أَعُوْذُ بِا للّٰهِ مِنَ الشَّيْطَا نِ الرَّجِيْمِ
بِسْمِ للّٰهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ
اِنَّ الْحَمْدَ لِلّٰهِ نَـحْمَدُهٗ وَنَسْـتَعِيْنُهٗ وَنَسْتَغْفِرُهٗ وَنَعُوْذُ بِـاللّٰهِ مِنْ شُرُوْرِ اَنْفُسِنَا وَمِنْ سَيِّـأٰتِ اَعْمَالِنَا مَنْ يَّهْدِهِ اللّٰهُ فَلَا مُضِلَّ لَهٗ ، وَمَنْ يُّضْلِلْ فَلَا هَادِيَ لَهٗ وَأَشْهَدُ اَنْ لاَ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهٗ لَاشَرِيْكَ لَهٗ وَأَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ.
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।
হে মুসলিম ভাই ও বোনেরা !
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ
"আর তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক যতক্ষণ না ফিতনা শেষ হয়ে যায়; এবং আল্লাহর সমস্ত হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তারপর যদি তারা বিরত হয়ে যায়, তবে আল্লাহ তাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করেন।" [সূরা আল-আনফাল ০৮ : ৩৯]
ভারত উপমহাদেশ যখন ব্রিটিশ শাসকদের দখলে এসেছিল, তখন এই উপমহাদেশের তাওহীদের ঝান্ডাবাহী সাঁচ্চা মুসলিমগণ ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া ত্বাগুতি শাসন মেনে নিতে পারেনি। ফলে ব্রিটিশদের উৎখাতের জন্য এই উপমহাদেশে মুসলিমদের দ্বারা একটি জামাআহ তৈরি হয় ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দে। যার নাম “জামা’আতে মুজাহিদীন”। এর নেতৃত্বে ছিলেন সাইয়্যেদ আহমাদ শহীদ (রাহিমাহুল্লাহ) এবং তার সুযোগ্য সেনাপতি ছিলেন শাহ ইসমাঈল শহীদ (রাহিমাহুল্লাহ)। তাঁদের নেতৃত্বে এই ভূখন্ডের কিছু অংশে ইসলামি হুকুমাত প্রতিষ্ঠিত হয়।
কিন্তু ১৮৩১ খ্রিষ্টাব্দে বালাকোটের যুদ্ধে নেতৃস্থানীয় মুজাহিদীন সহ আরো অনেক মুজাহিদ শহীদ হবার পর ইসলামী শাসনের পতন ঘটে এবং মুসলিমরা নানা ভাবে দুর্বল হতে থাকে। ব্রিটিশদের চাপিয়ে দেওয়া নষ্ট আইনে এবং নানা জুলুম ও অন্যায়ের স্বীকার হয়ে মুজাহিদগণ জেল, ফাঁসী, বনবাস ইত্যাদি পরীক্ষার সম্মুখীন হতে থাকে। এক পর্যায়ে “জামা’আতে মুজাহিদীন” -এর কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে। পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ অনেক হৃদয়বিদারক। এ অঞ্চলের নামধারী মুসলিম এবং অমুসলিমদের নেতারা মুজাহিদীনগণ তাওহীদ প্রতিষ্ঠার জন্য রক্তের যে কোরবানি করেছিলেন তা পুঁজি করে সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাফিরদের তৈরি করা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ব্রিটিশদের এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করে। দুঃখের বিষয় ব্রিটিশরা এই ভূমি ছেড়ে চলে যায় বটে, কিন্তু তাদের রীতি-নীতি, আইন-কানুন সমস্ত কিছু রেখে যায়, যার মাধ্যমে ভারতবর্ষ শাসিত হয়ে আসছিল প্রায় দু’শত বছর যাবৎ। এমতাবস্থায় ভারত উপমহাদেশের পশ্চিম অঞ্চলের পাকিস্তান, আফগানিস্তানে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা এবং কাফিরদের দখল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য মুজাহিদীনরা জেগে ওঠে। কিন্তু উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল তথা বাংলাদেশে সহীহ আক্বীদা-মানহাযের ভিত্তিতে কোন ক্বিতালি তানজীম প্রতিষ্ঠিত ছিল না। যারা কিনা কালিমা পড়া মুসলিম নামধারী ত্বাগুত শাসকদের উৎখাত করে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করবে। ঠিক সেই মুহুর্তে বাংলাদেশের ভূমিতে তানজীম “আল-কায়েদাতুল জিহাদ” -এর আদলে সহীহ আক্বীদাহ-মানহাযের ভিত্তিতে ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে শাইখ আব্দুর রহমান ইবন আব্দুল্লাহ ইবন ফজল (রাহিমাহুল্লাহ) এর নেতৃত্বে একটি জিহাদী তানজীম প্রতিষ্ঠিত হয়। যে তানজীমের সুযোগ্য সেনাপতি ছিলেন শাইখ নাসরুল্লাহ (রাহিমাহুল্লাহ)। যার নামকরন করা হয় পূর্বের ব্রিটিশ উতখাতের যে জিহাদী তানজীম ছিল তার নামানুসারে – “জামা’আতে মুজাহিদীন”। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে
–আল্লাহর যমীনে আল্লাহর দেয়া পদ্ধতি ক্বিতাল তথা সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে শিরকের উৎখাত করে তাওহীদ তথা আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জান্নাত প্রাপ্তি।
কর্মসূচি হলঃ
১. দাওয়াহ (আহবান / উদ্বুদ্ধকরণ)
২. ই’দাদ (প্রশিক্ষন / প্রস্তুতি গ্রহণ)
৩. ক্বিতাল (জিহাদ/ সশস্ত্র যুদ্ধ)
দ্বীন প্রতিষ্ঠার এই জিহাদে অনেক জেল, জুলুম, ফাঁসি ও রক্তস্নাত ঘটনা চলমান রয়েছে। যা কিনা আজ এ অঞ্চলের ত্বাগুত, মুরতাদ শাসক কর্তৃক জুলুম-অত্যাচারের মাত্রা আরো বহু গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
হে মুসলিম উম্মাহ ! আপনারা কি অবগত নন !
বাংলার ভূমিতে দ্বীন কায়েমের জন্য মুজাহিদ নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে সাধারন মুজাহিদরা যখন অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন তখন তাদের পথকে রুদ্ধ করার জন্য ত্বাগুতের বাহিনী তানজীমের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে জুলুম-অত্যাচার শুরু করেছে। প্রথমে জেল জুলুম দিয়ে শুরু করে তানজীমের নয় বছর পূর্ণ না হতেই “জামা’আতে মুজাহিদীন” –এর প্রতিষ্ঠাতা শূরা সদস্য শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) ও শাইখ হাফিয মাহমুদ (রাহিমাহুল্লাহ) ব্যতীত সম্মানিত আমীর শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী (রাহিমাহুল্লাহ) থেকে শুরু করে আরো ৪ জন শূরা সদস্য ও ১ জন ফিদায়ী ভাই সহ মোট ৬ জনকে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাসিঁর দন্ডাদেশ ও তরিঘরি করে তা কার্যকর করে তৎকালীন ত্বাগুত ও মুরতাদ সরকার।
শত শত মুজাহিদীন পুরুষ ও নারী-শিশুদেরকে গ্রেফতার করেছে। এখনো তারা এই জালিম ত্বাগুতের জিন্দা খানায় বন্দী থেকে মৃত্যুর প্রহর গুনছে অথবা শত শত বছর সাজা শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছে যা শেষ হওয়ার নয়। অনেকেই কারাবন্দী অবস্থায় বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন
এমতাবস্থায় “জামা’আতে মুজাহিদীন” পুনরায় সংঘটিত হওয়ার জন্য আবারও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০০৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত (ফাঁসি হওয়ার দিন) এই তানজীমের আমীর ছিলেন শাইখ আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ফজল (রাহিমাহুল্লাহ)। পরবর্তীতে শাইখ গ্রেপ্তার হওয়ার পর ২০০৬ সালের ২১ শে জুলাই ভারপ্রাপ্ত আমীর নিযুক্ত হন শাইখ সাইদ উর রহমান (সাইদুর রহমান) বিন আব্দুল মাতীন (হাফিযাহুল্লাহ)। ২০০৭ সালের ২৯শে মার্চ শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী (রাহিমাহুল্লাহ) সহ অন্যান্য সহচর শুরা সদস্য শাইখ সিদ্দিকুল ইসলাম {বাংলা ভাই} (রাহিমাহুল্লাহ), শাইখ আতাউর রহমান সানি {শাইখের ছোট ভাই} (রাহিমাহুল্লাহ), শাইখ আব্দুল আউয়াল {শাইখের জামাতা} (রাহিমাহুল্লাহ), শাইখ খালিদ সাইফুল্লাহ ফারুক (রাহিমাহুল্লাহ) ও ইফতেখার মামুনের (রাহিমাহুল্লাহ) সিরিজ ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আল্লাহ তাদেরকে উত্তম শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
তারপর ২০০৭ সালের মার্চ মাস থেকে স্থায়ী আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শাইখ সাইদ উর রহমান বিন আব্দুল মাতীন (হাফিযাহুল্লাহ)। ২০১০ সালের মে মাসে শাইখ গ্রেপ্তার হন। তিনি বন্দী হওয়ার পর বাহিরে নেতৃত্বের শূণ্যতা দেখা দেয়। “জামা’আতুল মুজাহিদীন”-এর ইসাবা’র অন্যতম একটি বিগ্রেড “শাইখ নাসরুল্লাহ বিগ্রেড” কে নির্দেশনা দেয়া হয়, প্রতিষ্ঠাতা শূরা সদস্য শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) ও শাইখ হাফিজ মাহমুদ (রাহিমাহুল্লাহ) সহ অন্যান্য মুজাহিদীনদের মুক্ত করতে। সে মোতাবিক ২০১৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ অনুগ্রহে “শাইখ নাসরুল্লাহ বিগ্রেড” দুঃসাহসী এক অভিযানের মাধ্যমে বন্দী ৩ জন মুজাহিদ শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) ও শাইখ হাফিজ মাহমুদ (রাহিমাহুল্লাহ) ও শাইখ মিজান (হাফিযাহুল্লাহ) কে মুক্ত করেন। মুক্ত হওয়ার পর ঐ দিন বিকালে শাইখ হাফিজ মাহমুদ (রাহিমাহুল্লাহ) ত্বাগুতের বাহিনী দ্বারা পুনরায় বন্দী হন এবং পরদিন ভোরে ত্বাগুতের বাহিনী সরাসরি গলায় ও বুকে গুলি করে তাকে হত্যা করে। আল্লাহ তাকে উত্তম শহীদ হিসেবে কবুল করুন। আমীন।
শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) মুক্ত হওয়ার পর কারাবন্দী আমীর সহ “জামা’আতুল মুজাহিদীন” –এর সকল মুজাহিদ শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) এর কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে তার হাতে বাইয়াহ প্রদান করেন। বাহিরে যে নেতৃত্বের শূণ্যতার কারণে সাময়িক বিশৃংখলা বিরাজ করছিল তার অবসান ঘটে এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে দুর্বার গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেন।
বিশ্বের মুজাহিদীন নেতৃবৃন্দের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, অদ্যবধি সুশৃঙ্খল থেকে শাইখ সালাহুউদ্দীন সালেহীন (হাফিযাহুল্লাহ) এর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করে সহীহ আক্বীদা-মানহাযের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সহ ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে আল্লাহর কালিমাকে সুউচ্চে বুলন্দ করার জন্য সামর্থানুযায়ী আমাদের কর্ম পরিকল্পনা ও কর্মতৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। তানজীমের প্রতিষ্ঠাকাল ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৮ বছরে “জামা’আতুল মুজাহিদীন” এমন অসংখ্য সফল অপারেশন দেশের মাটিতে পরিচালনা করেছে; আলহামদুলিল্লাহ!
যার কোন একটিরও স্বীকারুক্তি মিডিয়াতে দেয়া হয়নি। কেননা আমরা মহান রবের সন্তুষ্ঠির জন্য এ কাজগুলো করেছি -যা প্রচারের নিয়্যত ছিলনা। বর্তমান গ্লোবাল জিহাদের প্রেক্ষাপটে আমরা আমাদের পূর্বের বিভিন্ন অভিযানের উল্লেখযোগ্য কিছু বিবরণ এবং চলমান অভিযানের স্বীকারুক্তি প্রদান করছি।
“জামা’আতুল মুজাহিদীন” এর অভিযান গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
** বাংলাদেশের বিভিন্ন অনৈসলামিক এন.জি.ও যেমনঃ গ্রামীণব্যাংক, ব্র্যাক, প্রশিকা, অক্সর্ফাম, ওয়ার্ল্ডভিশন, কারিতাস ইত্যাদি যারা কিনা এদেশের মুসলিমদেরকে সুদ ও মহিলাদের ফিতনায় পতিত করে ঈমান, আক্বীদা ধ্বংস করে বাতিল ধর্মের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে এদেশকে একটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্রে পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। তাদের জান এবং মাল কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে হালাল। সে মোতাবিক ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রায় শতাধিক অনৈসলামিক এন.জি.ও -এর উপর আক্রমণ করা হয়েছিল।
**২০০২ সালের ডিসেম্বরে মোমেনশাহীর ৪টি সিনেমা হলে অশ্লীল সিনেমা প্রদর্শনের অপরাধে প্রজেক্টর মেশিন ধ্বংস করার লক্ষ্যে সফল বোমা হামলা করা হয়।
**২০০২ সালে সাতক্ষীরার ইটগাছায় ত্বগুতের পুলিশের টহল বাহিনীর উপর এক সফল গেরিলা হামলা চালানো হয় সেখানে ২জন পুলিশকে হত্যা করা হয়।
**২০০২ সালে সাতক্ষীরায় অশ্লীলতা বন্ধের লক্ষ্যে সিনেমা হল ও সার্কাসে সফল বোমা হামলা পরিচালিত হয়।
**অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে মহামারীর আকারে ছড়ানোর আর একটি মাধ্যম হল যাত্রাপালা। যা এদেশে বহু কাল ধরে চলে আসছে। এই অশ্লীলতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০ এর অধিক যাত্রার প্যান্ডেলে সাউন্ড ব্লাস্ট এর মাধ্যমে হামলা করা হয়। [উল্লেখ্য যে, এখানে জন সাধারণ হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল না এবং তাদেরকে আমরা টার্গেটেও পরিণত করি না। যে কারনে সাউন্ড গ্রেনেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। যাতে করে ভীতির সঞ্চার হয়।]
** ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক স্বঘোষিত নাস্তিক, লম্পট, বাংলার ভূমিতে নাস্তিক্যবাদ প্রচার ও প্রসারের অন্যতম অগ্রনায়ক ডঃ হুমায়ুন আজাদ তার লিখিত “পাক সার জমীন সাদবাদ” বিভ্রান্তিকর এই বইয়ে আল্লাহ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর সহ ধর্মিনীদের সহ জান্নাত-জাহান্নাম ও মুজাহিদীনদের নিয়ে ঠাট্টা, বিদ্রুপ, চরম অশ্লীল ও কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য করার কারণে তাকে ২০০৪ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।
** এভাবে একই ধরনের অপরাধে ২০০৪ সালের শেষের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নাস্তিকদের লিডার কুখ্যাত ডঃ ইউনুসকে হত্যা করা হয়।
** ২০০৩ সালের শুরুর দিকে জয়পুরহাটের কালাইথানা ভন্ড পীরের আস্তানায় এক অভিযান চালিয়ে ৫ জন খাদেমকে শিরচ্ছেদ করা হয়।
তাদের অপরাধ ছিল—শিরকের প্রতিষ্ঠাতা, প্রচার এবং প্রসার।
** ২০০৩ সালে টাঙ্গাইলের তকতার চালা এলাকায় ফাইলা পাগলার মাজারে টাইম বোমা ও গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে (মাজার) শিরকের আস্তানা ধ্বংস করা হয়।
** ২০০৪ সালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার থানার হোমিও ডাক্তার মনিরুজ্জামানকে “মেয়ে তুমি মানুষ ছিলে কবে” এই বইয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সহধর্মিণীদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অপরাধে “জামা’আতুল মুজাহিদীন’”-এর বিচারে তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়, অতঃপর তার শিরচ্ছেদের মাধ্যমে তা কার্যকর হয়।
**বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী জেলার বাগমারা থানা, নওগা জেলার রাণী নগর, আত্রাই সহ আশে পাশের এলাকাতে লেলিন-কালমার্কসবাদী নাস্তিক সর্বহারা (মুসলমান) মানুষদের ধন-সম্পদ লুটপাট, চাঁদাবাজি, হত্যাযজ্ঞ সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। নির্যাতিত জনপদ থেকে “জামা’আতুল মুজাহিদীন” এই আবেদনের সত্যতা যাচাই করে সূরা আন-নিসার ৭৫ নং আয়াতের শিক্ষা বাস্তাবায়নে এগিয়ে আসে। “জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ” ব্যানারে শাইখ আব্দুর রহমান (রাহিমাহুল্লাহ) -এর নেতৃত্বে সর্বাত্নক অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সে মোতাবিক নাস্তিক সর্বহারাদের ২০০৪ সালের এপ্রিল – মে এই দুই মাসের মধ্যে তিনটি মুআসকার ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করে প্রায় ৩৫০ এর অধিক অভিযান পরিচালনা করে তাদের উৎখাত করা হয়। যা তৎকালীন সময়ে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিত মিডিয়াতে নানা অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। যার সাথে আমাদের নূন্যতম কোন সম্পর্ক ছিল না। আমরা শুধু মজলুমের পক্ষে আর জুলুমের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলাম।
** জামালপুর জেলার সদর থানার হাজিপুর বাজার এলাকার অধিবাসী জেলা খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের অন্যতম নেতা আব্দুল গনী ওরফে গণী গোমেজ ওরফে জোসেফ মন্ডল যে ১৯৮০ সালে সপরিবারে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত হয় এবং ১৪০০ নিরীহ মুসলিমকে রিলিফ দেয়ার নামে গোপনে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করে। এই অপরাধে ইসলামিক আইনে ২০০৪ সালে ১৮ই সেপ্টেম্বর তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
** জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার সানাকৈর এলাকার খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান হৃদয় রায় বিভ্রান্তিকর সি.ডি প্রদর্শনের মাধ্যমে এলাকার সাধারণ মুসলিমদের খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করতে থাকে। এই অপরাধের কারণে ২০০৫ সালের ১৪ই এপ্রিল তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
** ২০০৫ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারী কথিত ভালোবাসা দিবসে (বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের t.s.c. চত্বরে সাউন্ড ব্লাস্ট এর মাধ্যমে তাদের অশ্লীল কনসার্ট অনুষ্ঠানকে পন্ড করে দেওয়া হয়। [উল্লেখ্য যে, এখানে জন সাধারণ হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল না এবং তাদেরকে আমরা টার্গেটেও পরিণত করি না। যে কারনে সাউন্ড গ্রেনেড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। যাতে করে ভীতির সঞ্চার হয়।]
** ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট সারাদেশে সিরিজ সাউন্ড ব্লাস্ট এর মাধ্যমে “জামা’তুল মুজাহিদীন”-এর পক্ষ থেকে ইসলামি আইন বাস্তবায়নের আহবান সম্বলিত “দাওয়াত পত্র” প্রচার করা হয়েছিল। কিন্তু মুসলিম নামধারী ত্বাগুত সরকার এই ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টো মুজাহিদদের উপর জুলুম-নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তখন “জামা’আতুল মুজাহিদীন” সর্বাত্নক হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
১. ২০০৫ সালের অক্টোবরে লক্ষীপুর জেলার কথিত আদালতে দুঃসাহসী ফিদায়ী হামলা করা হয়।
২. একই মাসে চট্টগ্রাম কোর্টে ফিদায়ী হামলা করা হয়।
৩. ২০০৫ সালের নভেম্বরে ঝালকাঠিতে মুরতাদ বিচারকদের গাড়ীতে ফিদায়ী হামলা করা হয়। সেখানে ২জন বিচারককে হত্যা করা হয়।
৪. নভেম্বরে নেত্রকোনা উদিচী অফিসের পাশে ত্বাগুতের বাহিনীর উদ্দেশ্যে ফিদায়ী হামলা করা হয়।
৫. ২০০৫ এর নভেম্বরে গাজিপুরে ত্বগুতের আদালতে ফিদায়ী হামলা করা হয়।
** ২০০৬ সালের অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত টঙ্গী, উত্তরা, গাবতলী, গুলিস্থান এলাকার ত্বাগুতের বাহিনীর টহল গাড়ীতে গ্রেনেড হামলা করা হয়।
** ২০০৭ সালের ২৯শে মার্চ রাতে শাইখ আব্দুর রহমান (রাহিমাহুল্লাহ) সহ তাঁর সঙ্গীদের ফাঁসি কার্যকরের পনের দিনের মাথায় শাইখদের মামলার রাষ্ট্রপক্ষের পিপি হায়দারকে দুঃসাহসী মুজাহিদগণ গুলি করে হত্যা করে ১ম প্রতিশোধ গ্রহণ করে।
**২০০৮ সালে “জামা’আতুল মুজাহিদীন” পরিচিতি দাওয়াহ-এর ১৭ই আগস্টের দাওয়ার কারণ ও যৌক্তিকতা ইত্যাদি সম্বলিত সিডি প্রকাশিত হয়।
** ২০০৯ সালের মে মাসে ঢাকার উত্তরায় ত্বাগুত বাহিনীর টহল গাড়ীতে গ্রেনেড হামলা করা হয়।
**রাজধানীর ঢাকার গোপীবাগে ইমাম মাহদীর প্রধান সেনাপতি দাবীদার, সালাত, সিয়াম সহ সকল শরীয়াহ’র বিধানাবলীর বিকৃতকারী, সরাসরি মানুষের সিজদাহ গ্রহণ ইত্যাদি শিরকী কর্মকান্ড করার অপরাধে ২০১৩ সালের ২১শে ডিসেম্বর ভন্ড, সীমালঙ্ঘনকারী, মুশরিক লুৎফর রহমান ফারুকি এবং তার ৫ অনুসারীকে “জামা’আতুল মুজাহিদীন”-এর “ইমাম ইবনে তাইমিয়্যাহ বিগ্রেড” এর বীর মুজাহিদীনরা শিরচ্ছেদের মাধ্যমে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়।
** ২০১৪ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ ঘটিকায় মুজাহিদীন নেতৃবৃন্দদের মোমেনশাহী কোর্টে নেওয়ার পথে ত্রিশালে “জামা’আতুল মুজাহিদীন”-এর আল্লাহর সিংহ “শাইখ নাসরুল্লাহ ব্রিগেড” এর দুঃসাহসী মুজাহিদীনরা প্রিজনভ্যানে এক বরকতময় হামলা চালিয়ে তাদের মুক্ত করেন (আলহামদুলিল্লাহ)। মহান আল্লাহর ইচ্ছায় বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ত্বাগুতের পুলিশের উপর সশস্ত্র হামলার মাধ্যমে কারাবন্দী মুজাহিদীন নেতৃবৃন্দকে মুক্ত করার ঘটনা ঘটে। আলহামদুলিল্লাহ!
** ২০১৪ সালের ২৭শে আগস্ট চ্যানেল আই এর উপস্থাপক কথিত ইসলামি ছাত্র সেনার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মুশরিকী আক্বীদার ধারক-বাহক ভন্ডপীর, শরীয়াহর বিধানের বিকৃত ব্যাখ্যাদাতা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে “জামা’আতুল মুজাহিদীন” -এর “আতাউর রহমান সানী বিগ্রেড” এর দুঃসাহসী মুজাহিদীনরা শিরচ্ছেদের মাধ্যমে তার প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ !
** ২০১৫ সালের ৫ই অক্টোবর ভন্ডপীর মুশরিকী আক্বীদার ধারক ত্বাগুত, শত-সহস্র মুসলিমের আক্বিদাহ বিনষ্টকারী পি.ডি.বি. এর সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে “হাফিজ মাহমুদ বিগ্রেড” এর দুঃসাহসী মুজাহিদীনরা শিরচ্ছেদের মাধ্যমে হত্যা করে।
**“জামা’আতুল মুজাহিদীন”-এর “খালিদ সাইফুল্লাহ বিগ্রেড”-এর দুঃসাহসী মুজাহিদীনরা, ত্বগুতের গোলাম শতশত মাজলুম বন্দীর উপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতনকারী, বীর মুজাহিদ শাইখ আব্দুর রহমান মাদানী (রাহিমাহুল্লাহ) সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দদের সেল পাহারাদারের তত্ত্বাবধানকারী, বন্দীদের হক আত্নসাৎকারী, লম্পট-চরিত্রহীন, ত্বগুতের আইন বাস্তবায়নের গোলাম -যে কিনা মানবরচিত আইনে ঈমানদারদের ফাঁসী সহ বিভিন্ন মেয়াদের যে সাজা দেয়া হয় তা বাস্তবায়নের অন্যতম ভূমিকা পালন করে, সেই কুখ্যাত সার্জেন্ট ইন্সট্রাক্টর রুস্তম হাওলাদারকে ২০১৬ সালের ২৫শে এপ্রিল বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় ত্বাগুতের হৃদপিন্ডে ঢুকে হত্যা করে আমাদের নিরাপদ ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। আলহামদুলিল্লাহ!
আমরা আহবান করবো ত্বগুতের রক্ষী বাহিনীতে চাকুরীজীবীদের প্রতি, আপনারা বন্দীদের প্রতি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবেন। ঈমানদার হয়ে দ্বীনের মাজলুম-মুজাহিদ যারাই বন্দী রয়েছেন তাদের সাথে সদাচরণ করবেন, তাদের মুক্ত করার ব্যবস্থা করবেন। আর যদি তা না করে যতদিন ত্বাগুতের গোলামী করবেন, মুজাহিদীন এবং অন্যান্য মাজলুম বন্দীদের উপর ফাঁসি কার্যকর, জুলুম-নির্যাতন সহ হক্ব আত্নসাৎ অব্যাহত রাখবেন, জেনে রাখুন আমাদের মুজাহিদীনরা যতক্ষণ তাদের ধমনীতে রক্ত স্পন্দন থাকবে, ততক্ষণ আপনাদের অন্যায়-অপকর্মের সমুচিত জবাব দিয়ে যাবে, ইনশা-আল্লাহ। সুতরাং, সীমালঙ্ঘন-বাড়াবাড়ি থেকে বিরত থাকুন, ত্বাগুতের গোলামী পরিত্যাগ করে আল্লাহর গোলামে পরিণত হোন। শামিল হোন মু’মিন-মুজাহিদদের কাতারে।
**২০১৬ সালের ৭ই মে রাজশাহী জেলার তানোর থানাতে নবী দাবীদার ভন্ড মুশরিকী আক্বীদার ধারক-বাহক শহিদু্ল্লাহকে “জামা’আতুল মুজাহিদীন”-এর “আব্দুল আউয়াল বিগ্রেড” এর বীর মুজাহিদীনরা হত্যার মাধ্যমে তার প্রাপ্য তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। নবী দাবীদারের ধৃষ্টতা প্রদর্শনকারীদের জন্য এটি একটি বার্তা!!!
অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জানাতে চাই যে, উল্লেখিত সকল হামলার দায় “জামা’আতুল মুজাহিদীন” স্বীকার করছে। উল্লেখ্য যে, ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালে আমাদের উল্লেখিত হামলা ব্যতিত অন্য যে সমস্ত হামলায় “জামা’আতুল মুজাহিদীন” এর নাম জড়ানো হয়েছে তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ
“আর অবশ্যই তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ রয়েছে ইবরাহীম ও তার অনুসারীদের মধ্যে। তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘তোমাদের সাথে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদাত কর, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদের মানি না। তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনলে তোমাদের মধ্যে ও আমাদের মধ্যে চিরশত্রুতা থাকবে। কিন্তু ইবরাহীমের উক্তি তাঁর পিতার উদ্দেশ্যে এই আদর্শের ব্যতিক্রম। তিনি বলেছিলেন, আমি অবশ্যই তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থণা করব। তোমার উপকারের জন্যে আল্লাহর কাছে আমার আর কিছু করার নেই। হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন। [সূরা মুমতাহিনাঃ ০৪]
এই হচ্ছে মিল্লাতে ইবরাহীম (ইবরাহীমের আঃ এর আদর্শ) । আমরা এর উপরই প্রতিষ্ঠিত। মুসলিম উম্মাহর সিংহ মুজাহিদীন ভাইদের প্রতি এই বার্তা দিতে চাই, শত জুলুম – নির্যাতন সত্ত্বেও আমরা আমাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি। সমূলে ধ্বংসও হইনি। এই ভুমিতে আবারো মায়াজ ও মুয়াওয়াজ’র তরবারি শাণিত হচ্ছে। এই সব ত্বাগুত ও কুফফার গোষ্ঠীকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিতে আমাদের মুজাহিদীনরা বুকের সর্বশেষ তাজা খুন টুকু ঢেলে দিতে প্রস্তুত ইনশা-আল্লাহ। আমরা উম্মাহ থেকে বিচ্ছিন্ন নই এবং কখনো নিজেদের এরকম ভাবিনি। নিশ্চয়ই আমরা আপনাদের থেকে, আপনারা আমাদের থেকে। আমাদের ভাল কাজগুলো যেন উম্মাহর ইমারতের এক একটি ইট হিসেবে কাজ করে সেই রকম পরিকল্পনা সাধ্যমতো পূর্বেও ছিল এবং এখনো আছে ইনশা-আল্লাহ।
এ অঞ্চলের মুসলিমদের প্রতি আহবান
আপনারা আপনাদের দ্বীনকে শক্ত করে আকড়ে ধরুন, জালিম-ত্বাগুত শাসক গোষ্ঠী ও তাদের মনগড়া কুফরি আইন-কানুনকে প্রত্যাখ্যান করুন। এ অঞ্চলের কাব বিন আশরাফের উত্তরসূরী নব্য ফিরাউনের বংশধর, নাস্তিক, মুরতাদ, ত্বাগুতরা আপনাদের দ্বীন ও আপনাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করছে। আপনাদের সম্মানে আঘাত করছে। সুতরাং আড়মোড়া ভেঙ্গে জেগে উঠুন। তরবারি আবারও কোষ মুক্ত করুন মুহাম্মাদ বিন মাসলামার ন্যায়। তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। শামিল হোন মু’মিন-মুজাহিদীনদের কাতারে; যারা আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জান ও মাল কুরবানের মাধ্যমে। আর নিজেদেরকে উত্তম আনসার (ইসলাম ও মু’মিন-মুজাহিদীনদের সাহায্যকারী) হিসেবে গড়ে তুলুন।
ঐ সব মুরতাদ জালিম-ত্বাগুত গোষ্ঠী ও তাদের অানসারদের প্রতি চরম পত্র—
আমাদের কোন সম্পর্ক নেই তোমাদের সাথে এবং আল্লাহকে ছেড়ে তোমরা যাদের ইবাদাত কর তাদের সাথে। আমরা তোমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করি, আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরতরে শত্রুতা ও বিদ্বেষ তৈরি হয়েছে, যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো।” তোমরা আল্লাহর আইনকে প্রত্যাখ্যান করেছো অথচ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা সীমালঙ্ঘনকারীদের শাস্তি দিয়ে থাকেন। তোমরা মু’মিন-মুজাহিদীন এবং তাদের পরিবারবর্গের উপর অমানুষিক নির্যাতন – নিষ্পেষণ চালাচ্ছো অথচ আল্লাহ তাদের বন্ধু। জেনে রেখ, মুজাহিদীনরা তোমাদের সীমালঙ্ঘন ও পাপাচারের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে, ইনশা-আল্লাহ। পূর্বসূরীদের অনুসৃত পথেই তারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে শাহাদাহ’র সুধা পান করে হলেও এই ভূমিকে ইসলামী খিলাফাহর একটি অংশে পরিণত করবে ইনশা-আল্লাহ। সুতরাং, প্রস্তুত হও সে ভয়ঙ্কর পরিণতির জন্য -যার প্রতিশ্রুতি আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহ তোমাদের দিয়েছেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলেনঃ
“লড়াই কর ওদের সাথে, আল্লাহ তোমাদের হাতে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্চিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। [সূরা আত তাওবাহঃ ১৪]
পরিশেষে . . .
মুসলিম ভাই ও বোনদের প্রতি আবেদন, আপনারা এ ভাইদের ভুলবেন না। অন্তত পক্ষে, আপনাদের দু’আতে শামিল রাখবেন, যারা তাদের রক্তের বিনিময়ে এ বাংলার ভূমিতে জিহাদের জাগরণ ঘটাতে সক্ষম হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ!
“হে আমাদের রব ! আমাদের যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দিন এবং ক্ষমা করে দিন আমাদের কাজ কর্মে সব বাড়াবাড়িকে। আমাদের পদ সমূহকে দৃঢ় রাখুন এবং আমাদের সাহায্য করুন কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে।” আমীন!
আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনি কতইনা উত্তম কর্মবিধায়ক” আর সকল প্রশংসা আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লাহর শানে। সালাত ও সালাম নাবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি, তাঁর পরিবার বর্গ ও তাঁর সাহাবীদের (রাদিআল্লাহু আনহুম) প্রতি; এবং কিয়ামাতের আগ পর্যন্ত যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করবে তাদের প্রতি।
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লা আনতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইক।
Comment