শাইখ সুলাইমান আল-উলওয়ানের ইলমের গভীরতা সম্পর্কে একটু ধারণা দেয়ার ব্যাপারে কিছু কথা বলছি,
.
উনি মূলত বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা মালিক, বুলুগুল মারাম, উমদাতুল আহকাম ও আরবাইনে নাওয়াবীয়্যাহ'র উপর পাঠদান করতেন। আর আক্বীদার বিষয়ে তিনি যেসব কিতাবগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠদান করতেন তার মধ্যে রয়েছে- আক্বীদা আত-তাদমুরিয়্যাহ, আক্বীদাতু হামাবিয়্যাহ, ইব্*ন তাইমিয়ার আক্বীদাতুল ওয়াসিতিয়্যাহ, মুহাম্মদ ইব্*ন আব্দুল ওয়াহহাবের কিতাবুত তাওহীদ। এছাড়াও আল-আজুররির আশ-শারীয়াহ, আব্দুল্লাহ ইব্*ন আহমদের আস-সুন্নাহ, ইব্*ন নাসরের আস-সুন্নাহ, ইব্*ন বাত্তাহ'র আল-ইবানাহ এবং ইব্*নুল কায়্যিমের আস-সাওয়াইক ও আন-নুনিয়্যাহ।
.
এতক্ষণে হয়তো কিছুটা বোঝাতে পেরেছি উনি কোন মাপের আলিম। কিছুদিন আগে দেখলাম উনাকে সৌদি কারাগারে শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রাখা হয়েছে। গায়ে কোন কাপড় উনাকে দেয়া হচ্ছে না। উনার অপরাধ হল উনি তাওহীদকে তাওহীদের মত করে প্রচার করেছেন, তৃতীয় উমারের যুগে বাস করে তৃতীয় উমারকে বাই'আত দিয়েছেন।
.
এই যে এতবড় একজন আলিমকে সৌদি কারাগারের নিয়ে এভাবে টর্চার চালানো হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে আমাদের তথাকথিত ইলমের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া কিছু 'আলিমদের কিছু ফতওয়া। 'আলীমদের গ্রীন সিগনাল না থাকলে উনাকে বন্দী করা সম্ভব ছিল না। অসম্ভব ছিল শাইখ নাসির বিন হামাদ আল-ফাহাদকে বন্দি করা, অসম্ভব ছিল শাইখ ইউসুফ আল-উরাইরি (রহিমাহুমুল্লাহ) এর মত আলিমদের হত্যা করা।
.
আমার খুব প্রিয় একজন শাইখ আহমাদ মূসা জিব্রীল (ফাক্বাল্লাহু আসরাহ)। উনার দুই একটা লেকচার শুনলেই উনার প্রজ্ঞা আর ইলমের গভীরতা সম্পর্কে বুঝতে পারার কথা। শাইখ আহমাদ মূসা জিব্রীল আর উনার বাবাকে (যিনি নিজেও একজন 'আলিম) একসাথে গ্রেফতার করা হয়, আর সেই টর্চার চালানো হয় যা শাইখ সুলাইমান আল উলওয়ানের (ফাক্বাল্লাহু আসরাহ) উপর চালানো হচ্ছে। লা~ হাউলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!!
.
এবার একটু নিজ দেশের বর্ডারে আসি। শাইখ আব্দুর রাহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে আজ থেকে ১০ বছর আগে। উনার অপরাধ শারীয়াহ কায়েম করতে চেয়েছিলেন এই দেশে। এদেশের শরীয়াহ কায়েমকারীদের হত্যা করা তো সাধারণ ব্যাপার। তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়া জরুরী না। এমনকি তারা যদি অপরাধ করেও সেটার জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই থাকে মৃত্যুদন্ড। অথচ সেই মৃত্যুদন্ডের বিধান আল্লাহর শরীয়াহ থেকে নয়, তাগুতের শরীয়াহ থেকে উৎসরিত। ততটুকু হলেও হয়ত হত। কিন্তু উনার সংগঠনের কর্মীদের বাসার মা-বোন, স্ত্রীদের জেলে তুলে এনে রেইপ করেছে তাগুতের শুয়োরেরা!!
.
সেই সময়ে যে 'আলিমরা জিহাদ বিরোধী বই লিখে, ফতোয়া দিয়ে দলীলবিহীন অপবাদ আরোপ করেছিলেন, একজনের অপরাধে আরেকজনকে অভিযুক্ত করেছিলেন, এবং তাগুতের যুলমকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, তাদেরকে কেন এই হত্যা আর রেইপের জন্য দায়ী করা হয় না?
.
আজকাল চারপাশে অনেক ক্ষমার বাণী শুনি। বলা হয় এগুলোকে ইজতিহাদি ভুল ভেবে যেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়। সুবহানাল্লাহ!! নিজের স্ত্রী, বোন, মাকে রেইপ করা হলেও কি উনারা একই ক্ষমার বাণী আওড়াতে পারবেন? পছন্দের শাইখদের নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে সেটাই সহ্য করতে পারেন না, আর অন্যদের বলেন তারা যেন সহনশীলতা বজায় রাখেন!! এই সহনশীলতার মানদন্ডটা কে নির্ধারণ করবে?
.
আসলে ঘরে বসে, ফেইসবুকে এসে তথাকথিত এটিকেট মেইন্টেইন করে অন্যকে ক্ষমার বাণী শোনানো খুব সহজ। প্রশ্ন হচ্ছে এই ক্ষমা করার আপনি বা আমি কে? এই উম্মাহর রক্ত ঝড়ানোর দায় থেকে যারা মুক্ত নয়, মা-বোনদের রেইপ করার দায় থেকে যারা মুক্ত নয় তাদেরকে আপনি-আমি চাইলেই ক্ষমা করতে পারি না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিজ শানে তাদের ক্ষমা করবেন কিনা সেটা আল্লাহর ব্যাপার। ক্ষমা যদি কারো করতেই হয় করবে সেই বোনরা যাদেরকে অন্ধকার কারাগারে রেইপ করা হয়েছে, যাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। পারবেন তো তাদের সামনে গিয়ে এই ক্ষমাশীলতা আর সহনশীলতার বাণী আওড়াতে? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলার কাছে বেইনসাফি থেকে আশ্রয় চাই...
.
উনি মূলত বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা মালিক, বুলুগুল মারাম, উমদাতুল আহকাম ও আরবাইনে নাওয়াবীয়্যাহ'র উপর পাঠদান করতেন। আর আক্বীদার বিষয়ে তিনি যেসব কিতাবগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে পাঠদান করতেন তার মধ্যে রয়েছে- আক্বীদা আত-তাদমুরিয়্যাহ, আক্বীদাতু হামাবিয়্যাহ, ইব্*ন তাইমিয়ার আক্বীদাতুল ওয়াসিতিয়্যাহ, মুহাম্মদ ইব্*ন আব্দুল ওয়াহহাবের কিতাবুত তাওহীদ। এছাড়াও আল-আজুররির আশ-শারীয়াহ, আব্দুল্লাহ ইব্*ন আহমদের আস-সুন্নাহ, ইব্*ন নাসরের আস-সুন্নাহ, ইব্*ন বাত্তাহ'র আল-ইবানাহ এবং ইব্*নুল কায়্যিমের আস-সাওয়াইক ও আন-নুনিয়্যাহ।
.
এতক্ষণে হয়তো কিছুটা বোঝাতে পেরেছি উনি কোন মাপের আলিম। কিছুদিন আগে দেখলাম উনাকে সৌদি কারাগারে শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রাখা হয়েছে। গায়ে কোন কাপড় উনাকে দেয়া হচ্ছে না। উনার অপরাধ হল উনি তাওহীদকে তাওহীদের মত করে প্রচার করেছেন, তৃতীয় উমারের যুগে বাস করে তৃতীয় উমারকে বাই'আত দিয়েছেন।
.
এই যে এতবড় একজন আলিমকে সৌদি কারাগারের নিয়ে এভাবে টর্চার চালানো হচ্ছে এর পিছনে রয়েছে আমাদের তথাকথিত ইলমের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া কিছু 'আলিমদের কিছু ফতওয়া। 'আলীমদের গ্রীন সিগনাল না থাকলে উনাকে বন্দী করা সম্ভব ছিল না। অসম্ভব ছিল শাইখ নাসির বিন হামাদ আল-ফাহাদকে বন্দি করা, অসম্ভব ছিল শাইখ ইউসুফ আল-উরাইরি (রহিমাহুমুল্লাহ) এর মত আলিমদের হত্যা করা।
.
আমার খুব প্রিয় একজন শাইখ আহমাদ মূসা জিব্রীল (ফাক্বাল্লাহু আসরাহ)। উনার দুই একটা লেকচার শুনলেই উনার প্রজ্ঞা আর ইলমের গভীরতা সম্পর্কে বুঝতে পারার কথা। শাইখ আহমাদ মূসা জিব্রীল আর উনার বাবাকে (যিনি নিজেও একজন 'আলিম) একসাথে গ্রেফতার করা হয়, আর সেই টর্চার চালানো হয় যা শাইখ সুলাইমান আল উলওয়ানের (ফাক্বাল্লাহু আসরাহ) উপর চালানো হচ্ছে। লা~ হাউলা ওয়া কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ!!
.
এবার একটু নিজ দেশের বর্ডারে আসি। শাইখ আব্দুর রাহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে আজ থেকে ১০ বছর আগে। উনার অপরাধ শারীয়াহ কায়েম করতে চেয়েছিলেন এই দেশে। এদেশের শরীয়াহ কায়েমকারীদের হত্যা করা তো সাধারণ ব্যাপার। তাদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়া জরুরী না। এমনকি তারা যদি অপরাধ করেও সেটার জন্য সর্বনিম্ন শাস্তিই থাকে মৃত্যুদন্ড। অথচ সেই মৃত্যুদন্ডের বিধান আল্লাহর শরীয়াহ থেকে নয়, তাগুতের শরীয়াহ থেকে উৎসরিত। ততটুকু হলেও হয়ত হত। কিন্তু উনার সংগঠনের কর্মীদের বাসার মা-বোন, স্ত্রীদের জেলে তুলে এনে রেইপ করেছে তাগুতের শুয়োরেরা!!
.
সেই সময়ে যে 'আলিমরা জিহাদ বিরোধী বই লিখে, ফতোয়া দিয়ে দলীলবিহীন অপবাদ আরোপ করেছিলেন, একজনের অপরাধে আরেকজনকে অভিযুক্ত করেছিলেন, এবং তাগুতের যুলমকে লুকিয়ে রেখেছিলেন, তাদেরকে কেন এই হত্যা আর রেইপের জন্য দায়ী করা হয় না?
.
আজকাল চারপাশে অনেক ক্ষমার বাণী শুনি। বলা হয় এগুলোকে ইজতিহাদি ভুল ভেবে যেন ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হয়। সুবহানাল্লাহ!! নিজের স্ত্রী, বোন, মাকে রেইপ করা হলেও কি উনারা একই ক্ষমার বাণী আওড়াতে পারবেন? পছন্দের শাইখদের নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে সেটাই সহ্য করতে পারেন না, আর অন্যদের বলেন তারা যেন সহনশীলতা বজায় রাখেন!! এই সহনশীলতার মানদন্ডটা কে নির্ধারণ করবে?
.
আসলে ঘরে বসে, ফেইসবুকে এসে তথাকথিত এটিকেট মেইন্টেইন করে অন্যকে ক্ষমার বাণী শোনানো খুব সহজ। প্রশ্ন হচ্ছে এই ক্ষমা করার আপনি বা আমি কে? এই উম্মাহর রক্ত ঝড়ানোর দায় থেকে যারা মুক্ত নয়, মা-বোনদের রেইপ করার দায় থেকে যারা মুক্ত নয় তাদেরকে আপনি-আমি চাইলেই ক্ষমা করতে পারি না। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা নিজ শানে তাদের ক্ষমা করবেন কিনা সেটা আল্লাহর ব্যাপার। ক্ষমা যদি কারো করতেই হয় করবে সেই বোনরা যাদেরকে অন্ধকার কারাগারে রেইপ করা হয়েছে, যাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। পারবেন তো তাদের সামনে গিয়ে এই ক্ষমাশীলতা আর সহনশীলতার বাণী আওড়াতে? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা'আলার কাছে বেইনসাফি থেকে আশ্রয় চাই...
Comment