আমি অক্ষম, আমি ভীরু, বুযদিল। আমার দিলে নেই মুমিনের হিম্মত, আমার বাযুতে নেই মুজাহিদের কুওয়ত, তাই আমি গোলাবারুদের অস্ত্র তুলে নিতে পারি নি, যা আমাকে পৌঁছে দেবে শাহাদতের দুয়ারে এবং জান্নাতের বাগানে। আমি হাজির হতে পারি নি আফগানিস্তানের জিহাদের ময়দানে, যেখানে ‘ছালীব-হেলালের’ লড়াই শুরু হয়েছে, রক্তের কালিতে তাকদীর যেখানে নতুন শতাব্দির ফয়ছালা লিখে দিয়েছে এবং ইযযতের মওত যেখানে যিন্দেগীর পায়গাম নিয়ে হাজির হয়েছে। আমি ভীরু, বুযদিল। তলোয়ারের ছায়ায় বাঁচে যারা, তলোয়ারের আগায় মরে যারা, সেই উম্মাহর আমি জীবন্ত কলঙ্ক। তাই তো উম্মাহর ইযযত আযাদীর জন্যে হাসিমুখে যারা জান কোরবান করছে, মাথায় কাফন বেঁধে মৃত্যুর পিছনে ধাওয়া করছে সেই কাফেলায় আমি নেই! আমার হাতে জিহাদের ঝান্ডা নেই!
‘
তবু তো আমি মুসলিম। তবু তো ঈমানের আমি দাবীদার এবং রক্তে আমার ‘সালাদীনের’ উত্তরাধিকার। তাই সুদূর বাংলাদেশে, আমার বুকে আগ্নেয়গিরি টগবগ করে, আমার কলমে আগুন ঝরে। তাই বজ্রের গর্জনে আমি বলতে চাই; আমেরিকা, এবার তোমার রক্ষা নাই। আগুনের হরফে আমি লিখে দিতে চাই, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, ও বলকান হয়ে আমরা আবার আন্দালুসে যেতে চাই।
‘
কী করবে তুমি আমেরিকা? কাবুল কান্দাহার ধ্বংস করবে? তারপর?
আফগানিস্তানের পাহাড়-পর্বত গুঁড়িয়ে দেবে? তারপর?
তালিবানদের উৎখাত করবে? ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ করবে? তারপর?
তারপরও বেঁচে যাবে থাকবে ইসলামী উম্মাহ, জন্ম নেবে শত শত উসামা, যাদের হাতে লেখা হবে তোমাদের মৃত্যু-পরোয়ানা।
‘
ভুল করেছো আমেরিকা! বড় ভুল করেছো। আফগানিস্তানে আঘাত হেনে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে এনেছো। আফগান নওজোয়ান রক্ত নিতে জানে, রক্ত দিতে জানে। তুমি রক্ত নিতে জানো, দিতে জানো না। নামো না একবার ময়দানে, দাঁড়াওনা না মুখোমুখি হয়ে। তারপর দেখো লড়াই কাকে বলে!
গতকাল তুমি যা কল্পনা করো নি তা কি ঘটে নি? তাহলে আজ তুমি যা স্বপ্নেও ভাবতে পারো না, আগামীকাল কেন তা ঘটবে না?
‘
তোমার বিমান আছে, আগুনের কামান আছে। আমাদের ঈমান আছে, শাহাদতের ‘আরমান’ আছে। তোমার কামান যখন স্তদ্ধ হবে, তোমার বিমান যখন বিধ্বস্ত হবে, তখনো আমাদের ঈমান অটল থাকবে এবং শাহাদতের আরমান বাকি থাকবে। সুতরাং আজ কিংবা আগামীকাল আফগানিস্তানের মাটিতেই তোমার কবর হবে, তোমার পরিণতি রাশিয়ার চেয়ে করুণ হবে।
আফগানিস্তানে জিহাদের ময়দানে, হেলালী ঝাণ্ডা হাতে, যারা লড়ছো যামানার তাগুতের বিরুদ্ধে, উম্মাহর ইযযত আজাদীর জন্য যারা করছো জান কোরবান, তোমাদেরকে আমাদের জিহাদী সালাম। তোমরা ইসলামের জানবায সিপাহী, তোমরা মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের পতাকাবাহী। হিম্মত করো, আগে বাড়ো, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো এবং হাজার বছরের গৌরব রক্ষা করো।
‘
এক যুগে এক সাগর রক্ত দিয়েছো, সেই রক্ত-সাগরে ডুবে মরেছে রাশিয়া। আল্লাহর নামে বুকের তাজা রক্ত আবার ঢালো, এবার ডুবে যাবে আমেরিকা। যুগে যুগে ময়দানে লড়েছো তোমরা, দুশমন তোমাদের বুক দেখেছে, পিঠ দেখে নি, তাই ইতিহাস তোমাদের বিজয় দেখেছে, পরাজয় দেখে নি। ইনশাআল্লাহ এবারও তাই হবে। আসমানের গায়বী মদদ তখনো ছিলো, এখনো থাকবে।
‘
তোমরা বড় ভাগ্যবান, তোমরা শহীদী কাফেলার নওজোয়ান! হায়, আমি যদি তোমাদের বুকের রক্ত হতে পারতাম! কিংবা তোমাদের পায়ের ধুলো হতে পারতাম!
.
মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ।
সুত্র- আল-কলম, ২য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা, শা’বান, ১৪২২ হিঃ/ পুষ্পসমগ্র, পৃঃ ৩৪২।
.
এবার ১৪২২ হিজরির আমেরিকা-আফগানিস্তান ও চলতি ১৪৩৭ হিজরির আফগান-আমেরিকা মিলিয়ে দেখুন, কিছু বুঝে আসে কিনা।
(collected)
‘
তবু তো আমি মুসলিম। তবু তো ঈমানের আমি দাবীদার এবং রক্তে আমার ‘সালাদীনের’ উত্তরাধিকার। তাই সুদূর বাংলাদেশে, আমার বুকে আগ্নেয়গিরি টগবগ করে, আমার কলমে আগুন ঝরে। তাই বজ্রের গর্জনে আমি বলতে চাই; আমেরিকা, এবার তোমার রক্ষা নাই। আগুনের হরফে আমি লিখে দিতে চাই, কাশ্মীর, ফিলিস্তিন, ও বলকান হয়ে আমরা আবার আন্দালুসে যেতে চাই।
‘
কী করবে তুমি আমেরিকা? কাবুল কান্দাহার ধ্বংস করবে? তারপর?
আফগানিস্তানের পাহাড়-পর্বত গুঁড়িয়ে দেবে? তারপর?
তালিবানদের উৎখাত করবে? ওসামা বিন লাদেনকে শহীদ করবে? তারপর?
তারপরও বেঁচে যাবে থাকবে ইসলামী উম্মাহ, জন্ম নেবে শত শত উসামা, যাদের হাতে লেখা হবে তোমাদের মৃত্যু-পরোয়ানা।
‘
ভুল করেছো আমেরিকা! বড় ভুল করেছো। আফগানিস্তানে আঘাত হেনে নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে এনেছো। আফগান নওজোয়ান রক্ত নিতে জানে, রক্ত দিতে জানে। তুমি রক্ত নিতে জানো, দিতে জানো না। নামো না একবার ময়দানে, দাঁড়াওনা না মুখোমুখি হয়ে। তারপর দেখো লড়াই কাকে বলে!
গতকাল তুমি যা কল্পনা করো নি তা কি ঘটে নি? তাহলে আজ তুমি যা স্বপ্নেও ভাবতে পারো না, আগামীকাল কেন তা ঘটবে না?
‘
তোমার বিমান আছে, আগুনের কামান আছে। আমাদের ঈমান আছে, শাহাদতের ‘আরমান’ আছে। তোমার কামান যখন স্তদ্ধ হবে, তোমার বিমান যখন বিধ্বস্ত হবে, তখনো আমাদের ঈমান অটল থাকবে এবং শাহাদতের আরমান বাকি থাকবে। সুতরাং আজ কিংবা আগামীকাল আফগানিস্তানের মাটিতেই তোমার কবর হবে, তোমার পরিণতি রাশিয়ার চেয়ে করুণ হবে।
আফগানিস্তানে জিহাদের ময়দানে, হেলালী ঝাণ্ডা হাতে, যারা লড়ছো যামানার তাগুতের বিরুদ্ধে, উম্মাহর ইযযত আজাদীর জন্য যারা করছো জান কোরবান, তোমাদেরকে আমাদের জিহাদী সালাম। তোমরা ইসলামের জানবায সিপাহী, তোমরা মুসলিম উম্মাহর বিজয়ের পতাকাবাহী। হিম্মত করো, আগে বাড়ো, আল্লাহর উপর ভরসা রাখো এবং হাজার বছরের গৌরব রক্ষা করো।
‘
এক যুগে এক সাগর রক্ত দিয়েছো, সেই রক্ত-সাগরে ডুবে মরেছে রাশিয়া। আল্লাহর নামে বুকের তাজা রক্ত আবার ঢালো, এবার ডুবে যাবে আমেরিকা। যুগে যুগে ময়দানে লড়েছো তোমরা, দুশমন তোমাদের বুক দেখেছে, পিঠ দেখে নি, তাই ইতিহাস তোমাদের বিজয় দেখেছে, পরাজয় দেখে নি। ইনশাআল্লাহ এবারও তাই হবে। আসমানের গায়বী মদদ তখনো ছিলো, এখনো থাকবে।
‘
তোমরা বড় ভাগ্যবান, তোমরা শহীদী কাফেলার নওজোয়ান! হায়, আমি যদি তোমাদের বুকের রক্ত হতে পারতাম! কিংবা তোমাদের পায়ের ধুলো হতে পারতাম!
.
মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ।
সুত্র- আল-কলম, ২য় বর্ষ, ৬ষ্ঠ সংখ্যা, শা’বান, ১৪২২ হিঃ/ পুষ্পসমগ্র, পৃঃ ৩৪২।
.
এবার ১৪২২ হিজরির আমেরিকা-আফগানিস্তান ও চলতি ১৪৩৭ হিজরির আফগান-আমেরিকা মিলিয়ে দেখুন, কিছু বুঝে আসে কিনা।
(collected)
Comment