Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৫ || “আমেরিকার জনগণের প্রতি বার্তা” ।। শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) ||

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৫ || “আমেরিকার জনগণের প্রতি বার্তা” ।। শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) ||

    আন নাসর মিডিয়া পরিবেশিত
    আমেরিকার জনগণের প্রতি বার্তা
    ।।শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ)||
    এর থেকে

    কিছু কথা

    আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিহিল আমিন,আম্মা বাদ-

    সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা! শাইখ উসামা বিন লাদেন (রহিমাহুল্লাহ) এর গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা “রিসালাতুন ইলাশ শা’বিল আমরিকি” (رسالة إلى الشعب الأمريكي) এর অনুবাদ “আমেরিকার জনগণের প্রতি বার্তা” আপনাদের সামনে পেশ করছি

    জামাআত কায়িদাতুল জিহাদের অফিসিয়াল মিডিয়া উইং আস সাহাব মিডিয়া পরিবেশিত ভিডিওটি সর্বপ্রথম ২০০৪ ইংরেজিতে আল জাজিরা প্রকাশ করেছিল।

    গুরুত্বপূর্ণ এই বার্তাটি জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ কর্তৃক ইতিহাস পরিবর্তনকারী বরকতময় গাজওয়াতুল ম্যানহাটন (৯/১১ অপারেশন) পরিচালনা ও তার দায় স্বীকারের একটি প্রামাণ্য দলিল।

    আমাদের সমাজে গাজওয়াতুল ম্যানহাটন তথা ৯/১১ এর বরকতময় অপারেশন সম্পর্কে অনেক ভুল তথ্য ও ষড়যন্ত্র তথ্য প্রচলিত আছে, যার বিরুদ্ধে বক্ষ্যমাণ অনুবাদটি শক্তিশালী একটি দলিল হিসেবে গণ্য হবে ইনশা আল্লাহ

    যেহেতু শাইখ রহিমাহুল্লাহ’র এই বার্তাটি বেশ পুরনো, ফলে বক্তব্যের কিছু জায়গা পাঠকদের বুঝতে অসুবিধা হতে পারে, তাই অনুবাদে আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু টিকা যুক্ত করা হয়েছে আশা করছি পাঠক ও পাঠিকাগণ উপকৃত হবেন ইনশা আল্লাহ

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাদেরকে, আমাদেরকে ও আমাদের এই কাজকে কবুল ও মাকবুল করুন আমিন

    -সম্পাদক
    আন নাসর মিডিয়া
    জামাআত কায়িদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ [বাংলাদেশ শাখা]
    ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪২ হিজরি/ ২৫ অক্টোবর ২০২০ ইংরেজি


    হে আমেরিকার জনগণ!

    সত্য পথের অনুসারীদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক

    এখানে যে বার্তাটি দেওয়া হচ্ছে সেটি আরেকটি ম্যানহাটন হামলা এড়ানোর সর্বোত্তম সম্ভাব্য উপায় এখানে চলমান যুদ্ধ, এর কারণ এবং এর সুদূরপ্রসারী প্রভাব সম্পর্কে বলা হয়েছে

    শুরুতেই, আমি বলতে চাই: ‘শান্তি’ মানব জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। জর্জ বুশ দাবি করছে যে, আমরা স্বাধীনতা পছন্দ করি না[1] তার বিপরীতে আমি বলতে চাই, স্বাধীন ব্যক্তিরা কখনোই তাদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো আপোষ করে না যদি বুশের দাবি সত্যি হয় তবে সে ব্যাখ্যা করুক - কেন আমরা সুইডেনের মতো দেশে আঘাত করি না[2]? যারা স্বাধীনতা ঘৃণা করে তারা কখনই সেই উনিশ জন যুবকের (যারা আমেরিকাতে আক্রমণ করেছিল) মতো প্রতিবাদী সত্তার অধিকারী হতে পারবে না।

    আমরা তোমাদের সাথে লড়াই করি কারণ আমরা স্বাধীন মানুষ; আমরা নিপীড়ন মেনে নিতে পারি না। আমরা চাই আমাদের জাতির কাছে আবার স্বাধীনতা ফিরে আসুক। তোমরা যেমন আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছ ঠিক তেমনি আমরাও তোমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবো কেবল একজন নির্বোধ ডাকাত অন্যের সুরক্ষা বিঘ্নিত করার পরও আশা করবে যে তার নিজের সুরক্ষা সুরক্ষিত থাকবে। বুদ্ধিমান লোকেরা বিপর্যস্ত হলে, ঘটনার অন্তর্নিহিত কারণগুলি গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করে যেন এর পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে তবে, তোমাদের আচরণ আমাকে বিস্মিত করে! ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার চার বছর পরেও বুশ এই ঘটনাগুলির আসল কারণ গোপন করার জন্য কৌশলে তোমাদের বিভ্রান্ত করে মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে রাখছে

    বুশের এই ছলচাতুরীর ফলে যে কারণগুলির কারণে ৯/১১ হামলা চালানো হয়েছিল এবং প্রয়োজনে আবারও হামলা করা হতে পারে – সে কারণগুলো অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে।

    আমি এখানে এই হামলার পিছনের কারণগুলি তোমাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করব। প্রকৃতপক্ষে, কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই হামলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল সেটি তোমাদের সামনে আজ তুলে ধরবো

    আমরা কখনও ভাবিনি যে আমরা একদিন টুইন টাওয়ারে আঘাত করব। আমেরিকা-ইসরাইল জোটের চালানো অত্যাচার ও নিপীড়ন যখন সকল সীমা অতিক্রম করে তখন এই বিষয়টি সর্বপ্রথম আমার মনে আসে আমরা ফিলিস্তিন এবং লেবাননে[3] আমাদের জনগণের উপর আমেরিকা- ইসরাইল জোটের অকথ্য নিপীড়ন দেখেছি সেই সময়টাতে আমি তীব্র মনঃকষ্টে ছিলাম যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না যাইহোক, এই ঘটনা আমার মধ্যে প্রতিরোধ মানসিকতা গড়ে তুলে এবং অত্যাচারীদের শাস্তি দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প তৈরি করে

    লেবাননের বিধ্বস্ত এপার্টমেন্টগুলো দেখার পর আমার মাথায় আসলো যে, লেবাননে তোমাদের প্রয়োগ করা পদ্ধতি ব্যাবহার করে তোমাদেরকে এর তিক্ততার স্বাদ আস্বাদন করাতে হবে এজন্য আমেরিকার টাওয়ারগুলি ধ্বংস করা সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উপায়, যাতে করে তোমরাও আমাদের মতো ধ্বংসের তিক্ততার স্বাদ অনুভব করতে সক্ষম হও সম্ভবত, এটি তোমাদেরকে আমাদের নির্দোষ মহিলা ও শিশুদের হত্যা করা থেকে বিরত রাখবে সেদিনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, আমেরিকা নিজেদের স্বার্থে নির্দোষ মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করাকে ন্যায়সংগত মনে করে

    আমেরিকার সেইসকল জঘন্য অন্যায়ের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ ১১ সেপ্টেম্বরের হামলা চালানো হয়েছিল এখন তোমাদের কাছে আমার জিজ্ঞাসা, নিজ জন্মভূমি রক্ষার চেষ্টা করলে তাকে কি অপরাধী বলা যাবে? আত্মরক্ষা এবং অত্যাচারীর অত্যাচারের প্রতিক্রিয়াকে কি সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলা যাবে? যদি এটাকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বলা হয়, তবে আমাদের কাছে এর আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

    এই কথাটাই আমরা ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার বহু বছর আগে থেকে কথা এবং কাজের মাধ্যমে তোমাদের জানাতে আগ্রহী ছিলাম। তোমরা দেখতে পাবে - ১৯৯৬ সালের টাইম ম্যাগাজিনের সাক্ষাৎকারে, ১৯৯৭ সালে সিএনএন এর পিটার আরনেটের সাক্ষাৎকারে[4] এবং ১৯৯৯ সালে জন উইনার এর সাক্ষাৎকারে- আমি এবিষয়টি স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেছি তোমরা যদি আরও সহজ, আরও বাস্তবিক বার্তা চাও তবে নাইরোবি, তানজানিয়া এবং অ্যাডেনের ঘটনাগুলিতে এর প্রমাণ দেখতে পাবে আবদুল বারী আল আতওয়ান[5] এবং রবার্ট ফিস্কের[6] সাথে আমার সাক্ষাৎকারগুলি দেখলেও বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ

    তোমাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি - আমরা ৯/১১ হামলার গ্রুপ লিডার মুহাম্মাদ আত্তা রহিমাহুল্লাহ এর সাথে এব্যাপারে একমত হয়েছিলাম যে, পুরো অভিযানটা আমরা ২০ মিনিটের মধ্যে শেষ করবো যেন বুশ প্রশাসন কোন প্রতিক্রিয়া দেখানোর সুযোগ না পায়

    আমাদের কল্পনাতেও আসেনি যে, আমেরিকার সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ বিধ্বস্ত টুইন টাওয়ারে পঞ্চাশ হাজার আমেরিকানকে অসহায় অবস্থায় ছেড়ে দিবে যখন তাদের তাঁর সহায়তার একান্ত প্রয়োজন ছিল। সম্ভবত, বাচ্চাদেরকে ছাগল পালন সংক্রান্ত বই পড়ানো[7] তার কাছে ৫০,০০০ আমেরিকানের জীবনের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল তাই অপারেশন সমাপ্তির জন্য আমাদের যে সময় বরাদ্দ করা হয়েছিল তার তিনগুণ সময় পেয়েছিলাম

    উপসংহারে, আমি তোমাদের সততার সাথে একটি কথা বলতে চাই, তোমার নিরাপত্তা বুশ, কেরি বা আল কায়েদার হাতে নেই। তোমার নিরাপত্তা তোমার নিজের হাতে। আমেরিকার যেসকল রাজ্য আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে না, আমাদের দ্বারা তাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে না ইনশা আল্লাহ আমাদের রক্ষাকারী আল্লাহ, আর তোমাদের কোন রক্ষাকারী নেই। আর যারা সৎপথ অনুসরণ করে তাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

    **********


    . ২০০১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জর্জ বুশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট চিরাকের সাথে একটি অনুষ্ঠানে বলেছিল – “আমরা একটি নতুন ধরনের যুদ্ধে নেমেছি আমরা এমন একদল মানুষের সাথে যুদ্ধ করছি যারা স্বাধীনতা পছন্দ করে না
    ২. শাইখ এখানে বুঝিয়েছেনযেহেতু সুইডেন এই মুহূর্তে (২০০৪ সালে) মুসলিমদের উপর আক্রমণ করছে না তাই আমরাও তাদের উপর আক্রমণ করছি না আর আমেরিকা যেহেতু মুসলিমদের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে তাই আমরাও তাদের উপর আক্রমণ চালাবো
    3.. ১৯৮২ সালের জুন ইসরাইল লেবাননের উপর হামলা চালায় এই অপারেশনের নাম ছিলঅপারেশন পিস ফর গেলিলি এই হামলায় বৈরুতে প্রায় ২০,০০০ লোক মারা যায়
    4. Message to the world – the statement of Osama bin Laden বইয়ের ৪৬ পৃষ্ঠাতে From Somalia to Afghanistan শিরোনামে এই সাক্ষাৎকারটি আছে

    5.. আবদুল বারী আল আতওয়ান লন্ডন থেকে আরবি ভাষায় প্রকাশিত ‘আল কুদস আল আরাবি’ এর সম্পাদক তিনি ১৯৯৬ সালের আগস্ট মাসে আফগানিস্তানে শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন

    6.. রবার্ট ফিস্ক একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক লন্ডন থেকে প্রকাশিত ‘The Independent’ পত্রিকার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক খবর সংগ্রহ করে থাকে সে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ এর মধ্যে ৩ বার শাইখ উসামা রহিমাহুল্লাহ এর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছিল
    7.. /১১ এর সকালে ফ্লোরিডার একটি স্কুলে বুশের The Pet Goat নামক একটি বই পড়ানোর প্রোগ্রাম ছিল ׃০২ তে সে প্রথম প্লেন হামলার কথা জানতে পারে এরপর সে ক্লাসে প্রবেশ করে ও ৯׃১৬ পর্যন্ত পড়ায় ׃২৯ এ একটি বক্তৃতা দেয় এরপর ৯׃৩৩ এ স্কুল থেকে বের হয়ে এয়ারপোর্টের দিকে রওনা দিয়েছিল






Working...
X