তাদেরকে হত্যা করো যদিও কা’বার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে
তাহরীকে তালেবানের পক্ষ থেকে শাতেমে রাসূল হত্যায় শুভেচ্ছা
নবী করীম সা: এর সম্মান রক্ষা করা মুসলমানদের ঈমানের মূল ভিত্তি। সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত এই বিষয়ে উলামায়ে উম্মত একমত যে, নবী করীম সা: এর মর্যাদায় আঘাতকারী আখেরাতে কঠিন আযাবের সাথে সাথে এই দুনিয়াতেও তাকে হত্যা করা হবে। স্বয়ং নবী করীম সা: নিজের এবং ইসলামের শত্রুদের (বিশেষ করে মক্কা বিজয়ের সময়) মাফ করা সত্যেও, ঐ সকল হতভাগা; যারা বিভিন্ন কবিতা ও ছন্দে আল্লাহর রসূল সা: এর অবমাননা করতো তাদের ব্যাপারে বলেছেনঃ “তাদেরকে হত্যা করো যদিও কা’বার গিলাফ ধরে ঝুলে থাকে"
যখন হযরত উমর রা: নবী সা: এর অবমাননাকারীকে হত্যাকারী অন্ধ সাহাবীর ব্যাপারে মহব্বতের সাথে বললেনঃ “ দেখ! এই অন্ধ কত বড় একটি কাজ করে ফেলেছে" তখন নবী করীম সা: ইরশাদ করলেনঃ “তাকে অন্ধ বলো না, বরং তাকে দৃষ্টিসম্পন্ন বলো।” কারণ তার আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত ছিল।
যখন আরেক গোস্তাখে রসূল সা: ইসমা বিনতে মারওয়ানকে তার বংশীয় এবং আত্তমর্যাদাবোধ সম্পন্ন এক সাহাবী হত্যা করলেন, তখন নবী করীম সা: ইরশাদ করলেনঃ “ হে লোক সকল! তোমরা যদি এমন কোন ব্যক্তিকে দেখতে চাও যে আল্লাহ তায়ালা এবং তার রসূল সা: কে সাহায্য করেছে তাহলে আমার এই সাথীকে দেখে নাও।” এই মর্যাদাশীল সাহাবী ছিলেন হযরত উমায়ের বিন আদী রা:। যখন তিনি অভিশপ্ত ঐ নারীকে হত্যা করে বের হলেন তখন তার বংশীয় লোকেরা জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি তাকে হত্যা করেছো? তিনি কোন চিন্তা ভাবনা ছাড়াই বললেন, “হ্যাঁ, আমিই তাকে হত্যা করেছি। সে যে অপরাধ করেছে তা যদি তোমরা সবাই করো তাহলে তোমাদের সবাইকে আমি হত্যা করবো। ( আস সারিমুল মাসলুল)
এখনতো পাকিস্তানের প্রত্যকে যায়গায় প্রকাশ্যভাবে গর্বের সাথে আল্লাহর রসূল সা: কে গালি দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তানে ২০০ এর উপরে সাংবাদিক আছে যারা আল্লাহর রাসুল সা: কে অবমাননা করছে। আর সাধারণ অবমাননাকারীদের সংখ্যা তো এর চেয়েও বেশী। কারণ কিছু লোক আছে যারা প্রকাশ্যভাবে রাসূল সা: এর ব্যপারে কুটুক্তি করে । আর কিছু আছে অপ্রকাশ্যভাবে করে। কিছু আছে কথায় অবমাননা করে, কিছু কাজে অবমাননা কর। মোট কথা; অনেক লোক নবী করীম সা: কে অবমাননার কাজে লিপ্ত এবং পাকিস্তানে তাদেরকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর এ সকল গোস্তাখে রসূল সা: এর হেফাজত করে পাকিস্তানের তাগুতী সংবিধান এবং তার বাহিনী।
গতকাল আব্দুল ওয়ালী খান ভার্সিটিতে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি অনেক রহস্য খুলে দিয়েছে। একদিকে পাকিস্তানের সংবিধান হচ্ছে কুফুরী সংবিধান এবং বিভিন্ন কুফুরী দফার উপর প্রতিষ্ঠিত। এটা আমরা বার বার স্পষ্ট করেছি। পাকিস্তানের কিছু মুফতির কথা অনুযায়ী যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, তাতে কিছু ইসলামী বিধান আছে। তথাপি তা বাস্তবায়নের জন্য কোন কোর্ট বা নামধারী কোন শরয়ী আদালতও নেই, যা সেই আইনকে বাস্তবে পরিণত করবে।
পাকিস্তান পার্লামেন্টে অংশগ্রহণকারী আলেমদের কাছে বিনয়ের সাথে একটি প্রশ্ন করছি, পাকিস্তানের সংবিধানে রাসূল সাঃ এর অবমাননাকারীর শাস্তির ব্যাপারে কোন আইন আছে কি? যদি না থাকে তাহলে এমন আইন তৈরীর জন্য আপনারা কি করছেন? আর যদি থাকে তাহলে তার উপর বাস্তবায়ন হচ্ছে না কেন?
অতঃপর যখন মোস্তফা সাঃ এর জন্য প্রাণ উৎসর্গকারী কিছু লোক এসকল গোস্তাখে রাসূল সা: কে তার আসল ঠিকানায় পৌঁছে দেয় তখন এসকল নামধারী মুফতি ও উলামারা এই কাজকে অনৈসলামিক বলে ফতওয়া দেয় এবং বলে বেড়ায় যে, তারা নিজেদের হাতে আইন তুলে নিয়েছে। এটা কেমন কাজ ???!!! এবং কিছু পয়সার বিনিময় ঐ সকল গোস্তাখে রসূলকে শহীদ বলে দেয় !!! হয়ত এদের জানাই নেই যে, যখন উমায়ের বিন আদী রাঃ নিজ হাতে আইন তুলে নিয়ে গোস্তাখে রসূল সাঃ কে হত্যা করেছিল তখন নবী করীম সাঃ তার ব্যাপারে কী বলেছিলেন (?) ( পূর্বে তা উল্লেখ করা হয়েছে)
অত্যন্ত আফসোসের সাথে বলতে হচ্ছে যে, এই সকল নামধারী এবং ইহুদীদের পয়সায় লালিত পালিত মুফতিরা ঐ সময় কেন চুপ থাকে যখন শামের নিরীহ মুসলিম শিশু এবং নারীদের উপর আকাশ থেকে সব ধরণের মিযাইল এবং ক্যামিক্যাল বোমা পরীক্ষা করা হয়? যখন বার্মার মুসলিমদের গোস্ত দিয়ে কিমা তৈরী করা হয় ? যখন আফগানিস্তানের নিরাপরাধ মুসলিমদের উপর সবচেয়ে শক্তিশালী বোমার ( MOAB ) মতো ধ্বংসাত্তক অস্ত্র পরীক্ষা করা হয় ? যখন ফিলিস্তিনে প্রকাশ্যভাবে মুসলিম মা-বোনদের হত্যার চক্রান্ত হয়? যখন ইসলামাবাদের জামিয়া হাফসার বোনদেরকে ফসফরাস বোমা দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ? যখন ওয়াজিরিস্তান, বাজোড়, সোয়াত এবং কবায়েলী গোত্রগুলোর উপর বোমার বৃষ্টি বর্ষণ করা হয় তখন এসকল আলেমরা কেন চুপ থাকে? কেন তখন তাদের চোখের উপর পট্টি লেগে যায় ? কেন তাদের যবানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় ? আর এটা শুধু এই কারণেই হয় যে, এসকল মুফতিরা ডলারের লোভে দিশেহারা হয়ে যায় !!! আর তাদের কতক জেল এবং দেশান্তরের ভয়ে চুপ থাকে ?!!!
আমরা উমর মিডিয়ার পক্ষ থেকে সমস্ত মুসলিমদেরকে তাহরীকে তালেবান পাকিস্তানে শরীক হতে দাওয়াত দিচ্ছি যে, আসুন! আমাদের কাতারে শামিল হয়ে ঐ অন্ধ সাহাবী এবং উমায়ের ইবনে আদী রাঃ এর ইতিহাসকে যিন্দা করুন।
মোহাম্মাদ খোরাসানী
কেন্দ্রীয় মুখপাত্র - তাহরীকে তালেবান পাকিস্তান।
সোশাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিন
অনুবাদ লিংক
মূল উর্দু
https://justpaste.it/15lta
আপনাদের নেক দোয়ায় শাতেম হত্যাকারী উম্মাহর সিংহদের ভুলবেন না
Comment