কী!!! অনেক ভয়ে আছেন, তাই না?
কখন জানি আপনার দরজায় কড়া নাড়ে র*্যাব-পুলিশ!
তারপর কিডন্যাপ-রিমান্ড-গুম-কথিক বন্দুক যুদ্ধ-ক্রসফায়ার।
:
বি কুল ম্যান! এত উতলা হওয়ার কিছু নাই। আপনার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যা নির্ধারণ করে রেখেছেন তার চেয়ে বেশি কিছু হবেনা। আপনার কাজ হলো শুধু সুন্নাহ হিসেবে সতর্কতা অবলম্বন করা। এরপর যদি কিছু হয়ে যায়, সেটা তো ত্বাকদীর। যা আপনি আমি বদলাতে পারবো না।
যদি আপনার রব্বের পক্ষ থেকে আপনার জন্য কারগার নির্ধারণ করা না থাকে, তবে দুনিয়াতে এমন কে আছে যে আপনাকে সেখানে নিয়ে যায়?
আর আপনার রিযিকের একটা দানা যদি জেলখানায় থাকে তবে আপনাকে সেখানে যেতেই হবে। শত চেষ্টা করে, ওদের তোষামোদি করে বাঁচতে পারবেন না। আল্লাহ যদি আপনার জন্য কারাগার নির্ধারণ করে থাকেন, তবে সেটাকে নিয়ামাত হিসেবে নিয়ে নিন 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে। এটা আপনার জন্য পরীক্ষা। গোনাহ মাফের উসিলাও হতে পারে। আল্লাহু মুস্তাআন।
:
হয়তো ভাবছেন, কারাগারে বন্দী বা ক্রসফায়ারে মেরে ফেললেও তো ভালো ছিলো। কিন্তু তারা তো রিমান্ডে নিবে, নির্যাতন করবে! বাঁচাও না মরাও না।
আপনি যদি মনে করেন আমরা বা আপনারাই শুধু রিমান্ডে যাচ্ছি, তাহলে চরম ভুল করছেন।
আপনার কি মনে নেই সাহাবায়ে কিরামের (রা) রিমান্ডের কথা!!
ভুলে গেছেন বিলাল ইবনে রাবাহকে (রা) রিমান্ডে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে প্রহারের কথা!!
ভুলে গেছেন খাব্বাব ইবনে আরতের (রা) উপর সেই রিমান্ড অত্যাচার! অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রখা হতো। যার ফলে তার কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দেয়া হতো। উমার (রাঃ) একদিন তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাব্বাব (রাঃ) তখন বললেন, “আমার কোমর দেখুন।’’ উমার (রাঃ) কোমর দেখে আঁৎকে উঠে বললেন, ‘‘এমন কোমর তো কথোও দেখিনি?’’ উত্তরে খাব্বাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, ‘‘আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চর্বি ও রক্তে আগুন নিভে যেত।’’ আল্লাহু আকবার!
:
সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত, ইয়াসির ইবনে আমর, আম্মার ইবনে ইয়াসিরের (রা.) স্মৃতি কি আপনি ভুলে গেছেন!! আবু জান্দাল ইবনে সুহাইল, আব্দুল্লাহ ইবনে সুহাইলের (রা) বন্দিদশার কথা কি মনে পরে না! খুবাইবের (রা.) ফাসি কি আপনার শিহরণ জাগায় না!!
ইমাম আবু হানিফা, আহমাদ বিন হাম্বালের (রা) কারাবন্দী-নির্যাতন কি অনুপ্রেরণা দেয় না। শাইখুল হিন্দের (রহ.) মাল্টার কারাগারে বন্দী, নির্যাতনের কারণে কোমরে মাংস না থাকার ইতিহাস কি আপনি জানেন না!!
:
রিমান্ড-নির্যাতন কি শুধু আপনার??
কারাবন্দী জীবন কি শুধু আমার??
:
অতএব, শান্ত হোন। ভয় পাবেন না, হতাশ হবেন না, বিচলিত হবেন না। দৃঢ় থাকুন। প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে রব্বের ইবাদতে ব্রত হোন। আপনার উপর রব্বের পক্ষ থেকে যা আসবে (ভালো/মন্দ) সবরের সাথে আর সন্তুষ্টচিত্তে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে মেনে নিন। দুনিয়ার জীবনটাকে কারাগার মনে করে নিন। মাত্র তো কয়েকটাদিন। নিশ্চয়ই আমরা শান্তি পাবো সেদিন, যেদিন প্রথম জান্নাতে পা রাখবো ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয়ই সেদিন খুবে বেশি দূরে নয়। সেদিন জালিমরা অপমানিত হবে, আপনি হবেন সম্মানিত।
:
যদি আ্পনাকে বন্দি করা হয়, ইবাদতের নির্জন জায়গা মনে করে নিন।
যদি হত্যা করা হয়, শাহাদাতের সুধা পানের জন্য আনন্দিত হোন।
যদি নির্যাতন করা হয়, তবে মুখে ও হৃদয়ে জারি রাখুন "আহাদুন আহাদ"।
------------------------
from --Sharif Al Hussain vai
কখন জানি আপনার দরজায় কড়া নাড়ে র*্যাব-পুলিশ!
তারপর কিডন্যাপ-রিমান্ড-গুম-কথিক বন্দুক যুদ্ধ-ক্রসফায়ার।
:
বি কুল ম্যান! এত উতলা হওয়ার কিছু নাই। আপনার জন্য আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা যা নির্ধারণ করে রেখেছেন তার চেয়ে বেশি কিছু হবেনা। আপনার কাজ হলো শুধু সুন্নাহ হিসেবে সতর্কতা অবলম্বন করা। এরপর যদি কিছু হয়ে যায়, সেটা তো ত্বাকদীর। যা আপনি আমি বদলাতে পারবো না।
যদি আপনার রব্বের পক্ষ থেকে আপনার জন্য কারগার নির্ধারণ করা না থাকে, তবে দুনিয়াতে এমন কে আছে যে আপনাকে সেখানে নিয়ে যায়?
আর আপনার রিযিকের একটা দানা যদি জেলখানায় থাকে তবে আপনাকে সেখানে যেতেই হবে। শত চেষ্টা করে, ওদের তোষামোদি করে বাঁচতে পারবেন না। আল্লাহ যদি আপনার জন্য কারাগার নির্ধারণ করে থাকেন, তবে সেটাকে নিয়ামাত হিসেবে নিয়ে নিন 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে। এটা আপনার জন্য পরীক্ষা। গোনাহ মাফের উসিলাও হতে পারে। আল্লাহু মুস্তাআন।
:
হয়তো ভাবছেন, কারাগারে বন্দী বা ক্রসফায়ারে মেরে ফেললেও তো ভালো ছিলো। কিন্তু তারা তো রিমান্ডে নিবে, নির্যাতন করবে! বাঁচাও না মরাও না।
আপনি যদি মনে করেন আমরা বা আপনারাই শুধু রিমান্ডে যাচ্ছি, তাহলে চরম ভুল করছেন।
আপনার কি মনে নেই সাহাবায়ে কিরামের (রা) রিমান্ডের কথা!!
ভুলে গেছেন বিলাল ইবনে রাবাহকে (রা) রিমান্ডে উত্তপ্ত বালুতে শুইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে প্রহারের কথা!!
ভুলে গেছেন খাব্বাব ইবনে আরতের (রা) উপর সেই রিমান্ড অত্যাচার! অধিকাংশ সময় তাঁকে নগ্নদেহে তপ্ত বালুর উপর শুইয়ে রখা হতো। যার ফলে তার কোমরের গোশত গলে পড়ে গিয়েছিল। লোহা গরম করে তাঁর মাথায় দাগ দেয়া হতো। উমার (রাঃ) একদিন তাঁর উপর নির্যাতনের বিস্তৃত বিবরণ জানতে চাইলেন। খাব্বাব (রাঃ) তখন বললেন, “আমার কোমর দেখুন।’’ উমার (রাঃ) কোমর দেখে আঁৎকে উঠে বললেন, ‘‘এমন কোমর তো কথোও দেখিনি?’’ উত্তরে খাব্বাব (রাঃ) খলীফাকে জানালেন, ‘‘আমাকে জ্বলন্ত অঙ্গারের উপর শুইয়ে চেপে ধরে রাখা হতো, ফলে আমার চর্বি ও রক্তে আগুন নিভে যেত।’’ আল্লাহু আকবার!
:
সুমাইয়া বিনতে খাইয়াত, ইয়াসির ইবনে আমর, আম্মার ইবনে ইয়াসিরের (রা.) স্মৃতি কি আপনি ভুলে গেছেন!! আবু জান্দাল ইবনে সুহাইল, আব্দুল্লাহ ইবনে সুহাইলের (রা) বন্দিদশার কথা কি মনে পরে না! খুবাইবের (রা.) ফাসি কি আপনার শিহরণ জাগায় না!!
ইমাম আবু হানিফা, আহমাদ বিন হাম্বালের (রা) কারাবন্দী-নির্যাতন কি অনুপ্রেরণা দেয় না। শাইখুল হিন্দের (রহ.) মাল্টার কারাগারে বন্দী, নির্যাতনের কারণে কোমরে মাংস না থাকার ইতিহাস কি আপনি জানেন না!!
:
রিমান্ড-নির্যাতন কি শুধু আপনার??
কারাবন্দী জীবন কি শুধু আমার??
:
অতএব, শান্ত হোন। ভয় পাবেন না, হতাশ হবেন না, বিচলিত হবেন না। দৃঢ় থাকুন। প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে রব্বের ইবাদতে ব্রত হোন। আপনার উপর রব্বের পক্ষ থেকে যা আসবে (ভালো/মন্দ) সবরের সাথে আর সন্তুষ্টচিত্তে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে মেনে নিন। দুনিয়ার জীবনটাকে কারাগার মনে করে নিন। মাত্র তো কয়েকটাদিন। নিশ্চয়ই আমরা শান্তি পাবো সেদিন, যেদিন প্রথম জান্নাতে পা রাখবো ইনশাআল্লাহ। নিশ্চয়ই সেদিন খুবে বেশি দূরে নয়। সেদিন জালিমরা অপমানিত হবে, আপনি হবেন সম্মানিত।
:
যদি আ্পনাকে বন্দি করা হয়, ইবাদতের নির্জন জায়গা মনে করে নিন।
যদি হত্যা করা হয়, শাহাদাতের সুধা পানের জন্য আনন্দিত হোন।
যদি নির্যাতন করা হয়, তবে মুখে ও হৃদয়ে জারি রাখুন "আহাদুন আহাদ"।
------------------------
from --Sharif Al Hussain vai
Comment