পশ্চিম গুতার মুজাহিদদের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বিবৃতি
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবারবর্গ ও তার সাথীদের প্রতি।
আম্মাবাদ,
প্রত্যেক মর্যাদাবান ব্যাক্তির প্রতি, প্রত্যেক স্বাধীন ব্যাক্তির প্রতি, প্রত্যেক ঐ ব্যাক্তির প্রতি, যে বলেছে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই । ব্যাপকভাবে সিরিয়ার জনসাধারণ ও বিশেষ করে পশ্চিম গুতার বাসিন্দাদের প্রতি এটি একটি বার্তা। যা তার ভাজের মধ্যে বহন করছে একটি সতর্ক বার্তা। ঐ ব্যক্তিদের জন্য, যারা নিজেদের আখিরাতকে ক্রয় করেছে, তাদের দুনিয়ার বিনিময়ে যে, জিহাদ প্রত্যেক সামর্থ্যবানের উপর ফরযে আইন। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় পাহারা ও জিহাদকে ত্যাগ করবে সে আল্লাহর নিকট অপরাধী এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সে লাঞ্ছিত হবে।
তুমি কি আল্লাহ তায়ালার এই বানী শোনোনি?
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।“ (সূরা তাওবাহ- ৩৮-৩৯)
হে ঐ ব্যাক্তি, যে দেশরক্ষা, পরিবাররক্ষা ও সম্পদরক্ষার অজুহাতে জিহাদকে ত্যাগ করেছো! তোমাদের প্রতিরক্ষা কি নারী ও শিশুদের মাঝে আত্নগোপন করে থাকার দ্বারা অর্জিত হবে? নাকি আল্লাহ ও তার রাসুলের শত্রুদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে হবে? এটা বহু দূরের বিষয়, আল্লাহর শত্রুদের মুখোমুখি উপস্থিত হওয়ার পূর্বে এটা অসম্ভব ব্যাপার। পিছনে বসে থাকা ব্যাক্তিদের সাথে থাকতে পছন্দ করা এবং দুনিয়ার প্রতি নির্ভরশীল হওয়া এবং তা ভোগে ত্রস্ত থাকা মুনাফিকদের চিহ্ন সমুহের একটি চিহ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। জেনে রাখো, হে আমাদের পরিবার-পরিজন! প্রত্যেক ভুখণ্ডের যে সমস্ত সন্তানেরা মুসলমানদের প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে বের হতে অস্বীকার করেছে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়ার জীবনেই লাঞ্ছনার পোশাক পরিধান করাবেন, এবং তাদের শত্রুরা তাদের দেশে বলপূর্বক অবস্থান করবে। এবং যুদ্ধের ময়দান থেকে ধ্বংসাত্নক পলায়নের শাস্তি তাদের উপর পতিত হবে, তাদের শাস্তি হল জাহান্নাম এবং তা কতই না নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।
জেনে রাখো, যারা আমাদের হাতে বন্দি হয়ে আসবে, তারা ঐ ব্যাক্তিদের অন্তর্ভুক্ত যারা সরকারের প্রতিজ্ঞার ব্যাপারে আস্থাশীল এবং দুনিয়ার প্রতি নির্ভরশীল। তাদের বাতিলের রণাঙ্গনে জ্বালানিরূপে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সুতরাং হে আমাদের ভায়েরা, তোমরা হক রণাঙ্গনের দিকে সমবেত হও। তোমাদেরকে বাতিলের চুল্লিতে নিক্ষেপের পূর্বে। প্রত্যেক ঐ অজুহাতদাতাদের প্রতি আমাদের বার্তা যারা রিযিক , পরিবার-পরিজন ও দেশের ক্ষতির আশঙ্কায় জিহাদকে ত্যাগ করেছে- তোমরা আল্লাহ তায়ালার এই বানী সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা- গবেষণা করো।
“হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।“(সূরা তাওবাহ- ২৪)
যদি তুমি নিজেকে এবং তোমার পরিবার – পরিজনকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা ও আখিরাতের আজাব থেকে উদ্ধার করতে চাও, তাহলে রাব্বুল আলামিনের আহবান মনযোগ সহকারে শ্রবণ করো।
“আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।“(সূরা তাওবাহ-৪১)
শেষ কথা, জেনে রাখো, আমরা জমিনের উপর কয়েকটি কর্মক্ষম দল, যারা খান-আশ-শাইখে জমায়েত হয়েছে। যারা এক দেহের মত । আমাদের যুদ্ধ এক এবং আমাদের শত্রুদের ঘাড়ের উপর আমাদের হাত । কোনকিছুই আমদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না। এবং কোন গুজব রটনাকারীর গুজব আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। পারে না কোন সরকারী আলেম, যারা আমাদের দলের ঐক্যকে বিনষ্ট করার প্রতিজ্ঞা করেছে। এবং তারা কখনই আমাদের শপথ ও একতাকে দুই টুকরো করতে পারবে না। আমরা আমাদের শত্রুদের লক্ষ্য করে বলছি- নিশ্চয়ই পশ্চিম গুতার মুজাহিদরা তোমাদের মাথাগুলো ছিঁড়ে ফেলার জন্য অধির আগ্রহে প্রহর গুনছে আর আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তিনিই আমাদের অভিভাবক , আমদের সাহায্যকারী। সুতরাং তোমরা বেরিয়ে পড়ো এবং আল্লাহর ডাকে সাড়া দাও। আর জেনে রাখে বিজয় সবরের সাথে। আর স্বস্তি থাকে কষ্টের সাথে। আর নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। আর আমাদের শেষ কথা, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
হারাকাতু আহরারিশ শাম,
আলইত্তিহাদুল ইসলামিয়া লিআজনাদিশ শাম,
জাবহাতু ফাতহিশ শাম,
আলাভিয়াতুল ফুরকান,
আলাভিয়াতু সাইফিল ইসলাম,
জাবহাতু সাওয়ারি সুরিয়া,
জাবহাতু আনসারিল ইসলাম,
লিওয়াউ শুহাদাউল ইসলাম।
১৪/১/১৪৩৮ হিজরি
১৬/১০/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য এবং সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার পরিবারবর্গ ও তার সাথীদের প্রতি।
আম্মাবাদ,
প্রত্যেক মর্যাদাবান ব্যাক্তির প্রতি, প্রত্যেক স্বাধীন ব্যাক্তির প্রতি, প্রত্যেক ঐ ব্যাক্তির প্রতি, যে বলেছে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই । ব্যাপকভাবে সিরিয়ার জনসাধারণ ও বিশেষ করে পশ্চিম গুতার বাসিন্দাদের প্রতি এটি একটি বার্তা। যা তার ভাজের মধ্যে বহন করছে একটি সতর্ক বার্তা। ঐ ব্যক্তিদের জন্য, যারা নিজেদের আখিরাতকে ক্রয় করেছে, তাদের দুনিয়ার বিনিময়ে যে, জিহাদ প্রত্যেক সামর্থ্যবানের উপর ফরযে আইন। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় পাহারা ও জিহাদকে ত্যাগ করবে সে আল্লাহর নিকট অপরাধী এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সে লাঞ্ছিত হবে।
তুমি কি আল্লাহ তায়ালার এই বানী শোনোনি?
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না, আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান।“ (সূরা তাওবাহ- ৩৮-৩৯)
হে ঐ ব্যাক্তি, যে দেশরক্ষা, পরিবাররক্ষা ও সম্পদরক্ষার অজুহাতে জিহাদকে ত্যাগ করেছো! তোমাদের প্রতিরক্ষা কি নারী ও শিশুদের মাঝে আত্নগোপন করে থাকার দ্বারা অর্জিত হবে? নাকি আল্লাহ ও তার রাসুলের শত্রুদের সাথে যুদ্ধের মাধ্যমে হবে? এটা বহু দূরের বিষয়, আল্লাহর শত্রুদের মুখোমুখি উপস্থিত হওয়ার পূর্বে এটা অসম্ভব ব্যাপার। পিছনে বসে থাকা ব্যাক্তিদের সাথে থাকতে পছন্দ করা এবং দুনিয়ার প্রতি নির্ভরশীল হওয়া এবং তা ভোগে ত্রস্ত থাকা মুনাফিকদের চিহ্ন সমুহের একটি চিহ্ন ছাড়া আর কিছু নয়। জেনে রাখো, হে আমাদের পরিবার-পরিজন! প্রত্যেক ভুখণ্ডের যে সমস্ত সন্তানেরা মুসলমানদের প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যে বের হতে অস্বীকার করেছে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়ার জীবনেই লাঞ্ছনার পোশাক পরিধান করাবেন, এবং তাদের শত্রুরা তাদের দেশে বলপূর্বক অবস্থান করবে। এবং যুদ্ধের ময়দান থেকে ধ্বংসাত্নক পলায়নের শাস্তি তাদের উপর পতিত হবে, তাদের শাস্তি হল জাহান্নাম এবং তা কতই না নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।
জেনে রাখো, যারা আমাদের হাতে বন্দি হয়ে আসবে, তারা ঐ ব্যাক্তিদের অন্তর্ভুক্ত যারা সরকারের প্রতিজ্ঞার ব্যাপারে আস্থাশীল এবং দুনিয়ার প্রতি নির্ভরশীল। তাদের বাতিলের রণাঙ্গনে জ্বালানিরূপে নিক্ষেপ করা হয়েছে। সুতরাং হে আমাদের ভায়েরা, তোমরা হক রণাঙ্গনের দিকে সমবেত হও। তোমাদেরকে বাতিলের চুল্লিতে নিক্ষেপের পূর্বে। প্রত্যেক ঐ অজুহাতদাতাদের প্রতি আমাদের বার্তা যারা রিযিক , পরিবার-পরিজন ও দেশের ক্ষতির আশঙ্কায় জিহাদকে ত্যাগ করেছে- তোমরা আল্লাহ তায়ালার এই বানী সম্পর্কে গভীরভাবে চিন্তা- গবেষণা করো।
“হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।“(সূরা তাওবাহ- ২৪)
যদি তুমি নিজেকে এবং তোমার পরিবার – পরিজনকে দুনিয়ার লাঞ্ছনা ও আখিরাতের আজাব থেকে উদ্ধার করতে চাও, তাহলে রাব্বুল আলামিনের আহবান মনযোগ সহকারে শ্রবণ করো।
“আর এ কথাও জেনে রাখ যে, কোন বস্তু-সামগ্রীর মধ্য থেকে যা কিছু তোমরা গনীমত হিসাবে পাবে, তার এক পঞ্চমাংশ হল আল্লাহর জন্য, রসূলের জন্য, তাঁর নিকটাত্নীয়-স্বজনের জন্য এবং এতীম-অসহায় ও মুসাফিরদের জন্য; যদি তোমাদের বিশ্বাস থাকে আল্লাহর উপর এবং সে বিষয়ের উপর যা আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করেছি ফয়সালার দিনে, যেদিন সম্মুখীন হয়ে যায় উভয় সেনাদল। আর আল্লাহ সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল।“(সূরা তাওবাহ-৪১)
শেষ কথা, জেনে রাখো, আমরা জমিনের উপর কয়েকটি কর্মক্ষম দল, যারা খান-আশ-শাইখে জমায়েত হয়েছে। যারা এক দেহের মত । আমাদের যুদ্ধ এক এবং আমাদের শত্রুদের ঘাড়ের উপর আমাদের হাত । কোনকিছুই আমদের মাঝে বিচ্ছেদ ঘটাতে পারে না। এবং কোন গুজব রটনাকারীর গুজব আমাদেরকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। পারে না কোন সরকারী আলেম, যারা আমাদের দলের ঐক্যকে বিনষ্ট করার প্রতিজ্ঞা করেছে। এবং তারা কখনই আমাদের শপথ ও একতাকে দুই টুকরো করতে পারবে না। আমরা আমাদের শত্রুদের লক্ষ্য করে বলছি- নিশ্চয়ই পশ্চিম গুতার মুজাহিদরা তোমাদের মাথাগুলো ছিঁড়ে ফেলার জন্য অধির আগ্রহে প্রহর গুনছে আর আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তিনিই আমাদের অভিভাবক , আমদের সাহায্যকারী। সুতরাং তোমরা বেরিয়ে পড়ো এবং আল্লাহর ডাকে সাড়া দাও। আর জেনে রাখে বিজয় সবরের সাথে। আর স্বস্তি থাকে কষ্টের সাথে। আর নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। আর আমাদের শেষ কথা, সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্য।
হারাকাতু আহরারিশ শাম,
আলইত্তিহাদুল ইসলামিয়া লিআজনাদিশ শাম,
জাবহাতু ফাতহিশ শাম,
আলাভিয়াতুল ফুরকান,
আলাভিয়াতু সাইফিল ইসলাম,
জাবহাতু সাওয়ারি সুরিয়া,
জাবহাতু আনসারিল ইসলাম,
লিওয়াউ শুহাদাউল ইসলাম।
১৪/১/১৪৩৮ হিজরি
১৬/১০/২০১৬ খ্রিস্টাব্দ
Comment