ঢাকা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি এখনই শুরু হচ্ছে? রাশিয়া সম্প্রতি যে হারে নিজের সমরসজ্জা বৃদ্ধি করছে, তাতে প্রমাদ গুণছে আমেরিকা ও ইউরোপ। সম্প্রতি ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ এক রুশ টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক দিমিত্রি কিসেলেভ পশ্চিমের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্টি নেতা ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি মন্তব্য করেছেন যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচন মানেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া। সোজা কথায়, নিজস্ব মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের আবহ তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে ক্রেমলিন। রুশ সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, নেটোর হুমকির শিকার হচ্ছে রাশিয়া। হাওয়া বুঝে দেশজুড়ে জাতীয়তাবোধ ও যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদদের বীরবন্দনা প্রচার করছেন পুতিন। তার জেরে এবার টিভির পর্দা ছেড়ে অলিগলিতে শুরু হয়েছে যুদ্ধের মহড়া। গত ৪ থেকে ৭ অক্টোবর রাশিয়ার অধিকাংশ শহরে সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিছিলে বের হন ৪ কোটি সাধারণ নাগরিক। সেই সঙ্গে ছিলেন ২ লক্ষ নিরাপত্তা কর্মী। মস্কো সংলগ্ন অঞ্চলে লিফলেট ছড়িয়ে পরমাণু আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় শিবির তৈরির জন্য অধিবাসীদের থেকে চাঁদা তোলার মতো ঘটনাও ঘটছে। আবার অক্টোবর মাসে প্রশাসনের হঠাত্* নির্দেশে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের প্রচারও চলেছে জোর কদমে। পরের দিনই সরকারি কর্মী, যাদের আত্মীয়রা কর্মসূত্রে বিদেশে রয়েছেন, তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। পাশাপাশি ককেশাস অঞ্চলে পরীক্ষামূলক যুদ্ধকালীন প্রশাসনিক নীতি কার্যকর করা হয়েছে, যাতে বাসিন্দাদের দ্রুত অভ্যস্ত হতে পরামর্শ দিয়েছে পুতিন সরকার। সব মিলিয়ে যেন এক সাজ-সাজ রব। রাশিয়ার যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং পরমাণু অস্ত্রসম্ভার সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট পুতিনের দম্ভ প্রকাশ দেখে প্রমাদ গুণছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সাল থেকেই নিজের সামরিক সম্ভার ঢেলে সাজাচ্ছে ক্রেমলিন। ২০১৫ সালে সামরিক বাজেট ৪০% বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর চাপ তৈরি করতে আচমকা আঘাত হানাও চলেছে। ওই ঘটনার পরে ইউইরোপের আকাশসীমার কাছাকাছি এলাকায় ন্যাটোর যুদ্ধবিমান নিশানা করে রুশ হাবিনীর পক্ষ থেকে গোলাগুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। কিছু দিন আগে রাশিয়া থেকে সিরিয়ায় একটি এস-৩০০ অ্যান্টি-মিসাইল তথা অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেম পাঠানো হয়েছে। বাল্টিক সাগরের কালিনগ্রাদ অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে রুশ ইসকান্দার মিসাইল। প্লুটোনিয়াম নিষ্ক্রমণে সাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক জমি-ভিত্তিক মিসাইল ছাড়ার ব্যাপারে সাক্ষরিত চুক্তির শর্তও অমান্য করেছে ক্রেমলিন। সব মিলিয়ে যুদ্ধের তোড়জোড়ের পাশাপাশি ঘরে-বাইরে যুদ্ধের আতঙ্ক ছড়াতে বদ্ধ পরিকর ক্রেমলিন। সূত্র: সিএনএন, ডেইলিস্টার
Announcement
Collapse
No announcement yet.
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনই শুরু হচ্ছে?
Collapse
X
-
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখনই শুরু হচ্ছে?
ঢাকা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ কি এখনই শুরু হচ্ছে? রাশিয়া সম্প্রতি যে হারে নিজের সমরসজ্জা বৃদ্ধি করছে, তাতে প্রমাদ গুণছে আমেরিকা ও ইউরোপ। সম্প্রতি ক্রেমলিন ঘনিষ্ঠ এক রুশ টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক দিমিত্রি কিসেলেভ পশ্চিমের বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ পার্টি নেতা ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি মন্তব্য করেছেন যে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচন মানেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়া। সোজা কথায়, নিজস্ব মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধের আবহ তৈরি করার চেষ্টায় রয়েছে ক্রেমলিন। রুশ সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ, নেটোর হুমকির শিকার হচ্ছে রাশিয়া। হাওয়া বুঝে দেশজুড়ে জাতীয়তাবোধ ও যুদ্ধক্ষেত্রে শহিদদের বীরবন্দনা প্রচার করছেন পুতিন। তার জেরে এবার টিভির পর্দা ছেড়ে অলিগলিতে শুরু হয়েছে যুদ্ধের মহড়া। গত ৪ থেকে ৭ অক্টোবর রাশিয়ার অধিকাংশ শহরে সেনার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মিছিলে বের হন ৪ কোটি সাধারণ নাগরিক। সেই সঙ্গে ছিলেন ২ লক্ষ নিরাপত্তা কর্মী। মস্কো সংলগ্ন অঞ্চলে লিফলেট ছড়িয়ে পরমাণু আক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় শিবির তৈরির জন্য অধিবাসীদের থেকে চাঁদা তোলার মতো ঘটনাও ঘটছে। আবার অক্টোবর মাসে প্রশাসনের হঠাত্* নির্দেশে খাদ্যশস্য সংরক্ষণের প্রচারও চলেছে জোর কদমে। পরের দিনই সরকারি কর্মী, যাদের আত্মীয়রা কর্মসূত্রে বিদেশে রয়েছেন, তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে ক্রেমলিন। পাশাপাশি ককেশাস অঞ্চলে পরীক্ষামূলক যুদ্ধকালীন প্রশাসনিক নীতি কার্যকর করা হয়েছে, যাতে বাসিন্দাদের দ্রুত অভ্যস্ত হতে পরামর্শ দিয়েছে পুতিন সরকার। সব মিলিয়ে যেন এক সাজ-সাজ রব। রাশিয়ার যুদ্ধ প্রস্তুতি এবং পরমাণু অস্ত্রসম্ভার সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট পুতিনের দম্ভ প্রকাশ দেখে প্রমাদ গুণছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০১২ সাল থেকেই নিজের সামরিক সম্ভার ঢেলে সাজাচ্ছে ক্রেমলিন। ২০১৫ সালে সামরিক বাজেট ৪০% বাড়ানো হয়েছে। গত কয়েক বছরে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশগুলির ওপর চাপ তৈরি করতে আচমকা আঘাত হানাও চলেছে। ওই ঘটনার পরে ইউইরোপের আকাশসীমার কাছাকাছি এলাকায় ন্যাটোর যুদ্ধবিমান নিশানা করে রুশ হাবিনীর পক্ষ থেকে গোলাগুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে। কিছু দিন আগে রাশিয়া থেকে সিরিয়ায় একটি এস-৩০০ অ্যান্টি-মিসাইল তথা অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফ্ট সিস্টেম পাঠানো হয়েছে। বাল্টিক সাগরের কালিনগ্রাদ অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে রুশ ইসকান্দার মিসাইল। প্লুটোনিয়াম নিষ্ক্রমণে সাক্ষরিত চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক জমি-ভিত্তিক মিসাইল ছাড়ার ব্যাপারে সাক্ষরিত চুক্তির শর্তও অমান্য করেছে ক্রেমলিন। সব মিলিয়ে যুদ্ধের তোড়জোড়ের পাশাপাশি ঘরে-বাইরে যুদ্ধের আতঙ্ক ছড়াতে বদ্ধ পরিকর ক্রেমলিন। সূত্র: সিএনএন, ডেইলিস্টারTags: None
-
জাযাকাল্লাহ...আখি ফিল্লাহ! আপনাদের পোস্ট আর কমেন্টসগুলো কিতালের পথে আমাদের দারুণ উজ্জীবিত করে। আশা রাখি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।বর্বর হিংস্র হায়েনার বিষাক্ত থাবায় আমাদের মা-বোন আর ভাইদের রক্তে ভেসে যাচ্ছে আমাদেরই নিজ ভূমি। আর তুমি........তবুও তুমি বসে থাকবে ? জেনে রেখো! তোমাকে অবশ্যই এ নির্যাতিত উম্মার রবের সামনে দাঁড়াতে হবে।
- Stuck
Comment