কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনঃ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ডাক!- উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফি. &

[umar mukhtar]

মজলুম কাশ্মীরী মুসলমানদের সাহায্যের জন্য উপমহাদেশের মুসলমানদের প্রতি বার্তা

কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনঃ পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ডাক!

- উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফি.

মুখপাত্র আল কায়েদা উপমহাদেশ




চার ভাষার বয়ান এক সাথে

https://archive.org/details/kashmir_byan

মূল বয়ান

https://archive.org/download/kashmir_byan/AzadiKashmir.ogg

পিডিএফ

https://archive.org/compress/kashmir_byan/formats=TEXT%20PDF&file=/kashmir_byan.zip

ওয়ার্ড

https://archive.org/compress/kashmir_byan/formats=WORD%20DOCUMENT&file=/kashmir_byan.zip

[umar mukhtar]

বাংলা টেক্সট



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক তাঁর সম্মানিত রাসূলের উপর।
ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা!
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বাণীঃ
“مثل المؤمنين في توادهم وتراحمهم وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتکی منه عضو تداعی له سائر الجسد بالسهر والحمی”
মুমিনদের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, দয়া ও সহানুভূতির সম্পর্কের উপমা একটি দেহের মত। যখন দেহের কোন অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হয়, তখন পুরো দেহ কষ্ট ও ব্যাথায় থাকে।
রাসূল (ﷺ) আরও বলেন, “المسلم أخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه” মুসলমান মুসলমানের ভাই, না সে তাঁর উপর জুলম করে আর না সে তাঁকে অন্য কারও জুলমের কাছে সমর্পণ করে।
কিছু দিনের ভেতরে ভারতের আগ্রাসী বাহিনী ষাটের বেশি মুসলমানকে শহীদ করে, হাজার হাজার মুসলমানকে আহত করে এবং অসংখ্য মুসলমানকে জেলের ভেতর নিক্ষেপ করে। মা, বোন এবং বৃদ্ধদের চিৎকার ও আর্তনাদে প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয় হয়েছে আঘাতপ্রাপ্ত। দ্বীনের প্রতি ভালবাসা এবং মুশরিক হিন্দুদের থেকে স্বাধীনতার জন্য কুরবানির এমন এক লম্বা সফর এটাই প্রমাণ করে যে, কাশ্মীরি জাতি এক জীবিত এবং ঈমানদার জাতি। এই জাতির ঈমানের প্রতি মর্যাদাবোধ মৃত নয়। ভারতীয় জুলম এই জাতির বিবেককে গুড়িয়ে দিতে পারেনি আর না আমাদের বিশ্বাসঘাতক এবং খেয়ানতকারীরা ইসলামের সাথে এর সম্পর্ক ভেঙে দিতে পেরেছে। যদি কেউ সঙ্গ দিয়েছে, তাহলে কাশ্মীরকে নিজের গ্রীবাস্থ ধমনী হিসেবে দাবি করে এবং সাহায্য-সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে সফরের মাঝে তাদের একাকী ছেড়ে চলে গিয়েছে ... এত কিছুর পরও এই জাতি কোন কিছুর পরোয়া না করে জালেম শাসকের সামনে দৃঢ় থাকে ... কুরবানির পর কুরবানি দিয়ে সামনে এগিয়ে চলতে থাকে, কুফরের গোলামী করাকে অস্বীকার এবং আল্লাহর একত্ববাদের খোলাখুলি ঘোষণা দেওয়া তাদের জাতিসুলভ স্বভাবে পরিণত করে। আর ’ بہار ہوکہ خزاں ، لاالہ الا اللہ‘‘হোক অনুকূল অথবা হোক প্রতিকূল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর মত প্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে দ্বীনি মর্যাদাবোধ থেকে এক পাও পিছু হটেনি। আল্লাহ কাছে দু’আ তিনি যেন কাশ্মীরি জাতির এই ঈমানের মর্যাদাবোধকে কবুল করেন, একে পুরো উপমহাদেশের জন্য নমুনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, এই জাতিকে দৃঢ়তার সাথে কুফরের মোকাবেলা করার যোগ্যতাসম্পন্ন নেতৃত্বের দিকনির্দেশনা উপহার দেন। আমিন।
আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের এবং তাঁদের নেতাদের সাথে আমরা এই শহীদদের জন্য সমবেদনা প্রকাশ করছি। কিন্তু এই বয়ানের উদ্দেশ্য শুধু সমবেদনা প্রকাশ করা নয়, দুঃখ ও উদ্বেগ প্রকাশ করা নয়, ফাঁকা কোন সমবেদনা বা দয়া দেখানো নয়, এই বয়ানের উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নামের গলিত লাশের সামনে দাবী দাওয়া উপস্থাপন করার রাস্তা দেখানো নয়। বরং কাশ্মীরি ভাইদের ক্ষতের আরোগ্য করা, কাশ্মীরের মুসলমানদের সাহায্যের জন্য মুসলিম উম্মতের সামনে চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের দাওয়াত উপস্থাপন করাই আমাদের উদ্দেশ্য।
সম্মানিত ভাইয়েরা!
এই দুঃখ ভারাক্রান্ত অবস্থায়, প্রধাণ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল রাস্তা চিনে নেওয়া, বন্ধু এবং শত্রুকে সনাক্ত করা। গন্তব্যের দিকে যদি আমরা এই প্রথম পদক্ষেপ সফলভাবে উঠিয়ে থাকি, তাহলে আমরা সত্যিকারভাবে এই মাজলুম জাতিকে সাহস যোগাতে পারব। প্রকৃতপক্ষে এটাই তাঁদের ক্ষতের আরোগ্য করবে। আর যদি আমরা চক্রের মাঝে ঘুরপাক খেতে থাকি, এবং অন্যদের বিপথে পরিচালিত করতে থাকি, ডাকু আর লুটেরাদের পথনির্দেশক হিসেবে নেই, মরীচিকাকে গন্তব্য ও লক্ষ্য বলতে থাকি, তাহলে তা হবে আমাদের পক্ষ থেকে এই মাজলুম জাতির প্রতি সর্বোচ্চ অন্যায় এবং অবিচার।
প্রিয় কাশ্মীরি ভাইয়েরা! ঈমানী চেতনায় ভরপুর যুবকেরা!
এখনও কি সময় হয়নি যে, আমরা তাদের বিদায় জানাব যারা শুধু সমবেদনা ও শুভকামনা জানিয়ে এসেছে কিন্তু কাশ্মীর বিরোধকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছে, তারা যেই স্বরূপেই হোক না কেন – জাতিসংঘের স্বরূপে শয়তানের পরিচালনা বোর্ড, অথবা উম্মতের বিশ্বাসঘাতকের স্বরূপে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সরকার। মজলুম কাশ্মীরিদের ইস্যু এই অনৈতিক, দুর্নীতি পরায়ণ লোকদের কাছে নোংরা এক খেলা অথবা কুৎসিত এক ব্যবসা ছাড়া আর কিছু নয়। যেহেতু এই পথের জন্য যে বুনিয়াদি গুণাগুণ – ঈমান, সততা ও শরীয়তের অনুসরণ - এসবের তারা ঘোর বিরোধী, কিভাবে বা কেন আমরা তাদের কাছ থেকে কল্যাণ আশা করতে পারি? “بتوں سے تجھ کو امیدیں ،خدا سے نومیدی” “প্রতিমার থেকে আশা আর আল্লাহর থেকে হতাশা”। কাশ্মীরের এই ক্ষতকে জিইয়ে রাখা তাদের রাজনীতির অংশ, মা-বোনদের আর্তনাদে তাদের ব্যবসার উন্নতি লাভ হয়, কাশ্মীর উপত্যকায় আগুন প্রজ্বলিত রাখা তাদের বিলাসবহুল জীবন ও বিনোদনের প্রতিরক্ষক। যে পথ তারা দেখায় তা শুধু ব্যর্থতা, অসহায়ত্ব ও বেদনায় গিয়েই শেষ হয়। দুঃখজনকভাবে এই মাজলুম জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতার ও খেয়ানতের কাহিনী কোনভাবেই বহিঃআগ্রাসন ও অত্যাচার থেকে কম নয়। আমাদের প্রিয়ভাজন, সহানুভূতিশীল ও স্বার্থপরদের চেনার জন্য ৬০-৬৫ বছর কি যথেষ্ট লম্বা সময় নয়!
কাশ্মীর এবং পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা!
এটা কি কোন গোপন বিষয় যে, জাতিসংঘ বিশ্বের অপরাধী চক্রের হাতের অস্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়? এর ইতিহাস ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি শত্রুতার এক প্রকাশ্য অভিব্যক্তি। প্রতিষ্ঠার পরপরই এর প্রথম পদক্ষেপ ছিল পবিত্র ভূমি আল-কুদসে ইসরায়েলের অবৈধ অস্তিত্বের বৈধতা নেওয়া ও আইনের মাধ্যমে একে প্রতিষ্ঠিত করা। সাথে সাথে এটাই সেই প্রতিষ্ঠান যা ইহুদী আধিপত্যের বিরুদ্ধে জিহাদকে সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসছে। এটাই সেই প্রতিষ্ঠান যা চেচনিয়ার মাজলুম মুসলিমদের বিরুদ্ধে জালেম রাশিয়াকে শক্তিশালী করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠানই সেই চীনের জুলমকে বৈধতার আচ্ছাদন দিয়ে রেখেছে, যেই চীন তুর্কিস্তান দখল করে রেখেছে। এই প্রতিষ্ঠানই জালেম ও দখলকারীদের আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকে এবং সারা বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বাস্তব সাহায্য-সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এরইসাথে, কাশ্মীরে হিন্দু দখলদারিত্ব কি এই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নেই হচ্ছেনা? কেনই বা এমনটা হবেনা, কারণ জাতিসংঘের নেতৃত্ব তো কেবল ঐ পাঁচটি দেশের হাতে যারা মুসলিমদের রক্ত ঝরানোতে আসক্ত হয়ে গেছে? এই ভেটো ক্ষমতার অধিকারী দেশগুলো, এই অপরাধী কুচক্রীরা সিরিয়াতে একতাবদ্ধ হয়েছে এবং মুসলমানদের উপরে সেখানে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। এই অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে, আমাদের এই সত্যকে মেনে নেওয়া উচিত যে, জাতিসংঘই কাশ্মীরসহ উম্মতের সব সমস্যার সমাধান তো নয়ই বরং সব সমস্যার কারণ! একবার যখন আমরা এই সত্যকে মেনে নিব তখন সত্যিকার এক সমাধানের দিকে যাওয়া আমাদের জন্য সহজ হবে।
উপমহাদেশের মুসলমান ভাইয়েরা!
কাশ্মীর সমস্যা শুধু কাশ্মীরের মুসলমানদের সমস্যা নয়। এটা পাকিস্তান ও ভারতের মুসলমানদের বরং আরও সঠিকভাবে বললে পুরো উম্মতের দেড় (১.৫) বিলিয়ন মুসলমানদের সমস্যা। এই সমস্যার মূল হল আক্বিদা। হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যকার পার্থক্যই এই বিরোধের ভিত্তি। আমরা মুসলমান জাতি হিসেবে এর সমাধান নির্ধারণের ব্যাপারে স্বাধীন নই; আমাদের এটা বাছাই করার সুযোগ নেই যে, কাশ্মীরের এবং উপমহাদেশের মুসলমানরা কুফর ও শিরকের কর্তৃত্বকে মেনে নিবে এবং এরপর এই স্লোগান দেবে, “হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই”। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) তাঁর কিতাবে এই বিরোধের সমাধান অবতীর্ণ করেছেন যা আমরা মানতে বাধ্য। এই সমাধানই হল জিহাদ। “کتب علیکم القتال” তোমাদের জন্য জিহাদকে ফরয করা হয়েছে। জালেমের জুলমকে বন্ধ করে মাজলুমকে সাহায্য করার জন্য জিহাদ, মানুষকে মানুষের গোলামী থেকে মুক্ত করে তাদের রব আল্লাহর গোলামীর দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্যই জিহাদ। গায়রুল্লাহর জুলমে ভরপুর ও জবরদস্তি শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করা এবং ন্যায়পরায়ণ শাসনব্যবস্থা, আল্লাহর শরীয়তকে প্রতিষ্ঠার জন্যই জিহাদ ... এটা ঐ জিহাদ যা আজ ফরযে আইন আর এই ফরযের প্রতি মুসলিম জাতি অক্ষমতা ও অবহেলায় রয়েছে যার ক্ষতি থেকে কাশ্মীরি এবং পুরো উপমহাদেশের মুসলমানরা আজ ভুগছে। আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, কাশ্মীর সমস্যা কোন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সমস্যা নয়, এই সমস্যা বিশ্বাসের সাথে সম্পর্কিত, এটি এমন একটি বিষয় যে ব্যাপারে আল্লাহর সামনে আমাদের হিসাব দিতে হবে। আল্লাহ (সুবহানাহু ওয়া তা’আলা) আমাদেরকে একটি সমাধান, একটি রাস্তা, একটি মূলনীতি বলে দিয়েছেনঃ “وَقَاتِلُوهُم” তাদের সাথে যুদ্ধ কর। কতক্ষণ পর্যন্ত? “حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَة” যতক্ষণ পর্যন্ত কোন সংবিধান, কোন আইন, কোন ধর্ম, কোন শাসনব্যবস্থা বা কোন শক্তির কর্তৃত্ব না থাকে – শুধু আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর দ্বীনের কর্তৃত্ব থাকে “وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ” ... যতক্ষণ না আল্লাহর শরীয়ত আইনব্যবস্থায় পরিণত হয় এবং এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়!!
আমার কাশ্মীরি মুসলমান ভাইয়েরা!
আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত যারা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন তাদের সাথে কিভাবে আচরণ করতে হবে তা আমাদের শিখিয়েছেন, আর এটাই হল জিহাদ ও কিতাল, আর তিনি আমাদেরকে এই জিহাদের মূল উদ্দেশ্য কি তাও বলেছেন। আর এই উদ্দেশ্য হল শরীয়তের প্রতিষ্ঠা। শরীয়তের প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পারে মাজলুমের কান্নার মূলকে উৎপাটন করতে এবং অবিচারকে শেষ করে দিতে। জিহাদের উদ্দেশ্য মোটেই শুধু একজন জালেমকে সরিয়ে দিয়ে অন্য এক আল্লাহদ্রোহী জালেমকে মাজলুমদের উপর বসানো নয়। এর উদ্দেশ্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা। এই ন্যায়বিচার মানুষরুপী শয়তানের অজ্ঞতার উপর প্রতিষ্ঠিত আইন-কানুনের মাঝে নেই। সত্যিকার ন্যায়বিচার হল তাই যা আল্লাহ, রাজাধিরাজ সাত আসমানের উপর থেকে অবতীর্ণ করেছেন। এই ঐশ্বরিক ন্যায়বিচার ছাড়া সব আইন, সব সংবিধান, সব ব্যবস্থা জুলম, অজ্ঞতা এবং আশরাফুল মাখলুকাত মানবজাতির অপমান ও মর্যাদাহানি। “وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ” যে আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেননি সেই অনুযায়ী বিচার করে সেই জালেম। কাজেই, আমাদের জন্য জরুরী হল এই জুলম থেকে মুক্ত হওয়া এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা; এটা কখনও বিলাপ, কান্না, জালেমদের থেকে আমাদের অধিকার ভিক্ষা চাওয়া অথবা গণতন্ত্র নামের খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে না কখনও অর্জিত হয়েছে আর না কখনও অর্জিত হবে। মাজলুম কাশ্মীরিদের ন্যায়বিচার দেওয়া এবং উপমহাদেশের মুসলমানদের প্রকাশ্য জুলম ও নিষ্ঠুরতার কুফরি শাসনব্যবস্থা থেকে স্বাধীন করার একটাই রাস্তা তা হল জিহাদ। ফুকাহায়ে কিরামদের বইগুলো এই সত্যের সাক্ষী দেয় যে, আজ জিহাদ কোন নফল আমল নয়, এটা কোন মুসতাহাব নয়, বরং পাঁচ ওয়াক্ত নামায ও রোযার মত এটি ফরযে আইন।
কাশ্মীর ও উপমহাদেশের মাজলুম মুসলমান ভাইয়েরা!
এরপর আমাদের এই সত্য মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য কোন রাস্তা নেই যে, যদি এই জিহাদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও এর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রভাব থেকে মুক্ত না করা যায়, তাহলে মাজলুম কাশ্মীরি জাতির উপর জুলমের কালো রাত শুধু লম্বাই হবেনা, বরং এটা কখনও শেষই হবেনা। নবী (ﷺ) বলেন, “لايلدغ المؤمن من جحر مرتين” মুমিন কখনও একই গর্ত থেকে দুইবার দংশিত হয়না। কাশ্মীরের জিহাদের ইতিহাস কি এটা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট নয় যে, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর লক্ষ্য মাজলুম কাশ্মীরিদের সাহায্য করা নয়, বরং তাদের এখানে নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে। অর্থ সম্পদ জমা করা আর নিজেদের বিলাসী জীবনকে নিরাপদ করাই তাদের কৌশল। ভারত বা কাশ্মীরের মুসলমানদের প্রতিরক্ষার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই। যে সেনাবাহিনী মার্কিনী ডলারের বিনিময়ে ইসলামের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, আম মুসলিমদের এবং উম্মাহর মুজাহিদদের হত্যা করে, নিয়মিতভাবে মসজিদ ও মাদ্রাসার উপর বোমাবর্ষণ করে, যে বাহিনীর পেশাই হল আল্লাহর আইন যারা চায় তাদের উপর নির্যাতন করা; কিভাবে সেই বাহিনী নিজের পেশাদারিত্ব, বেতনভাতা বা আরাম-আয়েশকে মাজলুমদের জন্য ঝুঁকিতে ফেলতে পারবে। এটা অসম্ভব!
প্রিয় কাশ্মীরি ভাইয়েরা,
এখন হল মুসলিম উম্মতের জাগরণের এবং কাফেরদের অপমানের সময়। আজ, যারা উম্মতের রক্ষায় কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তারা কোন রাষ্ট্রীয় বাহিনী নয়। ইংরেজদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোর কাজই হল কুফরি শাসনব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা ও এর প্রতিরক্ষা করা। এরা ক্রুসেডারদের সাথে মিলে উম্মতের উপর আক্রমণ চালাচ্ছে এবং ইসলামের পুনঃজাগরণের বিরুদ্ধে এরা সামনে থেকে লড়াই করছে। তাদের দায়িত্ব হল কাফেরদের তৈরি রক্তাক্ত সেই সীমানাকে রক্ষা করা যে সীমানা মুসলিমদেরকে বিভক্ত করে রেখেছে। আজ আফগানিস্তান থেকে শুরু করে সিরিয়া পর্যন্ত সন্ত্রাসী ও আগ্রাসী বৈশ্বিক কাফেরদের বিরুদ্ধে যদি কেউ দৃঢ়তার সাথে মোকাবেলা করে থাকে তাহলে তারা হল ইসলামের মুজাহিদরা। এরাই হল ঐ সিংহরা যারা কোন সশস্ত্র বাহিনী বা কোন সরকারের অধীনস্ত বা নির্ভরশীল নয়। আল্লাহ যিনি অমুখাপেক্ষী তিনি এঁদের পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী আর আম মুসলমান তাদের আনসার ... !
আমার কাশ্মীরি তরুণ ভাইয়েরা ও বয়োজ্যেষ্ঠবৃন্দ,
মাজলুম কাশ্মীরিদের ক্ষতের আরোগ্যের জন্য এই মুজাহিদদের এবং মুসলিম জনতার দিকে ধাবিত হোন। শুধু এই মুজাহিদরাই আপনাদের দুঃখের আরোগ্য করতে পারবে, যারা তাঁদের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং নীতি কোন কিছুতেই কোন তাগুত সরকারের, সেনাবাহিনীর অথবা গোয়েন্দা সংস্থার উপর নির্ভরশীল বা অধীনস্ত নয়। ইতিহাস এই সত্যের সাক্ষ্য দেয় যে, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় অথবা তাদের তত্ত্বাবধায়নে যুদ্ধ, জিহাদের ফলকে নষ্ট করা এবং মাজলুম কাশ্মীরিদের উপর জুলমকে আরও বাড়ানোরই সমকক্ষ। এটা এই কারণে যে, একজন চাকরিজীবী সৈন্য এবং একজন মুজাহিদের আক্বীদা, আদর্শ, শিক্ষা এবং লক্ষ্যের মাঝে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। ২০০২ সালে, যখন ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমানা অভিমুখে অগ্রসর হয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে কিছুটা শক্তি প্রদর্শন করে, তখন পাকিস্তানি বাহিনী সম্পূর্ণ নতি স্বীকার করে নেয়। যেসব জেনারেলরা কিছুদিন আগ পর্যন্ত কাশ্মীর জিহাদের উকালতি করছিল, তারা একে “সন্ত্রাসবাদ” বলে আখ্যা দেয়। কাশ্মীরি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মুজাফফারাবাদ এবং মানসেরা ক্যাম্পে মুহাজিররা কয়েদীতে পরিণত হয়। জিহাদের ময়দান থেকে তাঁদেরকে ফিরিয়ে কায়িক শ্রমে বাধ্য করা হয়। যদি কোন মুজাহিদ ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করে, তাহলে তাঁকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বুলেটে শহীদ করা হয়। কাশ্মীরকে নিজেদের ‘গ্রীবাস্থ ধমনী’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে আসা লোকেরাই কাশ্মীরের স্বাধীনতা আন্দোলনের পিঠে নিজেদের ছুরি ঢুকিয়ে দেয় এবং মাজলুম কাশ্মীরিদের নির্দয় হিন্দুদের দয়া ও সম্মানের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়! … কেন? কারণ ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাপের মুখে ও আমেরিকার অসন্তুষ্টির সামনে দৃঢ় থাকা তাদের মতবাদের অংশ নয়! কাশ্মীরি বোনদের ও মেয়েদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয় এবং অসহায় কাশ্মীরিদের উপর জুলম কোনভাবেই কম হয়না। পাকিস্তানি জেনারেলরা কাশ্মীরি জিহাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে সাময়িকভাবে নিজেদের মাথার উপর থেকে বিপদকে সরিয়ে দেয় … হিন্দুদের গর্ব ও জুলম চরম পর্যায়ে পৌঁছে, কিন্তু পাকিস্তানি সেনাসদস্যদের উর্দি, বেতনভাতা এবং বিলাসিতা নিরাপদ থাকে!
এর বিপরীতে আফগান ভূমির মুজাহিদ সিপাহশালার এবং মুমিন শাসকের উপমা দেখুন। এই মুজাহিদ যেহেতু কাকুল (পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একাডেমী) থেকে প্রশিক্ষণ নেননি ... আল্লাহর কিতাব, মসজিদ, জিহাদের ময়দান থেকে তিনি তাঁর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন; এজন্য যখন আমেরিকা উনার কাছে একজন মুসলিমকে হস্তান্তরের দাবি করেন, তিনি সেই মুসলিমকে তাদের হাতে তুলে দিতে অস্বীকার করেন। যুগের ফেরাউন হুমকি দেয় যে, আফগানিস্তানকে প্রস্তর যুগে ফেরত পাঠাবে; তিনি চাপে ঝুঁকে পড়েননি ... তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, “এটি কোন একজন ব্যক্তির ব্যাপার নয়, এটি ইসলাম ও কুফরের বিষয়। আমেরিকা যদি আফগানিস্তানের প্রত্যেকটি গাছ এবং পাথরকে ছাই বানিয়ে দেয়, তবুও কোন পরোয়া নেই। আমার ঈমানের মর্যাদাবোধ এটা কখনও সহ্য করবেনা যে আমি কোন মুসলমানকে কাফেরের হাতে হস্তান্তর করব।” আমেরিকা সব রকম অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পঞ্চাশের বেশি দেশ সাথে নিয়ে আগ্রাসন চালায়; ড্রোন, বি-৫২, এফ-১৬ সহ সব নতুন ধরণের প্রযুক্তির পরীক্ষা চালায়। আগুন ও বোমার বৃষ্টি বর্ষণ করা হয়। কিন্তু আল্লাহর এই মুজাহিদ বান্দারা এক মুহূর্তের জন্যও ঝুঁকেননি, ভীত হননি, লড়াই চালিয়ে গেছেন, কুরবানি ও শাহাদাতের এক মহান ইতিহাস রচনা করতে থাকেন। পরিশেষে আমেরিকা পরাজয়ের সূচনায় পৌঁছে যায়। ইসলামের সম্মান অর্জিত হয়। এমনকি আজকেও আফগানিস্তানের অর্ধেকের বেশি জায়গায় তাওহীদের পতাকা সজ্জিত। যে জিহাদী আন্দোলনকে বন্ধ করার জন্য আমেরিকা আফগানিস্তানের উপর হামলা চালিয়েছিল, তা আফগানিস্তানের বাইরে সারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে পড়েছে!! আর সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।
এটাই একজন মুজাহিদ এবং একজন চাকরিজীবী সৈন্যের মাঝে পার্থক্য। কিভাবে একজন মুজাহিদ যে আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখে, সে আর একজন চাকরিজীবী সৈন্য এক হতে পারে যে দুনিয়াবি শক্তিকে তার প্রভূ মনে করে? যে আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করে এবং যে অর্থ ও পদোন্নতির জন্য অস্ত্র উঠায় এ দুইজনের পার্থক্য নগণ্য নয়! একজন মুজাহিদ কাফেরের চাপের মোকাবেলায়, তাঁর শক্তি ও প্রযুক্তি দেখে তাঁর বিশ্বাসকে বেচে দেয়না, সে কাফেরদের ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর মাজলুম ভাইদের সহায় সম্বলহীন অসহায় অবস্থায় ফেলে চলে যায়না! চারপাশে শত্রুর শক্তির বহর দেখে তিনি তাদের সামনে ঝুঁকে পড়েননা, তিনি তাদের সামনে সিজদায় পড়ে যাননা বরং তাঁর বিশ্বাস তাঁর বিরুদ্ধে জালেমদের বলপ্রয়োগ দেখে আরও শক্তিশালী হয়। এটা এজন্য যে, তিনি আল্লাহর সাহায্য এবং আনুগত্যের মাঝে থেকেই লড়াই করেন! আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত বলেন,
الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ فَزَادَهُمْ إِيمَانًا وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
অর্থাৎ মুমিন তারাই “যাদেরকে লোকেরা বলে, “নিশ্চয় লোকেরা তোমাদের বিরুদ্ধে একত্র হয়েছে। সুতরাং তাদেরকে ভয় কর।” এটা তাদের ঈমানকে বৃদ্ধি করে এবং তাঁরা বলেন, “আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট আর তিনি কতই না ভাল কার্যনির্বাহক”” ... একজন মুজাহিদ জিহাদকে কোন জাতীয় নীতি নয়, বরং একটি ইবাদত মনে করে, মাজলুমদের সাহায্য করা তাঁর কাছে কোন নোংরা রাজনীতি নয়, বরং আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার উপায়। এর বিপরীতে, চাকরিজীবী একজন সৈন্য বিরোধী শক্তিকে দেখে মনোবল হারিয়ে ফেলে। সংখ্যায় ১,০০,০০০ হওয়ার পরও হিন্দু সৈন্যদের সামনে আত্মসমর্পণ করা তার জন্য কোন সমস্যায় নয়, অর্ধেকের বেশি পাকিস্তান হিন্দু, মুশরিক, মূর্তিপূজারীদের কাছে ছেড়ে দিয়ে “It’s part of the game” বলে নির্লজ্জতা ও মর্যাদাহীনতার এক নজিরবিহীন ইতিহাস সে তৈরি করে। এটাই ঈগলের মত মুজাহিদ এবং শকুনের মত চাকরিজীবী সৈনিকের মাঝে পার্থক্য!
پرواز ہے دونوں کی، اسی ایک فضا میں
کرگس کا جہاں اور ہے ، شاہیں کا جہاں اور
“উভয়ের উড়ার জায়গা একই,
কিন্তু ঈগলের দুনিয়া এক, আর শকুনের দুনিয়া আরেক”
তাই প্রিয় কাশ্মীরের ভাইয়েরা!
খাঁটি শরীয়তী ভিত্তির উপর কোন জিহাদী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠা ছাড়া কাশ্মীরের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব নয়; এমন এক আন্দোলন যা কোন সেনাবাহিনী অথবা সরকারের সহযোগিতা বা তত্ত্বাবধায়ন ব্যতিত চলবে, আর এর সহযোগিতায় থাকবে মুসলিম জনসাধারণ। এমন আন্দোলন যা আল্লাহর শত্রুদের সাথে শত্রুতায়, মুমিনদের সহযোগিতায় দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী, যা কুফরি খেল-তামাশা ও গণতন্ত্রের ধোঁকা থেকে দূরে থাকা এবং শরীয়তের অনুসরণ নিজের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য মনে করে; এমন আন্দোলন যার লক্ষ্য কাশ্মীরের স্বাধীনতা ছাড়াও নবী মুহাম্মাদ (ﷺ) এর দ্বীনের প্রতিষ্ঠা।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর প্রভাবমুক্ত এমন খাঁটি জিহাদ কঠিন, কিন্তু তা নিঃসন্দেহে অসম্ভব নয়। এখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় সহজ এবং কঠিনের মাঝে নয়, বরং সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় জিহাদের ফলকে নিজের হাতে অথবা শত্রুর ঝুলিতে রাখার। আলহামদুলিল্লাহ, আজ সারা দুনিয়ায় তাগুতের সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত জিহাদ হচ্ছে। চেচনিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া, পশ্চিমা ইসলামী বিশ্ব, ইসলামী তুর্কিস্তান এবং সবার উপরে ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান এবং সিরিয়া আমাদের জন্য উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এই জিহাদী আন্দোলনগুলো এই প্রমাণ করে যে, তাগুতী শক্তি এবং সরকারের সম্পূর্ণ প্রভাবমুক্ত জিহাদী আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতিরক্ষা সম্ভব। বর্তমান সময়ের জিহাদের ইতিহাস থেকে আমরা এই শিক্ষাই অর্জন করি। এজন্য শুধু আল্লাহকে ভয় করা এবং তাঁর উপরই ভরসা করাই জরুরী। আল্লাহ আমাদের এই সত্য সম্পর্কেই অবহিত করেছেন -
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا * وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ
অর্থাৎ “যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিষ্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন”। আল্লাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য জিহাদ করবে, নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাঁকে পথ প্রদর্শন করবেন।
وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَھْدِيَنَّھُمْ سُبُلَنَا
অর্থাৎ “যারা আমার পথে জিহাদ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব।” আমরা যদি আল্লাহর উপর ভরসা করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দাওয়াত ও জিহাদের পতাকা উত্তোলন করি, তাহলে আল্লাহ অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবেন।
إن تنصر اللہ ینصرکم !
“তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য কর, তাহলে আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করবেন!”
কাজেই আমার তরুণ কাশ্মীরি ভাইয়েরা এবং সম্মানিত বয়োজ্যেষ্ঠবৃন্দ!
জুলম থেকে মুক্তি এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ এটাই। এই পথে আপনারা অগ্রসর হোন, আমরা আপনাদের সাথে আছি। সমস্ত বিশ্বের মুজাহিদরা আপনাদের সহযোগিতায় দাঁড়িয়ে আছে। পাকিস্তান ও ভারতের জনসাধারণ ইনশাআল্লাহ আপনাদের আনসার হবেন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। “إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّه” যদি আল্লাহর আপনাদের সাহায্য করেন “فَلَا غَالِبَ لَكُمْ” তাহলে কেউ আপনাদের উপর বিজয়ী হতে পারবেনা। “وَإِنْ يَخْذُلْكُمْ” আর তিনি যদি আপনাদেরকে ত্যাগ করেন “فَمَنْ ذَا الَّذِي يَنْصُرُكُمْ مِنْ بَعْدِهِ” তাহলে তাঁর পরে কে আপনাদের সাহায্য করতে পারবে? “وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ” আর মুমিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা।
পাকিস্তানি, ভারতীয় ও বাংলাদেশি মুসলমান ভাইয়েরা!
কাশ্মীরি মাজলুম ভাইদের সাহায্য করা, উপমহাদেশে অত্যাচারী কুফরি শাসনব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য জিহাদ আমাদের উপর ফরয। কাশ্মীরি জনগণ অনেক কুরবানি দিয়েছেন, এই কুরবানি কেবল তখনই ফল দিতে পারবে যখন আমরা পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশের মুসলমানরাও ‘حیی علی الجہاد’ এর উত্তরে ‘لبیک’ বলব, এক সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে জিহাদী কাফেলাকে শুধু শক্তিশালী করবনা, বরং জিহাদকে তাগুতের আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচাব। অনেক দেরি হয়ে গেছে আরও দেরি আল্লাহর ভয়ংকর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে।
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ (38) إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ۔
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। যদি তোমরা বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান”।
আল্লাহ আমাদের হেদায়েত দিন, কাশ্মীরি মুসলমানদের ধৈর্য্য ও দৃঢ়তাকে বাড়িয়ে দিন এবং এই মহান জাতির কুরবানির বরকতের মাধ্যমে উপমহাদেশে ইসলামের কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করুন। কবুল করুন, হে রাব্বুল আলামিন।
وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین

[umar mukhtar]

হিন্দি টেক্সট

بسم الله الرحمن الرحيم
الحمدللہ رب العالمین والصلاۃ والسلام علی رسولہ الكريم
भारतीय उप महाद्घीप के मुसामानो!
السلام علیکم ورحمۃ اللہ وبرکاتہ
रासुल अल्लाह (स0) का फरमान मुबारक है: مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ मोमिन की मिसाल فِي تَوَادِّهِمْ، وَتَرَاحُمِھِمْ، وَتَعَاطُفِھِمْ” अपसी मुहाबत, हमदRदी और कृपा के लिहाज़ से “مَثَلُ الْجَسَدِ ऐक शरीर की तरह है, إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ जब ऐक अँग मे कष्ट होता है تَداعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّھَرِ وَالْحُمَّى तो पुरा शरीर इसके लिये तख़लीफ और बुखार मे घर कर जाता है आप (स0) का फरमान है الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ मुसलमान मुसलमान का भाई है لَا يَظْلِمُهُ وَلَا يُسْلِمُهُ ना उस पर जुल्म करता है और ना उस को जुल्म के हवाले करता।
चन्द दिनो के अन्दर भारती क़ाबिज सेना ने कश्मीर मे साठ से ज्यादा मुसलमान शहीद किये, हज़ारो कलमा गौ मुस्लमान को घयाल कर डाला और वे शुमार मुसलमान को जेलो के अन्दर घकेल दिया। मॉऔ, बहनो और बुजुRगो की चीख़ और पुकार से हर मुसलमान का दिल ज़ख्मी है दीन से मुहावत और बतो की की पुजा करने बालो से स्वतन्त्रा की ख़तिर कुबाR नियो का लम्बा सफर सिद्ध करता है कि कश्मीरी जनता एक ज़िन्दा और मोमिन कौम है। इस कौम की ग़ैरते ईमानी मुदाR नही । ना भारती ज़ुल्म इस कौम का ज़मीर कुचल सका और ना ही अपनो की गद्दरीया और ख़यानते ईस्लाम और जिहाद के साथ इस का रिश्ता तोड़ सके । किसी ने साथ दिया भी शै रग के दावे करके मदद और विजय का यक़ीन दिला कर बीच सफर मे इसे तनहा छोड़ दिया----पर ये कौम किसी की परवह किये वग़ैर जवर के सामने डटी रही---- कुबाR नियो पर कुबाR निया दे कर आगे वढ़ती रही,कुफर की ग़ुलामी से इंकार और एक अल्लाह की बादशाहत का सबके सामने इसके इकरार का तरीका यही रहा । वहार हो या पतझड़ لاالہ الا اللہ की मान्निद अपने वरहक़ मुआक्कब और दीनी ग़ैरत से एक कदम भी पीछे नही हटी---कश्मीरी कौम की ये इमानी ग़ैरत अल्लाह कुबुल फरमाये, इसे पुरे उपमहाद्घीप के लिये नामुनाऐ अमल सावित करे और अल्लाह इस कौम की और कुफर के मुकावकले इसे खड़ा रखने वाले नेतृत्व की रहनुमाइ फरमाये – आमिन
अपने कश्मीरी भाईयो और उनके नेतृत्व के साथ हम इस मौके पर सवेंदना करते है । मगर इस भाषण का उद्देशय सवेंदना नही, दुख और ग़म का इज़हार सिफR नही, ऐकता और हमदRदी का खोखला मुज़ाहिरा नही, अलामी ज़मीर नामी बदवुदार लाश के सामने मुतालबात (Demand) करारदातो का का रास्ता दिख लाना भी उद्देशय नही बल्कि कश्मीरी भाईयो के ज़ख्मो पर मरहम रखना मुसलमान की मदद के लिये उम्मत मुस्लिमा के सामने फिकR और अमल की पुकार हमारा उद्देशय है ।
आदरणीय भाईयो !
इस दRद भरी सुराते हाल मे असल और अहम काम रास्ता की पहचान, दोस्त और दुश्मान की पहचान है ; मन्ज़िल की तरफ पहला कदम है अगर हमने उठा लिया तो ये इस मज़लुम कौम की दादरसी होगी। यही इन मज़लुम कौम के ज़खमो पर मरहम होगा लेकिन अगर हम अतीत की भूल भुलाइयो मे भटकते और अपने भाईयो को भटकाते रहे, डाकू और लुटेरो को अपना निजात दिलाने बाला जबकी इनके छल को मंजिले मकसूद बताते रहे तो अपनी इस मज़लुम कौम के साथ हमरी तरफ से इस से बढ़ कर ज़ुल्म और ज़्यादती नही होगी
कश्मीर के अज़ीज़ ग़ैरत ईमान से भरपूर कश्मीरी नोजावानो!
किया वक्त नही आया कि हम हमदRदी के इन दावोदारो को विदा करने को कहे, जो कश्मीर का मसले को हमेशा के लिये मसला ही देखना चाहते है । संयुक्त राष्ट संघ की शक्ल मे शैतान की सुझाव परिषद हो, पाकिस्तान सेना और सरकार की सुरत मे उम्मत के ग़द्दर मज़लुम कश्मीरीयो की समस्या की हैसियत उन वे ज़मीर के मनहुस खेल और वुरे कारोबार से ज्यादा नही,ईमान ईख़लास और शरियत की पैरवी ऐसे बुनयादी इरादे सफर जब ये लुटेरे और दुश्मान हो तो फिर उनसे किसी ख़ैर की आशा कैसी और क्यो? “बुतो से तुझ को उम्मीदे, खुदा से ना उम्मीदी” कश्मीरी के ज़ख्म को हरा भरा रखने की सियासत है। माऔ और बहनो की चीख़ पुकार से इन की दुकाने चलती है और कश्मीर घाटी मे सलग़ती आग को जलाये रखने से इनकी अय्याशियो और शाही ख़Rचीयो को सुरक्षा मिलती है। जो रास्ता ये दिखाते है इस की मंजिल नाकामी, ना मुरादी और दRद भरी पीड़ा के आलावा कुछ नही,अफसोस की बात है कि इस मजलुम कौम साथ गबन और गद्दीयो की ये दाँस्ता गैरो के मज़ालिम से कोई कम विसतृत नही 60, 65 वषोR की अवघि कम नही है कि अपने परायो हमदRद और ख़दग़जोR मे फकR ना कर सके ।
कशमीर और पुरे भारतीय उपमहाद्घीप के मुसलमान भाईयो!
किया ये कोई डकी छिपी बात है कि संयुक्त राष्ट संघ की हैसियत मज़रिमीने आलम के हाथ मे केवल हथियार की सी रही है। इस की तारिख़े इस्लाम और मुसलमान दुश्मनी से इवारत है। अपने वाजुद मे आने के बाद इसका पहला कारनामा फिलास्तीन की ज़मीन पर ईसराइल के नाज़ाईज़ वाजूद को ज़ाईज़ और कानूनी हैसियत देना था फिर यही ग़ासिब यहुदीयो के ख़िलाफ जिहाद को मुस्ताकिल आंतकवाद करार देता रहा, चेचनिया के मुसलमान के खिलाफ रुस के हाथ के हाथ इसी ने मज़बूत किये और तुकिRस्तान मे काबिज़ चीन के जुल्म को कानूनी जवाज़ यही फराहीम करता है । अफ़गानिस्तान, इराक, सीरिया पुरी दुनिया मे मुसलमानो के मुसलमान के मुकाबिल ग़ासबो और ज़ालिमो को यही संघ अमली मदद करता रहा है। फिर कश्मीर पर हिन्दुऔ ने नियान्त्रण, क्या इसी संयुक्त राष्ट संघ नही हुआ ? ये सब कुछ क्यो ना हो जब संयुक्त राष्ट संघ का नेतृत्व कोई और नही वही पाँच देश काबिज़ है जिन्हे मुसलमानो के खुन की चाट लगी हुई है ? बीटो पावर के हामिल यही देश, यही मुजरिमीन आज सीरिया के अन्दर एकजुट होकर मुसलमान पर बमबारिया कर रहे है। ऐसे मे हमे ये सत्य कुबूल करना चाहिऐ कि संयुक्त राष्ट संघ मसले कश्मीर समेत उम्मत के सारी समास्यो का कारण है, समाधान नही ये सत्य कुबूल करेगे तो असल समाधान की तरफ बढ़ना आसान होगा इन्शाल्लाह।
भारतीय उपमहाद्घीप के मुसलमान भाईयो !
कश्मीर सिफR कश्मीरी मुसलमानो की समस्या नही ये पाकिस्तान और हिन्दुस्तान बल्कि उम्मते मुस्लिमा के डेढ़ अरब मुस्लमान लोगो की समस्या है । इस समस्या की बुनयाद अक़ीदे है, मुस्लिम और हिन्दुऔ के बीच फकR और भेदभाव ही इस विवाद का आधार है । अत: हम बतौर मुसलमान कौम इस हल तजवीज़ करने मे आज़ाद नही, हमारा ये अधिकार ही नही कि कश्मीर और भारतीय उपमहाद्घीप के मुसलमानो को कुफर और शिकR के ग़लबे मे दे, और ले देकर हिन्दु मुस्लिम भाई भाई का नार लागाये । अल्लाह ने इस विवाद का समाधान अपनी किताब मे नाज़िल फरमाया है जिस के हम पाबन्द है, इसका समाधान जिहाद है کتب علیکم القتال जिहाद तुम पर फज़R मज़लुम के मकाबिल ज़ालिम का हाथ रोकने के लिऐ जिहाद, इंसानो को इंसानो की ग़ुलामी से निकाल कर केबल एक अल्लाह की ग़ुलामी मे देने के लिऐ जिहाद और ग़ैरोल्लाह के जुल्म और जबर पर आधारित निजामो को तोड़ कर एक अल्लाह जिस का कोई शरीक नही, कि इंसाफ की शरियत कायम करने के लिए लिए जिहाद ----ये वह जिहाद जो आज फज़R ऐन है और इस फज़R से बतौर मुसलिम कौम चूक और लापरवाही मे ही है, कि जिसका भुगतान कशमीर और पुरे भारतीय उपमहाद्घीप के मुसलमान भुगत रहे है हमे ये मान्ना पड़ेगा। कश्मीर का मामला राजनीतिक या आथिRक नही, ये दीनी मामला है, अल्लाह के सामने जाबाब देने का मामला है । अल्लाह ने एक समाधान एक रास्ता एक अदशR बता दिया है وَقَاتِلُوهُمْ और उनके खिलाफ लड़ो, कब तक? حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ जबतक कोई संविधान, कोई कानुन, कोई दीन, कोई निज़ाम कोई और ताकत ग़ालिब ना रहे। रहे तो केबल अल्लाह की किताब, अल्लाह का दीन وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ की शरियत हाकिम और ग़ालीब रहे।
कशमीर मेरे के मुस्लमान भाईयो!
अल्लाह रब्बुल इज़्ज़त ने अपने खिलाफ खड़े बागियो के साथ मामला का तरीका यानी जिहाद और क़िताल भी बता दिया और इस जिहाद का पहला उद्देशय भी साफ साफ कर दिया ये उद्देशय अल्लाह की शरियत का कियाम है, अल्लाह नाज़िल करदा शरियत का कियाम ही मज़लुम के आंसू पुछेगे, और इसी से जुल्म का अन्त होगा । जिहाद उद्देशय केवल ये नही है कि एक ज़ालिम को हटा कर दुसरे ज़ालिम और अल्लाह के बागी को म़जलुमो के सरो पर मुसाल्लत किया जाये मक़सद और लक्षय असमानी इंसाफ का कायम होना है। य न्याय के रुप मे शैतानो की जिहालत पर आधारित संविधान कानून मे नही! इंसाफ तो वो है जो इंसानो के रब अल्लाह ने आसमानो के उपर से नाज़िल किया, इस आसमनी इंसाफ के सिबा हर कानुन,हर सविधान और हर निज़ाम ज़ुल्म है ज़िहालत और तमाम मखलुकात मे सबसे अज़ीम इन्सान की तोहीन है । وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ अत:एक हक़ीकत हमे कुबूल करनी चाहिये कि ज़ुल्म छुटकारा और इंसाफ कियाम ज़ालिमो के सामने रोने धोने से अधिकार की भीक मांगने, लोकतन्त्र मे खेल तामाशो मे शामिल से ना कभी हासिल हुआ है, और ना कभी हासिल होगा । कशमीर के मज़लुमो को इंसाफ दिलाने और भारतीय उपमहाद्घीप के मुसलमानो के ज़ुल्म और ज़बर से स्वतन्त्र कराने के लिये एक रास्ता जिहाद ही है फ़ोकाहा की किताबे गवह है कि आज ये जिहाद नफ़ल नही मुस्ताहब नही नमाज़ रोजो की तरह फज़R ऐन है।
कशमीर और भारतीय उपमहाद्घीप के मज़लुम मुसलमान भाईयो!
फिर इस हक़ीकत को कुबूल किये वग़ैर भी चारा भी नही कि ये जिहाद पाकिस्तानी सेना और ख़ुफिया ऐजाँसियो के असर से स्वतन्त्र ना हुआ तो कश्मीर की मज़लुम की ये रात लम्बी तो होगी मगर ख़त्म कभी नही होगी। आप (स0) का फरमान है: “मोमिन एक सुरग़ से दो बार नही डसा जाता” (لا يُلْدَغُ المؤمنُ من جُحْرٍ مرتين) क्या जिहादे कशमीर की तारिख़ आँखे खोलने के लिये काफी नही है ? कि पाकिस्तान पर नियन्त्रण इस सेना का मकसद मज़लुम कश्मीरीयो की मदद नही, अपना लाभ है । धन और दौलत की हुसुल अपनी अय्याशीयो की तहफ्फुज़ इन की पालिसी है और हिन्दुस्तानी मुसलमान और कश्मीर के दिफा से इनहे कोई सरोकार नही। जो सेना अमरीकी डालार लेकर इस्लाम के ख़िलाफ बरसरे जंग हो मुजाहिदीन उम्मत और मुसलमान जनता की कातिल हो मस्जिदो, मदारसो पर बमबारीया जिस की आदत हो और अल्लाह की शरियत चाहने बालो को घोर यातना देना ही जिस का धन्दा हो वह किसी मजलुम की खातिर अपनी नौकरी वेतन और अय्याशी खतरे मे डालेगी ? ना मुमकिन है
कश्मीर के अज़ीज़ भाईयो !
ये उम्मते मुस्लिम के बेदारी और कुफर की रुसवाई का दौर है आज कुफर के मुकाविल उम्मत की रक्षा मे लड़ने वाली ताकाते ये राष्टीय सेना नही है; अगेंzज की तैयर करदा ये सेना कुफर के शासन की चौकीदार, रक्षक, उम्मत पर हमला और ईसाईयो की सहयोगीयो और इस्लामी बेदारी के खिलाफ लड़ने बाली हर पहली टुकड़ीयी मे से है । इन की जिम्मदारी कुफर की खिंची गई उन लकीरो की सुराक्षा है जो इस उम्मत को टुकड़ो मे वितरण करता है, आज आफग़ानिस्तान से लेकर सीरिया तक अन्तरराष्टीय कुफर के बदमाशो और जाविरो के खिलाफ इस्लाम और मुस्लमान की रक्षा के लिये अगर कोई खड़ा है तो वह मुजाहिदीन इस्लाम है ये वो शेर है जो किसी सेना और सरकार के अनुयायी और भीकारी नही अल्लाह की बेनियाज़ ज़ात उनकी हादी व नासिर है जबकि मुसलमान जनता ही उन के अन्सार व मददगार...!
कश्मीर के मेरे नोजवान भाईयो और बुजरगो !
मजलुम कश्मीरीयो के जख़्मो पर मरहम पर रखने के लिये उन मुजाहिदीन और मुसलमान जनता को देखिये, केवल वह मुजाहिदीन ही आप के दुखो को दुर कर सकते है जो अपने उद्देश्य, लक्ष्य, नीति और विचार धारा मे किसी शैतानी सरकारो, सेनऔ और ख़ुफिया ऐजाँसिया के अनुयायी और भिकारी ना हो । तारीख़ गवह है कि पाकिस्तानी ख़ुफिया ऐजाँसिया की निगरानी मे उन के सहयोग से लड़ना, जिहाद के लाभ बरबाद करवाना और मजलुम कश्मीरीयो पर जुल्म मे ज्यादा बढ़ोतरी करवाना है, इसलिए कि सेना और मुजाहिद की अक़ीदे, विचार धारा, izशिक्षण और लक्ष्य मे ज़मीन और असमान का फकZ होता है। सन 2002 ई0 मे भारतीय सेना ने सीमा पर आकर जब पाकिस्तानी सेना को थोड़ी सी ताकत दिखाई, तो ये इस के सामने मुकाम्मल बुझ गई। कल तक जिहाद के समथRन करने वाले जरनल जिहादे कश्मीर को को आतँकवाद कहने लगे, कश्मीरी संगठनो पर पाबन्धि लगा दी गई, शरणाथीR मुज्जफ़ाराबाद और मानसेरा से शिविरो के क़ैदी बन गये, जिहादी मैदान से रोक कर इन्हे मज़दुरी पर मजबुर किया गया, किसी मुजाहिदीन ने भारतीय सीमा को पर करना चाहा तो उसे पाकिस्तानी सेना की गोलीयो से शहीद होना पड़ा, कश्मीर को अपनी शै रग (महाधमनी) गिन्ने बालो के हाथो स्वतन्त्रता के आंन्दोलन की पीठ मे छुरा घोपा गया और कश्मीरीयो को बेरहम हिन्दुऔ के रहम करम पर छुड़ दिया गया!.... ये सब कुछ क्यो ? इस लिये कि भारतीय सेना के दवाव और अमरीकी नारज़गी के सामने डटना उनके डाक्टरयन ही से बहार था, कश्मीरी बहनो और बेटीयो की इज़्ज़ते लुटती रही और मज़लुम कश्मीरीयो पर जुल्म मे बढता रहा, मगर पाकिस्तानी जरनलो ने जिहाद से ग़द्दारी करके अपने सरो से कुछ समय के लिये वक्ती खतरा टाल दिया....हिन्दुऔ के घमाड और जुल्म आसमान को पोछ गया, मगर पाकिस्तानी सेना की बदीR, वेतन और अय्याशी सलामत रही ।
इसके विपरीत आफ़गानिस्तान के मुजाहिद सिपाह सालार और मोमिन शासन की मिसाल देखिये- ये मुजाहिद क्योकी “ काकोल ” के पzशिक्षित नही थे ..... अल्लाह की किताब, मस्जिद,मदरसे और जिहादी मैदान से आप को शिक्षा पzशिक्षण मिला था, इसलिये अमरीका ने जब आप से एक मुसलमान मांगा तो आप ने अस्वीकार कर दिया। समय के फिरऔन ने आफ़गानिस्तान को पत्थर के काल मे धकेलने की धमकी दे दी, आप नही छुके....आप ने जवाव दिया, “ ये मामला एक मनुष्य का नही, कुफर और इस्लाम का मामला है । अमरीकी आफ़गानिस्तान के हर पेड़ और पत्थर को जला कर राख़ कर डाले, तो परवाह नही, मेरी ईमानी ग़ैरत इस को स्वीकार नही करती, कि मै किसी एक मुसलमान को भी काफिर के हवाले करदु ” अमरीका पचास से ज्यादा देश की कील काँटे लैस सेना के साथ हमलावर हुआ, डोRन, वी बामान, एफ सोलह समेत सारी नवीनतम टेकनोलोजी आज़माई गयी । आखिर कार अमरीका शिकश्त के धहाने पर आ पोछा, इस्लाम का बोल बाला हुआ, तोहीद का झन्डा आज भी आधे से ज्यादा आफ़गानिस्तान पर लहरा रहा है जिस जिहादी आन्दोलान को ख़त्म करने की ख़ातिर अमरीका आफ़गानिस्तान पर हमलावर हुआ था, वह आफ़गानिस्तान से निकाल कर अलहमदुललील्ह पुरी दुनिया मे फैल गया !!
ये फकR है मुजाहिद और फौजी के बीच ! अल्लाह पर ईमान रखने बाले मुजाहिद और दुनियावी ताकत को अपना खुदा समझने वाले फौजी एक जैसे हो सकते है ? अल्लाह की रज़ा के लिये लड़ने वाले और रुपये पैसो और तरक्की के लिऐ हथियार उठाने वाले बीच कोई कम फकR नही! मुजाहिद कुफर का दवाव, इस की सेना टेकनोलोजी देखकर ईमान नही बेचता, कुफर की ताकत के पzभाव मे आकर वह अपने मज़लुम भाईयो को वे यारो मददगार नही छोड़ता । हर दिशा मे दुश्मान की ताकत को देखकर नही झुकता, सज्दा नही करता वल्कि इस का ईमान अपने ख़िलाफ ज़ालिमो की ताकत देख कर औरज्यादा ताकतवर हो जाता है इस लिऐ कि वह अल्लाह ही मदद और आज्ञा के पालन मे लड़ता है । अल्लाह ताला फरमाते है [الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ]۔۔۔---मोमिन वह है जब लोग इन्हे कहते है “إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ”---- लोग तुम्हारे ख़िलाफ जमा होऐ है, डरो उन से “[فَزَادَهُمْ إِيمَانًا]”----तो उनका ईमान बढ़ जाता है “[وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ]”---- और कहते है अल्लाह हमारे लिये काफी है और अल्लाह ही वहतरीन मददग़ार है------मुजाहिद, जिहाद को देश की नीति नही, बल्कि ईबादत समाझता है, मज़लुम की मदद उस के नज़दीक गन्दी राजनीति नही, अल्लाह की कुरबत का ब़सीला होती है। जब के फौजी विरोद्धी ताकत देख कर ढेर हो जाता है, तादाद मे एक लाख होने के वावजूद हिन्दु सेना के समने आत्मसRमपण हो जाना इस के लिये कोई मसला ही नही होता,आधे पाकिस्तान को हिन्दु और मशरिRक (बुतो के पुजारीयो) के हवाले करता है और It’s Part Of the game कहकर वे शमीR और वे ग़ैराती की तारिख़ लिखता है । यही फक है शाहीन चरित्र मुजाहिद और गिद्ध फौजी के बीच!
परवाज़ है दोनो की,ऐक फिज़ा मे
करग़स का जहाँ और है, शाहीन का जहाँ और
अत: कश्मीर के अज़ीज़ के भाईयो!
आज़ादीये कश्मीर शुद्ध शरीय आधार पर जिहादी आन्दोलन खड़ा किये वगैर ना मुमकिन है । ऐसे आन्दोलन जो किसी सेना या सरकार के सहयोग और निग़रानी मे नही, बल्कि पाकिस्तान और हिन्दुस्तान के मुसलमान जनता की हिमायत और मदद पर खड़ी हो । ऐसे आन्दोलन जो अल्लाह के दुश्मन काफिरो से नफरत और जबकि मोमिनीन की हिमायत पर यक़ीन रखता हो, जो लोकतन्त्र के कुफरीया खेल तामाशो से दुर, शरीयत का अनुसरण ही को अपना पहला लक्ष्य समझता हो । जिस का उद्देशय कश्मीर के साथ साथ भारतीय उपमहाद्धीप मे दीने मुहाम्मदी (स0)को लागू करना हो।
ख़ुफिया ऐजँसिया क असर से पावित्र ये ख़ालिस जिहाद काठिन जरुर है मगर ना मुमकिन वास्तव मे नही, निणRय कठिन और आसान के बीच नही, जिहाद के लाभ, अपने हाथ रखने या दुश्मन की झोली मे डालने के बीच मे चुनाव की समस्या है । अलहमदुलील्ह,शैतानीयत के असर से बिल्कुल स्वतन्त्र जिहाद आज पुरी दुनिया मे हो रहा है । चेचनिया, यमन, सोमालीया, दक्षिण इस्लाम, इस्लामी तुकिRस्तान सब से बढकर अमारते इस्लामी आफग़ानिस्तान और सीरिया की सर ज़मीन की जिहादी आन्दोलन हमारे लिए अनोख़े उधारण है । इन जिहादी आन्दोलनो ने सिद्ध कर दिया, कि इस्लाम और मुस्लमानो की रक्षा उस समय हो सकती है, जब ये शैतानी सेना और सरकारो से जिहाद आन्दोलन बिल्कुल स्वतन्त्र हो । वतRमान समय का जिहादी इतिहास यही सबक देता है । अत: अल्लाह से डरने और केवल उसी पर यक़ीन की जरुरत है, अल्लाह ने हमे हक़ीक़त बता दी है “ जो अल्लाह का तग़वा धारण करे, अल्लाह उस के लिये स्त्रोत वास्तव मे पैदा फरमायेगा और ऐसे स्थान से उस को अन्न देगा जहाँ से उसका ग़ुमान भी न हो “[وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ]’’ आगे अल्लाह फरमाता है “[وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ]” जो अल्लाह पर तवाक्कल करता है “[فَھُوَ حَسْبُهُ]” तो अल्लाह ताला उस के लिये काफी है “[إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ] ” अल्लाह अपने फैसले पुरे फरमाता है । अल्लाह का वादा है कि उस की रज़ा के लिये जो जिहाद करेगा अल्लाह ताला उस की जरुर रहनुमाइ फरमायेगा “[وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَھْدِيَنَّھُمْ سُبُلَنَا]”हम अगर अल्लाह पर याक़ीन करके साफ सुथरी दावत और जिहाद का परचम उठाये तो अल्लाह जरुर रहनुमाइ फरमायेगा “يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا” ऐ ईमान वालो ! “إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ ”अगर तुम अल्लाह की मदद करोगे तो वह भी तुमहारी मदद करेगा “وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ” और तुमको सावित रखेगा।
अत: कश्मीर के ऐ मेरे नोजवान भाईयो और आदरणीय बुजुRगो
जुल्म से ख़लासी और इंसफाफ के कियाम का यही ऐक रास्ता है । इस रास्ते पर आप बढाये, हम आप के साथ है, आपके साथ दनिया भर के मुजाहिदीन आप की पुश्त पर खड़े है । पाकिस्तान और हिन्दुस्तान की मुसलमान जनता इनशाल्लाह आप के अन्सार बनेगे। अल्लाह पर भरोसा कीजिये “إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّهُ”, अगर अल्लाह आप की मदद करे।“فَلَا غَالِبَ لَكُمْ” तो कोई तुम पर ग़ालिब नही होगा।“وَإِنْ يَخْذُلْكُمْ” और अगर अल्लाह ने तुम्हे छोड़ दिया “فَمَنْ ذَا الَّذِي يَنْصُرُكُمْ مِنْ بَعْدِهِ” तो कौन है जो उस के बाद तुम्हारी मदद करे? “وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ” और मोमिन अल्लाह ही पर तवाक्कल करता है।
पाकिस्तान बंग्लादेश और हिन्दुस्तान के मुसलमान भाईयो !
मज़लुम कश्मीरी भाईयो की मदद और भारतीय उपमहाद्घीप मे ज़ालिमाना निज़ामे कुफर समाप्त करने के लिये जिहाद हम पर फजR है कश्मीरी जनता ने बहुत कुबRनीया दी है ये कुबRनीया तब ही रंग लायेगी जब हम पाकिस्तान, हिन्दुस्तान और बंग्लादेश के मुसलमान भी ’حیی علی الجہاد ‘ की पुकार पर हाज़िर हो, कहने वाले वन जाये । एक सफ बन कर काफलाऐ जिहाद को तक़बियत बख़्शे और इस जिहाद को शैतान के हमलो से महफुज़ भी रखे । देर बहुत हो चुकी और ज्यादा देर अल्लाह की शायद नाराज़गी का कारण हो सकता है ।“يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ” मोमिनो ! तुमहे किया हुआ है कि जब तुमसे काहा जाता है कि जिहाद के लिऐ निकलो “اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ” तो तुम ज़मीन पर गिरे जाते हो “أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ” क्या तुम आख़िरत को छुड़कर दुनिया की ज़िन्दगी पर खुश हुए बैठे हो “فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ” दुनियावी ज़िन्दगी के लाभ तो आख़िरत के मुकाबिल बहुत ही कम है “إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا” अगर तुम नही निकलोगे तो अल्लाह तुम्हे बढी तकल़िफ का आज़ब देगा “وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُم” तुम्हारी जगह और लोग पैदा कर देगा “وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا” और उसको कुछ नुकसान ना पोंछा सकोगे “وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِير” और अल्लाह हर चीज़ पर कुदरत रखता है।
अल्लाह हमारी रहनुमाई फरमाये, कश्मीरी मुसलमानो के सबz और इशतेकामत मे बढोतरी करे और महान कौम की कुबRनीयो की बरक़त से पुरे भारतीय उप महाद्घीप मे ग़लबा हमे दिखाये
آمین یا رب العالمین

وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین

[umar mukhtar]

ইংরেজি টেক্সট




بسم الله الرحمن الرحيم
الحمدللہ رب العالمین والصلاۃ والسلام علی رسولہ الکریم
My Muslim brothers from the Subcontinent,
Assalaamu alaikum wa rahmatullahi wa barakaatuh.
The Messenger of Allah ﷺ has said,
مثل المؤمنين في توادهم وتراحمهم وتعاطفهم مثل الجسد إذا اشتکی منه عضو تداعی له سائر الجسد بالسهر والحمی
“The similitude of believers in regard to mutual love, affection, fellow-feeling is that of one body; when any limb of it aches, the whole body aches, because of sleeplessness and fever.”
And he ﷺ has said,
المسلم أخو المسلم لا يظلمه ولا يسلمه
“A Muslim is a brother of another Muslim, so he should not oppress him, nor should he hand him over to an oppressor.”
In just a few days, the Indian occupation force has martyred over 60 Muslims, injured thousands of Muslims, and shoved countless Muslims into prisons. Screams and shouts of mothers, sisters, and elders have wounded every Muslim’s heart. This long journey of sacrifice for the love of the Islam and for freedom from the polytheists, Hindus, is proof that the Kashmiri nation is alive and full of faith. Their dignity of faith is not dead. The Indian oppression has not been able to crush their conscience. Likewise, treason and betrayal within our own ranks have not succeeded in breaking its ties with Islam and jihad.
If anyone offered it any cooperation, they offered it after proclaiming [Kashmir] to be the jugular vein, and then assuring to help and support; and then—right in the middle of the journey—they forsake it, and left it on its own. Still, the Kashmiris—without worrying about others—continued to stay firm in the face of cruelty, continued to march forward by offering one sacrifice after another. Refusing slavery of Kufr, and categorically accepting the kingship of Allah Alone has been their legacy. In the spirit of “Come what may/ La ilaha illa Allah, we shall say” they have retreated not one bit. May Allah accept this dignity of faith from them; and make it an example to be emulated. May Allah guide the leadership that keep it standing against Kufr. Aameen.
With regard to the martyrs, we offer our condolences to our Kashmiri brothers and their leaders. The purpose of this message though, is not merely to condole, not merely to express sorrow, not merely to make a superficial show of solidarity and sympathy. The purpose is not to show them the way of presenting demands and resolutions to the putrid dead body called conscience of international community either. What we want is to help heal the wounds of our Kashmiri brothers. The purpose is to call the Muslim Ummah to be concerned about, and to take action in support of the Muslims of Kashmir.
Respected brothers,
In this painful situation, the critical issue is to identify the path; to identify who is friend, and who is foe. If we successfully carry out this first step, then we would truly have heartened this oppressed nation. That is what would really amount as dressing their wounds. However if we continue to wander in mazes ourselves, and mislead our brothers; continue to consider robbers and looters, guides and saviors; continue to consider mirages, destinations and objectives—as what happened in the past—then there would not be any greater injustice on our part towards the oppressed Kashmiri people.
My dear Kashmiri brothers, young men full of dignity of faith.,
Is it not time that we say goodbye to those who have asserted sympathy and well-wishes, and yet want the Kashmir dispute to remain a dispute. Whether they be Satan’s parliament in the form of the United Nations, or traitors of the ummah in the form of the Pakistani military and government, the issue of oppressed Kashmiris is no more than a dirty game, and an ugly trade for these immoral, corrupt people. Since they are averse to faith, sincerity, and obedience of shari’ah—the basic characteristics needed on the path—then, how can there be any good expectations from them?
Keeping away the wounds of Kashmiris from healing is part of their politics. Their business flourishes with the screams of mothers and sisters. Keeping the blazing fire burning in the valley of Kashmir, safeguards their extravagant spending and enjoyments. The path that they show ends in nothing but failure, helplessness, and agony. Regrettably, the long chronicle of this treachery and betrayal of the oppressed nation is no shorter than that of oppression meted out by outsiders. The period of 60 to 65 years is long enough for us to be able to distinguish between friends and foe, between the sympathizers and the selfish.
My brothers from Kashmir and from the entire Subcontinent,
Is it any secret that the United Nations is no more than a weapon in the hands of the criminals of the world? Its history is an expression of animosity towards Islam and Muslims. Right after its inception, its first feat was allowing, rather, granting legal status to the unacceptable existence of Israel in Al-Quds. Moreover, it was this very organization that has continued to label the jihad against the Jewish occupation, “terrorism.” It strengthened oppressive Russia against the oppressed Muslims of Chechnya. It is it that gives legal cover to China’s oppression, which has occupied Turkestan . It is the same organization that has been providing tangible support to the oppressors and occupiers, against the Muslims in Afghanistan, Iraq, Syria—and the entire world. Besides, did not the Hindu occupation of Kashmir take place under the supervision of this very United Nations? It is not at all surprising, since the leadership of the United Nations is in the hands of none other than those same five countries that have become addicted to spilling Muslim blood. These very veto-power countries, these very criminals have joined hands, and are bombing the Muslims in Syria. In these circumstances, we should accept the fact that the United Nations is the cause of—and not the solution to—all of Ummah’s conflicts, including Kashmir! If we accept this truth, then moving towards a real solution can become easier.
My Muslim brothers from the Subcontinent,
The Kashmir dispute is not just a problem of the Muslims of Kashmir. It is a problem of Pakistan and India’s Muslims, rather a problem of the entire Ummah’s 1.5 billion Muslims. The basis of this dispute is creed. Its basis is the very difference between a Hindu and a Muslim. Hence, as Muslims we are not free to suggest a solution to this problem. We do not have the right to choose to let the Muslims of Kashmir and of the Subcontinent get dominated by Kufr and Shirk (Disbelief and Polytheism) and end up chanting the slogan, “Hindus and Muslims are brothers!” Allah (SWT) has revealed the solution to this problem in His Book which we are bound to follow. That solution is jihad— کتب علیکم القتال Fighting has been enjoined upon you—jihad to stop the oppressor, to help the oppressed; jihad for relieving humans from slavery to other humans to being slaves only of their Lord, Allah; jihad to demolish oppressive systems of other-than-Allah, and to establish the just shari’ah of Allah, The One Who has no partners. The Kashmiri Muslims, rather the Muslims of entire Subcontinent, are paying for the negligence and shortcomings on our part as Muslim nation, towards this jihad that is an individual obligation today. We would have to accept that the Kashmir issue is not a political or economic issue; it is a religious issue; it is a matter of accountability in Allah’s court. Allah has told us one solution, one path, one principle: وَقَاتِلُوهُمْ “and fight them.” Until when? حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ Until no constitution, no religion, no system, no power remains dominant—nothing other than the Book of Allah, the Deen of Allah. وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ… Until Allah’s Shari’ah becomes the law, until it becomes dominant!
My Muslim brothers from Kashmir,
Allah has told us how to deal with those who rebel against Him, i.e. jihad; and he has also told us the prime purpose of this jihad. That purpose is establishing the shari’ah. It is only the establishment of the shari’ah sent down by Allah that would wipe off tears of the oppressed; and that is what would end injustice. The purpose of jihad is not at all to remove one oppressor, and impose over the oppressed, in his place, another oppressor rebelling against Allah. The purpose is to establish heavenly justice. That justice is not in the ignorance-based constitution and law of the devils disguise as human being. Real justice is that which Allah, The King of Kings, sent down from above seven heavens. Besides this heavenly justice, every law, every constitution, every system is injustice. It is ignorance. It is an insult and sacrilege against humans, the most noble of creation. وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ Hence we need to accept that salvation from oppression; and establishment of justice have never been attained and will never be achieved by weeping, begging for rights, or by participating in plays of democracy. The only way to get justice for the oppressed Kashmiris, and the only way to get freedom for the Muslims of the Subcontinent from this pagan system, which is an expression of oppression and cruelty, is jihad.
The books of Islamic jurists (fuqahaa) bear testimony to the fact that today this jihad is not a voluntary deed, it is not merely a recommended deed, but like the five prayers and fasting, it is an individual obligation.
Oppressed Muslim brothers from Kashmir, and from the rest of the Subcontinent,
Furthermore, there is no option other than to acknowledge the fact that if this jihad is not liberated from the influence of the Pakistani military and intelligence agencies, then this night of oppression on the oppressed Kashmiri people would not only become long, it would never end. The Prophet ﷺ had said,
لايلدغ المؤمن من جحر مرتين
“A believer is not stung twice (by something) out of one and the same hole.”
Is not the history of Kashmir’s jihad enough to make it clear that the objective of this military is not helping the oppressed Kashmiris, it has its own vested interests. Gathering wealth and securing their extravagant indulgences is their policy. They have no interest in defending the Muslims of India and Kashmir. A military that is at war with Islam after receiving US dollars, one that is a killer of the common Muslims and Ummah’s mujahideen, one that routinely bombs masjids and madrasas, one whose vocation is torturing the seekers of Allah’s shari’ah; how can it risk its employment, its salaries, its pleasures for anyone oppressed? That is impossible!
Dear Kashmiri brothers,
This is an era of awakening of the Muslim Ummah and of humiliation of the disbelievers. Today, the forces fighting kufr, in defence of the Ummah are not the national armed forces. The armed forces established by the Englishmen are night watchmen and guards of kufr’s system. They are allies of the Crusaders attacking the Ummah, and a frontline unit fighting the Islamic awakening. Their responsibility is guarding those blood-covered lines that the disbelievers drew to divide the Ummah in parts. From Afghanistan to Syria today, if anyone stands against the gangsters and aggressors of the world of kufr, it is the mujahideen of Islam. They are the lions who are not subservient to, and not dependent on, any military or government. It is Allah, the Self-Sufficient, who is their Guide and Supporter; and it is the Muslim public that is helping and supporting them [with Allah’s leave].
My young brothers and elders from Kashmir,
To help heal the wounds of oppressed Kashmiris, turn towards these mujahideen, and this Muslim public. Only these mujahideen can console your grief, who in their purpose, objectives, policy, and ideology are neither subservient to, nor dependent on any taghooti government, military, or intelligence agency. History testifies to the fact that fighting under the supervision and with the cooperation of Pakistani agencies is tantamount to wasting the fruitage of jihad and getting the injustice on oppressed Kashmiris to increase.
It is so because there is a world of difference between a military serviceman’s and a mujahid’s creed, ideology, training, and objectives. In 2002, when the Indian Army approached the border and showed Pakistan Army a bit of force, the latter became completely submissive. The generals who a day earlier were advocating for Kashmir’s jihad, started terming it “terrorism.” Bans were placed on Kashmiri organizations. Emigrants became prisoners in Muzaffarabad and Mansehra’s camps. After being barred from battlefields of jihad, they were forced into manual labor. If a mujahid tried crossing the Indian border, he ended up getting martyred by Pakistan Army’s bullets. The freedom movement was stabbed by people who had considered Kashmir their jugular vein; and the oppressed Kashmiris were left at the mercy of the merciless Hindus. Why? Because showing resolve in the face of Indian military pressure and American discontentment is not part of their doctrine to begin with. The robbing of Kashmiri sisters’ and daughters’ dignity and modesty continued. There was no reduction in the persecution of the abused Kashmiris. In the meanwhile, the Pakistani generals temporarily pushed off danger from themselves by betraying the Kashmiri jihad. Hindus’ arrogance and oppression skyrocketed, but Pakistani servicemen’s uniforms, salaries, and extravagant enjoyments remained safe.
In contrast, look at the example set by the mujahid commander-in-chief, and a truly believing ruler of the land of Afghanistan. Since this mujahid did not get his training from Kakul [Pakistan’s military academy], since he had received his training from the Book of Allah, from masjid and madrasa, from the battlefields of jihad; when America asked him for a single Muslim, he refused. The Pharaoh of our times threatened to send Afghanistan back to the Stone Age. But, he did not buckle. His response: “It is not a matter of one individual; it is a matter of Islam and Kufr. Even if the Americans burn Afghanistan’s every tree and every rock to ashes, there is no need to worry. My dignity of faith cannot bare handing over even a single Muslim to a kafir!”
America invaded along with the heavily-armed forces of over 50 countries. Drones, B-52s, F-16s—all sorts of new technologies were tested. Fire and explosives were rained down. But this servant of Allah did not bend down for a moment, did not get intimidated, kept on fighting, and kept on recording a great saga of sacrifices, of martyrdom.
In the end, America reached the beginning of defeat. Islam’s prestige spread. Even today the flag of tawheed continues to flap over more than half of Afghanistan. The very jihadi movement that America had invaded Afghanistan wanting to exterminate, spread beyond Afghanistan, all over the world! And it is Allah Who deserves all praise!
That is the difference between a mujahid and a military serviceman. How can the mujahideen who believe in Allah be equal to military servicemen who take worldly forces as their god? The difference between the one fighting for Allah and the one who has carries arms for money and promotions, is not a minor one. A mujahid does not sell out his faith on encountering pressure from kuffar, on seeing their forces and technology. He does not abandon his oppressed brothers, leaving them helpless, out of intimidation from the might of Kufr. He does not bow down in front of the enemy after seeing its forces surround him. He does not put down his forehead on the ground in prostration to them. Rather, on seeing the might of the tyrants against him, his faith strengthens. That is so because it is with Allah’s Help, and in His obedience that he fights!
Allah, The Owner of Might and Honor says,
الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ
“The believers are those to whom people said”,
إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ
“The people have gathered against you; so, fear them.”
فَزَادَهُمْ إِيمَانًا
It increased them in Faith
وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
and they said, “Allah is fully Sufficient for us, and the Best One in Whom to trust…”
For a mujahid, jihad is not a matter of national policy; rather it is an act of worship. Helping the oppressed is not dirty politics, but a means of getting closer to Allah. On the contrary, a military serviceman becomes utterly despondent on encountering opposing force. Despite being 100,000 in numbers, surrendering in front of the Hindu army is a non-issue for him. He hands over half of Pakistan to the Hindus, the polytheists, the idol-worshippers; and registers a page of shamelessness and disgrace by saying, “It’s part of the game.” That is the difference between the Eagle-like mujahid and the vulture-natured military man!
پرواز ہے دونوں کی، اسی ایک فضا میں
کرگس کا جہاں اور ہے ، شاہیں کا جہاں اور
Their flights are both in the same atmosphere, the same air
An Eagle’s world though, and that of a vulture, do not compare!
So my dear Kashmiri brothers,
Liberation of Kashmir is not possible without establishing a jihadi movement purely on the foundation of shari’ah; a movement that stands not on cooperation with, and under supervision of a military or a government, but on support of the Muslim masses of India and Pakistan; a movement that believes firmly in animosity against the enemies of Allah and in supporting the believers; one that considers following only the shari’ah while staying away from pagan plays and delusions of democracy, its foremost goal; one whose objective, besides liberation of Kashmir, includes implementation of the religion of Prophet Muhammad ﷺ.
While this pure jihad, that is free of the influence of agencies, is difficult; it is definitely not impossible. It is not about deciding between easy and difficult, but about choosing between keeping the fruitage of jihad in our own hands, and letting it fall in the enemy’s lap. Alhamdulillah, jihad that is completely free of the influence of tawagheet is being waged all over the world. The jihadi movements of Chechnya, Yemen, Somalia, Islamic West (Morocco, Algeria, Tunisia), Islamic Turkestan, and above all, of the Islamic Emirate of Afghanistan and of Syria are fine examples for us. These movements have proved that defense of Islam and Muslims becomes possible when a jihadi movement is completely free of the influence of taghooti forces and governments. That is the lesson learned from contemporary jihadi history. Hence, only fearing Allah and relying on Him is what is needed. Allah has told us this fact,
وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا * وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ ۚ وَمَن يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ فَهُوَ حَسْبُهُ إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ ۚ
“And whoever fears Allah, He will make for him a way out. And will provide for him from where he does not expect. And whoever relies upon Allah, then He is sufficient for him. Indeed, Allah will accomplish His purpose.”
Allah has promised that whoever wages jihad seeking Allah’s pleasure, Allah would surely guide him. وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَھْدِيَنَّھُمْ سُبُلَنَا If we put our trust in Allah and then raise the banner of a clean and clear da’wah and jihad, then Allah would surely help us.
إن تنصر اللہ ینصرکم!
So, my young Kashmiri brothers and most respected elders,
This is the only way for liberation from oppression, and establishment of justice. March forward on this path; and we are with you. You have the backing of Islam’s mujahideen from around the world. People of Pakistan and India would, Allah willing, be your supporters. Put your trust in Allah. إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّه “If Allah should aid you, فَلَا غَالِبَ لَكُمْ no one can overcome you; وَإِنْ يَخْذُلْكُمْ but if He should forsake you, فَمَنْ ذَا الَّذِي يَنْصُرُكُمْ مِنْ بَعْدِهِ who is there that can aid you after Him? وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ And upon Allah let the believers rely.”
My Pakistani, Indian, and Bangladeshi Muslim brothers,
Waging jihad for helping the oppressed Kashmiri brothers and ending the oppressive pagan system in the Subcontinent is also an obligation on us. The Kashmiri people have offered many a sacrifice, which would only bear fruit when we, the Muslims of Pakistan, India, and Bangladesh too respond to the call of jihad and then, not only strengthen the caravan of jihad as one unit, but also safeguard this jihad from the attacks and scheming of tawagheet. Much time has already passed. Delaying any further may result in Allah’s severe displeasure.
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ (38) إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُمْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ۔
“O you who have believed, what is [the matter] with you that, when you are told to go forth in the cause of Allah, you adhere heavily to the earth? Are you satisfied with the life of this world rather than the Hereafter? But what is the enjoyment of worldly life compared to the Hereafter except a [very] little. If you do not go forth, He will punish you with a painful punishment and will replace you with another people, and you will not harm Him at all. And Allah is over all things competent.”
May Allah guide us, increase the patience and steadfastness of Kashmiri Muslims, and make Islam dominant in the Subcontinent through the blessings of this great nation’s sacrifices. Aameen, ya Rabb-al-Aalameen!
وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین

Dhul Qa’dah 1437 AH

[umar mukhtar]

উর্দু টেক্সট


بسم الله الرحمن الرحيم
الحمدللہ رب العالمین والصلاۃ والسلام علی رسولہ الکریم
برصغیر کے بھائیو!
السلام علیکم ورحمۃ اللہ وبرکاتہ
رسول اللہ ﷺ کا فرمان مبارک ہے : ’’ مَثَلُ الْمُؤْمِنِينَ ’’مؤمنین کی مثال‘‘ فِي تَوَادِّهِمْ، وَتَرَاحُمِھِمْ، وَتَعَاطُفِھِمْ ’’باہمی محبت، ہمدردی اور شفقت کے لحاظ سے‘‘ مَثَلُ الْجَسَدِ ’’ایک جسم کی طرح ہے‘‘ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ ’’جب جسم کا ایک عضو تکلیف میں مبتلا ہوتاہے‘‘ تَداعَى لَهُ سَائِرُ الْجَسَدِ بِالسَّھَرِ وَالْحُمَّى‘‘ ’’تو پورا جسم اس کے لیے تکلیف اور بخار میں مبتلا ہوجاتاہے‘‘ اور آپ ﷺ کا فرمان ہے : الْمُسْلِمُ أَخُو الْمُسْلِمِ ’’مسلمان مسلمان کا بھائی ہے‘‘ لَا يَظْلِمُهُ وَلَا يُسْلِمُهُ ’’نہ اس پر ظلم کرتاہے اور نہ اس کو ظلم کے حوالے کرتاہے۔‘‘
چند دنوں کے اندر بھارتی قابض فوج نے کشمیر میں ساٹھ سے زیادہ مسلمان شہید کیے، ہزاروں کلمہ گو مسلمانوں کو زخمی کر ڈالا اور بے شمار مسلمانوں کو جیلوں کے اندر دھکیل دیا۔ ماؤں، بہنوں اوربزرگوں کی چیخ و پکار سے ہر مسلمان کا دل زخمی ہے۔دین سے محبت اور مشرک ہندؤوں سے آزادی کی خاطر قربانیوں کا یہ طویل سفر ثابت کرتا ہے کہ کشمیری قوم ایک زندہ اور مؤمن قوم ہے۔ اس قوم کی غیرتِ ایمانی مردہ نہیں ۔ نہ بھارتی ظلم اس قوم کاضمیر کچل سکا اور نہ ہی اپنوں کی غداریاں اور خیانتیں اسلام اور جہاد کے ساتھ اس کارشتہ توڑ سکیں۔ کسی نے ساتھ دیا بھی تو شہ رگ کے دعوے کرکے اورمدد ونصر ت کا یقین دلاکر مگر بیچ سفر ہی میں اسے تنہا چھوڑدیا۔۔۔ پر یہ قوم کسی کی پرواہ کیے بغیرجبر کے سامنے ڈٹی رہی ۔۔۔قربانیوں پرقربانیاں دے کر آگے بڑھتی رہی، کفر کی غلامی سے انکار اور اللہ وحدہ کی بادشاہت کا بر ملا اقرار اس کا شیوہ رہا اور ’ بہار ہوکہ خزاں ، لاالہ الا اللہ‘ کی مانند اپنے برحق مؤقف اور دینی غیرت سے ایک قدم بھی یہ پیچھے نہیں ہٹی ۔۔۔ کشمیری قوم کی یہ ایمانی غیرت اللہ قبول فرمائے ، اسے پورے برصغیر کے لیے نمونہء عمل ثابت کرے اور اللہ اس قوم کی اورکفر کے مقابل اسے کھڑا رکھنے والی قیادت کی رہنمائی فرمائے۔آمین
اپنے کشمیری بھائیوں اور ان کی قیادت کے ساتھ ہم اس موقع پر تعزیت کرتے ہیں ۔ مگر اس بیان کا مقصد محض تعزیت نہیں، دکھ اور غم کا اظہارصرف نہیں ، یک جہتی اور ہمدردی کا کھوکھلا مظاہرہ نہیں ، عالمی ضمیر نامی بدبودار لاش کے سامنے مطالبات اور قراردادوں کی راہ دکھلانابھی مقصود نہیں ، مد نظر کشمیری بھائیوں کے زخموں پرمرہم رکھناہے ،مسلمانان کشمیر کی مدد کے لئے امت مسلمہ کے سامنے فکر اور عمل کی پکار ہمارا مقصد ہے ۔
محترم بھائیو!
اس درد بھری صورتِ حال میں اصل اور اہم کام راستے کی پہچان ہے، دوست اور دشمن کی شناخت ہے؛ منزل کی طرف یہ پہلا قدم اگر ہم نے اٹھالیا تو یہ اس مظلوم قوم کی حقیقی داد رسی ہوگی۔ یہی ان مظلوموں کے زخموں پر مرہم ہوگا۔ لیکن اگر ہم ماضی کی طرح بھول بھلیوں میں بھٹکتے اور اپنے بھائیوں کو بھٹکاتے رہے، رہزنوں اور لٹیروں کو رہبرو نجات دہندہ جبکہ سرابوں کو منزل و مقصود بتاتے رہے تو اپنی اس مظلوم قوم کے ساتھ ہماری طرف سے اس سے بڑھ کرظلم اور زیادتی کوئی نہیں ہوگی ۔
کشمیر کے عزیز بھائیو! غیرت ایمان سے سرشار کشمیری نوجوانو !
کیا وقت نہیں آیا کہ ہم ہمدردی اور خیرخواہی کے اِن دعویداروں کو خیرباد کہیں جو کشمیرکا مسئلہ ہمیشہ کے لئے مسئلہ ہی دیکھنا چاہتے ہیں۔ ’’اقوام متحدہ ‘‘ کی شکل میں شیطان کی مجلس شورٰی ہو یا پاکستانی فوج اور حکومت کی صورت میں غد ارانِ اُمت ۔۔۔ مظلوم کشمیریوں کے ایشو کی حیثیت ان بے ضمیروں کے ہاں منحوس کھیل اور قبیح تجارت سے زیادہ نہیں۔ ایمان ، اخلاص اور اتباعِ شریعت ایسے بنیادی رختِ سفر کے جب یہ خود لٹیرے اور دشمن ہوں تو پھر ان سے کسی خیر کی توقع کیسی اور کیوں؟ کشمیر یوں کے زخم رِستے رکھنا ان کی سیاست ہے، ماؤں اور بہنوں کی چیخ و پکار سے ان کی دکانیں چلتی ہیں اور وادیء کشمیر میں سلگتی آگ کو جلائے رکھنے سے ان کی عیاشیوں اور شاہ خرچیوں کو تحفظ ملتاہے۔ جو راستہ یہ دکھاتے ہیں اس کی منزل ناکامی، نامرادی اور دردبھری اذیت کے سوا کچھ نہیں ہے۔ افسوس کی بات ہے کہ اس مظلوم قوم کے ساتھ خیانتوں اور غداریوں کی یہ داستاں غیروں کے مظالم سےکوئی کم طویل نہیں۔ ۶۰ ، ۶۵ سال کا عرصہ کم نہیں ہے کہ اپنے پرایوں ،ہمدردوں ا ور خود غرضوں میں ہم تمیزنہ کرسکیں!
کشمیر اور پورے برصغیر کے مسلمان بھائیو!
کیا یہ کوئی ڈھکی چھپی بات ہے کہ ’’اقوام متحدہ ‘‘کی حیثیت مجرمین ِعالم کےہاتھ میں محض ہتھیار کی سی رہی ہے۔ اس کی تاریخ اسلام اور مسلمان دشمنی سے عبارت ہے۔ اپنے قیام میں آنے کے فوراً بعد اس کا پہلا کارنامہ ارضِ قدس پر اسرائیل کے ناجائز وجود کو جائز اور قانونی حیثیت دیناتھا اور پھر یہی غاصب یہودیوں کے خلاف جہاد کو مستقل دہشت گردی قراردیتی رہی۔ شیشان کے مظلوم مسلمانوں کے خلاف ظالم روس کے ہاتھ اسی نے مضبوط کیےاور ترکستان میں قابض چین کے ظلم کو قانونی جوازیہی فراہم کرتی ہے۔ افغانستان، عراق اور شام سمیت پوری دنیا میں مسلمانوں کے مقابل غاصبوں اور ظالموں کی یہی ادارہ عملی مدد کرتارہا ہے ۔ پھر کشمیر پر ہندو کا قبضہ کیا اسی اقوام متحدہ کی نگرانی میں نہیں ہوا؟ یہ سب کچھ کیوں نہ ہو جب اقوام متحدہ کی قیادت پر کوئی اور نہیں وہی پانچ ممالک قابض ہیں جنہیں خون ِ مسلم کی چاٹ لگی ہوئی ہے؟ ویٹو پاور کے حامل یہی ممالک ، یہی مجرمین آج شام کے اندر متحد ہوکر مسلمانوں پر بمباریاں کررہے ہیں ۔ایسے میں ہمیں یہ سچ قبول کرناچاہیے کہ اقوام متحدہ مسئلہء کشمیر سمیت امت کے تمام مسائل کا سبب ہے، حل نہیں! یہ سچ قبول کریں گے تو اصل حل کی طرف بڑھنا آسان ہوگا انشاءاللہ۔
برصغیر کے مسلمان بھائیو!
کشمیر صرف کشمیری مسلمانوں کا مسئلہ نہیں، یہ پاکستان و ہندوستان بلکہ امتِ مسلمہ کے ڈیڑھ ارب مسلمان عوام کا مسئلہ ہے۔ اس مسئلے کی بنیاد عقیدہ ہے۔ مسلم اورہندو کے درمیان فرق اور تمیز ہی اس تنازعے کی اساس ہے۔ پس ہم بطور مسلمان قوم اس کاحل تجویز کرنے میں آزاد نہیں، ہمارایہ اختیار ہی نہیں کہ کشمیر اور مسلمانان برصغیر کو کفر وشرک کے غلبہ میں دیں اور لے دے کر ہندو مسلم بھائی بھائی کا نعرہ لگائیں ۔ اللہ نے اس تنازعہ کا حل اپنی کتاب میں نازل فرمایاہے جس کے ہم پابندہیں ۔ یہ حل جہادہے۔کتب علیکم القتال ’’تم پر قتال فرض کیاگیاہے‘‘ مظلوم کے مقابل ظالم کا ہاتھ روکنے کے لیے جہاد، انسانوں کو انسانوں کی غلامی سے نکال کر فقط ان کے رب اللہ کی غلامی میں دینے کے لیے جہاد اور غیر اللہ کے ظلم وجبر پر مبنی نظاموں کو توڑ کر اللہ وحدہ لا شریک کی عادلانہ شریعت قائم کرنے کے لیے جہاد ۔۔۔ یہ وہ جہاد ہے جو آج فرضِ عین ہے اور اس فرض سے بطور مسلم قوم کوتاہی اور غفلت ہی ہے کہ جس کا خمیازہ کشمیر اور پورے برصغیر کے مسلمان بھگت رہے ہیں۔ ہمیں یہ ماننا ہوگا کہ کشمیر کا معاملہ سیاسی یا اقتصادی نہیں، یہ دینی معاملہ ہے، اللہ کے سامنے جواب دہی کا معاملہ ہے۔ اللہ نے ایک حل، ایک راستہ اور ایک اصول بتادیا ہے: وَقَاتِلُوهُمْ ’’اور ان کے خلاف لڑو!‘‘ کب تک ؟ حَتَّى لَا تَكُونَ فِتْنَةٌ ۔جب کوئی آئین ، کوئی قانون ، کوئی دین ، کوئی نظا م اور کوئی قوت غالب نہ رہے ۔رہے تو صرف اللہ کی کتاب،اللہ کا دین وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ… اللہ کی شریعت حاکم ا ور غالب رہے !!
کشمیر کےمیرے مسلمان بھائیو!
اللہ رب العزت نے اپنے خلاف کھڑے باغیوں کے ساتھ تعامل کا طریقہ یعنی جہاد وقتال بھی بتا دیا اور اس جہاد کامقصدِ اول بھی واضح کردیا۔ یہ مقصد شریعتِ الہٰی کا قیام ہے۔ اللہ کی نازل کردہ شریعت کا قیام ہی مظلوم کے آنسو پونچھے گا اور اسی سے ہی ظلم کا خاتمہ ہوگا۔جہادکامقصد یہ قطعاً نہیں ہے کہ ایک ظالم کو ہٹاکر دوسرے ظالم اور اللہ کے باغی کو مظلوموں کے سروں پر مسلط کیاجائے۔۔۔ مقصد وہدف آسمانی عدل کا قیام ہے۔۔۔ یہ عدل انسان نما شیاطین کے جہالت پر مبنی آئین اور قوانین میں نہیں ! عدل وہ ہے جوانسانوں کے رب ، اللہ مالک الملک نے سات آسمانوں کے اوپر سے نازل کیا، اس آسمانی عدل کے سوا ہر قانون ، ہر آئین اور ہرنظام ظلم ہے، جہالت ہے اور اشرف المخلوقات انسان کی توہین و بے حرمتی ہے۔ [وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ] پس ایک حقیقت ہمیں قبول کرنی چاہیے کہ ظلم سے نجات اور عدل کاقیام ظالمو ں کے سامنے رونے دھونےسے، حقوق کی بھیک مانگنے یا جمہوری کھیل تماشوں میں شامل ہونے سے نہ کبھی حاصل ہوا ہے اور نہ کبھی حاصل ہو گا ۔کشمیر کے مظلوموں کوعدل دلانے اور برصغیر کے مسلمانوں کو ظلم وجبر سے عبارت اِس کفریہ نظا م سے آزاد کرانے کے لیے واحد راستہ جہاد ہی ہے۔ فقہاء کی کتب شاہد ہیں کہ آج یہ جہاد، نفل نہیں ،مستحب نہیں، نماز روزے کی طرح فرض عین ہے ۔
کشمیر اور برصغیر کے مظلوم مسلمان بھائیو!
پھر اس حقیقت کااعتراف کیے بغیربھی چارہ نہیں کہ یہ جہاد پاکستانی فوج اورایجنسیوں کے اثر سے آزاد نہ ہوا تو کشمیر کی مظلوم قوم پر ظلم کی یہ رات طویل تو ہوگی مگرختم کبھی نہیں ہوگی۔ آپ ﷺ کا فرمان ہے: ’’مؤمن ایک سراخ سے دو بار نہیں ڈساجاتا‘‘ [لا يُلْدَغُ المؤمنُ من جُحْرٍ مرتين]۔ کیا جہادِ کشمیرکی تاریخ آنکھیں کھولنے کے لیے کافی نہیں کہ پاکستان پر قابض اس فوج کا مقصد مظلوم کشمیریوں کی مدد نہیں، اپنامفاد ہے۔ مال ودولت کا حصول اور اپنی عیاشیوں کا تحفظ اِن کی پالیسی ہے اور مسلمانان ہِند وکشمیر کےد فاع سے انہیں سروکارہی نہیں۔ جو فوج امریکی ڈالرلے کر اسلام کے خلاف برسر جنگ ہو، مجاہدینِ امت اور مسلمان عوام کی قاتل ہو، مساجد ومدارس پر بمباریاں جس کا معمول ہو اور اللہ کی شریعت چاہنے والوں کو تعذیب دینا ہی جس کا دھندہ ہو وہ کسی مظلوم کی خاطر اپنی نوکری، تنخواہ اور عیاشی خطرے میں ڈالے گی؟ ناممکن ہے !
کشمیر کے عزیز بھائیو!
یہ امت ِمسلمہ کی بیداری اور کفر کی رسوائی کا دور ہے۔ آج کفر کے مقابل امت کے دفاع میں لڑنے والی قوتیں یہ ریاستی ا فواج نہیں ہیں؛ انگریز کی تیار کردہ یہ افواج تو نظام ِ کفر کی چوکیدار ومحافظ، امت پر حملہ آور صلیبیوں کی اتحادی اوراسلامی بیداری کے خلاف لڑنے والا ہر اول دستہ ہیں۔ ان کی ذمہ داری کفر کی کھینچی گئی اُن خونی لکیروں کی حفاظت ہے جو اس امت کو ٹکڑوں میں تقسیم کرتی ہیں۔ آج افغانستان سے لےکر شام تک عالمِ کفر کے بدمعاشوں اور جابروں کے خلاف اسلام اور مسلمانوں کے دفا ع کے لیے اگر کوئی کھڑا ہے تو وہ مجاہدینِ اسلام ہیں۔ یہ وہ شیرہیں جو کسی فوج اور حکومت کے تابع اور محتاج نہیں، اللہ کی بے نیاز ذات ان کی ہادی و ناصر ہے جبکہ مسلمان عوام ہی ان کے انصار و مددگار ۔۔۔!
کشمیرکے میرے نوجوان بھائیواور بزرگو!
مظلوم کشمیریوں کے زخموں پر مرہم رکھنے کے لیےان مجاہدین اور مسلمان عوام کو دیکھیے، محض وہ مجاہدین ہی آپ کے دکھوں کا مداوا ہوسکتے ہیں جو اپنے مقاصد و اہداف، پالیسی اور نظریات میں کسی طاغوتی حکومت ، فوج اور ایجنسی کے تابع اور محتاج نہ ہوں۔ تاریخ گواہ ہے کہ پاکستانی ایجنسیوں کی نگرانی میں ان کے تعاون سے لڑنا، جہاد کے ثمرات ضائع کروانا اور مظلوم کشمیریوں پر ظلم میں مزید اضافہ کروانا ہے اس لیےکہ فوجی اور مجاہد کے عقیدے، نظریے، تربیت اور اہداف میں زمین وآسمان کا فرق ہوتا ہے۔ سنہ ۲۰۰۲ء میں بھارتی فوج نے بارڈرپر آکر جب پاکستانی فوج کو تھوڑی سی قوت دکھائی تویہ اس کے سامنے مکمل بچھ گئی۔ کل تک جہادِ کشمیر کی وکالت کرنے والے جرنیل جہاد کشمیر کو دہشت گردی کہنے لگے، کشمیری تنظیموں پر پابندی لگادی گئی، مہاجرین مظفر آباد اور مانسہرہ کے کیمپوں میں قید ی بن گئے، جہاد ی میدانوں سے روک کرانہیں مزدوری پر مجبور کیاگیا، کسی مجاہد نے بھارتی بارڈر پار کرنا چاہا تو اسے پاکستانی فوج کی گولیوں سے شہید ہونا پڑا، کشمیر کواپنی شہ رگ گرداننے والوں کے ہاتھوں تحریک ِآزادی کی پیٹھ میں چھرا گھونپا گیا اور مظلوم کشمیریوں کو بے رحم ہندوؤں کے رحم وکرم پر چھوڑدیا گیا !۔۔۔یہ سب کچھ کیوں؟ اس لیے کہ بھارتی فوج کے دباؤ اور امریکی ناراضگی کے سامنے ڈٹنا ان کے ’ڈاکٹرائن ‘ ہی سے خارج تھا ! کشمیری بہنوں اور بیٹیوں کی عصمتیں لٹتی رہیں اور مظلوم کشمیریوں پر ظلم میں اضافہ ہوتارہا مگرپاکستانی جرنیلوں نے جہادِ کشمیر سے غداری کرکے اپنے سروں سے وقتی خطرہ ٹال دیا۔۔۔ ہندوؤں کا کبر اور ظلم آسمان کو پہنچ گیا مگر پاکستانی فوجیوں کی وردی ، تنخواہ اور عیاشی سلامت رہی !
اس کے برعکس ارضِ افغانستان کے مجاہد سپہ سالار اورمومن حکمران کی مثال دیکھیے۔ یہ مجاہد چونکہ ’’ کاکول‘‘کے تربیت یافتہ نہیں تھے ۔۔۔ اللہ کی کتاب ، مسجدومدرسہ اور جہادی میدان سے آپ کو تعلیم وتربیت ملی تھی ،اس لیے امریکہ نے جب آپ سے ایک مسلمان مانگا تو آپ نے انکار کردیا۔ وقت کے فرعون نے افغانستان کو پتھروں کے زمانے میں دھکیلنے کی دھمکی دے دی ، آپ نہیں جھکے۔۔۔آپ نے جواب دیا ،’’ یہ ایک فرد کا نہیں ،کفر اور اسلام کامعاملہ ہے ۔ امریکی افغانستان کے ہر درخت اورہر پتھر کو بھی جلا کر راکھ کرڈالیں تو پرواہ نہیں، میری ایمانی غیرت گوارا نہیں کرتی کہ میں کسی ایک مسلمان کو بھی کافر کے حوالے کردوں‘‘۔ امریکہ پچاس سے زیادہ ممالک کی کیل کانٹے سے لیس افواج کے ساتھ حملہ آور ہوا، ڈرون، بی باون، ایف سولہ سمیت ساری جدید ترین ٹیکنالوجی آزمائی گئی۔ مگر اللہ کے یہ مجاہد بندے ایک لمحہ بھی جھکے نہیں ، دبے نہیں ، لڑتے گئے اور شہادتوں اور قربانیوں کی عظیم تاریخ رقم کرتے رہے ۔بالآخر امریکہ شکست کے دہانے پر آ پہنچا، اسلام کا بول بالا ہوا، توحید کا جھنڈا آج بھی آدھے سے زیادہ افغانستان پر لہرارہا ہے۔ جس جہادی تحریک کو ختم کرنے کی خاطر امریکہ افغانستان پر حملہ آور ہوا تھا وہ افغانستان سے نکل کر الحمد اللہ پوری دنیا میں پھیل گئی!!
یہ فرق ہے مجاہد اور فوجی کے درمیان ! اللہ پر ایمان رکھنے والے مجاہد اور دنیا وی قوت کو اپنا خدا سمجھنے والے فوجی کب ایک جیسے ہوسکتے ہیں؟ اللہ کی رضا کے لیے لڑنے والے اور روپے پیسوں و ترقی کے لیے اسلحہ اٹھانے والے کے درمیان کوئی کم فرق نہیں! مجاہد کفر کا دباؤ ، اس کی فوجیں اور ٹیکنالوجی دیکھ کر ایمان نہیں بیچتا، کفر کی طاقت سے مرعوب ہوکر وہ اپنے مظلوم بھائیوں کو بے یارو مددگار نہیں چھوڑتا! چہارسُو دشمن کی قوت دیکھ کر وہ اس کے سامنے جھکتانہیں ، سجدہ نہیں کرتا بلکہ اس کا ایمان اپنے خلاف ظالموں کی قوت دیکھ کر مزید قوی ہوجاتاہے اس لیے کہ وہ اللہ ہی کی مدد اور اطاعت میں لڑتاہے ! اللہ رب العزت فرماتاہے [الَّذِينَ قَالَ لَهُمُ النَّاسُ]۔۔۔مؤمنین وہ ہیں جب لوگ انہیں کہتے ہیں‘‘ إِنَّ النَّاسَ قَدْ جَمَعُوا لَكُمْ فَاخْشَوْهُمْ]۔۔۔لوگ تمہارے خلاف جمع ہوئے ہیں ،ڈرو ان سے ‘‘[فَزَادَهُمْ إِيمَانًا]۔۔۔تو ان کا ایمان بڑھ جاتاہے [وَقَالُوا حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ]۔۔۔اور کہتے ہیں اللہ ہمارے لیے کافی ہے اور یہ اللہ بہترین مددگار ہے ‘‘۔۔۔مجاہد جہادکو ملکی پالیسی نہیں بلکہ عبادت سمجھتاہے ،مظلوم کی مدد اس کے نزدیک گندی سیاست نہیں،اللہ کی قربت کا وسیلہ ہوتی ہے۔ جبکہ فوجی مخالف قوت دیکھ کر ڈھیر ہوجاتاہے ، تعدادمیں ایک لاکھ ہونےکے باوجود ہندو فوج کے سامنے سرنڈر ہوجانا اس کے لیے کوئی مسئلہ ہی نہیں ہوتا ، آدھے پاکستان کو ہندو مشرک بتوں کے پجاریوں کے حوالے کرتاہے اور It’s Part Of the game کہہ کربے شرمی اور بے غیرتی کی تاریخ رقم کرتاہے ۔ یہی فرق ہے شاہین صفت مجاہد اور کرگس فوجی کے درمیان !
پرواز ہے دونوں کی، اسی ایک فضا میں
کرگس کا جہاں اور ہے ، شاہیں کا جہاں اور
پس کشمیر کے عزیز بھائیو!
آزادیء کشمیر خالص شرعی بنیادوں پر جہادی تحریک کھڑی کیے بغیر ناممکن ہے ۔ایسی تحریک جو کسی فوج یا حکومت کے تعاون اور نگرانی میں نہیں بلکہ پاکستان و ہندوستان کے مسلمان عوا م کی تائید ونصرت پر کھڑی ہو ۔ایسی تحریک جواللہ کے دشمن کافروں سے عداوت جبکہ مومنین کی حمایت پر یقین رکھتی ہو، جو جمہوریت کے کفریہ کھیل تماشوں سے دور شریعت کی اتباع ہی کو اپنا ہدف ِاول سمجھتی ہو اور جس کا مقصد آزادیء کشمیر کے ساتھ ساتھ برصغیر میں دین محمدی ﷺ کا نفاذبھی ہو۔
ایجنسیوں کے اثر سے پاک یہ خالص جہاد مشکل ضرور ہے مگر ناممکن قطعاً نہیں ،فیصلہ مشکل اور آسان کے درمیان نہیں ،جہاد کے ثمرات اپنے ہاتھ میں رکھنے یا دشمنوں کی جھولی میں ڈالنے کے مابین انتخاب کا مسئلہ ہے۔الحمدللہ، طواغیت کے اثرسے بالکل آزاد جہاد آج پوری دنیا میں ہورہاہے ۔شیشان ، یمن ، صومال،مغرب اسلامی ، اسلامی ترکستان اور سب سے بڑھ کر امارت اسلامی افغانستان اورارضِ شام کی جہادی تحریکیں ہمارے لیے بہترین مثال ہیں، ان جہادی تحریکوں نے ثابت کردیا کہ اسلام اور مسلمانوں کا دفاع اس وقت ہوسکتاہے جب طاغوتی افواج اور حکومتوں سے تحریکِ جہاد بالکل آزاد ہو ۔ عصرِ حاضر کی جہادی تاریخ یہی سبق دیتی ہے ۔ لہذا اللہ سے ڈرنے اور صرف اسی پر توکل کی ضرورت ہے ۔اللہ نے ہمیں یہ حقیقت بتادی ہے ’’ جو اللہ کاتقوی اختیار کرے،اللہ اس کے لیے مخرج ضرور پیدا فرمائے گا اور ایسی جگہ سے اس کو رزق دے گا جہا ں سے اس کاگمان بھی نہ ہو‘‘ [وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ] آگے اللہ فرماتاہے :[وَمَنْ يَتَوَكَّلْ عَلَى اللَّهِ]’’اور جو اللہ پر توکل کرتاہے‘‘ [فَھُوَ حَسْبُهُ]’’تواللہ اس کے لیے کافی ہے‘‘ [إِنَّ اللَّهَ بَالِغُ أَمْرِهِ] ’’اللہ اپنے فیصلے پورے فرماتاہے‘‘ اللہ کاوعدہ ہے کہ جو اس کی رضاکے لیے جہاد کرے گا اللہ تعالیٰ اس کی ضرور رہنمائی فرمائے گا[وَالَّذِينَ جَاهَدُوا فِينَا لَنَھْدِيَنَّھُمْ سُبُلَنَا]۔ہم اگر اللہ پرتوکل کرکے صاف وشفاف دعوت اور جہاد کا پرچم اٹھائیں تو اللہ ضرور مدد فرمائیں گے ۔ يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اے ایمان والو! إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ اگر تم اللہ کی مدد کرو گے تو وہ بھی تمہاری مدد کرے گا وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ اور تم کو ثابت قدم رکھے گا۔
پس کشمیر کے اے میرے نوجوان بھائیو اور انتہائی محترم بزرگو!
ظلم سے خلاصی اور عدل کے قیام کا یہی واحد راستہ ہے۔ اس راستے پر آپ قدم بڑھائیں ، ہم آپ کے ساتھ ہیں ،دنیا بھر کے مجاہدین ِاسلام آپ کی پشت پر کھڑے ہیں۔ پاکستان وہندوستان کے مسلمان عوام ان شاء اللہ آپ کے انصار بنیں گے ۔اللہ پر بھروسہ کیجئے ، إِنْ يَنْصُرْكُمُ اللَّهُ ۔اگراللہ آپ کی مدد کریں ۔فَلَا غَالِبَ لَكُمْ ۔توکوئی تم پر غالب نہیں ہوگا۔ وَإِنْ يَخْذُلْكُمْ ۔اور اگر اللہ نے تمہیں چھوڑا ۔ فَمَنْ ذَا الَّذِي يَنْصُرُكُمْ مِنْ بَعْدِهِ۔توکون ہے جو اس کے بعد تمہاری مدد کرے؟۔ وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ۔ اور مؤمنین کو چاہئے کہ اللہ ہی پر توکل کریں۔
پاکستان،بنگلہ دیش اور ہندوستان کے مسلمان بھائیو!
مظلوم کشمیری بھائیوں کی مدد اور برصغیرمیں ظالمانہ نظام کفر ختم کرنے کے لیے جہاد ہم پر بھی فرض ہے۔کشمیری قوم نے بہت قربانیاں دیں، یہ قربانیاں تب ہی رنگ لائیںْْگی جب ہم پاکستان، ہندوستان اور بنگلہ دیش کے مسلمان بھی ’حیی علی الجہاد ‘ کی پکار پر لبیک کہنے والے بن جائیں ، ایک صف بن کر قافلہء جہاد کو تقویت بھی بخشیں اور اس جہاد کو طواغیت کے حملوں اور سازشوں سے محفوظ بھی رکھیں ۔تاخیر بہت ہوچکی اور مزید تاخیر اللہ کی شدید ناراضگی کاباعث ہوسکتی ہے ۔يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا مَا لَكُمْ إِذَا قِيلَ لَكُمُ انْفِرُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ مومنو! تمہیں کیا ہوا ہے کہ جب تم سے کہا جاتا ہے کہ جہاد کے لیےنکلو اثَّاقَلْتُمْ إِلَى الْأَرْضِ تو تم زمین پر گرے جاتے ہو أَرَضِيتُمْ بِالْحَيَاةِ الدُّنْيَا مِنَ الْآخِرَةِ کیا تم آخرت کو چھوڑ کر دینا کی زندگی پر خوش بیٹھے ہو فَمَا مَتَاعُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا فِي الْآخِرَةِ إِلَّا قَلِيلٌ دنیا وی زندگی کے فائدے تو آخرت کے مقابل بہت ہی کم ہیں إِلَّا تَنْفِرُوا يُعَذِّبْكُمْ عَذَابًا أَلِيمًا اور اگر تم نہیں نکلو گے تو اللہ تم کو بڑی تکلیف کا عذاب دے گا۔ وَيَسْتَبْدِلْ قَوْمًا غَيْرَكُم تمہاری جگہ اور لوگ پیدا کر دے گا ْ وَلَا تَضُرُّوهُ شَيْئًا اور تم اس کو کچھ نقصان نہ پہنچا سکو گے وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ۔ اور اللہ ہر چیز پر قدرت رکھتا ہے
اللہ ہماری رہنمائی فرمائے ، کشمیر ی مسلمانوں کے صبر واستقامت میں اضافہ کرے اور اس عظیم قوم کی قربانیوں کی برکت سے پورے برصغیر میں اسلام کا غلبہ ہمیں دکھائے ۔آمین یا رب العالمین
وصلی اللہ تعالی علی خیر خلقہ محمد وآلہ وصحبہ أجمعین

[umar mukhtar]

ভাইয়েরা এই বয়ানটি ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিন। বেশি বেশি শেয়ার ও পোস্ট করুন।

[umar mukhtar]

আমার একটি পরামর্শ। হয়তো শায়েখগন ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণও করেছেন। তা হল আমাদের আনসার আল ইসলামের শায়েখগন যদি উত্তম মনে করেন, তাহলে আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের মুজাহিদদের প্রতি সাড়া মুলক একটি বার্তা মিডিয়ায় পেশ করতে পারেন, ওই বার্তায় কাশ্মীরের ভাইদের অটল থেকে জিহাদ জারি রাখার আহবান করা যেতে পারে। যাতে কাশ্মীরের ভাইয়েরা মনে করে যে বাংলাদেশের আল কায়েদার মুজাহিদগণও তাঁদের সাথে রয়েছে। এতে ভ্রাতৃত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং আশা করা যায় মিডিয়াতে একটি আলোড়ন সৃষ্টি হবে। যা জিহাদের ফিল্ডের কাজে উপকারী প্রমাণিত হবে। আল্লাহু আ'লাম।

ফোরামের আরও ভাইয়েরাও পরামর্শ দিন।

[আবু মুহাম্মাদ]

আমরা পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশের মুসলমানরাও ‘حیی علی الجہاد’ এর উত্তরে ‘لبیک’ বলব, এক সারিতে সারিবদ্ধ হয়ে জিহাদী কাফেলাকে শুধু শক্তিশালী করবনা, বরং জিহাদকে তাগুতের আক্রমণ ও ষড়যন্ত্র থেকে বাঁচাব। অনেক দেরি হয়ে গেছে আরও দেরি আল্লাহর ভয়ংকর অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে।

যাজাকাল্লাহ, অবশ্যই। এখন প্রয়োজঞ্জনগনের মাইন্ডকে কাশ্মীরের জিহাদের জন্য প্রস্তুত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় সেখান থেকেই পূরা হিন্দুস্তানে গাজওয়ায়ে হিন্দ শুরু হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা ভাইদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া তাওউফিক দান করুন।

[tipo soltan]

জাজাকুমুল্লাহ।
কাশ্মিরে জ্বলে উঠা এই আগুনে যতভাবে সম্ভব হাওয়া দেওয়া আবশ্যক। আসকারী এবং এলামী মাধ্যমে এই আন্দোলনকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করা উচিত।

যাজাকাল্লাহ, অবশ্যই। এখন প্রয়োজন জনগণের মাইন্ডকে কাশ্মীরের জিহাদের জন্য প্রস্তুত করা। আল্লাহর ইচ্ছায় সেখান থেকেই পূরা হিন্দুস্তানে গাজওয়ায়ে হিন্দ শুরু হতে পারে। আল্লাহ তায়ালা ভাইদেরকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া তাওউফিক দান করুন।

সম্পূর্ণ বাস্তব এবং অনেক উত্তম কথা বলেছেন।

আমার একটি পরামর্শ। হয়তো শায়েখগন ইতিমধ্যে পরিকল্পনা গ্রহণও করেছেন। তা হল আমাদের আনসার আল ইসলামের শায়েখগন যদি উত্তম মনে করেন, তাহলে আনসার আল ইসলামের পক্ষ থেকে কাশ্মীরের মুজাহিদদের প্রতি সাড়া মুলক একটি বার্তা মিডিয়ায় পেশ করতে পারেন, ওই বার্তায় কাশ্মীরের ভাইদের অটল থেকে জিহাদ জারি রাখার আহবান করা যেতে পারে। যাতে কাশ্মীরের ভাইয়েরা মনে করে যে বাংলাদেশের আল কায়েদার মুজাহিদগণও তাঁদের সাথে রয়েছে। এতে ভ্রাতৃত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। এবং আশা করা যায় মিডিয়াতে একটি আলোড়ন সৃষ্টি হবে। যা জিহাদের ফিল্ডের কাজে উপকারী প্রমাণিত হবে। আল্লাহু আ'লাম।

আল্লাহ তাআলা আপনার চিন্তাশক্তিকে আরো শাণিত করে দিন।
এই ধরণের একটি বিবৃতি অবশ্যই আর্জেন্ট দেওয়া উচিত। আশা করি দায়িত্বশীলগণ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবেন।

হে আল্লাহ! কাশ্মিরীদেরকে সাহায্যকরার মতো আমাদের যত সাধ্য আছে তার সর্বোচ্চ ব্যাবহার করার তাওফীক দিন। যতভাবে তাদেরকে সাহায্য করা সম্ভব ততভাবে তাদেরকে সাহায্য করার তাওফীক দিন; যাতে হাশরের মাঠে এ ব্যাপারে আমরা আপনার নিকট জিজ্ঞাসিত না হই।

যেসব ভাইয়েরা সোস্যাল মিডিয়ায় কাশ্মিরকে ফোকাস দিচ্ছেন তাদেরকে জানাচ্ছি অনেক অনেক শুকরিয়া- আপনারা অব্যাহত রাখুন। জাজাকুমুল্লাহ।

[khalid-hindustani]

আমার তো ভাই খুব আনন্দ লাগতেছে। মুসলিমদের জন্য ময়দান প্রস্তুত হচ্ছে ইনশা-আল্রাহ।
ভাইরা সবাই রেডি হন। বেশি করে কাশ্মীর বিষয়ক খবরগুলো প্রচার করুন। জনগনের নিকট এমন ভাবে তুলে ধরুন যেনো এব ব্যপক প্রচার ও প্রসার সম্ভব হয়।
আমার মনে হয় কাশ্মীর বিষয়ে আমাদের সকলে একসাথে কাজ কার উচিত। যেহেতু এটা আমাদের অঞ্চল। এবং গজওয়াতুল হিন্দের একটি এলাকা।

[khalid-hindustani]

হে আল্লাহ ইব্রহীম (আ) তো শুধু হজ্জের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিশ্ববাসীর নিকট পৌছে দেয়া আপনার দায়িত্ব ছিলো হে আল্লাহ!
হে আল্লাহ আপনি মুজাহিদ শায়খদের এই কথা গুলোও সকলের নিকট পৌছিয়ে দিন। কারণ শায়খরা তো আপনার সন্তুষ্টির জন্য সকলের উদ্দেশ্যে বার্তা দিচ্ছেন।
হে আল্লাহ এই বার্তা এবং কাশ্মীরি মুসলিমদের বাস্তব অবস্থা আপনি সকল মুসলিমদেরকে জানিয়ে দিন, যেনো তারা বলতে না পারে যে, যদি আমরা জানতাম তাহলে আমরা আমাদের দ্বায়িত্ব পালন করতাম।
হে আল্লাহ আপনি মুসলিম উম্মাহর চক্ষু এবং কর্ণ কে প্রসারিত করেই দিন।
হে আল্লাহ আপনি নির্যাতিত কাশ্মীরি মুসলিম মায়েদের আর্তনাদ আপনি সকলের নিকট পৌছিয়েই দিন।
হে আল্লাহ আপনি আমাদের দোয়াগুলোকে কবুল করে নিন।
হে আল্লাহ গাজওয়াতুল হিন্দের অগ্রবর্তী সৈনিক হিসেবে আপনি আমাদের কবুল করে নিন এবং সবশেষে শাহাদাতের মৃত্যু দান করেন।