fil...5a1fd019e82418 f51e5efdc5d5e0


    https://mega.nz/file/3zhDSazb#okODSq...M45A9-xdMLfQ6c



    *************

    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, বারবার আল্লাহর জন্যই সমস্ত প্রশংসা। আল্লাহ মহান এবং সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই জন্য। হে আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা তোমারই জন্য, তুমি তোমার নবীর প্রতি বিদ্রূপকারীদের প্রতিহত করেছ; তাই সমস্ত প্রশংসা তোমারই জন্য। তুমি তোমার আলো পূর্ণ করেছ, তোমার সৃষ্টিকে সঠিক পথ দেখিয়েছ, যদিও মুশরিক ও নাস্তিকরা তা অপছন্দ করে। সমস্ত প্রশংসা তোমারই জন্য, তুমি তোমার কিতাব ও তোমার নবীর সুন্নাহর জন্য আত্মোৎসর্গকারীদের সাহায্য করেছ। সমস্ত প্রশংসা তোমারই জন্য।

    হে আল্লাহ! তোমার রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক সেই মহামানবের ওপর, যাকে তুমি কিয়ামতের পূর্বে তরবারি হাতে প্রেরণ করেছিলে, যেন একমাত্র তোমারই ইবাদত করা হয়। তুমি যার মর্যাদা সমুন্নত করেছ, যার অন্তর প্রশস্ত করেছ, যাকে তুমি মানুষের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা করেছ এবং যার শত্রুকেই নির্বংশ করেছ। হে আল্লাহ! আমাদের নবী ﷺ, তাঁর পরিবার ও সাহাবাদের ওপর অফুরন্ত দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক।

    হামদ ও সানার পর:

    আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দুশমন, যে আল্লাহকে অস্বীকার করেছে, তাঁকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে—সে; সেই নাপাক নাস্তিক, যে সুইডেনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল-বিরোধী সরকার দ্বারা আশ্রিত ছিল; সে মনে করেছিল যে, আল্লাহ তার ওপর ক্ষমতা রাখেন না, আল্লাহ তাকে প্রতিহত করতে সক্ষম নন। সে ভেবেছিল যে, সে আল্লাহর শাস্তি থেকে নিরাপদ। একের পর এক সে কুরআনের ওপর হামলা চালিয়েছে, এমনকি আসন্ন ঈদুল ফিতরের দিনে মহিমান্বিত কুরআনকে পুড়িয়ে ফেলার ঘোষণাও দিয়েছিল। কিন্তু পরাক্রমশালী ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ এমন জায়গা থেকে তাকে পাকড়াও করলেন, যা সে কল্পনাও করতে পারেনি এবং তাকে ধ্বংস করে দিলেন। তাই সমস্ত প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই জন্য।

    আমাদের মুসলিম উম্মাহকে বলবো, এই দিন আমাদের জন্য অন্তরে প্রশান্তির দিন! আমাদের মহিমান্বিত কুরআনের বিজয়ের দিন! সেই কুরআন, যা আমাদের পথের দিশারি, আমাদের জীবনের সঠিক বিধান; যা আমাদের সম্মান ও গৌরবের মূল উৎস। এই কুরআনই মানবজাতির প্রকৃত ধর্ম, যা জীবনযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষকে সঠিক পথের দিকে আহ্বান করে।

    আল্লাহ তাআলা বলেন:

    إِنَّ هَذَا الْقُرْءَانَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ

    “এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল।” (সূরা আল-ইসরা: ১৭/ ৯)

    এমন কোনো কল্যাণ নেই, যা এই কুরআন আমাদের দেখায়নি এবং এমন কোনো অকল্যাণ নেই, যার ব্যাপারে আমাদেরকে নিষেধ করেনি।

    ইমাম আশ-শাতিবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:

    القرآن كلية الشريعة

    “কুরআনই সমগ্র শরিয়তের মূলনীতি।”

    আজ মানব ও জিন শয়তানদের মধ্য থেকে আমাদের শত্রুরা আমাদের পবিত্র কুরআন অবমাননা করতে, আমাদের নবী ﷺ-কে গালি দিতে, আমাদের দ্বীনের প্রতি আঘাত হানতে এবং আমাদের পবিত্র স্থানগুলোকে অপবিত্র করতে চায়। তারা এসব করে কথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে, অথচ বাস্তবে এটি ইসলাম, তার নিদর্শনসমূহ এবং তার অনুসারীদের লাঞ্ছিত করার স্বাধীনতা ছাড়া কিছুই নয়। কেননা, এই কথিত স্বাধীনতা একমাত্র ইসলামের বিরুদ্ধেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু যখন কেউ তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাসসমূহ, নিকৃষ্ট অভ্যাস ও নীতিহীন চরিত্রের সমালোচনা বা খণ্ডন করতে চায়, তখন তারা এটাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে মনে করে না; বরং তখন তারা একত্রিত হয়ে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে এবং একে “বিশ্বাসের স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ” বলে আখ্যা দেয়।

    মুজাহিদ ইমাম উসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) আমাদের নবী ﷺ-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর চিত্র প্রদর্শন সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন:

    যদি তোমাদের কথার স্বাধীনতার কোনো সীমা না থাকে, তাহলে আমাদের কর্মের স্বাধীনতার জন্যও তোমাদের বুকে প্রশস্ততা থাকতে হবে।

    হে মুসলিম উম্মাহ!

    আমাদের শত্রুরা আমাদের আকিদা ও পবিত্রতার বিরুদ্ধে এতটা স্পর্ধার সাথে এই জঘন্য অপরাধসমূহ ঘটাতে পারত না, যদি আমরা নিজেদের দ্বীনের শিক্ষাগুলো থেকে দূরে না সরে যেতাম এবং ইসলামের বিধানগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতাম। পাশাপাশি, এদের আস্পর্ধার পেছনে আমাদের তাগুত শাসকদের বিশ্বাসঘাতকতা রয়েছে। তারা দ্বীনকে পরিত্যাগ করে ইসলামের শরিয়ত থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এবং পশ্চিমাদের অনুসরণে এতটাই লীন হয়েছে যে, ছায়ার মত নির্ভুলভাবে তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে।

    এই অভিশপ্ত ব্যক্তি আমাদের কুরআন ও আল্লাহর কালামের প্রতি চরম অবমাননা করেছে এবং সীমালঙ্ঘন করেছে। তবে দয়ালু ও পরাক্রমশালী আল্লাহ তাআলা এর প্রতিশোধ গ্রহণে অক্ষম নন। তাই তিনি এমন একজনকে সামনে এগিয়ে দিয়েছেন, যিনি তার অস্তিত্বের মূল শেকড় কেটে দিয়েছেন এবং তার অনিষ্টের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন।

    এ প্রসঙ্গে আমরা আমাদের উম্মতকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, কুরআনের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তাই তারা কুরআনের সাহায্য ও প্রতিরক্ষা উম্মতের জন্য আবশ্যক। একইসঙ্গে, আমরা বিশ্বের সকল প্রান্তের ইসলামি যুবকদের আহ্বান জানাই, যেন তারা তাদের দ্বীনের বিজয় নিশ্চিত করে এবং যারা আমাদের পবিত্র কুরআনকে অপবিত্র করেছে ও আমাদের নবী ﷺ-কে অবমাননা করেছে, তাদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। সম্ভবত আল্লাহ তাদের মাধ্যমে দ্বীনকে সম্মানিত করবেন এবং তাদের দ্বারা শত্রুদের মনে ভীতির সঞ্চার করবেন, কেননা ইসলামের শত্রুরা কেবল শক্তিশালীদেরই ভয় পায়। যেমন বলা হয়:

    من أمن العقوبة أساء الأدب

    “যে শাস্তি থেকে নিরাপদ থাকে, সে দুর্ব্যবহার করতে দ্বিধা করে না।”

    যারা আমাদের দ্বীনের ব্যাপারে বিদ্বেষ ছড়ানোর সাহস দেখায়, তারা যেন জেনে রাখে—আমরা এমন এক উম্মত, যারা অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুমায় না। আমাদের জীবন, সন্তান-সন্ততি ও সম্পদ—সমস্ত কিছুই আমাদের কুরআন ও নবী ﷺ-এর জন্য উৎসর্গিত। কুরআন অবশ্যই বিজয়ী হবে, শত্রুরা যতই ষড়যন্ত্র করুক বা অপমান করুক। ইনশাআল্লাহ, কুরআনের তিলাওয়াতকারী ও হাফেজগণ—মুজাহিদগণ বিজয়ী হবেন।

    আল্লাহ তাআলা বলেন:

    يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ، وَلَوْ كَرِهَ الكَفِرُونَ

    “তারা মুখের ফুত্কারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। কিন্তু আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।” (সূরা আস-সাফ: ৬১/ ৮)

    তিনি আরও বলেন:

    هُوَ الَّذِى أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ

    “তিনিই প্রেরণ করেছেন তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীনসহ, যাতে এ দ্বীনকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন, যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে।” (সূরা আত-তাওবা: ৯/৩৩)

    তারা যেন জেনে রাখে, আল্লাহ তাদেরকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি তাদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন:

    قُل لِلَّذِين كَفَرُوا إِن يَنتَهُوا يُغْفَرْ لَهُم مَّا قَدْ سَلَفَ وَإِن يَعُودُواْ فَقَدْ مَضَتْ سُنَّتُ الْأَوَّلِينَ

    “তুমি কাফেরদের বলে দাও—যদি তারা (অন্যায় থেকে) বিরত হয়, তবে তাদের পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করা হবে। আর যদি তারা পুনরায় সে পথেই ফিরে যায়, তবে অতীত জাতিদের প্রতি যে (শাস্তির) বিধান কার্যকর হয়েছে, তা-ই তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।” (সূরা আল-আনফাল: ৮/৩৮)

    অতএব, তারা যেন নিজেদের জন্য দুটি পথের একটি বেছে নেয়— হয় তাওবা ও হিদায়াতের পথ, নতুবা কুফর ও পথভ্রষ্টতার পথ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ, রব্বুল আলামিনের জন্য।

    আল মালাহিম মিডিয়া

    তানযিম কায়িদাতুল জিহাদ ফি জাজিরাতিল আরব

    (আল কায়েদা আরব উপদ্বীপ শাখা)

    ৩ রা শাবান ১৪৪৬ হিজরি, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ



    ***************

    অনুবাদ ও প্রকাশনা



    مع تحيّات إخوانكم
    في مؤسسة الحكمة للإنتاج الإعلامي
    قاعدة الجهاد في شبه القارة الهندية
    আপনাদের দোয়ায়
    আল হিকমাহ মিডিয়ার ভাইদের স্মরণ রাখবেন!
    আল কায়েদা উপমহাদেশ
    In your dua remember your brothers of
    Al Hikmah Media
    Al-Qaidah in the Subcontinent





  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর জমিনে এখনো এমনো কিছু বান্দা আছেন যারা রবের সাথে করা তাদের ওয়াদা পূর্ণ করছেন। আর ইন শা আল্লাহ, আল্লাহর ঐ বান্দারাই কেয়ামত পর্যন্ত এই পথেই থাকবেন। আল্লাহ যেনো আমাকে ক্ষমা করে তাদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করেন, আমিন।
    গুরাবা হয়ে লড়তে চাই, গুরাবা হয়েই শাহাদাহ চাই

    Comment


    • #3
      মুজাহিদ ইমাম উসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) আমাদের নবী ﷺ-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর চিত্র প্রদর্শন সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন:

      যদি তোমাদের কথার স্বাধীনতার কোনো সীমা না থাকে, তাহলে আমাদের কর্মের স্বাধীনতার জন্যও তোমাদের বুকে প্রশস্ততা থাকতে হবে।”
      জিহাদি মানহাজের হেফাযত, মুজাহিদদের হেফাযত থেকেও বেশি গুরত্বপূর্ণ

      কারণ মুজাহিদদের দৌড়-ঝাপ, কুরবানির উদ্দেশ্যই হলো হকের দাওয়াত ও পয়গাম বিজয়ী হোক। কিন্তু মানহাজ যদি খারাপ হয়, সফরের রাস্তা যদি ভুল হয়ে যায়, তখন মুসাফির যতই উদ্দীপনা ও ইখলাসের সাথে পথ চলুক, সে কখনও মনযিলে পৌঁছতে পারবে না। (দাওয়াতের পদ্ধতি ও জিহাদি মানহাজের হেফাযত - উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ)

      Comment


      • #4
        আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে দ্বীনের পথে অবিচল রাখুন এবং এই দ্বীন এর বিজয়ে অবদান রাখার তাওফিক দান করুন।

        Comment


        • #5
          মুজাহিদ ইমাম উসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাকে কবুল করুন) আমাদের নবী ﷺ-এর বিরুদ্ধে অবমাননাকর চিত্র প্রদর্শন সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছিলেন:

          যদি তোমাদের কথার স্বাধীনতার কোনো সীমা না থাকে, তাহলে আমাদের কর্মের স্বাধীনতার জন্যও তোমাদের বুকে প্রশস্ততা থাকতে হবে।”

          Comment

          Working...
          X