Announcement

Collapse
No announcement yet.

আরাকানী মুসলিমদের উদ্ধারে এগিয়ে আসুন || শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আল হিন্দি (হাফি:) || মুখপাত্র, জ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আরাকানী মুসলিমদের উদ্ধারে এগিয়ে আসুন || শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আল হিন্দি (হাফি:) || মুখপাত্র, জ



    PDF DOWNLOAD LINKS








    -----------------------------

    আরাকানী মুসলিমদের উদ্ধারে এগিয়ে আসুন
    শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আল হিন্দি (হাফি.) || মুখপাত্র, জামা‘আতুল মুজাহিদীন

    الحمد لله رب العالمين، والعاقبة للمتقين، والصلاة والسلام على نبينا محمد وعلى آله وصحبه أجمعين اما بعد.

    ওহে মুসলিম উম্মাহ!

    তোমরা কি ভুলে গেছ, তোমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য, তোমরাই তো ছিলে বিশ্বের শাসক, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে সর্বোত্তম জাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। সুদূর আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত একচ্ছত্র শাসক ছিলে তোমরা এবং বিশ্বে ছিলে অপ্রতিদ্বন্ধী শক্তি। সেই জাতির উত্তরসূরীরা এখন বিশ্বে সবচেয়ে বেশী লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, শোষণ–বঞ্চনার শিকার, অশান্তির আগুনে জ্বলছে মুসলিম ভূ–খন্ডসমূহ।

    আজকে এত নির্যাতন সত্ত্বেও কেন তোমাদের ঘুম ভাঙছে না, তোমরা কি বীরের জাতি নও! তোমরাই তো তারিক বিন যিয়াদ, মুহাম্মাদ বিন কাসিম, সালাহউদ্দিন আইয়্যুবির বংশধর; এ কথা কি তোমরা ভুলে গেছ!

    অথচ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

    مَثَلُ الْمُؤْمِنِيْنَ فِيْ تَوَادِّهِمْ وَتَرَاحُمِهِم وَتَعَاطُفِهِمْ ، مَثَلُ الْجَسَدِ ، إِذَا اشْتَكَيٰ مِنْهُ عُضْوٌ، تَدَا عَيٰ لَهُ سَا ئِرُالْجَسَدِ

    “পরস্পর প্রীতি, দয়া ও ক্ষমাশীলতায় মুমিনদের দৃষ্টান্ত একটি দেহের ন্যায়, তার এক অংশ আঘাত প্রাপ্ত হলে, অন্য অংশও তার ব্যথায় ব্যথিত হয়” (সহীহ মুসলিম, হাঃ ৬৪০০)

    আজকে মুসলিম বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে জ্বলছে কুফফারদের দেয়া আগুন, সেই আগুন থেকে উদ্ধার করার মত কি কেউ নেই! নেই কি তোমাদের মাঝে মুহাম্মাদ বিন কাসিম, ওসামার মত বীর মুজাহিদীনরা!

    আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন,

    وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَٰذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا

    তোমাদের কি হলো! তোমরা কেন আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছ না, অথচ সেই সকল দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা যারা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করে বলছে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে এই জালিম অধ্যুষিত জনপদ থেকে বের করে নাও, এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য একজন অভিভাবক ও সাহায্যকারী পাঠাও। (সূরা আন নিসাঃ ৭৫)

    আজ সেই সকল দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুদের আর্তচিৎকার কি তোমাদের কানে পৌছে না!

    ওহে মুসলিম উম্মাহ!

    আপনাদের অতি পরিচিত, বিশ্বের সবচেয়ে বেশী নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন আমাদের পার্শ্ববর্তী ভূখন্ড আরাকানের মুসলিমগণ। বহুকাল ধরেই তাদের উপর নির্যাতন চলে আসছে, কিন্তু গত আগষ্ট ২০১৭ ইং জালিমের জুলুমের প্রতিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের উপর বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের পৈশাচিক হামলার রেকর্ড পূর্বের সমস্ত সীমাকে ছাড়িয়ে গেছে। আজ তাদের আর্তনাদে আসমান জমিন ভারী হয়ে উঠেছে, নাফ নদীতে ভাসছে একের পর এক লাশ। সেই বৌদ্ধ কুফফার কাপুরুষ ন্যাড়া জাতি তাদের শিশুদেরকেও রেহায় দিচ্ছে না, জ্বালিয়ে দিয়েছে অসংখ্য মুসলিমদের বাড়ি ঘর। ধর্ষণ, হত্যা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন মা–বোনেরা। মুসলিম যুবকদেরকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। বাকী যারা কোন রকম জীবিত রয়েছে তারাও কোন উপায় না পেয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকার চেষ্টা করছে। এখানেও তারা নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন, সীমান্ত ভেদ করে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না তাদেরকে। ত্বগুতের সৈনিক বিজিপি–বিজিবিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আহত অবস্থায় কোনো রকম জীবনটা নিয়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অনেকে বাংলাদেশে ঢুকছে।

    ওহে মুসলিম উম্মাহ!

    এর পরেও কি আপনারা বলবেন তাদেরকে সাহায্য করার সময় এখনো হয়নি! এখনো হয়নি তাদের পাশে দাঁড়ানোর সময়। এখনো কি আপনাদের উপর জিহাদ ফরয হয়নি? আর কত নির্যাতন হলে আপনাদের উপর জিহাদ ফরয হবে?

    ওহে উম্মাহর ওলামাগণ!

    আপনারাই তো নাবীগণের {আ:} ওয়ারিশ। আপনাদের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোন, আল্লাহকে ভয় করুন। ঘুমন্ত উম্মাহকে জাগিয়ে তুলুন। আরাকানের মুসলিমদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। আপনাদের দু’হাত তাদের জন্য প্রসারিত করে দিন। তাদেরকে বুকে জড়িয়ে ধরুন।

    ওহে বিশ্বের হকপন্থি মুজাহিদীনগণ!

    আপনারা যেভাবে আপনাদের ভূখন্ড তথা মুসলিম ভূখন্ডকে কুফফারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে আরাকানের মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। এটাই ঈমান আনার পর সর্বোত্তম আমল।

    ওহে বাংলাদেশের মুসলিমগণ!

    আপনারাই বেশি হকদার আরাকানের নির্যাতিত মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোর। তাই সকল অলসতা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আরাকানের মুসলিম মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে আরাকানী মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন!

    سبحانك اللهم وبحمدك أشهد أن لا إله إلا أنت أستغرك وأتوب إليك


  • #2
    আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে আরাকানী মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন!

    Comment


    • #3
      আল্লাহ আমাদের গুনাহ সমূহ ক্ষমা করুন এবং আমাদের তাওফিক দান করুন।

      Comment


      • #4
        ওহে বিশ্বের হকপন্থি মুজাহিদীনগণ!

        আপনারা যেভাবে আপনাদের ভূখন্ড তথা মুসলিম ভূখন্ডকে কুফফারদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য জিহাদের ময়দানে ঝাপিয়ে পড়েছেন, ঠিক তেমনিভাবে আরাকানের মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন। এটাই ঈমান আনার পর সর্বোত্তম আমল।
        __________________________________________________ ______________________

        আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সকলকে আরাকানী মুজাহিদদের সাহায্যে এগিয়ে আসার তাওফিক দান করুন। আমীন!

        Comment


        • #5
          আল্লাহতায়ালা আমাদের গুনাহ ক্ষমা করে দিন এই পরীক্ষায় পাশ করার তাওফীক দিন।
          হে ইরাক সিরিয়া খোরাসানের গমনের জন্য হা পিত্যেসকারি প্রতিক্ষমানরা ! হে খালিদ তারিক বিন কাসিমের সন্তানেরা ! বদর উহুদ খন্দক তোমার দ্বোরগোড়ায়, কাফেলা ছুটে যেন না যায়। ডাগর চোখের নারিদের প্রস্তাবের সময় বয়ে যাচ্ছে , জান্নাতের আরেকটি দ্বার আরাকানের দিক থেকে খোলেছে ইয়াসীর সুময়্যা হামজাগন সেই দ্বারে প্রবেশ করে চলছেন আল্লাহ কে দেখিয়ে দাও আমারা বাঙ্গালিদের সবার রক্ত নষ্ট হয়ে যায়নি কিছু রক্ত হলেও পবিত্র আছে যা আপনি জান্নাতের বিনিময়ে গ্রহন করবেন।
          আবারা গেয়ে উঠো ,
          نحن الذين بايعوا محمدا +على الجهاد ما بقينا ابدا
          ওমায়েরের সেই আবেগ আবার জেগে উঠোক ।
          بخ بخ أفما بيني وبين أن أدخل الجنة إلا أن يقتلني هؤلاء.
          হায় কী মজা! কী সুজা! আমাকে এরা হত্যা করে দিলেই আমি জান্নাতে চলে যাচ্ছি!!!
          আহাবায়ে কিরামের সেই জযবা যুদ্ধের মুহুর্তে তাদের মধ্যে যা জেগে উঠত তারা গুনগুনাতেন।
          غدا نلقى الاحبة +محمداوصحبه
          আগামি কল্যই বন্ধুদের সাথে সাক্ষাত হবে , মুহাম্মাদ এবং তাঁর সাথিদের সাথে। আল্লাহুম্মা লাব্বাইক আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।।
          Last edited by murabit; 09-16-2017, 12:54 PM.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ আমাদেরকে মাফ করুন জিহাদে শ রিক হওয়ার তৌফিক দান করুন আমিন

            Comment


            • #7
              সময় নিউজ
              মিয়ানমারের মতো নিরাপত্তার হুমকির পাশাপাশি বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সন্ত্রাসী সংগঠনের জোট আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন অ্যালায়েন্স (আরসা)। সন্ত্রাসী গ্রুপের কিছু সদস্য শরণার্থীদের আড়ালে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে বিজিবিকে।
              নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রোহিঙ্গাদের জঙ্গিবাদে জড়ানো ঠেকাতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কঠোর নজরদারি থাকতে হবে।
              সেনাবাহিনী সাথে যুদ্ধ করে আসা আরসা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, 'রাতে তিনটার দিকে সেনাবাহিনী আমাদের ওপর নির্বিচারে গুলি ছোড়া শুরু করে। আমরা দা ছুরি নিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের কাছে অস্ত্র না থাকার কারণে আমার পিছু হঠতে বাধ্য হই। পরে বাংলাদেশে চলে আসি।'
              সেনাবাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আলেকিন, সাংগঠনিক জোট আরসার সদস্যরা মিয়ানমারে নানা জঙ্গলে পালিয়ে আছে। আর গ্রেফতার এড়াতে তার মতো অনেক আরসার সদস্য বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করছে।
              স্বাধীন আরাকানের দাবিতে আরএসও, আরাকান আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি, আলেকিনের মতো চারটি রোহিঙ্গা ভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপের সমন্বয়ে মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধে নামে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন অ্যালায়েন্স নামে (আরসা) নতুন এ জোট।
              বান্দরবানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেন, আমাদের সীমান্তে ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা তৎপর রয়েছে ।
              বান্দরবনের বিজিবি ৩৪ এর লে.কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান বলেন, কোন ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ অস্ত্র ও গোলা-বারুদ নিয়ে এবং টেরোরিস্ট গ্রুপের অ্যাকটিভিস্ট সীমান্ত হতে দিবো না।
              নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব) আবদুর রশিদ বলেন, আামদের গোয়েন্দা সংস্থাকে অ্যাকটিভ হতে হবে। সীমান্ত বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। বান্দবানের স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটতে পারে।
              পাকিস্তানে বংশোদ্ভূত আতাউল্লাহ নেতৃত্বে আরসা বাহিনী গত ২৪ অগাস্ট এক সাথে ২৪টি পুলিশ কেন্দ্রসহ একটি সেনাবাহিনীর কেন্দ্রে হামলা করে। শুরুতে মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনী পিছু হটলেও পরে মিয়ানমারে সাধারণ বাহিনীর নির্মম হামলা শুরু করে। এতে সাধারণ রোহিঙ্গারা পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসতে শুরু করে।
              اب شریعت یا شہادت ہر زباں پر ہے صدا

              Comment


              • #8
                إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَهَاجَرُوا وَجَاهَدُوا بِأَمْوَالِهِمْ وَأَنْفُسِهِمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالَّذِينَ آوَوْا وَنَصَرُوا أُولَئِكَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ
                যারা ঈমান এনেছে এবং হিজরত করেছে এবং জান মাল নিয়ে জিহাদ করেছে আর যারা আশ্রয় দিয়েছে(যুদ্ধে) সাহায্য করেছে তারা পরষ্পরে বন্ধু ।
                রুহিঙ্গাদের পক্ষহতে হিজ্রত বাস্তবায়িত হচ্ছে এখন তাদের কে যুদ্ধে নামতে হবে, এখানের অধিবাসিদের কে তাদের আশ্রয় এবং যুদ্ধে সহায়তা করতে হবে,এটিই কোরআনি ফায়ছালা এবং ক্রমধারা , হিজরত হলো বিজয়ের পথে প্রথম বীজ অতঃপর জিহাদের বৃক্ষ নুছরাতের পানিতে সিঞ্চিত হয়ে ফলেফুলে শোভিত ছায়াদার মহিরুহে রুপান্তরিত হবে। ফা ইন লাম ইয়ুছিভহা ওয়াবিলুন ফাতাল্লুন।

                Comment

                Working...
                X