ব্লগার হত্যাকারী সন্দেহে ছয়জনের ছবি প্রকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২১:২৩, মে ১৯, ২০১৬
অভিজিৎ, দীপন, নীলাদ্রিসহ কয়েকজন ব্লগারের হত্যাকারী সন্দেহে ছয়জনের ছবি প্রকাশ করেছে ডিএমপি। এদের ধরিয়ে দিতে সহায়তা চেয়েছে পুলিশ। ছবি: বিজ্ঞপ্তিবিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়সহ কমপক্ষে ১০ জন লেখক ও ভিন্নমতাবলম্বী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ছয়জনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিবি এই ছবি প্রকাশ করে।
ডিএমপির অফিশিয়াল সাইটে এই ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রেপ্তার থাকা কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ছয়জনকে শনাক্ত করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, যে ছয়জনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের একজন শরিফুল। সে এ নাম ছাড়াও সাকিব, শরিফ, সালেহ, আরিফ ও হাদি নামে পরিচিত। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। অভিজিৎ রায় ছাড়াও গোড়ানে নীলাদ্রি নীলয়, সাভারে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যা এবং লালমাটিয়ার আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায় শরিফুল নিজে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। তার বাড়ি বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া ও হত্যাকাণ্ডে কারা অংশ নেবে, সে সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বও শরিফুল পালন করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা, তেজগাঁও এ ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা এবং গত দুই মাসে রাজধানীর সূত্রাপুরে নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবেও নাম এসেছে তার। তথ্যদাতার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সেলিমের বিরুদ্ধে ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর বাবু, নিলাদ্রী নীলয় এবং মিরপুরের স্কুলশিক্ষক হত্যার ঘটনায় সরাসরি উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব দেওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেলিম ছাড়াও সে ইকবাল, মামুন ও হাদি-২ নামে পরিচিত ছিল। পুলিশ জানায়, এসব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে। সেলিমের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা এবং সে চশমা পরে। তথ্যদাতার জন্য পুলিশ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
সিলেট অঞ্চলের ছেলে সিফাত ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সমন্বয়কারী ছিল এবং ওই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাভারে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি অংশগ্রহণে ব্যাপারেও পুলিশ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে। সিফাত ছাড়াও সামির ও ইমরান নামে সে পরিচিত। তার সম্পর্কে তথ্যের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
এ ছাড়া আহমেদুর রশীদ চৌধুরী হত্যাচেষ্টায় সমন্বয়কারী ও খুনিদের প্রশিক্ষক কুমিল্লার আবদুস সামাদ এবং চট্টগ্রামের শিহাব জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। আবদুস সামাদ সুজন, রাজু, সালমান ও সাদ নামেও পরিচিত। শিহাব সুমন ও সাইফুল নামেও পরিচিত। শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার সদস্য বলেও পুলিশ জানায়। এ ছাড়া সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি অভিজিৎ রায় ও নিলাদ্রী নীল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাজ্জাদ সজীব, সিয়াম ও শামস নামেও পরিচিত। এদের প্রত্যেকের ব্যাপারে তথ্যদাতাদের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
পুলিশ বলছে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাড্ডার সাতারকুলে সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও মোহাম্মদপুরে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য ও গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছয়জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২১:২৩, মে ১৯, ২০১৬
অভিজিৎ, দীপন, নীলাদ্রিসহ কয়েকজন ব্লগারের হত্যাকারী সন্দেহে ছয়জনের ছবি প্রকাশ করেছে ডিএমপি। এদের ধরিয়ে দিতে সহায়তা চেয়েছে পুলিশ। ছবি: বিজ্ঞপ্তিবিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিৎ রায়সহ কমপক্ষে ১০ জন লেখক ও ভিন্নমতাবলম্বী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ছয়জনের ছবি প্রকাশ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডিবি এই ছবি প্রকাশ করে।
ডিএমপির অফিশিয়াল সাইটে এই ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের গ্রেপ্তার থাকা কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ছয়জনকে শনাক্ত করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, যে ছয়জনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাদের একজন শরিফুল। সে এ নাম ছাড়াও সাকিব, শরিফ, সালেহ, আরিফ ও হাদি নামে পরিচিত। অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজে তার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। অভিজিৎ রায় ছাড়াও গোড়ানে নীলাদ্রি নীলয়, সাভারে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যা এবং লালমাটিয়ার আহম্মেদ রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায় শরিফুল নিজে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দেয় বলে পুলিশ দাবি করেছে। তার বাড়ি বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলে। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ দেওয়া ও হত্যাকাণ্ডে কারা অংশ নেবে, সে সদস্য নির্বাচনের দায়িত্বও শরিফুল পালন করত বলে পুলিশ জানিয়েছে। জাগৃতির প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা, তেজগাঁও এ ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা এবং গত দুই মাসে রাজধানীর সূত্রাপুরে নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং কলাবাগানে জুলহাজ মান্নান ও তনয় হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবেও নাম এসেছে তার। তথ্যদাতার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সেলিমের বিরুদ্ধে ফয়সাল আরেফিন দীপন, ওয়াশিকুর বাবু, নিলাদ্রী নীলয় এবং মিরপুরের স্কুলশিক্ষক হত্যার ঘটনায় সরাসরি উপস্থিতি এবং নেতৃত্ব দেওয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেলিম ছাড়াও সে ইকবাল, মামুন ও হাদি-২ নামে পরিচিত ছিল। পুলিশ জানায়, এসব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী হিসেবে তার বিরুদ্ধে পুলিশ প্রমাণ পেয়েছে। সেলিমের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি, গায়ের রং শ্যামলা এবং সে চশমা পরে। তথ্যদাতার জন্য পুলিশ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
সিলেট অঞ্চলের ছেলে সিফাত ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যাকাণ্ডের সার্বিক সমন্বয়কারী ছিল এবং ওই হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সাভারে শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মোর্শেদ বাবু হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি অংশগ্রহণে ব্যাপারেও পুলিশ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে। সিফাত ছাড়াও সামির ও ইমরান নামে সে পরিচিত। তার সম্পর্কে তথ্যের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে ডিএমপি।
এ ছাড়া আহমেদুর রশীদ চৌধুরী হত্যাচেষ্টায় সমন্বয়কারী ও খুনিদের প্রশিক্ষক কুমিল্লার আবদুস সামাদ এবং চট্টগ্রামের শিহাব জড়িত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। আবদুস সামাদ সুজন, রাজু, সালমান ও সাদ নামেও পরিচিত। শিহাব সুমন ও সাইফুল নামেও পরিচিত। শিহাব আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার সদস্য বলেও পুলিশ জানায়। এ ছাড়া সাজ্জাদ নামে এক ব্যক্তির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি অভিজিৎ রায় ও নিলাদ্রী নীল হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সাজ্জাদ সজীব, সিয়াম ও শামস নামেও পরিচিত। এদের প্রত্যেকের ব্যাপারে তথ্যদাতাদের জন্য দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
পুলিশ বলছে ১৯ ফেব্রুয়ারি বাড্ডার সাতারকুলে সামরিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও মোহাম্মদপুরে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণকেন্দ্রে গোয়েন্দা বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে পাওয়া তথ্য ও গ্রেপ্তার আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ছয়জনের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।
Comment