Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাঠচক্র- ৩৭ || “ফিলিস্তিনের স্মৃতি ” ।। শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. || পঞ্চম পর্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাঠচক্র- ৩৭ || “ফিলিস্তিনের স্মৃতি ” ।। শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. || পঞ্চম পর্ব

    ফিলিস্তিনের স্মৃতি
    ।। শহীদ ড. আবদুল্লাহ আযযাম রহ. ||
    এর থেকে – পঞ্চম পর্ব


    আমি যখন জর্ডানের ইরবিদে[1] ছিলাম, তখনকার কথা মনে পড়ে। আমাদের দল ইরবিদের কাছাকাছি ছিলো। আমার পরিবার ছিল ইরবিদ শহরে। আমি তখন ছুটিতে ছিলাম এবং বাড়িতেই ছিলাম। হঠাৎ একদিন হামলা শুরু হলো। আমরা বাড়ির ও এলাকার মহিলা ও শিশুদেরকে বাড়ির নিচের নিরাপত্তা-গর্তে ও বাঙ্কারে বসিয়ে দিলাম। আমরা পুরুষরা বাড়ির ভেতরেই ছিলাম। গোলা এসে বাড়ির উপর পড়ছিলো। প্রতিটা বাড়িকে তছনছ করে দিচ্ছিলো। পুরুষরা নিজেদের জীবন বাঁচাবার জন্যে এমন অবস্থা করছিলো যে আমার কুরআনের সেই আয়াতের কথা মনে পড়ে গেলো।

    وَلَتَجِدَنَّهُمْ أَحْرَصَ النَّاسِ عَلَى حَيَاةٍ وَمِنَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا يَوَدُّ أَحَدُهُمْ لَوْ يُعَمَّرُ أَلْفَ سَنَةٍ وَمَا هُوَ بِمُزَحْزِحِهِ مِنَ الْعَذَابِ أَنْ يُعَمَّرَ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِمَا يَعْمَلُونَ

    ‘তোমরা তাদেরকে জীবনের প্রতি সমস্ত মানুষ, এমনকি মুশরিক অপেক্ষা অধিক লালায়িত দেখতে পাবে। তাদের প্রত্যেকে আকাঙ্ক্ষা করে যদি হাজার বছর আয়ু দেয়া হতো; কিন্তু দীর্ঘায়ু তাকে শাস্তি থেকে দূরে রাখতে পারবে না। তারা যা করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।' [সুরা বাকারা আয়াত ৯৬]

    আমার মনে পড়ে, আমাদের এক মদ্যপ প্রতিবেশী ছিলো। সে নিয়মিত মদ পান করতো। যখন গোলাবর্ষণ শুরু হলো, আত্মরক্ষার জন্যে সে নিজেকে মহিলাদের মাঝে ছুঁড়ে মারলো। কোন মহিলা তাকে বলছিলো 'তুই আমাদের থেকে বেরিয়ে যা' আবার কেউ তার মুখে থুথু দিচ্ছিলো; কিন্তু সে মৃতদেহের মতো সেখানে লেপ্টে রইলো। আল্লাহ সত্যই বলেছেন, তোমরা তাদেরকে জীবনের প্রতি সবচে লালায়িত পাবে। আমার পরিবার বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে এলো। 'তুমি এখানে একাকী আছো, তাই আমরা গর্ত থেকে বেরিয়ে এলাম'—এই কথা বলে আমার স্ত্রী আমার পাশে এসে বসলেন। কতক্ষণ পর সেই মদ্যপ লোকটি মারা গেলো। ভয়ে তার হৃদতন্ত্র ছিঁড়ে গিয়েছিলো। আমরা তার জানাযা পড়লাম ।

    আম্মান, ইরবিদ ও অন্যান্য শহর ধ্বংসপ্রাপ্ত হলো। আরব শীর্ষ সম্মেলনে[2] সবাই একত্র হলেন। তাঁরা দাবি করতেন যে, ফিলিস্তিনসহ অন্যান্য রাষ্ট্রকে ইসরাইলি হামলা থেকে বাঁচাবার জন্যে তাঁরা এই শীর্ষ সম্মেলন করছেন। আলবাহি আল-আদগাম[3], জাফর আন-নামিরি[4] ও সা'দ আস-সাবাহ[5] (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সেই হামলার সময়ে জর্ডানে এলেন। তাঁরা বাদশা, প্রধানমন্ত্রী এবং সামরিক প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেন। গাড়িতে আসার সময় তাঁরা রাস্তায় হামলার শিকার হলেন। তাঁরা প্রায় মারাই পড়তেন; তাঁদের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁরা প্রাণে বাঁচলেন। তাঁরা জর্ডান সেনাবাহিনীকে হাসপাতাল থেকে মৃতদেহ ও আহতদের বের করতে দেখলেন। এগুলো ছিলো গেরিলাদের মৃতদেহ ও আহতদেহ। সেনাবাহিনী সেগুলোকে হাসপাতাল থেকে বের করছিলো এবং দূরে নিয়ে ট্যাঙ্কের নিচে পিষে ফেলছিলো। জাফর আন-নামিরি দেশে ফিরে গেলেন এবং সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে জর্ডানের বাদশা, প্রধানমন্ত্রী ও সারা দুনিয়ার গোষ্ঠী উদ্ধার করলেন।

    হামলার পরপর যে শীর্ষ সম্মেলন হলো সেখানে আবদুন নাসেরসহ শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেই সম্মেলনে গেরিলা যোদ্ধাদের ধ্বংস করার ব্যাপারে কুমন্ত্রণা দিয়েছেন বলে আবদুন নাসেরকে অভিযুক্ত করা হলো। কেউ কেউ তাঁকে লজ্জাজনক কথাও বললেন। গেরিলাদের হত্যার ষড়যন্ত্রলিপি তিনিই তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করা হলো। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো সেই ষড়যন্ত্রলিপি আবদুন নাসেরের সঙ্গেই ছিলো। তিনি সেই সম্মেলনেই পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়লেন এবং সে দিনই মারা গেলেন।

    হায় আবদুন নাসের! তিনি সেই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন। তাঁর সম্পর্কে কতো কথা বলা হতো। তিনি এই করেছেন তিনি সেই করেছেন। অথচ যখন সত্য প্রকাশিত হলো, দেখা গেলো তিনিই গেরিলাদের হত্যার পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। সেই সম্মেলনেই তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলেন এবং তিন ঘণ্টা পর মারা গেলেন। দুনিয়া ও আখেরাতে লাঞ্ছিত হওয়ার জন্যেই মারা গেলেন।

    আবদুন নাসেরের জানাযায় শরিক হওয়ার জন্যে প্রায় সব নেতাই এলেন। এলেন না শুধু সৌদি আরবের বাদশা ফয়সাল। তিনি যখন শুনলেন আবদুন নাসের গেরিলাদের হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন, তিনি তাঁর জানাযার দাওয়াত প্রত্যাখ্যান করলেন। এমনকি তিনি কখনো আবদুন নাসেরের কবর যিয়ারত করতেও আসেন নি।

    যাই হোক। আবদুন নাসের মারা গেলেন। তাতে মনে করা হয়েছিলো যে গেরিলারা মুক্তি পাবে এবং তাদের উপর হামলা কমে যাবে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হলো না। প্রধানমন্ত্রী ওয়াসফি আত-তাল[6] বললেন, শহর ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা কিছুতেই গেরিলাদের উপর হামলা থামাবো না। আমরা তাদেরকে জঙ্গল ও বনভূমিতে থাকতে বাধ্য করবো। আর যারা শহরে থাকতে চায় তাদেরকে অবশ্যই অশান্তিতে থাকতে হবে। তাদের নিরাপদে থাকার কোন পথই আমরা খোলা রাখবো না। তিনি গেরিলাদের আহ্বান জানালেন, হে গেরিলারা, তোমরা কি শহর থেকে বের হয়ে গিয়ে জঙ্গলে স্বাধীনভাবে নিরাপদে থাকতে চাও না-কি শহরে থাকতে চাও? গেরিলারা বললো, আমরা শহর থেকে বের হয়ে যাবো। তারা শহর থেকে বের হয়ে গিয়ে জঙ্গল ও বনভূমিতে আশ্রয় নিলো। তারা আসলে সরকারের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারে নি। সব গেরিলা জঙ্গলে আশ্রয় নেয়ার পর পরই জর্ডান সেনাবাহিনী তাদের উপর ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা চালালো এবং প্রায় সবাইকে ধ্বংস করে দিলো। আসলে শহরে গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলো না। তাই কৌশলে তাদেরকে একত্র করা হলো এবং বিমান ও ট্যাঙ্ক হামলা চালিয়ে শেষ করে দেয়া হলো। এই সময় গেরিলাদের একটি দল ইসরাইলে গিয়ে যোগ দিলো। তারা তাদেরকে বললো, আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই। তোমরা আরবদের চেয়ে ভলো।

    জর্ডানে গেরিলা কার্যক্রমের নমুনা হলো, এখনকার মতো আমাদের একজনকেই গাড়ি চালাতে হতো। আবার সেই গুলি বহন করতো। তার পকেটে থাকতো রিভলবার আর কাঁধে থাকতো কালাশনিকভ। তখন ফিলিস্তিনের এই প্রবাদ মনে পড়ে যেতো, 'হে জমিন, যতো ইচ্ছে নড়তে পারো, আমি ছাড়া তোমার ওপর আর কেউ নেই।[7]

    এরপর সেখানে অস্ত্র ও গুলি বহন করা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ হিসেবে ঘোষিত হলো। যে কেউ অস্ত্র ও গুলি বহন করতো সামরিক আইনের অধীনে তার বিচার হতো। সেখানকার গোপন অস্ত্রবাজারে মাইন, বোমা ও গ্রেনেড খুব অল্প দামে বিক্রি হতো। যে-দামে এক বেলা খাবার খাওয়া যেতো সে দামে মাইন বা গ্রেনেড কেনা যেতো। চার রিয়াল বা বিশ রুপি দিয়ে পনের কেজি ওজনের বিস্ফোরকও কেনা যেতো। গেরিলারা এসব মাইন ও গ্রেনেড সেনাবাহিনীর ট্যাংকের বিরুদ্ধে কাজে লাগাতো।

    আমরা—মুসলমানদের ক্ষুদ্র একটি দল— এই সুযোগ কাজে লাগাতাম। অবশিষ্ট মুসলমানরা এটা থেকে বঞ্চিত হতো। কিন্তু আমরাও যখন এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হতাম, আমাদের খুব দুঃখ ও অনুশোচনা হতো। এই সুযোগ ব্যবহার করে আমরা অনেক কিছু করতে পারতাম, অনেক কিছু শিখতে পারতাম। আসলে অস্ত্র ছাড়া নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। অস্ত্র ছাড়া জিহাদে বের হওয়া পুরুষ আর ঘরে বসে থাকা নারীর মধ্যে তেমন ব্যবধান নেই। অস্ত্র নেই মানে কিছুই নেই।

    যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতো, নিজেদের মুসলমানিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করতো এবং শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতো, সরকার প্রথমে তাদের 'নড়াচড়া বন্ধ করলো। তাদের কথা বলা বন্ধ করলো এবং শেষ পর্যন্ত তাদের শিক্ষাদানও নিষিদ্ধ করলো। এখানেই শেষ নয়, এসব মুসলমান শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে তুমুল সমালোচনা হলো এবং তাদেরকে শিক্ষাকার্যক্রম থেকে ছাটাই করা হলো। এরপর সেনাবাহিনীকে মুসলমান-মুক্ত করার পাঁয়তারা শুরু হলো। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কিছুই করা গেলো না। কারণ অস্ত্র নেই। এটা অসহায় বকরির মতো অবস্থা। আল্লাহর রহমত যে জায়গায় আছে সেটা ছাড়া পুরো আরব বিশ্বেই এই অবস্থা।

    আমরা অনুশোচনা করলাম, নিজেদের ধিক্কার দিলাম। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রের অভাবই আমাদের ঘায়েল করলো। আমাদের গ্রুপের সত্তর জনের নয়জন ছাড়া বাকি সবাই চলে গেলো। তারা সবাই কাগজ ও কলম নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। তারা জিহাদের কথা লিখে ও বলে বেড়াতে লাগলো। কিন্তু জিহাদের স্বাদ কাগজ ও কলমে পাওয়া যায় না। জিহাদের প্রকৃত স্বাদ তিনিই পান, যাঁর রয়েছে তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং যিনি আগুনের হলকা কাঁধে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে ঘুরে বেড়ান।

    আল্লাহর নেয়ামত, আমি জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয়। সকল প্রশংসা মহান আল্লাহর জন্যে। আমি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। সামরিক জান্তা ও প্রধানমন্ত্রী চব্বিশটি অথবা সাতাশটি—আমি ভুলে গেছি—কারণ দর্শিয়ে আমাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তারা না-কি আমার সন্তুষ্টির জন্যেই এ কাজটি করেন! প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আবদুল্লাহ আযযামকে বরখাস্ত করে তাঁকে মক্কায় যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। তিনি সেখানে হজ পালন করতে পারবেন।'

    এভাবেই আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং মক্কায় গিয়ে হজ করার সুযোগ প্রদান করা হয়।[8]

    আমি আফগানিস্তানে চলে এলাম। আমি নিজেকে মুক্ত ও স্বস্তি বোধ করলাম। তখন ইয়ামেন ও আফগানিস্তানে জিহাদ চলছিলো। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম জিহাদে অংশগ্রহণ করবো। আফগানিস্তান বা ইয়ামেন কোন একটি এলাকায় জিহাদে যোগ দেবো। জিহাদে যোগ দেবার প্রবল বাসনা ভেতরে ভেতরে অবদমিত হয়ে উঠছিলো। আমি আমার বাসনাকে বাস্তবে রূপদান করার কথা ভাবছিলাম জিহাদের ময়দানে যে-আশ্চর্য স্বস্তি, গভীর প্রশান্তি, স্থিরচিত্ততা ও কষ্ট সহ্য করার দৃঢ় মনোবল পাওয়া যায় অন্য কোথাও সেটা অনুপস্থিত। ঠিক তখনই পেশোয়ার থেকে একটি চিঠি এলো। তারা জানালেন যে, অফিসিয়াল ও অন্যান্য কাজের জন্যে আমার সেখানে উপস্থিত থাকা জরুরি। বিষয়টি আমাকে খুবই দুঃখ দিলো।

    আমরা এমন এক নেয়ামতের ভেতর রয়েছি যার জন্যে হয়তো আগামী দিনে আমাদেরকে রক্তাশ্রু ঝরাতে হবে। আমরা আশা করি, আল্লাহপাক আমাদেরকে এই নেয়ামত থেকে বঞ্চিত করবেন না। আমরা প্রার্থনা করি, তিনি যেনো আমাদেরকে এই নেয়ামত থেকে মাহরুম না করেন। আল্লাহপাকের কসম, সেই প্রকৃত মাহরুম যে জিহাদের নেয়ামত থেকে মাহরুম হয়েছে। ঈমানের নেয়ামত এবং জিহাদের নেয়ামত থেকে যারা মাহরুম হয়েছে তাদের মতো মাহরুম আর কেউ নেই। তাদের চেয়েও বড়ো মাহরুম হলো যারা জিহাদের ভূমিতে গিয়ে জিহাদ না করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছে। আল্লাহপাকের কসম, আমি এদের জন্যে কতো দুঃখ করেছি, কতো শোক প্রকাশ করেছি। এই সব মিসকিনদের জন্যে কতো কেঁদেছি। এরা অনেক কষ্ট সহ্য করে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কয়েক বছর চেষ্টা করে জিহাদের এই ভূমিতে পৌঁছে। তারপর এদের ভিমরতি ঘটে। এদের মাথায় এই কুমন্ত্রণা কাজ করে যে, আমরা এখানে এসেছি আর এরা হলো মুশরিক। তাদের ভেতর শিরক বিদআত দুটোই রয়েছে। তাদের সঙ্গে জিহাদ করা জায়েয হবে না ভেবে তারা ফিরে যায়। ফলে তারা জিহাদের নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়।



    [1] জর্ডানের উত্তর-পশ্চিম অংশে ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত ৪০ বর্গকিলোমিটারের একটি শহর। জর্ডান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোর সংযোগস্থল। ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসন, শিক্ষা ও চিকিৎসার পর্যাপ্ত অবকাঠামো রয়েছে শহরটিতে।
    [2] ১৯৭০ সালের ২১-২৭ সেপ্টেম্বর, কায়রোতে অনুষ্ঠিত।
    [3] তিউনিসীয় রাজনীতিবিদ। ১৯৬৯-১৯৭০ মেয়াদে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
    [4]জাফর মুহাম্মদ আন-নামিরি সুদানের পঞ্চম প্রেসিডেন্ট। মেয়াদকাল ২৫ মে, ১৯৬৯- ৬ই এপ্রিল, ১৯৮৫।
    [5] সা'দ আল-আবদুল্লাহ আস সালিম আস-সাবাহ কুয়েতের মন্ত্রী, পরবর্তীকালে আমির।

    [6] ওয়াসফি আত-তাল ২৮-০১-১৯৬২ থেকে ২৭-০৩-১৯৬৩, ১৪-০২-১৯৬৫ থেকে ০৪- ০৩-১৯৬৭, ২৮-১০-১৯৭০ থেকে ২৮-১১-১৯৭১ এই তিন টার্মে জর্ডানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ আর্মিতে ক্যাপ্টেন ছিলেন। ১৯৪৮ সালের ফিলিস্তিন যুদ্ধেও অংশগ্রহণ করেন। পরে জর্ডান আর্মিতে মেজর হন। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বয়রুত থেকে স্নাতক শেষ করার পর সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ১৯১৯ সালে ইরবিদে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭১ সালের ২৮ শে নভেম্বর মিসরের কায়রো হোটেলে আততায়ীদের হাতে নিহত হন। আম্মানে তাকে দাফন করা হয়।
    [7] এটি একটি ফিলিস্তিনি প্রবাদ। অহংকার নিয়ে চলাফেরা করা ব্যক্তি সম্পর্কে এই কথা বলা হয়।
    [8] আমি নিজেকে মুক্ত ও স্বস্তি বোধশায়খ আবদুল্লাহ আযযাম রহ. ১৯৭৩-১৯৮০ সালে জর্ডান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৮০-১৯৮১ সালে কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। এ বছরই ইসলামাবাদের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসে। এখানে কিছুদিন ছিলেন। এরপর আফগানিস্তানের কাজে মনোনিবেশ করেন।





    আরও পড়ুন

  • #2
    তিনি গেরিলাদের আহ্বান জানালেন, হে গেরিলারা, তোমরা কি শহর থেকে বের হয়ে গিয়ে জঙ্গলে স্বাধীনভাবে নিরাপদে থাকতে চাও না-কি শহরে থাকতে চাও? গেরিলারা বললো, আমরা শহর থেকে বের হয়ে যাবো। তারা শহর থেকে বের হয়ে গিয়ে জঙ্গল ও বনভূমিতে আশ্রয় নিলো। তারা আসলে সরকারের ষড়যন্ত্র বুঝতে পারে নি। সব গেরিলা জঙ্গলে আশ্রয় নেয়ার পর পরই জর্ডান সেনাবাহিনী তাদের উপর ট্যাঙ্ক ও বিমান হামলা চালালো এবং প্রায় সবাইকে ধ্বংস করে দিলো। আসলে শহরে গেরিলাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলো না। তাই কৌশলে তাদেরকে একত্র করা হলো এবং বিমান ও ট্যাঙ্ক হামলা চালিয়ে শেষ করে দেয়া হলো। এই সময় গেরিলাদের একটি দল ইসরাইলে গিয়ে যোগ দিলো। তারা তাদেরকে বললো, আমরা তোমাদের সঙ্গে থাকতে চাই। তোমরা আরবদের চেয়ে ভলো।
    এই হচ্ছে কুফফারদের ছেড়ে বন্দুকের নল মুনাফিক গাদ্দারদের দিকে ফিরিয়ে দেয়ার ইতিহাস

    Comment


    • #3
      আল্লাহ তা'আলা উম্মাহকে মুনাফিক ও গাদ্দার শাসকদের থেকে হিফাজত করুন, আমীন।

      Comment

      Working...
      X