ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা আমার কর্তব্য
প্রিয় ভাই ও বোন!
ঈদ হলো পাপমুক্তির আনন্দ। সফলতা ও বিজয়ের আনন্দ। এ বিজয় নফসের ওপর আকলের। এ বিজয় শয়তানের ওপর ইনসানের। মনের সব কালিমা দূর করে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে। মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে। সবাই হাতে হাত মেলানো। বুকে বুক মেলানো। কাঁধে কাঁধ রেখে রবের দরবারে শুকরিয়ার একটু হাসি দেয়া।
অর্থাৎ সবার দেহ-মন এক হওয়ার আনন্দ হলো ঈদের আনন্দ। নিজের মনের হিংসা, ঘৃণা, লোভ, অহংকার, অহমিকা, আত্মম্ভরি, আত্মশ্লাঘা, রাগ-ক্রোধ, বিদ্বেষসহ যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করা। সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ঐক্য, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষা করা।
পবিত্র কুরআন ইরশাদ হয়েছে-
হে নবী! আপনি বলুন-নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবকিছু বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তাহলে কি আমার আনন্দ আল্লাহর জন্য নয়? আমার এ আমোদ ফূর্তি কি রবের জন্য নয়? জ্বী-রবের জন্য তখনই হবে যখন আমার আনন্দের সীমানা নিজ গন্ডি ছাড়িয়ে পরিবারকে ডিঙিয়ে মুমিনদের মাঝে ভাগাভাগি হবে। মুসলমানদের সাথে কম বেশি আদানপ্রদান হবে। আমি আল্লাহর জন্য কুরবানী করছি তাহলে কি আল্লাহর জন্য গরিব দুঃখীদের নিকট এক বা দু টুকরো গোশতো বিলাতে পারবো না?
আমি আল্লাহর জন্য পশু জবেহ করছি তাহলে কি এক বা দু টুকরো গোশত এতিম পরিবারে দিতে পারবো না? সারা বছর যারা গোশত না খেয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে তাদের আপনি বঞ্চিত করবেন? এটা আবার কেমন আনন্দ হলো? আপনি কি ভাবছেন আপনার এ আনন্দের হিসাব আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাহ নিবেন না? অবশ্যই নিবেন।
আপনার উপর ওয়াজিব কুরবানী ব্যতিত দিগুণ টাকা ব্যয় করে কুরবানী দিচ্ছেন কারণ লোকে পিছে কি বলবে? এ লজ্জার ভয়ে। কিন্তু আপনার পকেট থেকে বন্দী আলেম ও বন্দী মুজাহিদ পরিবারের জন্য এক পয়সাও খসে না। সুতরাং এটা আবার কিসের আনন্দ? অথচ তারা আপনার দেহেরই একটি অংশ।
তাঁদের পরিবারের কি হালত! তাঁদের সন্তানের কি অবস্থা! তারা কি ভারসাম্যহীন মানসিক পাগলে রুপান্তরিত হয়েছে না এমনি এমনি প্রলাপ বকে!
তাঁদের ছোট্ট খোকামনিরা কি বাবা বাবা বলে কান্না করছে কিনা! তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের দিনাতিপাত কিভাবে হচ্ছে সে হিসাবটুকু না নিতে পারলে সেটা আবার কিসের আনন্দ?
আমাদের বন্দী আলেম ভাইদের মুক্তি ছাড়া এক টুকরো গোশত তাদের পরিবারের মুখে ডুকবে কিনা সে কথাটা একবারও চিন্তা করেছি? বন্দী মুজাহিদ ভাইদের জন্মদাতা মায়ের কি অবস্থা একটিবার জানতে চেয়েছি? তাহলে এটা কেমন আনন্দ হলো? আপনিই বলুন! অথচ তারা আমার দ্বীনি ভাই। কাল হাশরে কঠিন বিপদে আপনাকে ফেলে তারা জান্নাতে যেতে চাইবে না। তাদের ছাড়া আপনি কি করে আমোদ ফূর্তিতে মত্ত হচ্ছেন? তাঁদের ভুলে আপনি কেমন করে সুখি হবেন?
প্রিয় ভাই ও বোন!
শান্তনামূলক দু একটা কথাও কি তাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো না? তাদের বাচ্চাদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে ঈদের আনন্দধারা জারি রাখতে পারবো না? হয়তো তাদের হৃদয়কোণে আপনার সন্তানদের মতো তাদের হৃদয়ে নানা কল্পনা জল্পনা জাগ্রত হয়েছে। আপনার ক্ষনিকের এ আদর তাদের না পাওয়ার আশাকে ভুলিয়ে রাখবে। ক্ষতস্থান হালকা শুকাতে শুরু করবে। কারণ আপনার একটু এগিয়ে আশা তাদের জন্য ঐ মুহূর্তে বিরাট পাওয়া।
প্রিয় ভাই ও বোন!
ঈদ হলো পাপমুক্তির আনন্দ। সফলতা ও বিজয়ের আনন্দ। এ বিজয় নফসের ওপর আকলের। এ বিজয় শয়তানের ওপর ইনসানের। মনের সব কালিমা দূর করে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে। মান-অভিমান বিসর্জন দিয়ে। সবাই হাতে হাত মেলানো। বুকে বুক মেলানো। কাঁধে কাঁধ রেখে রবের দরবারে শুকরিয়ার একটু হাসি দেয়া।
অর্থাৎ সবার দেহ-মন এক হওয়ার আনন্দ হলো ঈদের আনন্দ। নিজের মনের হিংসা, ঘৃণা, লোভ, অহংকার, অহমিকা, আত্মম্ভরি, আত্মশ্লাঘা, রাগ-ক্রোধ, বিদ্বেষসহ যাবতীয় কুপ্রবৃত্তি থেকে নিজেকে মুক্ত করা। সাম্য, ভ্রাতৃত্ব ঐক্য, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি রক্ষা করা।
পবিত্র কুরআন ইরশাদ হয়েছে-
হে নবী! আপনি বলুন-নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন এবং আমার মৃত্যু সবকিছু বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
প্রিয় ভাই ও বোন!
তাহলে কি আমার আনন্দ আল্লাহর জন্য নয়? আমার এ আমোদ ফূর্তি কি রবের জন্য নয়? জ্বী-রবের জন্য তখনই হবে যখন আমার আনন্দের সীমানা নিজ গন্ডি ছাড়িয়ে পরিবারকে ডিঙিয়ে মুমিনদের মাঝে ভাগাভাগি হবে। মুসলমানদের সাথে কম বেশি আদানপ্রদান হবে। আমি আল্লাহর জন্য কুরবানী করছি তাহলে কি আল্লাহর জন্য গরিব দুঃখীদের নিকট এক বা দু টুকরো গোশতো বিলাতে পারবো না?
আমি আল্লাহর জন্য পশু জবেহ করছি তাহলে কি এক বা দু টুকরো গোশত এতিম পরিবারে দিতে পারবো না? সারা বছর যারা গোশত না খেয়ে আপনার দিকে তাকিয়ে থাকে তাদের আপনি বঞ্চিত করবেন? এটা আবার কেমন আনন্দ হলো? আপনি কি ভাবছেন আপনার এ আনন্দের হিসাব আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাহ নিবেন না? অবশ্যই নিবেন।
আপনার উপর ওয়াজিব কুরবানী ব্যতিত দিগুণ টাকা ব্যয় করে কুরবানী দিচ্ছেন কারণ লোকে পিছে কি বলবে? এ লজ্জার ভয়ে। কিন্তু আপনার পকেট থেকে বন্দী আলেম ও বন্দী মুজাহিদ পরিবারের জন্য এক পয়সাও খসে না। সুতরাং এটা আবার কিসের আনন্দ? অথচ তারা আপনার দেহেরই একটি অংশ।
তাঁদের পরিবারের কি হালত! তাঁদের সন্তানের কি অবস্থা! তারা কি ভারসাম্যহীন মানসিক পাগলে রুপান্তরিত হয়েছে না এমনি এমনি প্রলাপ বকে!
তাঁদের ছোট্ট খোকামনিরা কি বাবা বাবা বলে কান্না করছে কিনা! তাদের প্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের দিনাতিপাত কিভাবে হচ্ছে সে হিসাবটুকু না নিতে পারলে সেটা আবার কিসের আনন্দ?
আমাদের বন্দী আলেম ভাইদের মুক্তি ছাড়া এক টুকরো গোশত তাদের পরিবারের মুখে ডুকবে কিনা সে কথাটা একবারও চিন্তা করেছি? বন্দী মুজাহিদ ভাইদের জন্মদাতা মায়ের কি অবস্থা একটিবার জানতে চেয়েছি? তাহলে এটা কেমন আনন্দ হলো? আপনিই বলুন! অথচ তারা আমার দ্বীনি ভাই। কাল হাশরে কঠিন বিপদে আপনাকে ফেলে তারা জান্নাতে যেতে চাইবে না। তাদের ছাড়া আপনি কি করে আমোদ ফূর্তিতে মত্ত হচ্ছেন? তাঁদের ভুলে আপনি কেমন করে সুখি হবেন?
প্রিয় ভাই ও বোন!
শান্তনামূলক দু একটা কথাও কি তাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবো না? তাদের বাচ্চাদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে ঈদের আনন্দধারা জারি রাখতে পারবো না? হয়তো তাদের হৃদয়কোণে আপনার সন্তানদের মতো তাদের হৃদয়ে নানা কল্পনা জল্পনা জাগ্রত হয়েছে। আপনার ক্ষনিকের এ আদর তাদের না পাওয়ার আশাকে ভুলিয়ে রাখবে। ক্ষতস্থান হালকা শুকাতে শুরু করবে। কারণ আপনার একটু এগিয়ে আশা তাদের জন্য ঐ মুহূর্তে বিরাট পাওয়া।
Comment