উলামায়ে উম্মাহর প্রতি একটি বার্তা-
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد-
রব্বু যিল-জালাল প্রতিটি যুগে যুগে বিপদগামী উম্মাহকে পথপ্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। এবং দান করেছেন সকল আম্বিয়ায়েকেরামকে স্বীয় ইলম থেকে কিছু ইলম। যার মাধ্যমে সকল আম্বিয়ায়েকেরাম নিজেরা সঠিক পথে অবিচল ছিলেন এবং সুপথ প্রদর্শন করেছিলেন বিভ্রান্ত উম্মাহকে। ইলমে ওহীর অধিকারী এসকল আম্বিয়ায়েকেরাম ছিলেন সকল মুমিনদের জন্য সুসংবাদদাতা এবং সকল কাফেরদের জন্য সুস্পষ্ট ভীতী প্রদর্শনকারী।
প্রতিটি নবীই ছিলেন বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াকু সৈনিক। তাঁরা তাওহীদের বাণীকে প্রচার করতে ও আল্লাহর দীনকে দুনিয়াতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মৃত্যু পর্যন্ত পূর্ণরুপে চেষ্টা করেছেন। আর সে ধারাবাহিকতায়ই মহান রব্বুল আলামীন প্রেরণ করলেন সায়্যিদুল আম্বিয়া, আখেরী নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ কে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নবুওয়াতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এসম্পর্কে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন-
انا خاتم النبيين لا نبي بعدي
আমিই সর্বশেষ নবী। আমার পর কেউ নবী হবেনা।
হ্যাঁ! হে উলামায়ে উম্মাত! আমাদের নবীর পর আর কেউ নবী হবেনা। তিনিই হলেন কিয়ামত পর্যন্ত নবী। তাঁর আনীত শরিয়াতই কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। কিন্তু তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত ধরার বুকে অবশিষ্ট রইলেন না। ইহধাম ত্যাগ করে পরম বন্ধুর সান্নিধ্যে চলে গেছেন, আজ থেকে নিয়ে আরো সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে।
তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত নবুওয়াতের এগুরু দায়িত্ব কে পালন করবে? পথহারা এমুসলিম উম্মাহকে কে পথ দেখাবে? নাকি এভাবেই তারা বিপথগামী হয়ে জাহান্নামের অগ্নিগহবরে নিক্ষিপ্ত হবে? রাসূলুল্লাহ সাঃ কি এগুরুদায়িত্ব কাউকে বুঝিয়ে দেননি? তিনি কি রেখে যাননি তাঁর কোন ওয়ারিস?
তাহলে কোথায় সেসকল ওয়ারিসে আম্বিয়া?? আজ উম্মাহর এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তাঁরা কেনো উম্মাহকে পথ প্রদর্শন করছেন না? নাকি তাঁরা নিজেরাই পথ ভুলে অন্য পথে হাঁটতে শুরু করেছেন? তাহলে আজ নির্যাতিত এই উম্মাহকে পথ দেখানোর জন্য অবশিষ্ট রইলো কে?
হে উলামায়ে উম্মাহ! আমাদের কি হলো যে, আজ আমরা ইসলাম ও মুসলমানদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবিস্থায়ও কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত আছি??? রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রক্তমাখা দীন কি এভাবেই নিঃষেশিত হয়ে যাবে? যে দীনকে রক্ষা করার জন্য স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ রক্ত ঢেলেছেন, সে দীনকে রক্ষা করার জন্য কি এউম্মাহর উলামাগণ রক্ত ঢালতে পারবেন না? রাসূলুল্লাহ সাঃ রক্ত ঢালার পরও যদি তাঁরা রক্ত ঢালতে না পারেন, তাহলে তাঁরা কিসের ওয়ারিসুল আম্বিয়া? নাকি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রক্তের চেয়ে তাঁদের রক্তের মুল্য বেশি???!
তাহলে আজ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের উপর জিহাদ ফর*যে আঈন হওয়ার পরও তাঁরা কিভাবে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে মাশগুল আছেন? অথচ, শরয়ী কোন ওজর ছাড়া জিহাদ ছেড়ে বসে থাকাটা নিফাককে আবশ্যক করে৷ তবে কি আজ উলামায়ে উম্মাহরাও নিফাকের মধ্যে নিমজ্জিত? হে উলামায়ে উম্মাহ! আর কতকাল এভাবে নিফাকের মধ্যে ডুবে থাকবেন? যদি নিফাকের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায় মৃত্যু চলে আসে, তাহলে অবস্থাটা কি হবে? হে উলামায়ে উম্মাহ! একবার ভেবে দেখুন??
আপনারা কি একথা ভুলে গেছেন যে, একদিন আমাদের সকলকে নির্যাতিত,অসহায় এই উম্মাহর রবের সামনে দাঁড়াতে হবে? রব্বে কারীম যেদিন জিহাদ তরককারীদের দিকে রাগান্বিত অবস্থায় রাগ ও ক্রোধের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন, সেদিন জাহান্নামের নিকৃষ্ট অগ্নিগহবর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ছাড়া আর কি উপায় হতে পারে?
এতএব, আসুন!! আমরা মানুষকে ভয় করার পরিবর্তে এক আল্লাহকেই ভয় করি, যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। এবং মানুষের গোলামী ছেড়ে দিয়ে এক আল্লাহরই গোলামী করি, যিনিই একমাত্র ইবাদতের উপযুক্ত। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং আপনার রাহে শাহাদাত দ্বারা আমাদেরকে ধন্য করুন। আমীন! আমীন!! ইয়া রব্বাশ শুহাদা!!!
سبحان ربك رب العزة عما يصفون، وسلام على المرسلين ،والحمد لله رب العالمين.
نحمده ونصلي علي رسوله الكريم اما بعد-
রব্বু যিল-জালাল প্রতিটি যুগে যুগে বিপদগামী উম্মাহকে পথপ্রদর্শনের জন্য নবী-রাসুল প্রেরণ করেছেন। এবং দান করেছেন সকল আম্বিয়ায়েকেরামকে স্বীয় ইলম থেকে কিছু ইলম। যার মাধ্যমে সকল আম্বিয়ায়েকেরাম নিজেরা সঠিক পথে অবিচল ছিলেন এবং সুপথ প্রদর্শন করেছিলেন বিভ্রান্ত উম্মাহকে। ইলমে ওহীর অধিকারী এসকল আম্বিয়ায়েকেরাম ছিলেন সকল মুমিনদের জন্য সুসংবাদদাতা এবং সকল কাফেরদের জন্য সুস্পষ্ট ভীতী প্রদর্শনকারী।
প্রতিটি নবীই ছিলেন বাতিলের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াকু সৈনিক। তাঁরা তাওহীদের বাণীকে প্রচার করতে ও আল্লাহর দীনকে দুনিয়াতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে মৃত্যু পর্যন্ত পূর্ণরুপে চেষ্টা করেছেন। আর সে ধারাবাহিকতায়ই মহান রব্বুল আলামীন প্রেরণ করলেন সায়্যিদুল আম্বিয়া, আখেরী নবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাঃ কে। যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নবুওয়াতের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন। আর এসম্পর্কে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন-
انا خاتم النبيين لا نبي بعدي
আমিই সর্বশেষ নবী। আমার পর কেউ নবী হবেনা।
হ্যাঁ! হে উলামায়ে উম্মাত! আমাদের নবীর পর আর কেউ নবী হবেনা। তিনিই হলেন কিয়ামত পর্যন্ত নবী। তাঁর আনীত শরিয়াতই কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। কিন্তু তিনি তো কিয়ামত পর্যন্ত ধরার বুকে অবশিষ্ট রইলেন না। ইহধাম ত্যাগ করে পরম বন্ধুর সান্নিধ্যে চলে গেছেন, আজ থেকে নিয়ে আরো সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে।
তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত নবুওয়াতের এগুরু দায়িত্ব কে পালন করবে? পথহারা এমুসলিম উম্মাহকে কে পথ দেখাবে? নাকি এভাবেই তারা বিপথগামী হয়ে জাহান্নামের অগ্নিগহবরে নিক্ষিপ্ত হবে? রাসূলুল্লাহ সাঃ কি এগুরুদায়িত্ব কাউকে বুঝিয়ে দেননি? তিনি কি রেখে যাননি তাঁর কোন ওয়ারিস?
তাহলে কোথায় সেসকল ওয়ারিসে আম্বিয়া?? আজ উম্মাহর এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় তাঁরা কেনো উম্মাহকে পথ প্রদর্শন করছেন না? নাকি তাঁরা নিজেরাই পথ ভুলে অন্য পথে হাঁটতে শুরু করেছেন? তাহলে আজ নির্যাতিত এই উম্মাহকে পথ দেখানোর জন্য অবশিষ্ট রইলো কে?
হে উলামায়ে উম্মাহ! আমাদের কি হলো যে, আজ আমরা ইসলাম ও মুসলমানদের এমন দুর্যোগপূর্ণ অবিস্থায়ও কেবল নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত আছি??? রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রক্তমাখা দীন কি এভাবেই নিঃষেশিত হয়ে যাবে? যে দীনকে রক্ষা করার জন্য স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাঃ রক্ত ঢেলেছেন, সে দীনকে রক্ষা করার জন্য কি এউম্মাহর উলামাগণ রক্ত ঢালতে পারবেন না? রাসূলুল্লাহ সাঃ রক্ত ঢালার পরও যদি তাঁরা রক্ত ঢালতে না পারেন, তাহলে তাঁরা কিসের ওয়ারিসুল আম্বিয়া? নাকি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর রক্তের চেয়ে তাঁদের রক্তের মুল্য বেশি???!
তাহলে আজ সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের উপর জিহাদ ফর*যে আঈন হওয়ার পরও তাঁরা কিভাবে জিহাদ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে মাশগুল আছেন? অথচ, শরয়ী কোন ওজর ছাড়া জিহাদ ছেড়ে বসে থাকাটা নিফাককে আবশ্যক করে৷ তবে কি আজ উলামায়ে উম্মাহরাও নিফাকের মধ্যে নিমজ্জিত? হে উলামায়ে উম্মাহ! আর কতকাল এভাবে নিফাকের মধ্যে ডুবে থাকবেন? যদি নিফাকের মধ্যে ডুবন্ত অবস্থায় মৃত্যু চলে আসে, তাহলে অবস্থাটা কি হবে? হে উলামায়ে উম্মাহ! একবার ভেবে দেখুন??
আপনারা কি একথা ভুলে গেছেন যে, একদিন আমাদের সকলকে নির্যাতিত,অসহায় এই উম্মাহর রবের সামনে দাঁড়াতে হবে? রব্বে কারীম যেদিন জিহাদ তরককারীদের দিকে রাগান্বিত অবস্থায় রাগ ও ক্রোধের দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন, সেদিন জাহান্নামের নিকৃষ্ট অগ্নিগহবর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ছাড়া আর কি উপায় হতে পারে?
এতএব, আসুন!! আমরা মানুষকে ভয় করার পরিবর্তে এক আল্লাহকেই ভয় করি, যিনি সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী। এবং মানুষের গোলামী ছেড়ে দিয়ে এক আল্লাহরই গোলামী করি, যিনিই একমাত্র ইবাদতের উপযুক্ত। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং আপনার রাহে শাহাদাত দ্বারা আমাদেরকে ধন্য করুন। আমীন! আমীন!! ইয়া রব্বাশ শুহাদা!!!
سبحان ربك رب العزة عما يصفون، وسلام على المرسلين ،والحمد لله رب العالمين.
Comment