সিরিয়াতে তিনটা জায়ান্ট ইসলামিস্ট গ্রুপ হচ্ছে,
১. জাবহাত আন-নুসরাহ (আল-কায়িদা ফী বিলাদ আশ-শাম)
২. আহরার আশ-শাম
৩. জাইশ আল-ইসলাম
.
.
আর দুইটা ইসলামিস্ট কোয়ালিশন গ্রুপ হচ্ছে,
১. জাইশ আল-ফাতহ
২. জাবহাত আল-ইসলামিয়্যাহ (Islamic Front)
.
.
জাবহাত আন-নুসরাহ এবং আহরার আশ-শামের জোট হচ্ছে, “জাইশ আল-ফাতহ”। আবার জাইশ আল-ইসলাম এবং আহরার আশ-শামের জোট হচ্ছে, “Islamic Front” আরবীতে “জাবহাত আল-ইসলামিয়্যাহ”। অর্থাৎ আহরার আশ-শাম দুইটি কোয়ালিশনের অন্তর্ভূক্ত। এবং এই দুই কোয়ালিশনের অধীনে অন্যান্য ছোট ছোট ইসলামিস্ট গ্রুপগুলো কাজ করছে। আমি শুধু জায়ান্ট গ্রুপগুলোর নাম উল্লেখ করলাম।
IS, এই তিনটা গ্রুপের যত ক্ষতি করতে পেরেছে, অন্য কেউ তাদের এত ক্ষতি করতে পারে নি। IS এর সবচেয়ে বেশি রাগ হচ্ছে আহরার আশ-শামের উপর। কারণ, জাবহাত আন-নুসরাহর সাথে তাদের যে মধুর সম্পর্ক, IS এর তা অনেক হিংসা লাগে, তারা সহ্য করতে পারে না, তাই তাদের সুশীল থেকে শুরু করে সকলে এই আহরার আশ-শামের নামে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চালিয়েছে। অথচ, এই তিনটা গ্রুপের মধ্যে IS এর প্রতি সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্বক ছিল জাইশ আল-ইসলাম। তবুও তারা জাইশ আল-ইসলামের চেয়ে অনেক বেশি অপপ্রচার চালিয়েছে আহরার আশ-শামের বিরুদ্ধে। কারণ একটাই, জাবহাত আন-নুসরাহর সাথে জাইশ আল-ইসলামের চেয়ে আহরার আশ-শামের অনেক বেশি ভালো সম্পর্ক। এমন যে আপনি যদি ময়দানে তাদের মুজাহিদদের দেখেন, আপনি বুঝতেই পারবেন না যে কে আসলে কোন গ্রুপের মুজাহিদ।
সিরিয়াতে আরেকটা কোয়ালিশনের নাম হল: FSA (Free Syrian Army) জাইশ আল-হুর। এই কোয়ালিশনের মধ্যে, কিছু সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিস্ট, ন্যাশনালিস্ট আছে, ঠিক তেমনি ইসলামিস্টও আছে। [অনেকটা বিএনপি-জামাতের ২০ দলীয় জোটের মত] সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিস্টরা মূলত ওই নেতৃত্ব পর্যায়েরই। যদিও এই FSA এর নেতৃত্ব এখন প্রায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি গ্রুপ স্বাধীন ভাবেই কাজ করে এবং অন্য দুইটি ইসলামিস্ট কোয়ালিশন গ্রুপের সাপের্টেড গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। যেহেতু এইসব গ্রুপের সাধারণ যোদ্ধাদের মধ্যে ঈমান বিধ্বংসী কিছু প্রদুর্ভাব নেই, তাই এদের আম তাকফির করা হয় না [আমরা কি বাংলাদেশের সকলের উপর তাকফির করি]। হতে পারে তাদের নেতাদের মধ্যে অনেকে তাকফিরের যোগ্য কিন্তু এইসব সাধারণ যোদ্ধারা শুধুমাত্র বাশারের যুলুমের প্রতিরোধ করতেই অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তাদের কাছে সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিক স্টেট এত ম্যাটার করে না, কিন্তু তাদের জিহাদ তাদের নেতারা ছিনতাই করবে
[যেমনটা ৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল পাক হানাদারদের যুলুমের প্রতিরোধ করতে, কিন্তু নেতারা এবং সুযোগসন্ধানী কাফিরেরা তাদের ঘাড়ে পা রেখে এটাকে সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিক স্টেট বানিয়ে দিল এবং প্রচার করল মুক্তিযোদ্ধারাও নাকি এমনটাই চেয়েছিল, কারণ মিডিয়া ছিল তাদের হাতে]।
এই কারণে আল-কায়িদা FSA এর উপর হামলা করা বৈধ মনে করা না, তার উপর তারা এখন স্পষ্ট মুশরিক বাশার আল-আসাদ ফোর্সের সাথে যুদ্ধ করছে। কিন্তু তাদের কেউ যদি শামে আল-কায়িদাকে শরীয়াহ কায়েম করতে বাঁধা দেয়, তবে আল-কায়িদা শরীয়াহ অনুযায়ী তাদের শাস্তি প্রয়োগ করবে, ইনশা’আল্লাহ এবং করে আসছে, আলহামদুলিল্লাহ। তাছাড়া FSA এর উপর হামলা করার কোন যৌক্তিকতাই নেই, যখন এই যুদ্ধের মাঝেই ধীরে ধীরে তাদের দাওয়াহ দিয়ে তাদের দ্বীন যথেষ্টভাবে বুঝানো সম্ভব, তাদের তাওহীদ, জিহাদ, আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা বুঝানো সম্ভব, তখন তাদের উপর হামলা করার চিন্তা করাটা কত বড় গোমরাহী হতে পারে! আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ডাকতে পাঠিয়েছেন, কেউ কিছুটা অন্ধকারে আছে, তাকে টেনে তুলার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও লাথি দিয়ে চিরতরে অন্ধকারে ফেলে দেয়ার আকাঙ্ক্ষাটা হচ্ছে নিজেদেরই আরেক ধরণের অন্ধকারে থাকার প্রমাণ।
.
(Collected)
১. জাবহাত আন-নুসরাহ (আল-কায়িদা ফী বিলাদ আশ-শাম)
২. আহরার আশ-শাম
৩. জাইশ আল-ইসলাম
.
.
আর দুইটা ইসলামিস্ট কোয়ালিশন গ্রুপ হচ্ছে,
১. জাইশ আল-ফাতহ
২. জাবহাত আল-ইসলামিয়্যাহ (Islamic Front)
.
.
জাবহাত আন-নুসরাহ এবং আহরার আশ-শামের জোট হচ্ছে, “জাইশ আল-ফাতহ”। আবার জাইশ আল-ইসলাম এবং আহরার আশ-শামের জোট হচ্ছে, “Islamic Front” আরবীতে “জাবহাত আল-ইসলামিয়্যাহ”। অর্থাৎ আহরার আশ-শাম দুইটি কোয়ালিশনের অন্তর্ভূক্ত। এবং এই দুই কোয়ালিশনের অধীনে অন্যান্য ছোট ছোট ইসলামিস্ট গ্রুপগুলো কাজ করছে। আমি শুধু জায়ান্ট গ্রুপগুলোর নাম উল্লেখ করলাম।
IS, এই তিনটা গ্রুপের যত ক্ষতি করতে পেরেছে, অন্য কেউ তাদের এত ক্ষতি করতে পারে নি। IS এর সবচেয়ে বেশি রাগ হচ্ছে আহরার আশ-শামের উপর। কারণ, জাবহাত আন-নুসরাহর সাথে তাদের যে মধুর সম্পর্ক, IS এর তা অনেক হিংসা লাগে, তারা সহ্য করতে পারে না, তাই তাদের সুশীল থেকে শুরু করে সকলে এই আহরার আশ-শামের নামে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চালিয়েছে। অথচ, এই তিনটা গ্রুপের মধ্যে IS এর প্রতি সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্বক ছিল জাইশ আল-ইসলাম। তবুও তারা জাইশ আল-ইসলামের চেয়ে অনেক বেশি অপপ্রচার চালিয়েছে আহরার আশ-শামের বিরুদ্ধে। কারণ একটাই, জাবহাত আন-নুসরাহর সাথে জাইশ আল-ইসলামের চেয়ে আহরার আশ-শামের অনেক বেশি ভালো সম্পর্ক। এমন যে আপনি যদি ময়দানে তাদের মুজাহিদদের দেখেন, আপনি বুঝতেই পারবেন না যে কে আসলে কোন গ্রুপের মুজাহিদ।
সিরিয়াতে আরেকটা কোয়ালিশনের নাম হল: FSA (Free Syrian Army) জাইশ আল-হুর। এই কোয়ালিশনের মধ্যে, কিছু সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিস্ট, ন্যাশনালিস্ট আছে, ঠিক তেমনি ইসলামিস্টও আছে। [অনেকটা বিএনপি-জামাতের ২০ দলীয় জোটের মত] সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিস্টরা মূলত ওই নেতৃত্ব পর্যায়েরই। যদিও এই FSA এর নেতৃত্ব এখন প্রায় পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রতিটি গ্রুপ স্বাধীন ভাবেই কাজ করে এবং অন্য দুইটি ইসলামিস্ট কোয়ালিশন গ্রুপের সাপের্টেড গ্রুপ হিসেবে কাজ করে। যেহেতু এইসব গ্রুপের সাধারণ যোদ্ধাদের মধ্যে ঈমান বিধ্বংসী কিছু প্রদুর্ভাব নেই, তাই এদের আম তাকফির করা হয় না [আমরা কি বাংলাদেশের সকলের উপর তাকফির করি]। হতে পারে তাদের নেতাদের মধ্যে অনেকে তাকফিরের যোগ্য কিন্তু এইসব সাধারণ যোদ্ধারা শুধুমাত্র বাশারের যুলুমের প্রতিরোধ করতেই অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তাদের কাছে সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিক স্টেট এত ম্যাটার করে না, কিন্তু তাদের জিহাদ তাদের নেতারা ছিনতাই করবে
[যেমনটা ৭১ এ মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল পাক হানাদারদের যুলুমের প্রতিরোধ করতে, কিন্তু নেতারা এবং সুযোগসন্ধানী কাফিরেরা তাদের ঘাড়ে পা রেখে এটাকে সেকুলারিস্ট, ডেমক্রেটিক স্টেট বানিয়ে দিল এবং প্রচার করল মুক্তিযোদ্ধারাও নাকি এমনটাই চেয়েছিল, কারণ মিডিয়া ছিল তাদের হাতে]।
এই কারণে আল-কায়িদা FSA এর উপর হামলা করা বৈধ মনে করা না, তার উপর তারা এখন স্পষ্ট মুশরিক বাশার আল-আসাদ ফোর্সের সাথে যুদ্ধ করছে। কিন্তু তাদের কেউ যদি শামে আল-কায়িদাকে শরীয়াহ কায়েম করতে বাঁধা দেয়, তবে আল-কায়িদা শরীয়াহ অনুযায়ী তাদের শাস্তি প্রয়োগ করবে, ইনশা’আল্লাহ এবং করে আসছে, আলহামদুলিল্লাহ। তাছাড়া FSA এর উপর হামলা করার কোন যৌক্তিকতাই নেই, যখন এই যুদ্ধের মাঝেই ধীরে ধীরে তাদের দাওয়াহ দিয়ে তাদের দ্বীন যথেষ্টভাবে বুঝানো সম্ভব, তাদের তাওহীদ, জিহাদ, আল-ওয়ালা ওয়াল-বারা বুঝানো সম্ভব, তখন তাদের উপর হামলা করার চিন্তা করাটা কত বড় গোমরাহী হতে পারে! আল্লাহ আমাদের দুনিয়াতে মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ডাকতে পাঠিয়েছেন, কেউ কিছুটা অন্ধকারে আছে, তাকে টেনে তুলার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও লাথি দিয়ে চিরতরে অন্ধকারে ফেলে দেয়ার আকাঙ্ক্ষাটা হচ্ছে নিজেদেরই আরেক ধরণের অন্ধকারে থাকার প্রমাণ।
.
(Collected)
Comment