বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখেনা। আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম করেনা। এবং গ্রহণ করেনা সত্য ধর্ম যতক্ষণ না তাঁরা করজোড়ে জিঝিয়া প্রদান করে।
( সূরা তাওবা, আয়াতঃ২৯)
উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আমরা আমাদের আবেদনকে এই কারণে শুরু করলাম, যাতে করে আমাদের ঘুমন্ত তাওহিদী মুসলিম পিতা ও ভায়েরা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জেগে উঠেন।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে, জিহাদ কর আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে। এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম যদি তোমরা তা বুঝতে।
( সূরা তাওবা,আয়াতঃ৪১)
হে আমাদের শ্রদ্ধেয় পিতা ও ভায়েরা ! আমরা আপনাদের নিকট কয়েকটি দাবী উত্থাপন করতে চাই। যদি আপনারা আমাদেরকে নিজেদের বোন ও মেয়ে মনে করে থাকেন তাহলে আমাদের কথাগুলো দ্রুত কার্যকরী করার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে আমাদের অবস্থা এ রকম হয়েছে যে,আমাদেরকে এই চিঠিটি পর্যন্ত গোপনে লিখতে হয়েছে। আমরা আমাদের পিতা ও ভাইদের কাছে এই আবেদন করছি যে, কেন আমাদেরকে এই সামান্য চিঠিটা পর্যন্ত গোপনে লিখতে হয়েছে? অথচ দাবী করা হয় যে এটা মুসলিম দেশ, আর আমরা মুসলিম!। আর এটা এই কারণে যে আমাদের ঘুমন্ত পিতা ও ভায়েরা এই ব্যাপারে কোণ পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। তারা এই বিষয়টিকে ছোট একটি ব্যাপার মনে করছেন। তারা কি এই অবস্থা দেখছেন না যে, এখন মুসলিম দেশে দীনি ইলম শিক্ষা করার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীগন ভয়ে ভয়ে চলছেন। মুসলিম মেয়েদের দীনি এলেম শিক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে চলতে গেলে আমাদেরকে শুধুমাত্র জঙ্গি বলেই ক্ষান্ত হয়নি, এমনকি চোর ডাকাত ও নারীপাচারকারী বলে আমাদের আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দীনি কিতাব বহনকারী ব্যাগে তল্লাশি চালানি হচ্ছে এই সন্দেহে যে, তাতে অস্ত্র রয়েছে। অথচ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ তো কখনো অস্ত্র ছাড়া থাকেন নি!। আপনারা ৫ মে’র কথা ভুলে গেছেন ?। যেদিন শত শত হাফেযে কুরআন ও আলেমে দ্বীনকে অত্যন্ত অসহায় ও ঘুমন্ত অবস্থায় নির্মমভাবে কাপুরুষের মত হত্যা করা হয়েছে। এমনকি নিষ্পাপ শিশুরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি!। অথচ সেই আন্দোলনটা হয়েছিল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারী নাস্তিক ও খোদাদ্রোহীদের বিরুদ্ধে । এর পর তো অসংখ্য বার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারীদের হত্যা করা হলে এই কুলাঙ্গারদেরকে শহীদের মত পবিত্র নামে আখ্যায়িত করা হয়। এবং কাউকে তো জাতীয় মসজিদের খতিব দ্বারা সম্মানজনক ভাবে জানাযাও পড়ানো হয়েছে। আর এদের হত্যাকারীদের সন্ত্রাসী! নামে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সম্মানিত পিতা ও ভাইদের নিকট আবেদন করছি যে, কেন এমন মুসলিম দেশে এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে ? যেখানে অধিকাংশ মানুষই মুসলিম। কেন এদেশে আল্লাহ তাআলার বিধান কার্যকর করা হয়না। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু অয়া তাআলা বলেছেন......
আমরা আর কত দিন এসব অত্যাচার সহ্য করবো? এখন তো এদেশের পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যে, মুমিনদের বাক-স্বাধীনতাকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। কেননা কেউ যদি হক কথা বলে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে অন্ধকার কুঠুরিতে আতকে রেখে এমন শাস্তি দেওয়া হয়, যা অমুসলিমরাও কোন মুসলিমকে দেয়না। অথচ সেই মর্মন্তুদ শাস্তিটা কথিত মুসলিমরা হকপন্থি মুসলমানদের দিচ্ছে। এমনকি এ কারণেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় এই অপবাদে যে, তারা অস্ত্র ব্যবহার করে । কিন্তু মুলত যারা অন্যায় কাজে অস্ত্র ব্যবহার করে এবং পাচার করে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয়না। তারা আল্লাহ ও রাসুলের নামে অসম্মান করে এবং হেয় প্রতিপন্ন করে। আপনার এসব দেখেও বসে থাকবেন? আপনাদের অন্তরে কি আল্লাহ ও রাসুলের মুহাব্বত নেই ? আর কত দিন আমরা এসব অত্যাচার সহ্য করবো ? সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আপনারা নিজেদের বন ও মেয়েদেরকে আপনাদের চোখের সামনে লাঞ্চিতা হতে দেখবেন!। তাদের ইজ্জত আব্রু নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, যা একটি মেয়ের জন্য মহামূল্যবান সম্পদ। আপনারা কি ভুলে গেছেন যখন রাশিয়ায় কমিউনিস্টদের পৈচাশিক পদচারনা শুরু হয়েছিল এবং তারা সেখানকার বড় বড় ইসলামী বিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করে দিয়ে তাদের ক্লাব বানিয়ে নিয়েছিল। যেখানে কুরআন ও হাদিস পরা হত, সেখানে নাচ গাণ শুরু হয়ে গেল। অথচ সেটাও আমাদের মত মুসলিম রাষ্ট্র ছিল!।
সেখানকার ফকিহুল উম্মাহ আল্লামা ইসমাইল কারাভিসহ অনেক আলেমকে বন্দি করা হয়েছিল। তারাও একসময় আপনাদের মত মনোভাব পোষণ করতো। কিন্তু যখন তারা নির্যাতিত হলেন, তখন তারাও বুঝলেন যে, শুধু দাওয়াত ও দোয়ার দ্বারা নিরাপদ থাকা যায়না। যদি এদুটি কাজের দ্বারা নিরাপদ থাকা যেত, তাহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু দোয়া করলেই তো পারতেন। তিনি জিহাদ করলেন কেন?
এই পর্যায়ে এসে আমরা আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় পিতা ও ভাইদের নিকট প্রশ্ন করতে চাই যে, আপনারা কি বলতে পারেন কেন তাদের উপর এমন অত্যাচার হয়েছিল? অথচ তারা তো ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব, তালিম, তাবলীগ, এবং তাজকিয়া কোন কিছুই বাদ দেন নি!। একমাত্র জিহাদের মত ফরজ আমলকে ছেড়ে দেওয়ার কারনেই তাদের উপর এই শাস্তি নেমে এসেছে।
দেখুন পিতাজি ও শ্রদ্ধেয় ভায়েরা!
আপনারা তো সবই জানেন । আমাদের তো কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবুও আপনাদের জাগিয়ে তোলার জন্য বলছি যে, আমাদের আশেপাশেই তো এসব ঘটনা ঘটছে। অচিরেই আমাদের এখানেও এসব ঘটনা ঘটবে। তখন আপনারা সামান্যতম চিন্তা করারও অবকাশ পাবেন না। তাই আমরা আগে থেকেই আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি যে, আপনারা জেগে উঠুন!। কাঁচা ঘুম ভাঙ্গা বাঘের ন্যায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারী নাস্তিক মুর্তাদদের উপর ঝাপিয়ে পড়ুন!। এবং আপনারা সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হন। কেননা মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে কোন শক্তিই তাদের রুখতে পারেনা। আরও অনেক কথা লেখার ছিল। আমরা মনে করি যে, আমাদের মুসলিম পিতা ও ভাইদের জাগানোর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। তাছাড়া সময় অনেক কম। এরপরও যদি আপনারা এ ব্যাপারে কোন উদ্ধ্যেগ না নেন , তাহলে আমরা মনে করবো যে, বাংলাদেশে হয়তো আল্লাহ ও রাসুলপ্রেমিক ও অসহায়দের সাহায্যকারী আর কেউ অবশিষ্ট নেই।
আমাদের শেষ কথা এই যে, আপনারা যদি কোন কিছু না করতে পারেন, তাহলে আমাদেরকে বলুন, আমরাই বের হব। আপনারা ভাববেন না যে, আমরা এই কথাটা জোশ এবং আবেগের বশে বলেছি। আমরা পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য করেই বলছি।
এই লেখা ঠিকই লাল কালির লেখা। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা আমাদের লাল রক্ত দ্বারা লিখতে বাধ্য হবো!। আপনারা কি চান সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক? আমরা আবারো বলছি হে আমাদের সম্মানিত পিতা ও ভায়েরা! আপনারা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পুর্বেই জেগে উঠুন! এখানেই শেষ করলাম। আপনাদের মেয়ে ও বোনদের জন্য দোয়া করলে অত্যান্ত খুশি হব।
ইতি
ইসলামের প্রেমিকা, আপনাদের স্নেহের মেয়ে ও বোনেরা
( এই চিঠিটি বাংলাদেশী কয়েকজন মুজাহিদাহ বোন কর্তৃক লিখিত। ইনশা আল্লাহ এটা অচিরেই আমাদের উলামা হজরাতদের সমিপে পাঠানো হবে। বোনদের অনুমতি সাপেক্ষে পরিমার্জন ও পরিবর্তন- পরিবর্ধনের জন্য ফোরামে পোস্ট করা হল। আল্লাহ তাআলা বোনদের এই মেহনতকে কবুল করুন। আমিন )
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ
আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
তোমরা যুদ্ধ কর আহলে কিতাবের ঐ লোকদের সাথে যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখেনা। আল্লাহ ও তার রসুল যা হারাম করেছেন তা হারাম করেনা। এবং গ্রহণ করেনা সত্য ধর্ম যতক্ষণ না তাঁরা করজোড়ে জিঝিয়া প্রদান করে।
( সূরা তাওবা, আয়াতঃ২৯)
উপরোক্ত আয়াত দ্বারা আমরা আমাদের আবেদনকে এই কারণে শুরু করলাম, যাতে করে আমাদের ঘুমন্ত তাওহিদী মুসলিম পিতা ও ভায়েরা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জেগে উঠেন।
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের সাথে, জিহাদ কর আল্লাহর পথে জান ও মাল দিয়ে। এটি তোমাদের জন্য অতি উত্তম যদি তোমরা তা বুঝতে।
( সূরা তাওবা,আয়াতঃ৪১)
হে আমাদের শ্রদ্ধেয় পিতা ও ভায়েরা ! আমরা আপনাদের নিকট কয়েকটি দাবী উত্থাপন করতে চাই। যদি আপনারা আমাদেরকে নিজেদের বোন ও মেয়ে মনে করে থাকেন তাহলে আমাদের কথাগুলো দ্রুত কার্যকরী করার চেষ্টা করবেন। বর্তমানে আমাদের অবস্থা এ রকম হয়েছে যে,আমাদেরকে এই চিঠিটি পর্যন্ত গোপনে লিখতে হয়েছে। আমরা আমাদের পিতা ও ভাইদের কাছে এই আবেদন করছি যে, কেন আমাদেরকে এই সামান্য চিঠিটা পর্যন্ত গোপনে লিখতে হয়েছে? অথচ দাবী করা হয় যে এটা মুসলিম দেশ, আর আমরা মুসলিম!। আর এটা এই কারণে যে আমাদের ঘুমন্ত পিতা ও ভায়েরা এই ব্যাপারে কোণ পদক্ষেপ নিচ্ছেননা। তারা এই বিষয়টিকে ছোট একটি ব্যাপার মনে করছেন। তারা কি এই অবস্থা দেখছেন না যে, এখন মুসলিম দেশে দীনি ইলম শিক্ষা করার জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীগন ভয়ে ভয়ে চলছেন। মুসলিম মেয়েদের দীনি এলেম শিক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাস্তা ঘাটে চলতে গেলে আমাদেরকে শুধুমাত্র জঙ্গি বলেই ক্ষান্ত হয়নি, এমনকি চোর ডাকাত ও নারীপাচারকারী বলে আমাদের আখ্যা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দীনি কিতাব বহনকারী ব্যাগে তল্লাশি চালানি হচ্ছে এই সন্দেহে যে, তাতে অস্ত্র রয়েছে। অথচ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সাহাবীগণ তো কখনো অস্ত্র ছাড়া থাকেন নি!। আপনারা ৫ মে’র কথা ভুলে গেছেন ?। যেদিন শত শত হাফেযে কুরআন ও আলেমে দ্বীনকে অত্যন্ত অসহায় ও ঘুমন্ত অবস্থায় নির্মমভাবে কাপুরুষের মত হত্যা করা হয়েছে। এমনকি নিষ্পাপ শিশুরাও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি!। অথচ সেই আন্দোলনটা হয়েছিল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারী নাস্তিক ও খোদাদ্রোহীদের বিরুদ্ধে । এর পর তো অসংখ্য বার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারীদের হত্যা করা হলে এই কুলাঙ্গারদেরকে শহীদের মত পবিত্র নামে আখ্যায়িত করা হয়। এবং কাউকে তো জাতীয় মসজিদের খতিব দ্বারা সম্মানজনক ভাবে জানাযাও পড়ানো হয়েছে। আর এদের হত্যাকারীদের সন্ত্রাসী! নামে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সম্মানিত পিতা ও ভাইদের নিকট আবেদন করছি যে, কেন এমন মুসলিম দেশে এসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে ? যেখানে অধিকাংশ মানুষই মুসলিম। কেন এদেশে আল্লাহ তাআলার বিধান কার্যকর করা হয়না। অথচ আল্লাহ সুবহানাহু অয়া তাআলা বলেছেন......
আমরা আর কত দিন এসব অত্যাচার সহ্য করবো? এখন তো এদেশের পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছে যে, মুমিনদের বাক-স্বাধীনতাকেও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার। কেননা কেউ যদি হক কথা বলে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে অন্ধকার কুঠুরিতে আতকে রেখে এমন শাস্তি দেওয়া হয়, যা অমুসলিমরাও কোন মুসলিমকে দেয়না। অথচ সেই মর্মন্তুদ শাস্তিটা কথিত মুসলিমরা হকপন্থি মুসলমানদের দিচ্ছে। এমনকি এ কারণেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হয় এবং কঠিন শাস্তি দেওয়া হয় এই অপবাদে যে, তারা অস্ত্র ব্যবহার করে । কিন্তু মুলত যারা অন্যায় কাজে অস্ত্র ব্যবহার করে এবং পাচার করে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয়না। তারা আল্লাহ ও রাসুলের নামে অসম্মান করে এবং হেয় প্রতিপন্ন করে। আপনার এসব দেখেও বসে থাকবেন? আপনাদের অন্তরে কি আল্লাহ ও রাসুলের মুহাব্বত নেই ? আর কত দিন আমরা এসব অত্যাচার সহ্য করবো ? সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আপনারা নিজেদের বন ও মেয়েদেরকে আপনাদের চোখের সামনে লাঞ্চিতা হতে দেখবেন!। তাদের ইজ্জত আব্রু নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হবে, যা একটি মেয়ের জন্য মহামূল্যবান সম্পদ। আপনারা কি ভুলে গেছেন যখন রাশিয়ায় কমিউনিস্টদের পৈচাশিক পদচারনা শুরু হয়েছিল এবং তারা সেখানকার বড় বড় ইসলামী বিদ্যালয়গুলোকে বন্ধ করে দিয়ে তাদের ক্লাব বানিয়ে নিয়েছিল। যেখানে কুরআন ও হাদিস পরা হত, সেখানে নাচ গাণ শুরু হয়ে গেল। অথচ সেটাও আমাদের মত মুসলিম রাষ্ট্র ছিল!।
সেখানকার ফকিহুল উম্মাহ আল্লামা ইসমাইল কারাভিসহ অনেক আলেমকে বন্দি করা হয়েছিল। তারাও একসময় আপনাদের মত মনোভাব পোষণ করতো। কিন্তু যখন তারা নির্যাতিত হলেন, তখন তারাও বুঝলেন যে, শুধু দাওয়াত ও দোয়ার দ্বারা নিরাপদ থাকা যায়না। যদি এদুটি কাজের দ্বারা নিরাপদ থাকা যেত, তাহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু দোয়া করলেই তো পারতেন। তিনি জিহাদ করলেন কেন?
এই পর্যায়ে এসে আমরা আমরা আমাদের শ্রদ্ধেয় পিতা ও ভাইদের নিকট প্রশ্ন করতে চাই যে, আপনারা কি বলতে পারেন কেন তাদের উপর এমন অত্যাচার হয়েছিল? অথচ তারা তো ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত, মুস্তাহাব, তালিম, তাবলীগ, এবং তাজকিয়া কোন কিছুই বাদ দেন নি!। একমাত্র জিহাদের মত ফরজ আমলকে ছেড়ে দেওয়ার কারনেই তাদের উপর এই শাস্তি নেমে এসেছে।
দেখুন পিতাজি ও শ্রদ্ধেয় ভায়েরা!
আপনারা তো সবই জানেন । আমাদের তো কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তবুও আপনাদের জাগিয়ে তোলার জন্য বলছি যে, আমাদের আশেপাশেই তো এসব ঘটনা ঘটছে। অচিরেই আমাদের এখানেও এসব ঘটনা ঘটবে। তখন আপনারা সামান্যতম চিন্তা করারও অবকাশ পাবেন না। তাই আমরা আগে থেকেই আপনাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি যে, আপনারা জেগে উঠুন!। কাঁচা ঘুম ভাঙ্গা বাঘের ন্যায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কটাক্ষকারী নাস্তিক মুর্তাদদের উপর ঝাপিয়ে পড়ুন!। এবং আপনারা সকল মুসলমান ঐক্যবদ্ধ হন। কেননা মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে কোন শক্তিই তাদের রুখতে পারেনা। আরও অনেক কথা লেখার ছিল। আমরা মনে করি যে, আমাদের মুসলিম পিতা ও ভাইদের জাগানোর জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। তাছাড়া সময় অনেক কম। এরপরও যদি আপনারা এ ব্যাপারে কোন উদ্ধ্যেগ না নেন , তাহলে আমরা মনে করবো যে, বাংলাদেশে হয়তো আল্লাহ ও রাসুলপ্রেমিক ও অসহায়দের সাহায্যকারী আর কেউ অবশিষ্ট নেই।
আমাদের শেষ কথা এই যে, আপনারা যদি কোন কিছু না করতে পারেন, তাহলে আমাদেরকে বলুন, আমরাই বের হব। আপনারা ভাববেন না যে, আমরা এই কথাটা জোশ এবং আবেগের বশে বলেছি। আমরা পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ্য করেই বলছি।
এই লেখা ঠিকই লাল কালির লেখা। কিন্তু সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা আমাদের লাল রক্ত দ্বারা লিখতে বাধ্য হবো!। আপনারা কি চান সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক? আমরা আবারো বলছি হে আমাদের সম্মানিত পিতা ও ভায়েরা! আপনারা এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পুর্বেই জেগে উঠুন! এখানেই শেষ করলাম। আপনাদের মেয়ে ও বোনদের জন্য দোয়া করলে অত্যান্ত খুশি হব।
ইতি
ইসলামের প্রেমিকা, আপনাদের স্নেহের মেয়ে ও বোনেরা
( এই চিঠিটি বাংলাদেশী কয়েকজন মুজাহিদাহ বোন কর্তৃক লিখিত। ইনশা আল্লাহ এটা অচিরেই আমাদের উলামা হজরাতদের সমিপে পাঠানো হবে। বোনদের অনুমতি সাপেক্ষে পরিমার্জন ও পরিবর্তন- পরিবর্ধনের জন্য ফোরামে পোস্ট করা হল। আল্লাহ তাআলা বোনদের এই মেহনতকে কবুল করুন। আমিন )
Comment