মৃত অনুভূতির উপর আফসুস
উম্মাহর শহীদদের পক্ষ থেকে বার্তা
উম্মাহর শহীদদের পক্ষ থেকে বার্তা
ইসলাম এমন এক জীবন ব্যবস্থা যা প্রত্যেক জামানায় নিজ অনুসারীদের থেকে কোরবানী চায়। এবং হকের রাস্তায় পালাক্রমে পরিক্ষা আসে, যাতে করে ঈমানদারদের কাতার সুস্পষ্ট হয়ে যায়, এবং মুনাফিক দল আলাদা হয়ে যায়।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা এই পরিক্ষা এবং বিপদের কারন বর্ননা করেছেন:-
ليميز الله اللخبيث من الطيب.
মুসলমানদের উপর বিপদ এই কারনে আসে যে, ফাসেদ আকিদার লোকেরা সঠিক আকিদার লোকদের থেকে পৃথক হয়ে যায়। এই পরিক্ষাকে মুনাফিকরা আযাব মনে করে। কিন্তু বাস্তবে এটা আল্লাহর রহমত।
হে ইমানদারগণ! এটা তো পুরাতন ইতিহাস। প্রত্যেক জামানার ফেরাউন হাক্বকে ভয় দেখায়। প্রথমে ফাসীর ধমকি দেয়, পরে যুগের ফেরাউন এটা বস্তবায়ন করে।
কিছু দিন আগে ত্বাগুত সরকার বংলাদেশে পাচজন মুজাহিদীনকে ফাসী দিয়েছে। আমরা বাংলাদেশের এই কাজকে ফেরাউনের অনুসরনই মনে করি। এবং সেই মুজাহিদীনদের যে মর্যাদা অর্জন হয়েছে, এটা সেই মর্যাদা যার জন্যে আল্লাহর রাসূল সা: বারংবার আশা করতেন। যার এই মর্যাদা অর্জন হয়েছে সে সফল হয়েছে ও সম্মানিত হয়েছে। তারা তো ইসলামের সত্যিককারের অনুসারী।
কিন্তু আমি এই উম্মাতে মুহাম্মাদীর অমনযোগীতার উপর কেন আফসুস করব না?!!! উম্মাহ যখন জাগ্রত ছিল এবং উসমান রাজি: শহীদ হয়েছিল। হজয়ত মুআবীয়া রাজি: শামে এক মাজলিসে ছিলেন। যখন এই খবর পৌছাল, তখন বৈঠক 'প্রতিশোধ প্রতিশোধ' আওয়াজ উঠতে শুরু করল। এবং আবু হামীদ সায়ীদী নামক এক ব্যাক্তি কসম করল যে, সে মৃত্যুর আগে কখনো হাসবে না। আর বর্তমান জামানায় মুসলিম উম্মাহ গাফলতির ঘুমের মাধ্যে ঢুবে আছে। মুমিনদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে, জেলখানায় বন্ধি করা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় লাশ গুম করা হচ্ছে, ফাসীতে ঝুলানো হচ্ছে। কিন্তু শত আফসুস! মুসলিম উম্মাহ সজাগ হচ্ছে না।
এদিন কি তাদের বায়আতে রিদয়ানের কথা স্বরনে আসে না? যে দিন মুহাম্মাদে আরাবী সাল্লাহু আলাইহিস সাল্লাম একজন সাহাবীর প্রতিশোধ নিতে সমস্ত সাহাবী থেকে ফেদায়ী হামলার বায়আত নিয়েছিলেন। হে মুমিনগণ! একটু সজাগ হোন। আর না হয় সর্বদা আফসোস করতে হবে।
ওহে যুগের ফেরাউন! ভাল করে শুনে রাখ যে, আমরা কারাগার, শাহাদাত বা ফাসীর কারণে নিজের অবস্থান থেকে বিন্দু পরিমান পিছপা হব না। হজরত খুবাইব এবং হজরত বেলাল রাজি: যারা আমাদের আকাবীর ছিলেন, তাদের জীবনী কি দুনিয়ার মানুষের স্বরন নেই!!!
পরিশেষে আমি আমার শহীদ ভাইদের পরিবারবর্গকে সুসংবাদ জানাচ্ছি; এটা তো গৌরবের কথা যে, আপনি শহীদদের উত্তরসূরী হবেন। আপনার বংশে শাহাদাতের বড় মর্যাদার অধীকারী ব্যক্তি গড়ে উঠছে। যিনি ইসলামের আলোকে আলোকিতকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
যখন ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান রাজি: এই পর্যায়ে পৌছে গেলেন, তখন উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রাজি: বর্ননা করেছিলেন:- হজরত উসমান রাজি:কে মাজলুম শহীদ করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার শপথ করে বলছি উনার আমল নামা ধৌত করা কাপড়ের ন্যায় পবিত্র হয়ে গেছে। আল্লাহর কছম, আমরা ওই সকল শহীদদেরকে এমনই মনে করি।
আমরা ব্যপারে এমন ধারনা করি, আল্লাহই তাদের জন্য যতেষ্ঠ। আল্লাহর উপরে কাউকে আমরা নিরাপদ ঘোষনা করি না।
Comment