২.
সন্ধ্যা নামার ঠিক পরে আব্দুল্লাহ নির্ধারিত বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। দিনের বাকি সময় পাটগ্রাম রেলষ্টেশনের আশেপাশের কিছু এলাকা এবং মূল বাজার এলাকা ঘুড়ে দেখেছে সে। আসেরর নামাজ থেকে শুরু করে মাগরিব পর্যন্ত একটি মসজিদে অবস্থান করেছে। যেখানে তাবলীগ জামাতের এলাকাভিত্তিক একটা জামাত ছিলো। আর আম বয়ান হওয়ার কারণে নিজেকে মুসুল্লিদের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে কোন অসুবিধাই হয়নি তার।
বাদ মাগরিব রেলষ্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকের রাস্তাটা ধরে ২-৩ মিনিটের হাঁটা রাস্থা ধরে এগিয়ে যাওয়ার পরে হাতের বায়ে একটি মোড় পায় সে। কিন্তু সে মোড় ধরে না গিয়ে পায়ে চলা রাস্তা থেকে নেমে একটি জংলা টাইপ জায়গা দিয়ে পশ্চিমমুখো হয়ে কোনাকুনিভাবে আগাতে থাকে। দেখেই বোঝা যায়, এটা মানুষের চলাচলের রাস্তা নয়। কিন্তু আব্দুল্লাহ লোক-চক্ষুকে ফাঁকি দেয়ার জন্যই এই রাস্তাটা আগের সফরে চিনে রেখে গেছে। অনাকাঙ্খিতভাবে কেউ যদি দেখেও ফেলে সে ভাববে প্রাকৃতিক প্রয়োজনীয়তার জন্যই হয়তো লোকটি ওদিকে নেমে গেছে।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আব্দুল্লাহ নির্ধারিত বাড়ির পিছনের পাঁচিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। এর আগে একবার এসছিলো মাত্র এই বাড়িতে, অথচ মনে হচ্ছে কত আপন এ বাড়িটা। মনে হচ্ছে যেন নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে সে। আল্লাহর জন্য, আল্লাহর দ্বীনের জন্য কাজ করার আনন্দটাই এখানে। পরিচয়ের পরপর-ই প্রত্যেক কর্মী ভাইকে কত আপন মনে হয়, প্রত্যেকটা আনসার হাউজ নিজের পরিবারের মত মনে হয়। এই আত্মিক-বন্ধন আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি এক নিয়ামত যা তাৎক্ষণিকভাবে অনুভব করা যায়। নিজের অজান্তেই আলহামদুলিল্লাহ শব্দ বেড়িয়ে যায় আব্দুল্লাহর মুখ দিয়ে। আরেকবার সে ভক্তি ভরে উচ্চারণ করে, আলহামদুলিল্লাহ.....
এখান থেকে ৩ ধাপে সিকিউরিটি চেক দিতে হবে তাকে। তাই মনেমনে নির্ধারিত কোডগুলো আরেকবার আউড়িয়ে নিলো সে। এরপর পাচিলের নির্ধারিত স্থান খুঁজে নিয়ে পাঁচিল টপকিয়ে পূর্ব থেকে বলে দেয়া লেবু গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই কারো কন্ঠ ভেসে আসলো -
- আমরা ছাড়া ৩য় জন কে? এটি ছিলো একটি কোড, যার উত্তর শুধু আব্দুল্লাহকেই জানানো হয়েছে।
- “আল্লাহ”, একটু বর্ধিত কন্ঠে উত্তর দিলো আব্দুল্লাহ।
- আসসালামুআলাইকুম ভাই, আপনি সোজা সামনে এগিয়ে আসুন।
- ওয়াআ’লাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বলে সামেন যাওয়া শুরু করলো সে।
একটু এগুতেই অন্ধকারে একজন ভাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু আব্দুল্লাহ বোঝার চেষ্টা করলো এখান থেকে পাঁচিলের ওদিকে ওকে সনাক্ত করা হলো কিভাবে, ওদিকে তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। একটু কাছে যেতেই ভাইয়ের চোখে নাইট ভিশন দেখতে পেলো সে।
- ভাই, সবাই কেমন আছেন? প্রশ্ন করলো আব্দুল্লাহ।
- আলহামদুলিল্লাহ, আপনি ভালো আছেন?
- আলহামদুলিল্লাহ....
- আমার সাথে আসতে থাকুন, সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনাকে হায়দার ভাইয়ের কাছে নেয়া হবে। এর আগে কোন কথা বলার অনুমতি নেই।
চুপচাপ পথ নির্দেশক ভাইয়ের সাথে সামনে এগুতে থাকলো আব্দুল্লাহ। একটু সামনে এগিয়ে বায়ে ঘুড়ে গেলো ওরা।
- আপনাকে এখানে দুইটা কোড ব্যবহার করতে হবে, প্রস্তুত থাকবেন। কোন কোড বলতে ৩ সেকেন্ডের বেশি দেরি করা যাবে না।
এই বলে মূল দরজাতে না গিয়ে ইমারজেন্সি এক্সিটের সামনে গিয়ে বিশেষ কায়দায় নক করলো সাথের ভাইটি। নক করার কায়দা দেখেই বোঝা গেলো একটু এদিক-ওদিক হলে ভিতর থেকে কোন প্রতিউত্তর আসবে না। চার-পাঁচ সেকেন্ড যেতে না যেতেই ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো,
- তোমরা কয়জন?
- গুহায় আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের অনুরুপ, সাথে সাথেই উত্তর দিলো আব্দুল্লাহ।
- গুহার ভিতরে কারা? পুনরায় প্রশ্ন করা হলো
- নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এবং সাহাবী আবু বকর (রা), আবার উত্তর দিলো সে।
সামান্য বিলম্ব না করে সাথে সাথেই দরজা খুলে গেলো। সালাম দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো ওরা দুইজন। একটি আবছা করিডোর ধরে ৩য় ব্যক্তির সাথে এগিয়ে যেতে থাকলো আব্দুল্লাহ, কিন্তু যাওয়ার আগে পূর্বের পথ-নির্দেশক ভাই তার ব্যাগ, মোবাইল, কলম এমনকি হাতের ঘড়ি পর্যন্ত খুলে নিয়ে অন্য পথে অন্ধকারে হারিয়ে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি বড় দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো ওরা। এ সময় সাথের লোকটি দরজার পাশে একটি “কি হোল” এর মত বাটনের পাশে দাঁড়াতে বললো আব্দুল্লাহকে। এক মিনিটের মধ্যে আওয়াজ আসলো, আব্দুল্লাহ ভাইকে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিন, জিরো থ্রী-তে হায়দার ভাই অপেক্ষা করছেন।
- আপনি এই দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পরে আপনার দুইপাশে দুইটা সিঁড়ি দেখতে পাবেন। নিচে নেমে যাওয়া সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবেন। “০৩” লিখা রুমে হায়দার ভাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন, দরজা খোলাই আছে। আমার আপাতত ভিতরে প্রবেশ করার প্রয়োজন নেই। এই বলে লোকটি নির্দিষ্ট “কি বাটনে” চাপ দিয়ে দরজা খুলে দিলো। ভিতরে প্রবেশ করে নিচে নেমে গেলো আব্দুল্লাহ। বুঝতে পারলো এখন তার অবস্থান আন্ডারগ্রাউন্ডে। সালাম দিয়ে ০৩ নাম্বার রুমে প্রবেশ করলো সে। হায়দার ভাই উপুর হয়ে কি যেন একটা ম্যাপ পরখ করছিলেন, আব্দুল্লাহর কন্ঠ পেয়ে একরকম দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন তাকে।
- ভাই আমার, কেমন আছেন আপনি। পথে কোন সমস্যা হয়নি তো?
আবেগ-আপ্লুত হয়ে আব্দুল্লাহ-ও হায়দার ভাইকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- আলহামদুলিল্লাহ, পথে কোন সমস্যা হয়নি ভাই, কিন্তু আপনার সিকিউরিটি ব্যবস্থা একটু টাইট মনে হলো, কোন ঝামেলা হয়েছে কি?
- আমরা দুইজন গুপ্তচরকে আটক করেছি, বাংলা বলতে পারে আমাদের মতই কিন্তু কথা-বার্তা শুনে বাংলাদেশী মনে হচ্ছে না। নির্ধারিত মিশনে কয়েকদিন বিলম্ব হতে পারে।
অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলো আব্দুল্লাহ’র বুক। ৬ মাস ১৭ দিন ধরে তারা এই মিশনের পরিকল্পনা করেছে। তবে কি মিশনের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে???
১ম পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
সন্ধ্যা নামার ঠিক পরে আব্দুল্লাহ নির্ধারিত বাড়ির দিকে এগিয়ে গেলো। দিনের বাকি সময় পাটগ্রাম রেলষ্টেশনের আশেপাশের কিছু এলাকা এবং মূল বাজার এলাকা ঘুড়ে দেখেছে সে। আসেরর নামাজ থেকে শুরু করে মাগরিব পর্যন্ত একটি মসজিদে অবস্থান করেছে। যেখানে তাবলীগ জামাতের এলাকাভিত্তিক একটা জামাত ছিলো। আর আম বয়ান হওয়ার কারণে নিজেকে মুসুল্লিদের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে কোন অসুবিধাই হয়নি তার।
বাদ মাগরিব রেলষ্টেশন থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকের রাস্তাটা ধরে ২-৩ মিনিটের হাঁটা রাস্থা ধরে এগিয়ে যাওয়ার পরে হাতের বায়ে একটি মোড় পায় সে। কিন্তু সে মোড় ধরে না গিয়ে পায়ে চলা রাস্তা থেকে নেমে একটি জংলা টাইপ জায়গা দিয়ে পশ্চিমমুখো হয়ে কোনাকুনিভাবে আগাতে থাকে। দেখেই বোঝা যায়, এটা মানুষের চলাচলের রাস্তা নয়। কিন্তু আব্দুল্লাহ লোক-চক্ষুকে ফাঁকি দেয়ার জন্যই এই রাস্তাটা আগের সফরে চিনে রেখে গেছে। অনাকাঙ্খিতভাবে কেউ যদি দেখেও ফেলে সে ভাববে প্রাকৃতিক প্রয়োজনীয়তার জন্যই হয়তো লোকটি ওদিকে নেমে গেছে।
পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আব্দুল্লাহ নির্ধারিত বাড়ির পিছনের পাঁচিলের কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। এর আগে একবার এসছিলো মাত্র এই বাড়িতে, অথচ মনে হচ্ছে কত আপন এ বাড়িটা। মনে হচ্ছে যেন নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছে সে। আল্লাহর জন্য, আল্লাহর দ্বীনের জন্য কাজ করার আনন্দটাই এখানে। পরিচয়ের পরপর-ই প্রত্যেক কর্মী ভাইকে কত আপন মনে হয়, প্রত্যেকটা আনসার হাউজ নিজের পরিবারের মত মনে হয়। এই আত্মিক-বন্ধন আল্লাহর পক্ষ থেকে সরাসরি এক নিয়ামত যা তাৎক্ষণিকভাবে অনুভব করা যায়। নিজের অজান্তেই আলহামদুলিল্লাহ শব্দ বেড়িয়ে যায় আব্দুল্লাহর মুখ দিয়ে। আরেকবার সে ভক্তি ভরে উচ্চারণ করে, আলহামদুলিল্লাহ.....
এখান থেকে ৩ ধাপে সিকিউরিটি চেক দিতে হবে তাকে। তাই মনেমনে নির্ধারিত কোডগুলো আরেকবার আউড়িয়ে নিলো সে। এরপর পাচিলের নির্ধারিত স্থান খুঁজে নিয়ে পাঁচিল টপকিয়ে পূর্ব থেকে বলে দেয়া লেবু গাছের নিচে দাঁড়িয়ে পড়লো। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই কারো কন্ঠ ভেসে আসলো -
- আমরা ছাড়া ৩য় জন কে? এটি ছিলো একটি কোড, যার উত্তর শুধু আব্দুল্লাহকেই জানানো হয়েছে।
- “আল্লাহ”, একটু বর্ধিত কন্ঠে উত্তর দিলো আব্দুল্লাহ।
- আসসালামুআলাইকুম ভাই, আপনি সোজা সামনে এগিয়ে আসুন।
- ওয়াআ’লাইকুমুসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বলে সামেন যাওয়া শুরু করলো সে।
একটু এগুতেই অন্ধকারে একজন ভাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলো। কিন্তু আব্দুল্লাহ বোঝার চেষ্টা করলো এখান থেকে পাঁচিলের ওদিকে ওকে সনাক্ত করা হলো কিভাবে, ওদিকে তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। একটু কাছে যেতেই ভাইয়ের চোখে নাইট ভিশন দেখতে পেলো সে।
- ভাই, সবাই কেমন আছেন? প্রশ্ন করলো আব্দুল্লাহ।
- আলহামদুলিল্লাহ, আপনি ভালো আছেন?
- আলহামদুলিল্লাহ....
- আমার সাথে আসতে থাকুন, সিকিউরিটি চেক সম্পন্ন হওয়ার পরে আপনাকে হায়দার ভাইয়ের কাছে নেয়া হবে। এর আগে কোন কথা বলার অনুমতি নেই।
চুপচাপ পথ নির্দেশক ভাইয়ের সাথে সামনে এগুতে থাকলো আব্দুল্লাহ। একটু সামনে এগিয়ে বায়ে ঘুড়ে গেলো ওরা।
- আপনাকে এখানে দুইটা কোড ব্যবহার করতে হবে, প্রস্তুত থাকবেন। কোন কোড বলতে ৩ সেকেন্ডের বেশি দেরি করা যাবে না।
এই বলে মূল দরজাতে না গিয়ে ইমারজেন্সি এক্সিটের সামনে গিয়ে বিশেষ কায়দায় নক করলো সাথের ভাইটি। নক করার কায়দা দেখেই বোঝা গেলো একটু এদিক-ওদিক হলে ভিতর থেকে কোন প্রতিউত্তর আসবে না। চার-পাঁচ সেকেন্ড যেতে না যেতেই ভিতর থেকে আওয়াজ আসলো,
- তোমরা কয়জন?
- গুহায় আশ্রয় নেয়া ব্যক্তিদের অনুরুপ, সাথে সাথেই উত্তর দিলো আব্দুল্লাহ।
- গুহার ভিতরে কারা? পুনরায় প্রশ্ন করা হলো
- নবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম) এবং সাহাবী আবু বকর (রা), আবার উত্তর দিলো সে।
সামান্য বিলম্ব না করে সাথে সাথেই দরজা খুলে গেলো। সালাম দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো ওরা দুইজন। একটি আবছা করিডোর ধরে ৩য় ব্যক্তির সাথে এগিয়ে যেতে থাকলো আব্দুল্লাহ, কিন্তু যাওয়ার আগে পূর্বের পথ-নির্দেশক ভাই তার ব্যাগ, মোবাইল, কলম এমনকি হাতের ঘড়ি পর্যন্ত খুলে নিয়ে অন্য পথে অন্ধকারে হারিয়ে গেলো। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি বড় দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো ওরা। এ সময় সাথের লোকটি দরজার পাশে একটি “কি হোল” এর মত বাটনের পাশে দাঁড়াতে বললো আব্দুল্লাহকে। এক মিনিটের মধ্যে আওয়াজ আসলো, আব্দুল্লাহ ভাইকে ভিতরে প্রবেশ করিয়ে দিন, জিরো থ্রী-তে হায়দার ভাই অপেক্ষা করছেন।
- আপনি এই দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করার পরে আপনার দুইপাশে দুইটা সিঁড়ি দেখতে পাবেন। নিচে নেমে যাওয়া সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাবেন। “০৩” লিখা রুমে হায়দার ভাই আপনার জন্য অপেক্ষা করছেন, দরজা খোলাই আছে। আমার আপাতত ভিতরে প্রবেশ করার প্রয়োজন নেই। এই বলে লোকটি নির্দিষ্ট “কি বাটনে” চাপ দিয়ে দরজা খুলে দিলো। ভিতরে প্রবেশ করে নিচে নেমে গেলো আব্দুল্লাহ। বুঝতে পারলো এখন তার অবস্থান আন্ডারগ্রাউন্ডে। সালাম দিয়ে ০৩ নাম্বার রুমে প্রবেশ করলো সে। হায়দার ভাই উপুর হয়ে কি যেন একটা ম্যাপ পরখ করছিলেন, আব্দুল্লাহর কন্ঠ পেয়ে একরকম দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলেন তাকে।
- ভাই আমার, কেমন আছেন আপনি। পথে কোন সমস্যা হয়নি তো?
আবেগ-আপ্লুত হয়ে আব্দুল্লাহ-ও হায়দার ভাইকে জড়িয়ে ধরে বললো,
- আলহামদুলিল্লাহ, পথে কোন সমস্যা হয়নি ভাই, কিন্তু আপনার সিকিউরিটি ব্যবস্থা একটু টাইট মনে হলো, কোন ঝামেলা হয়েছে কি?
- আমরা দুইজন গুপ্তচরকে আটক করেছি, বাংলা বলতে পারে আমাদের মতই কিন্তু কথা-বার্তা শুনে বাংলাদেশী মনে হচ্ছে না। নির্ধারিত মিশনে কয়েকদিন বিলম্ব হতে পারে।
অজানা আশঙ্কায় কেঁপে উঠলো আব্দুল্লাহ’র বুক। ৬ মাস ১৭ দিন ধরে তারা এই মিশনের পরিকল্পনা করেছে। তবে কি মিশনের তথ্য ফাঁস হয়ে গেছে???
১ম পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন -
Comment