নবগঠিত সরকার ও মন্ত্রিপরিষদের নীতি সম্পর্কে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের আমীরের পক্ষ থেকে বার্তা
গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সময় রাত ০৮ টার দিকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে তালিবান মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যবৃন্দের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর পরপরই আমিরুল মু'মিনীন মুহতারাম শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ (হাফিযাহুল্লাহ) আফগান জনগণ ও মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। উক্ত বিবৃতিতে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদ ও ইমারতে ইসলামিয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সেই সাথে ২০ বছর যাবত চলমান যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশটিতে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয় আপামর আফগান মুসলিম জনগণকে।
আল-ফিরদাউস অনুবাদক টিম আপনাদের সামনে উক্ত বক্তব্যের অনুবাদ পেশ করছে।
بسم الله الرحمن الرحیم
الحمد لله الذي هدانا لدينه القويم، ومنّ علينا ببعثة النبي الكريم، وهدانا به إلى الصراط المستقيم، و اشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له ، و اشهد أن سيدنا محمداً عبده ورسوله. اللهم صل وسلم على عبدك ورسولك محمد، وعلى آله وصحبه، والتابعين ومن تبعهم باحسان الی یوم الدین. امابعد:
قال الله تبارک وتعالی: وعتصمو بحبل الله جمیعا ولا تفرقو . . . الایة
হামদ্ ও সালাতের পর...
গত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ সময় রাত ০৮ টার দিকে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে তালিবান মন্ত্রিপরিষদের সকল সদস্যবৃন্দের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এর পরপরই আমিরুল মু'মিনীন মুহতারাম শাইখুল হাদিস মৌলভী হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ (হাফিযাহুল্লাহ) আফগান জনগণ ও মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশ্যে একটি বিবৃতি প্রদান করেন। উক্ত বিবৃতিতে নবগঠিত মন্ত্রিপরিষদ ও ইমারতে ইসলামিয়ার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নীতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। সেই সাথে ২০ বছর যাবত চলমান যুদ্ধে বিধ্বস্ত এই দেশটিতে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয় আপামর আফগান মুসলিম জনগণকে।
আল-ফিরদাউস অনুবাদক টিম আপনাদের সামনে উক্ত বক্তব্যের অনুবাদ পেশ করছে।
بسم الله الرحمن الرحیم
الحمد لله الذي هدانا لدينه القويم، ومنّ علينا ببعثة النبي الكريم، وهدانا به إلى الصراط المستقيم، و اشهد أن لا إله إلا الله وحده لا شريك له ، و اشهد أن سيدنا محمداً عبده ورسوله. اللهم صل وسلم على عبدك ورسولك محمد، وعلى آله وصحبه، والتابعين ومن تبعهم باحسان الی یوم الدین. امابعد:
قال الله تبارک وتعالی: وعتصمو بحبل الله جمیعا ولا تفرقو . . . الایة
হামদ্ ও সালাতের পর...
প্রিয় দেশবাসী,
আপনাদের উপর শান্তি, রহমত ও বারাকাহ নাযিল হোক। ২৩ মুহাররম ১৪৪৩ হিজরি, ৩০ আগস্ট ২০২১ ঈসায়ী তারিখে বিদেশী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্য আফগানের ভূমি থেকে বিতাড়িত হয়েছে। দখলদার শক্তির পলায়ন এবং আমাদের দেশের পূর্ণ স্বাধীনতা উপলক্ষে সর্বপ্রথম আমি অভিনন্দন জানাতে চাই আমাদের অকুতোভয় জাতিকে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেন এই দেশকে সদা শান্তিময়, সম্মানিত ও সফল করেন। শরীয়াহ শাসন ও মুক্তির লক্ষ্যে গত ২০ বছর যাবত চলমান এই জিহাদি আন্দোলনে শহীদ হওয়া সকলের জন্য আমরা জান্নাতের দুয়া করছি, আহতদের জন্য দুয়া করছি সুস্থতার। যারা এতগুলো বছর বন্দি জীবন কাটিয়েছেন, আমরা তাঁদের জন্য দুয়া করি, আল্লাহ যেন তাঁদেরকে পুরষ্কার ও জাযা (বিনিময়) দান করেন। স্বজন হারানো পরিবারের জন্য আমরা দুয়া করছি, আল্লাহ পাক যেন তাঁদের সবর করার শক্তি প্রদান করেন।
ইসলামি হুকুমত প্রতিষ্ঠার এই সংগ্রামে বীর মুজাহিদদের আলোর মশালরূপে পথ দেখিয়েছে তালিবান আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মুহাম্মাদ উমর মুজাহিদ (রাহিমাহুল্লাহ) এর দৃঢ় ইমানদীপ্ত চেতনা, তাঁর অন্তর্দৃষ্টি ও নিরলস শ্রম এবং শাহাদাত লাভে ধন্য হওয়া সম্মানিত আমিরুন মু'মিনীন মোল্লা আখতার মুহাম্মাদ মানসুর (রাহিমাহুল্লাহ) এর অনবদ্য যুদ্ধকৌশল, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দ্বীনের জন্য তাঁর দেয়া কুরবানি।
প্রয়াত এই দুই মহান নেতার অর্জন এবং সকল বীর যোদ্ধাদের অমূল্য কুরবানি ইসলামি ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে স্বর্ণের হরফে। মুসলিমরা চিরকাল তাঁদের নিয়ে গর্ববোধ করবেন। ইমারতে ইসলামিয়া এই মহান ব্যক্তিবর্গের আদর্শ ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করবে।
পবিত্র এই জিহাদে সবদিক দিয়ে সাহায্য করা সকল মুসলিমদের আমি অন্তর থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান, যাবতীয় কর্মকাণ্ড এবং বিষয়াবলীর তদারকির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একটি মন্ত্রিসভা গঠনের ঘোষণা দিয়েছে এবং যত দ্রুত সম্ভব এই মন্ত্রিসভা কার্যক্রম আরম্ভ করবে। আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, মন্ত্রিসভার সদস্যগণ দেশে শরীয়াহ আইন বাস্তবায়নে, সবক্ষেত্রে দেশের স্বার্থরক্ষায়, সীমান্ত সুরক্ষায়, দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় এবং উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করবেন, ইনশাআল্লাহ।
আমাদের বিশ বছরের সংগ্রাম ও জিহাদের দুটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, আমাদের লক্ষ্য ছিল বৈদেশিক আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব নির্মূল করে আফগানকে স্বাধীন করা। দ্বিতীয়ত, আফগানিস্তানে কোনো ভিনদেশী আইন নয়, বরং ইসলামি শরীয়াহ আইন মোতাবেক পূর্ণাঙ্গ, স্বাধীন, স্থিতিশীল এবং কেন্দ্রীয় সরকার ব্যবস্থা গঠন করা।
এই নীতিদ্বয়ের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের সকল বিষয়াবলীর নিষ্পত্তি হবে, এবং এক্ষেত্রে অনুসরণ করা হবে ইসলামি শরীয়াহর পবিত্র বিধান।
আমরা চাই আফগানিস্তান হোক শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাবান এবং স্বনির্ভর। আমরা দেশ থেকে অরাজকতা এবং যুদ্ধ-বিগ্রহের অবসানে সংগ্রাম করব, নিশ্চিত করব দেশবাসীর পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা।
পারষ্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে আমরা আমাদের সকল প্রতিবেশী দেশের সাথে গভীর সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে আগ্রহী। এই সুসম্পর্কের ভিত্তি হবে আফগানিস্তানের স্বার্থ এবং লাভজনকতা। ইসলামের সাথে এবং আফগানিস্তানের স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক নয় - এমন সব আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি মেনে চলতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আন্তর্জাতিক অঙ্গনকে আমরা আহবান করছি আমাদের সাথে উত্তম রাজনৈতিক ও কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের।
মানবাধিকার রক্ষায় ইমারতে ইসলাম গুরুতর এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সংখ্যালঘু ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠির মানুষদের দ্বীনে ইসলামের মাপকাঠি অনুযায়ী অধিকার প্রদান করা হবে। ভেদাভেদ ও পার্থক্য ব্যতিরেখে সব আফগানির মর্যাদা নিয়ে শান্তির সাথে বাস করার অধিকার রয়েছে। তাঁদের জান, মাল ও সম্মানের সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। ইসলামি ইমারত প্রত্যেকের ইসলামি অধিকার রক্ষায় এবং প্রত্যেকের জন্য নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর থাকবে।
শিক্ষা আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের সরকার দেশবাসীর জন্য শরীয়াহ’র সীমারেখার ভেতরে সকল দ্বীনি ও দুনিয়াবি শিক্ষা এবং বিজ্ঞানচর্চার সহজ ও সুন্দর সুযোগ করে দিবে। জ্ঞান ও প্রজ্ঞার সাহায্যে আমরা আফগানিস্তানের উন্নয়ন নিশ্চিত করব এবং এদেশকে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্ররূপে গড়ে তুলব।
আফগানিস্তান, বিগত ৪০ বছরের বেশি সময় যাবত যুদ্ধবিগ্রহ ও অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে। অতএব, এদেশকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে, এদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সার্বিক উন্নয়ন সাধন করতে ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তান তার সকল সম্পদ ব্যয় করবে। ইমারতে ইসলামিয়া রাজস্বের যথাযথ আদায় নিশ্চিত করবে এবং ব্যবসায়-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। একইসাথে বেকারত্ব ও দারিদ্র দূরীকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশকে উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে নিজ পায়ে দাঁড় করাতে যা করা দরকার ইমারতে ইসলামিয়া তা ই করবে, ইনশাআল্লাহ। এই লক্ষ্যে ইমারতে ইসলামিয়া সকল আফগান ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও বিচক্ষণ ব্যক্তিবর্গের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছে।
মিডিয়া ও গণমাধ্যম একটি দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। গণমাধ্যমগুলো যেন আরো উন্নত হয় ও স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে পারে এজন্য আমরা কাজ করব। গণমাধ্যম ও মিডিয়াকে ইসলামের পবিত্র মাকসাদ (উদ্দেশ্য) এর জন্য ও আমাদের দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ব্যবহার করা - আমরা নিজেদের দায়িত্ব বলে মনে করি।
আমরা বিশ্বকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, অন্য দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য আমরা আফগানের ভূমিকে ব্যবহার করতে দিব না। এবং আমরাও তাদের থেকে আশা করি যে আমাদের দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।
আমরা সকল বৈদেশিক কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, প্রতিনিধি, মানবিক সহায়তা দানকারী সংস্থার সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। ইমারতে ইসলাম তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আমরা কারো সাথে শত্রুতা চাই না। আফগানিস্তান সকলের জন্য বাসস্থান।
আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ে কারো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবার প্রয়োজন নেই। ইমারতে ইসলামিয়া তার জনগণের পক্ষ থেকে চলমান ও আসন্ন সব সমস্যা সম্পর্কে অবগত। সমস্যাগুলোকে যথাযথভাবে সমাধান করাকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সাধারণ মানুষ বরাবরের মতই আমাদের সমর্থন করবেন - এই ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস আছে। ইমারতে ইসলামিয়ার ঝান্ডা সমুন্নত করার জন্য ও জনসমর্থন তৈরিতে যেসব উলামায়ে কেরাম ও গোত্রের সর্দারগণ অবদান রেখেছেন তাঁদের কাজ অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।
ইমারতে ইসলামিয়াকে শক্তিশালী করার জন্য দেশবাসীর অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এদেশকে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে ইমারতে ইসলামিয়া দেশবাসীর পূর্ণ সমর্থন আশা করে।
প্রত্যেক প্রতিভাবান এবং পেশাদার শিক্ষাবিদ, শিক্ষক, ডাক্তার, অধ্যাপক, বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদেরকে ইমারতে ইসলামিয়া আশ্বস্ত করছে: আপনাদের সবার প্রতিভাকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হবে। আমাদের দেশ আপনাদের প্রতিভা ও দক্ষতার প্রত্যাশী। অতএব, কারো উচিত হবে না দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। ইমারতে ইসলামিয়ার কারো সাথে কোনো শত্রুতা বা বৈরিতা নেই। সবাই যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশের পুনর্গঠনে পূর্ণ অংশগ্রহণ করবে।
সরকারি সম্পদ ও কোষাগারের সুরক্ষা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার, আমরা সেখানেই আমাদের দৃষ্টি ও মনোযোগ নিবদ্ধ করছি। বিশেষ করে সামরিক যানবাহন, অস্ত্র, গোলাবারুদ, সরকারি স্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট সবকিছু এদেশের মানুষের সম্পদ। কাউকেই এই সম্পদের যথেচ্ছা ব্যবহার, অপচয় এবং অনুমতি ব্যতিত নেয়ার অধিকার দেয়া হবে না।
ওয়াসসালাম।
ইমারতে ইসলামিয়া আফগানিস্তানের সম্মানিত আমীর,
মুহতারাম আমিরুল মু'মিনীন শায়খুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ (হাফিযাহুল্লাহ)
২৯/০১/১৪৪৩ হিজরি চন্দ্রবর্ষ
১৬/০৬/১৪০০ হিজরি সৌরবর্ষ
০৭/০৯/২০২১ গ্রেগরিয়ান
মুহতারাম আমিরুল মু'মিনীন শায়খুল হাদিস হিবাতুল্লাহ আখুন্দযাদাহ (হাফিযাহুল্লাহ)
২৯/০১/১৪৪৩ হিজরি চন্দ্রবর্ষ
১৬/০৬/১৪০০ হিজরি সৌরবর্ষ
০৭/০৯/২০২১ গ্রেগরিয়ান
Comment