গোয়েন্দা চিনার কিছু উপায়
1/ গোয়েন্দারা নেটে অবিজ্ঞ থাকে।
2/ গোয়েন্দারা আপনার তথ্য নিবে। দিবে না।
3/ অনলাইন গোয়েন্দা অফলাইনে কাজে আসতে চাইবে না। হ্যা যদি আপনাকেই টার্গেটে নিয়ে কোন বিশেষ টিম কাজ করে, তবে আপনাকে অফ লাইনে নিতে চেষ্টা করবে।
4/ গোয়েন্দার কাছে সকলের রিপোর্ট থাকে। মুহুর্তেই সে আপনাকে আকৃষ্ট করতে ভিবিন্ন তথ্য দিতে পারবে। যেমন স্কিন সর্ট, কোন ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য, যে কোন ভাইয়ের গ্রেফতার রিপোর্ট, জঙ্গি বিরুধি নতুন আইন।
5/ গোয়েন্দাদের পাতা ফাঁদগুলোকে খুব ইজি বা নিরাপদ বলে প্রকাশ করবে। এসব ক্ষেত্রে উপরস্ত শাইখদের বক্তব্যের খন্ডাংশকে দলিল হিসেবে পেশ করতে পারে। যেমন আপনি বললেন নেটের ফেজবুকটা নিরাপদ নয়। জবাবে সে বলতে পারে শাইখ অমুক বলেছেন মিডিয়া জিহাদের অর্ধেক।
6/ একজন একিউর ভাইকে ধরার জন্য গোয়েন্দা আইএসের শত্রুবেশেই আপনার কাছে পরিচয় দিবে। আবার বিপরিতটাও,,,,,
7/ একজন গোয়েন্দা অনেক ভাইকে ফলো করার জন্য নিজেই চ্যাট গ্রুপ/ ফেবু গ্রুপ/ পেইজ ইত্যদি খুলে, দু একজন ভাইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে তাদেরকে শো করাবে। যাতে দৃষ্টি ফিরানো যায়। অন্যান্ন একিউ সাপোটার আইডিগুলোকে সেখানে এড করাতে পারে। আরো পরিচিত ভাইদেরকে এড করতে পরামর্শও দিতে পারে। গোয়েন্দা নিজেও বিভিন্ন উদ্ভোদ্যমুলক পোষ্ট/ বক্তব্য দিবে। যাতে আপনি তার প্রতি আকৃষ্ট হোন। ফলে কার মনমানশিকতা কেমন? কার উদ্দেশ্য কি? সে সব নোট করবে। বিশেষ ভাইদের সাথে কার কার সম্পর্ক আছে তা সে জেনে নিবে। সকলের তথ্য সংগ্রহ করে হতে পারে দেশ ব্যপি চিরুনি অবিযান।
আনসার ভাইদেরকে প্রথমে ধরা হচ্ছে না। তাদের সাথে সম্পর্কিত কোন ভাইয়ের মাধ্যমেই তাদেরকে টার্গেট করা হচ্ছে। সুতরাং আমি বলব আনসার ভাইরা আরো সতর্ক হতে হবে। যারা আপনার তথ্য কিছুটাও জানে, তারাই অসতর্কতার কারনে অনিচ্ছা সত্যেও আপনাকে ধরিয়ে দিতে যথেষ্ট হবে মনে করি ।
এই পর্যন্ত গ্রেফতার ভাইদের উপর পর্যালোচনা করে যা বুঝা গেল, কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আল্লাহ সকলের হেফাজত করুন আমিন ।
Comment