শুরু করছি মহান সেই সত্তার নামে যার অপার করুণায় আজ আমরা জাহেলিয়াতের অন্ধাকার থেকে উঠে এসে
“সিরাতুল মুস্তাকিমের” আলোকিত রাজপথ ধরে হাটার চেষ্টা করছি।
মূলত, আমরা দাড়িয়ে ছিলাম একটি খাদের কিনারে অতঃপর আল্লাহ্* সুবাঃ আমাদের অনুগ্রহ করলেন।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রানের রাসুল (সঃ) এর উপর যার মহান আদর্শ অনুসরণ করার নামই হচ্ছে
সিরাতুল মুস্তাকিমের আলোকিত রাজপথ ধরে হাটা।
একটি বাগান পরিচর্যা করার জন্য অনেক কিছুর আয়োজন সম্পন্ন করতে হয়।
উত্তম স্থান, মাটি, পানি, সার, কীটনাশক ইত্তাদিত।
মাটির মধ্যে থেকে আগাছা উৎপাটন করতে হয়, যেন অঙ্কুর গুলো ভালভাবে উদ্গিরন করতে পারে। সকাল সন্ধ্যা যথাসময় পানি সিঞ্চন করতে হয়। বাড়ন্ত অঙ্কুর গুলো যেন শক্তিশালী হয় তার জন্য সার প্রয়োগ করতে হয়।
সকাল সন্ধ্যার নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে একদিন ক্ষুদ্র অঙ্কুরগুলো পরিণীত সুশোভিত ফুল গাছে রুপান্ত্রিত হয়। যা দেখে মালির মুখ হাস্যউজ্জল হয়। সবাই ফুলের কাছে আসতে চায়, তার কাছে বসতে চায়। তার সু-গন্ধ সবার অন্তরকে সুলেলিত করে।
দর্শকবৃন্দ বাগানের কাছে যেতে না পারলেও দূর থেকে বাগানের দিকে তাকিয়ে চোখের আরাম অনুভব করে।
সেই বাগানের পাশেই এক নর্দমা। যা সমাজ থেকে উপেক্ষিত এবং অবহেলিত। সমাজের সবাই তার দিকে তাকায় ঘৃণায়। নাক কুঞ্চিত করে।
সেই নর্দমার পাশ দিয়ে চলে যায় এক প্রবাহমান জলধারা। একদিন দেখায় যায় জলধারার অবেহিলত জমিনে “গজিয়ে উঠছে একগুচ্ছ অঙ্কুর”,। যাদের পরিচর্যার জন্য নেই কোন মালি, নেই সময় মতো পানি অথবা সার। কারো তাকিয়ে দেখার সময় হয়না। এই গুচ্ছ শিশু গুল্মলতার দিকে।
যদিওবা তাকায়, তখন তাদের ভ্রুগুলো কুঞ্চিত হয়।
নর্দমার উপর বেড়ে ওঠার এটাই হচ্ছে উপযুক্ত পাওনা।
দিনের পর দিন যায় অবেহেলিত অঙ্কুরগুলো একদিন পরিপূর্ণ ভাবে বের ওঠে। সমাজের অন্য সবাই দেখে।
ঘৃণিত নর্দমায় বেড়ে উঠেছে এক গুচ্ছ সুশোভিত “নর্দমার ফুল”।
তারা অতীতের মতো সবাই আবার ভ্রু কুঞ্চিত করে,
এবং বলে “নর্দমার ফুলের বাহার দেখ”!
সবাই যখন অবহেলা করে তাকায়।
তখন “একজন” নর্দমার ফুলগুলোর দিকে তাকায় পরিপূর্ণ মায়া মমতায়।
ভালবাসে। তার এই ভালোবাসার মধ্যে নেই কোন স্বার্থ। তিনি এই নর্দমার ফুলগুলোকে ভালবেসেছেন যদিওবা সমাজ তাদের উপেক্ষা করেছেন।
আমি এবং আমার মতো কিছু যুবকদের বলছি যারা ছিলাম জাহেলিয়াতের অন্ধকারে।
একটি অতলগহ্বরের কিনারায় দারিয়েছিলাম। আমরা বুঝিনি কখন আমরা সমাজের পঙ্কিলতার মধ্যে নিজেদের ডুবিয়ে ফেলেছি।
যখন বুঝতে পেরছি তখন অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে।
চারিপাশে ঘর অন্ধাকার। একজন নাবিক যেমন গভীর তিমিরে সমুদ্রে পথ হারিয়ে ফেলে।
দূর দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আলোর সন্ধান করে। ঠিক তেমনি আমরাও আলোর সন্ধান করেছি। দ্বারে দ্বারে কড়া নেড়েছি এবং বলেছি আপনাদের কাছে কি কোন আলো হবে? যা দিয়ে আমরা এই অন্ধকারে পথ চলব অথবা একটুকরো ভালোবাসা, যা দিয়ে আমরা আবারা আমাদের সাজাবো।
সমাজের সকলে তখন এই নর্দমার ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঞ্চিত করেছে এবং বলেছে নর্দমার ফুলদের জন্য আবার কিসের ভালোবাসা, কিসের আলো;
তোমরা আস্তাকুরেই থাকো একদিন এই আস্তাকুরেই বিলিন হয়ে যাবে।
আমরা আমাদের ভগ্ন হৃদয় নিয়ে আবার ফিরে এসেছি, অন্ধকারে।
সমাজের সবার মুখোশ গুলো আমাদের কাছে উন্মোচিত হয়েছে, সেখানে দেখেছি স্বার্থের বলীরেখা। স্বার্থ ছারা কেউ কারো নয়। মা, বাবা, ভাই বোন আত্মীয় স্বজন, পারাপ্রতিবেশি।
আমরা সকলের দরজায় করাঘাত করেছি। কিন্তু “একজন” যার দরজাটা আমাদের জন্য ছিল উন্মুক্ত অবারিত দ্বার। আমরা ভুলেগেছি তাকে।
তার দরজায় দাড়িয়ে কিছু চাইনি কারন আমরা কিভাবে চাবো!
আমরা যে “নর্দমার ফুল”।
আমরা এই নর্দমা থেকে কিভাবে চাইব “পবিত্র মহান সত্তার” কাছে।
যদিওবা আমরা সেই সময় “পবিত্র সত্তকে সাময়িক ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের ভুলেননি। আমাদের অন্তরের ছিল তার জন্য নিবেদিত।
তার প্রতি ভালোবাসা আমাদের অন্তরে নিভু নিভু প্রদীপের মতো জ্বলছিল।
তিনি আমাদের অন্তরগুলোকে পরিস্কার করলেন তার তৌহিদের নূর দ্বারা।
আমরা ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠছি তার ভালবাসায়।
“হে তরুণ, তুমি ছিলে পথহারা
অতঃপর আল্লাহ্* সুবাঃ তোমাকে পথ দেখালেন।
হে তরুণ, তোমাকে ভালোবাসার কেউ ছিলনা
আল্লাহ্* সুবাঃ তার অকৃত্তিম ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে ধন্য করেছেন।
আজ তোমার সেই “মহান রব”কে সন্তুষ্টি’র সময় হয়েছে।
উঠে আস নর্দমার ফুল।
চারিপাশ আলোকিত কর। আজ তুমিই আলো বিতরণ করবে
যে আলো এসেছে তোমার রবের পক্ষ থেকে।
মনোযোগ দিয়ে শ্রবন কর-
তোমার রব বলেছেন- “ হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেহ দ্বীন হইতে ফিরিয়া গেলে নিশচয় আল্লাহ্* এমন এক সম্প্রদায় (নর্দমার ফুল) আনিবেন যাহাদিগকে তিনি ভালবাসিবেন এবং যাহারা তাহাকে ভালবাসিবেন। তাহারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তাহারা আল্লাহ’র পথে জিহাদ করিবে কোন নিন্দুকের নিন্দা পরোয়া করিবেনা; ইহাই আল্লার অনুগ্রহ(নর্দমার ফুলদের প্রতি ভালোবাসা) যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে দান করেন এবং আল্লাহ্* প্রাচুরযময়, সর্বজ্ঞ।
হে নর্দমার ফুল এখনই সময় আল্লাহ্* সুবাঃ তোমরা উপর যে রহম করেছেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। এবং তাকে ভালোবাসা যেভাবে তাকে ভালবাসতে হয়।
আজ তাগুতরা তোমার রবের দ্বীনকে নিয়ে উপহাস করে। সমাজের সকল স্তর থেকে আল্লাহ্* সুবাঃ দ্বীনকে বিতারিত করেছেন। তার প্রেরিত রাসুল (সঃ)’কে নিয়ে ব্যাঙ্গবিদ্রূপ করে।
হে নর্দমার ফুল। ভাই আমার, আর সবার মতো আমরাও বসে থাকতে পারি না।
আমাদের রব যেভাবে আমাদের ভালবেসেছেন, সেই ভালোবাসার আজ সময় হয়েছে পরিক্ষা দেয়ার।
তোমার এখন অনেক দায়িত্ব। যে দায়িত্ব এই সময় কাধে তুলে নিয়েছিলেন “শায়েখ ওসামা বিন লাদেন (রাঃ)(সিভিল ইঞ্জিনিয়ার)। আনোয়ার আল আওলাকি (রাঃ) (ইঞ্জিনিয়ার)। আইমান আল জাওয়াহিরি (হাঃ) (চোখের সারজান)।
উম্মাহ’র দায়িত্ব নেয়ার কথাতো ছিল কাবার ইমামের যিনি উম্মাহর প্রতিনিধি করে। তারা তো সেই বাগানের ফুল যার পরিচর্যার সরঞ্জামাদির কোন অভাব ছিলনা।
কেন আজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, চোখের ডক্তার মহান জিহাদের লাগামকে শক্ত হাতে ধরলেন।
তাই বলে ভেবনা। আমরা ‘ফুল বাগানে’র ‘ফুলদের’কে অবজ্ঞা করছি। আমাদের ফুল’তো তারা যারা হচ্ছেই সেই সব ফুল যারা নিজেরদিকে তাকাবার সময় টুকু পায়নি। আবদুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) মাকদিসি (হাঃ) এবং অসংখ নাম জানা না অজানা শায়েখ (হাঃ)।
আলেম সমাজ হচ্ছে ইসলামী ইমারার একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আর আমরা নর্দমার ফুলরা হচ্ছি মজুর। তাদের আদেশ উপদেশে গ্রহন করে জিহাদের ময়দানে দৃঢ় থাকব ইনশাআল্লাহ্*। মনে রাখেবে ভাই “ শায়েখ ওসামার (রাঃ)’র শিক্ষক ছিলেন আবদুল্লাহ আজ্জাম (রাঃ)।
হে আমার ভাই, আসো আমরা বাগানের ফুল এবং নর্দমার ফুল উভয় আল্লাহ্*’র সন্তুষ্টির জন্য আমাদের সর্বস্ব আল্লাহ্* সুবাঃ’র সাথে ব্যবসায় ইনভেস্ট করি। ইনশাআল্লাহ্* আমাদের এর বিনিময় আছে জান্নতা।
আমার কথাগুলো শুধুই আমার হৃদয়ের কথা। কাউকে ছোট করা জন্য না। আমার কথার জন্য কারো হৃদয় যদি আহত হয় তবে আমাকে আল্লাহ্* সুবাঃ’র জন্য ক্ষমা করে দিবেন।
একজন নর্দমার ফুল। (আবু দুজানা)
১৩/০৪/১৬ সকালঃ ৯-২০
“সিরাতুল মুস্তাকিমের” আলোকিত রাজপথ ধরে হাটার চেষ্টা করছি।
মূলত, আমরা দাড়িয়ে ছিলাম একটি খাদের কিনারে অতঃপর আল্লাহ্* সুবাঃ আমাদের অনুগ্রহ করলেন।
দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রানের রাসুল (সঃ) এর উপর যার মহান আদর্শ অনুসরণ করার নামই হচ্ছে
সিরাতুল মুস্তাকিমের আলোকিত রাজপথ ধরে হাটা।
একটি বাগান পরিচর্যা করার জন্য অনেক কিছুর আয়োজন সম্পন্ন করতে হয়।
উত্তম স্থান, মাটি, পানি, সার, কীটনাশক ইত্তাদিত।
মাটির মধ্যে থেকে আগাছা উৎপাটন করতে হয়, যেন অঙ্কুর গুলো ভালভাবে উদ্গিরন করতে পারে। সকাল সন্ধ্যা যথাসময় পানি সিঞ্চন করতে হয়। বাড়ন্ত অঙ্কুর গুলো যেন শক্তিশালী হয় তার জন্য সার প্রয়োগ করতে হয়।
সকাল সন্ধ্যার নিবির পরিচর্যার মাধ্যমে একদিন ক্ষুদ্র অঙ্কুরগুলো পরিণীত সুশোভিত ফুল গাছে রুপান্ত্রিত হয়। যা দেখে মালির মুখ হাস্যউজ্জল হয়। সবাই ফুলের কাছে আসতে চায়, তার কাছে বসতে চায়। তার সু-গন্ধ সবার অন্তরকে সুলেলিত করে।
দর্শকবৃন্দ বাগানের কাছে যেতে না পারলেও দূর থেকে বাগানের দিকে তাকিয়ে চোখের আরাম অনুভব করে।
সেই বাগানের পাশেই এক নর্দমা। যা সমাজ থেকে উপেক্ষিত এবং অবহেলিত। সমাজের সবাই তার দিকে তাকায় ঘৃণায়। নাক কুঞ্চিত করে।
সেই নর্দমার পাশ দিয়ে চলে যায় এক প্রবাহমান জলধারা। একদিন দেখায় যায় জলধারার অবেহিলত জমিনে “গজিয়ে উঠছে একগুচ্ছ অঙ্কুর”,। যাদের পরিচর্যার জন্য নেই কোন মালি, নেই সময় মতো পানি অথবা সার। কারো তাকিয়ে দেখার সময় হয়না। এই গুচ্ছ শিশু গুল্মলতার দিকে।
যদিওবা তাকায়, তখন তাদের ভ্রুগুলো কুঞ্চিত হয়।
নর্দমার উপর বেড়ে ওঠার এটাই হচ্ছে উপযুক্ত পাওনা।
দিনের পর দিন যায় অবেহেলিত অঙ্কুরগুলো একদিন পরিপূর্ণ ভাবে বের ওঠে। সমাজের অন্য সবাই দেখে।
ঘৃণিত নর্দমায় বেড়ে উঠেছে এক গুচ্ছ সুশোভিত “নর্দমার ফুল”।
তারা অতীতের মতো সবাই আবার ভ্রু কুঞ্চিত করে,
এবং বলে “নর্দমার ফুলের বাহার দেখ”!
সবাই যখন অবহেলা করে তাকায়।
তখন “একজন” নর্দমার ফুলগুলোর দিকে তাকায় পরিপূর্ণ মায়া মমতায়।
ভালবাসে। তার এই ভালোবাসার মধ্যে নেই কোন স্বার্থ। তিনি এই নর্দমার ফুলগুলোকে ভালবেসেছেন যদিওবা সমাজ তাদের উপেক্ষা করেছেন।
আমি এবং আমার মতো কিছু যুবকদের বলছি যারা ছিলাম জাহেলিয়াতের অন্ধকারে।
একটি অতলগহ্বরের কিনারায় দারিয়েছিলাম। আমরা বুঝিনি কখন আমরা সমাজের পঙ্কিলতার মধ্যে নিজেদের ডুবিয়ে ফেলেছি।
যখন বুঝতে পেরছি তখন অনেক সময় অতিবাহিত হয়েছে।
চারিপাশে ঘর অন্ধাকার। একজন নাবিক যেমন গভীর তিমিরে সমুদ্রে পথ হারিয়ে ফেলে।
দূর দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আলোর সন্ধান করে। ঠিক তেমনি আমরাও আলোর সন্ধান করেছি। দ্বারে দ্বারে কড়া নেড়েছি এবং বলেছি আপনাদের কাছে কি কোন আলো হবে? যা দিয়ে আমরা এই অন্ধকারে পথ চলব অথবা একটুকরো ভালোবাসা, যা দিয়ে আমরা আবারা আমাদের সাজাবো।
সমাজের সকলে তখন এই নর্দমার ফুলগুলোর দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুঞ্চিত করেছে এবং বলেছে নর্দমার ফুলদের জন্য আবার কিসের ভালোবাসা, কিসের আলো;
তোমরা আস্তাকুরেই থাকো একদিন এই আস্তাকুরেই বিলিন হয়ে যাবে।
আমরা আমাদের ভগ্ন হৃদয় নিয়ে আবার ফিরে এসেছি, অন্ধকারে।
সমাজের সবার মুখোশ গুলো আমাদের কাছে উন্মোচিত হয়েছে, সেখানে দেখেছি স্বার্থের বলীরেখা। স্বার্থ ছারা কেউ কারো নয়। মা, বাবা, ভাই বোন আত্মীয় স্বজন, পারাপ্রতিবেশি।
আমরা সকলের দরজায় করাঘাত করেছি। কিন্তু “একজন” যার দরজাটা আমাদের জন্য ছিল উন্মুক্ত অবারিত দ্বার। আমরা ভুলেগেছি তাকে।
তার দরজায় দাড়িয়ে কিছু চাইনি কারন আমরা কিভাবে চাবো!
আমরা যে “নর্দমার ফুল”।
আমরা এই নর্দমা থেকে কিভাবে চাইব “পবিত্র মহান সত্তার” কাছে।
যদিওবা আমরা সেই সময় “পবিত্র সত্তকে সাময়িক ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু তিনি আমাদের ভুলেননি। আমাদের অন্তরের ছিল তার জন্য নিবেদিত।
তার প্রতি ভালোবাসা আমাদের অন্তরে নিভু নিভু প্রদীপের মতো জ্বলছিল।
তিনি আমাদের অন্তরগুলোকে পরিস্কার করলেন তার তৌহিদের নূর দ্বারা।
আমরা ক্রমান্বয়ে বেড়ে উঠছি তার ভালবাসায়।
“হে তরুণ, তুমি ছিলে পথহারা
অতঃপর আল্লাহ্* সুবাঃ তোমাকে পথ দেখালেন।
হে তরুণ, তোমাকে ভালোবাসার কেউ ছিলনা
আল্লাহ্* সুবাঃ তার অকৃত্তিম ভালোবাসা দিয়ে তোমাকে ধন্য করেছেন।
আজ তোমার সেই “মহান রব”কে সন্তুষ্টি’র সময় হয়েছে।
উঠে আস নর্দমার ফুল।
চারিপাশ আলোকিত কর। আজ তুমিই আলো বিতরণ করবে
যে আলো এসেছে তোমার রবের পক্ষ থেকে।
মনোযোগ দিয়ে শ্রবন কর-
তোমার রব বলেছেন- “ হে মুমিনগণ! তোমাদের মধ্যে কেহ দ্বীন হইতে ফিরিয়া গেলে নিশচয় আল্লাহ্* এমন এক সম্প্রদায় (নর্দমার ফুল) আনিবেন যাহাদিগকে তিনি ভালবাসিবেন এবং যাহারা তাহাকে ভালবাসিবেন। তাহারা মুমিনদের প্রতি কোমল এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তাহারা আল্লাহ’র পথে জিহাদ করিবে কোন নিন্দুকের নিন্দা পরোয়া করিবেনা; ইহাই আল্লার অনুগ্রহ(নর্দমার ফুলদের প্রতি ভালোবাসা) যাহাকে ইচ্ছা তাহাকে দান করেন এবং আল্লাহ্* প্রাচুরযময়, সর্বজ্ঞ।
হে নর্দমার ফুল এখনই সময় আল্লাহ্* সুবাঃ তোমরা উপর যে রহম করেছেন তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। এবং তাকে ভালোবাসা যেভাবে তাকে ভালবাসতে হয়।
আজ তাগুতরা তোমার রবের দ্বীনকে নিয়ে উপহাস করে। সমাজের সকল স্তর থেকে আল্লাহ্* সুবাঃ দ্বীনকে বিতারিত করেছেন। তার প্রেরিত রাসুল (সঃ)’কে নিয়ে ব্যাঙ্গবিদ্রূপ করে।
হে নর্দমার ফুল। ভাই আমার, আর সবার মতো আমরাও বসে থাকতে পারি না।
আমাদের রব যেভাবে আমাদের ভালবেসেছেন, সেই ভালোবাসার আজ সময় হয়েছে পরিক্ষা দেয়ার।
তোমার এখন অনেক দায়িত্ব। যে দায়িত্ব এই সময় কাধে তুলে নিয়েছিলেন “শায়েখ ওসামা বিন লাদেন (রাঃ)(সিভিল ইঞ্জিনিয়ার)। আনোয়ার আল আওলাকি (রাঃ) (ইঞ্জিনিয়ার)। আইমান আল জাওয়াহিরি (হাঃ) (চোখের সারজান)।
উম্মাহ’র দায়িত্ব নেয়ার কথাতো ছিল কাবার ইমামের যিনি উম্মাহর প্রতিনিধি করে। তারা তো সেই বাগানের ফুল যার পরিচর্যার সরঞ্জামাদির কোন অভাব ছিলনা।
কেন আজ সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, চোখের ডক্তার মহান জিহাদের লাগামকে শক্ত হাতে ধরলেন।
তাই বলে ভেবনা। আমরা ‘ফুল বাগানে’র ‘ফুলদের’কে অবজ্ঞা করছি। আমাদের ফুল’তো তারা যারা হচ্ছেই সেই সব ফুল যারা নিজেরদিকে তাকাবার সময় টুকু পায়নি। আবদুল্লাহ আজ্জাম (রঃ) মাকদিসি (হাঃ) এবং অসংখ নাম জানা না অজানা শায়েখ (হাঃ)।
আলেম সমাজ হচ্ছে ইসলামী ইমারার একজন দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার আর আমরা নর্দমার ফুলরা হচ্ছি মজুর। তাদের আদেশ উপদেশে গ্রহন করে জিহাদের ময়দানে দৃঢ় থাকব ইনশাআল্লাহ্*। মনে রাখেবে ভাই “ শায়েখ ওসামার (রাঃ)’র শিক্ষক ছিলেন আবদুল্লাহ আজ্জাম (রাঃ)।
হে আমার ভাই, আসো আমরা বাগানের ফুল এবং নর্দমার ফুল উভয় আল্লাহ্*’র সন্তুষ্টির জন্য আমাদের সর্বস্ব আল্লাহ্* সুবাঃ’র সাথে ব্যবসায় ইনভেস্ট করি। ইনশাআল্লাহ্* আমাদের এর বিনিময় আছে জান্নতা।
আমার কথাগুলো শুধুই আমার হৃদয়ের কথা। কাউকে ছোট করা জন্য না। আমার কথার জন্য কারো হৃদয় যদি আহত হয় তবে আমাকে আল্লাহ্* সুবাঃ’র জন্য ক্ষমা করে দিবেন।
একজন নর্দমার ফুল। (আবু দুজানা)
১৩/০৪/১৬ সকালঃ ৯-২০
Comment